![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আ’ইশাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত,
“নাবী (দ.) যখন জানাবাতের (ফরজ গোসল) গোসল করতেন, তখন তাঁর হাত দু'টো ধুয়ে নিতেন। তারপর স্বলাতের অজুর মত অজু করতেন। তারপর তার আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া খিলাল করতেন। তারপর তাঁর উভয় হাতের তিন আঁজলা পানি মাথায় ঢালতেন। তারপর তার সারা শরীরের উপর পানি পৌঁছিয়ে দিতেন।” -বুখারী, মুসলিম, মুনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, তিরমিযী
মায়মুনা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“রসূলুল্লাহ্ (দ.) স্বলাতের অজুর ন্যায় অজু করলেন, অবশ্য পা দুটো ছাড়া এবং তাঁর লজ্জাস্থান ও যে যে স্থানে নাপাকী লেগেছে তা ধুয়ে নিলেন। তারপর নিজের উপর পানি ঢেলে দেন। তারপর সেখান থেকে সরে গিয়ে পা দু'টো ধুয়ে নেন। এই ছিল তাঁর জানাবাতের গোসল।” -বুখারী, মুসলিম, মুনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, তিরমিযী
আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমার খালা মায়মুনা আমাকে বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর জানাবাতের গোসলের জন্যে পানির পাত্র এগিয়ে দিলাম। তিনি প্রথমে দু’হাতের কব্জি পর্যন্ত দু’বার অথবা তিনবার ধুয়ে নিলেন। তারপর পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে বাম হাতে লজ্জাস্থান ধুয়ে পরিস্কার করলেন। পরে বাম হাতখানা মাটিতে খুব করে রগড়ালেন, এরপর স্বলাতের অজুর ন্যায় অজু করলেন। পরিশেষে মাথার উপর পূর্ণ তিন আঁজলা ভর্তিত পানি ঢেলে দিয়ে পরে সারা শরীর ধুয়ে নিলেন। অতঃপর উক্তস্থান থেকে একটু সরে গিয়ে পা দু’খানা ধুলেন। তখন আমি তাঁর গা মোছার জন্যে কাপড় (রুমাল) নিয়ে আসলে তিনি তা ব্যবহার করলেন না বরং ফেরৎ দিলেন। -বুখারী, মুসলিম, মুনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, তিরমিযী
এখানে উল্লেখ থাকে যে, উল্লেখিত মহিলা সাহাবিদ্বয় রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর স্ত্রী এবং উম্মুল মু’মিনীন অর্থাৎ বিশ্বাসীদের মা।
©somewhere in net ltd.