![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনি আমি ব্লগার। কিন্তু বাংলাদেশে ক’জন ব্লগার? প্রথম যেদির জুমার পর ব্লগারদের নাস্তিক বানিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সব মসজিদে মসজিদে মুসুল্লিদের হাতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। তখন সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমেছিলো। মিসিল করেছিলো নাস্তিক/ব্লগারদের বিরুদ্ধে। মজার ব্যাপার সেই মিসিলকারীদের ৯৯% লোকই জানে না ব্লগ জিনিসটা কি? তারা ব্লগ কখনও দেখে নি। ব্লগ বা ব্লগার কথাটির সাথে সেদিনই হয়তো তাদের প্রথম পরিচয়। আমাদের মনে রাখতে হবে সামু কিংবা অন্য ব্লগে আমরা যারা ব্লগ লিখি বা পড়ি তার চেয়ে সাধারণ মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। এত এত লিফলেট বিতরণ হল। যার দরুন এত এত মানুষের ধর্মীয় আবেগ ফুলে ফেপে উঠলো সেই লিফলেটগুলো এত অল্প সময়ে এত কপি কোথায় প্রিন্ট হলো কিংবা এতো লিফলেট এত সুষ্ঠ ও সুচতুর ভাবে কিভাবে বিতরণ হল? (সাওর বলছে ঃ তাতে কি হয়েছে আপনারা আল্লাহ্ এবং রসূলুল্লাহ্ (দ.) কে গালি দিতে পারবেন আর তা লিফলেট বা পত্রিকায় প্রকাশ হলে কি দোষ হবে! কেন? লিখার সময় হুঁশ ছিল কোথায়? আল্লাহ্ এবং রসূলকে আপনি কি ফালতু জিনিষ মনে করছেন? মনে রাখবেন এই গালি দেওয়ার শাস্তি ইসলামী শারীয়াহ্ হলো মৃত্যুদণ্ড আর এ ব্যাপারে কোনো বিচারকের রায়েরও অপেক্ষর প্রয়োজন নেই। যে গালি দিবে সে মোট কথা পাবলিক প্রপার্টি হয়ে যাবে।)
এবার মূল প্রসংগে আসিঃ আমাদের দ্বায়িত্ব হল সাধারণ মানুষের ভুল ভেঙে দেয়া। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব। এখন যদি সাধারণ কাউকে নাস্তিকের সমর্থক শব্দ লিখতে বলা হয় সে হয়তো অকপটে নাস্তিকের সমর্থক শব্দ হিসেবে ব্লগার কথাটি লিখবে। এজন্য দায়ী কারা। শুধু কি জামায়াত শিবির। ব্লগাগণ কি মোটেও দায়ী নন? সবচেয়ে অবাক হয়েছি একসময়ে রেটিনা কোচিং এর মাধ্যমে মেডিকেলে চান্স পাওয়া ও শিবির কর্মী ডাঃ ইমরানের উত্থান দেখে। তার সম্পর্কে আমি আগেই লিখেছি। ইচ্ছে হলে এই লিংকে দেখতে পারেন।
আমরা জানি ব্লগ একটি ডায়েরীর মত। যদি কেউ দুঃখ পেয়ে তার ডায়রীতে লিখে “আল্লাহ বড় সৈরাচারী ও কৃপন সে আমার প্রেমিকাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলো কেনো?” এটা কি নাস্তিকতা? (সাওর বলছে ঃ অবশ্যই এটা নাস্তিকতা এবং এটা নাস্তিকদের প্রকাশের ভাষাও বটে, অনেক-অনেক বড় কুফুরীও বটে। যার কারণে সে মৃত্যুদণ্ডের আসামী হয়েছে।) মোটেও না কারও মন কিংবা ব্যাক্তিগত ডায়রীতে সে যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারে তাতে কার কি ক্ষতি? (সাওর বলছে ঃ হ্যাঁ কারও মন কিংবা ব্যক্তিগত ডায়রীতে সে যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারে তাতে কারও কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু আল্লাহ্ এবং রসূল কি কারো ব্যক্তিগত ব্যপার এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলকে (দ.) কে গালি দেয়া এটা কি কারো কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপারে হতে পারে? এটা কেমন ধরণের ব্যক্তিগত ব্যাপার যে, কারো মনে আল্লাহ্ এবং রসূলকে নিয়ে গালির উদ্ভব হতে পারে! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যখন তার ব্যাক্তিগত ডায়রীতে লিখেছিল "Jan 8, 2012 – ঢাকা, জানুয়ারি ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রীর 'মৃত্যু কামনা' করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহাম্মদ রুহুল আমীন খন্দকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ..." তাহলে তাকে কেন ধরা হল? আর আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূল কি হাসিনার চেয়েও মূল্যহীন, বলুন? যখন আপনি বলছেন "কারও মন কিংবা ব্যাক্তিগত ডায়রীতে সে যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারে তাতে কার কি ক্ষতি?" এই কথা বলে আসলে আপনি টেকনিক্যালি আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূলকে গালি দিচ্ছেন! আপনার অবস্থা হলো ধরি মাছ না ছুই পানি! আসলে এটা সামগ্রীকভাবে গোটা মুসলিমদের ব্যাপার এমন নয় বরং এটাতো মানবতার ব্যাপার। এরকম গালি দেওয়া কি কোনো ভাল মানুষের কাজ হতে পারে? আমরাতো আমাদের প্রাণের দুশমনকেও এভাবে গালি দিতে পারি না। এটা কত সংকীর্ণমনস্ক এবং দূর্বল চিত্তের মানসিকতা। আপনি যদি ইসলামের যৌক্তিক কিংবা দালিলিক কোন সমালোচনা করেন তাহলে আমরা মুসলিমগণ তার যৌক্তিক এবং দালিলিক উত্তর দিতে পারি। কিন্তু আপনি যদি গালি দেন তাহলে গালির উত্তর কি দিযে দেই বলুন। আমরাতো আর গালি দিতে পারি না, ইসলামতো আর আমাদের গালি দেয়ার শিক্ষা দেয় না) এভাবে কি কেউ সাধারণ মানুষকে বলেছে বলুন? সবাই যার যার স্বার্থ নিয়ে আছে। আমি আবারও স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই ব্লগারদের কোনো নেতা নেই। সব ব্লগার স্বেচ্ছাসেবক। (সাওর বলছে ঃ আমি যদি বলি সব ব্লাগার নাস্তিক তাহলে কেমন হবে বনূন? আপনি স্বেচ্ছাসেবক বলে আবারও গালি দিলেন। আপনার বলা উচিৎ কতিপয় ব্লগাররা স্বেচ্ছাসেবক) ছিল নিজের ঘাটের পয়সা খরচ করে ব্লগ লিখি এবং পড়ি। একটু আধটু জ্ঞাণের নেশায়। (সাওর বলছে ঃ মনে রাখবেন আপনারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলকে গালি দিয়ে কাউকে মেহেরবানী করছেন না। বরং শুধুমাত্র ইসলামকে টার্গেট করে এবং এই কারণে কিছু টাকা পযসা সহ সস্তা নাম কামানোর ধান্দা করছেনমাত্র। আপনাদেরকে কারা টাকা পয়সা দেয় আমরা চিনি।) তাতে কার কি ক্ষতি বলুন। একটি শান্তি পূর্ণ ও অহিংস গণঅভ্যুথ্যান আজ কোন পর্যায়ে গেছে কেউ কি খেয়াল করে দেখেছেন। (সাওর বলছে ঃ এর জন্য দায়ী আপনারা। আপনারা যদি সকল দলের রাজাকারের ফাঁসিসহ সকল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতেন আর নাস্তিক ব্লগারদের বাদ দিতেন এবং যদি বাদ দিতেন শাহবাগে অনিসলামিক কর্মকাণ্ডগুলো আর যদি পক্ষ না নিতেন থাবা বাবাদের তাহলে আজকে এই আন্দোলন অন্যরকম হত।) যে ডাঃ ইমরান আপনার আমার মত ব্লগারদের নেতা বা মুখপাত্র সেজে বসে আছেন তিনি আসলে কে? আমি আমার ব্লগিং জীবনে কম জনপ্রিয় নই আমরা কি জানতাম ডাঃ ইমরান নামে আমাদের একজন নেতা আছে?
যেমন করে কাদের মোল্লার ফাঁসী না হওয়া আমি বা আমরা মেনে নিতে পারি নি ঠিক তেমনি করে মেনে নিতে পারছি না ডাঃ ইমরান আমাদের মুখপাত্র বা নেতা। তিনি কেনো এত বক্তৃতা দেবেন? কার বলে? কোন অধীকারে? ডাঃ ইমরান কেনো ব্লগারদের নাম ভাঙিয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে থেকে বক্তৃতা করবেন?
একজন প্রকৃত ব্লগার এই আন্দোলনে নেতা হতে পারেন না। আমরা সবাই নেতা সবাই কর্মী। আজ ব্লগার ও নাস্তিকতা এক হয়ে গেছে এর প্রতিবাদ স্বরূপ আমরা কি করেছি বলুন? আপনি বা আমি বা ডাঃ ইমরান নামের উড়ে এসে জুড়ে বসা ছেলেটি একবারও কি ব্লগার আর নাস্তিকতা যে এক জিনিস নয় তা কি খোলাসা করে বলেছে বলুন। এর চেয়ে প্রহসন আর কি হতে পারে বলুন।
রাজিবে আত্মা আজ কাঁদে। রাজিব সত্যিকারের সংগঠক। সত্যিকারের বীর। তার জীবন বলীদানের মর্জাদা আমরা দিতে পারি নি। আমরা পারি নি রাজীবকে আস্তিক প্রমাণ করতে। (সাওর বলছে ঃ দেখুন আপনার কথায় আপনিই ধরা খাচ্ছেন কিভাবে। আপনি রাজিবের (থাবা বাবা) পক্ষ নিয়ে আবারও প্রমাণ করলেন আপনিও একজন নাস্তিক-মুরতাদ। কিভাবে? আপনি বলছেন, "আমরা পারি নি রাজীবকে আস্তিক প্রমাণ করতে" আবার বলছেন "রাজিবের আত্মা আজ কাঁদে। রাজিব সত্যিকারের সংগঠক। সত্যিকারের বীর। তার জীবন বলীদানের মর্জাদা আমরা দিতে পারি নি।" তাই বুঝাই যায় আপনি কোন দলের!)
আসুন আমরা ডাঃ ইমরান নামের সাজানো ব্লগার নেতাকে প্রত্যাখ্যান করি। এবং বোঝার চেষ্টা করি তার পিছনে কে আছেন শিবির, জামায়াত, আওয়ামী-লীগ নাকি বি,এন,পি। (সাওর বলছে ঃ এসব রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করুন, ঘেন্না লাগে)
আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের প্রথম স্বঘোষিত নাস্তিক আরজ আলী মাতব্বর। তিনি নাস্তিক হলেও তার কথায় মাধুর্য ছিলো। ছিলো স্বাধীন চেতা মনোভাব। (সাওর বলছে ঃ নাস্তিকদের প্রতি কি সম্মান! বাহঃ বাহঃ) চরমোনাই পিরদের এর জমি-জমা আরজ আলী মাতব্বর মেপে দিয়েছিলেন। তারাও জানতেন তিনি নাস্তিক।
সামুতে নাস্তিকতার গন্ধ ছড়ানো কোনো পোস্ট পরলে বেশীরভাগ ব্লগারই এর প্রতিবাদ করতেন। আমার মত বেশীরভাগ ব্লগারই কখনও ব্লগিং এর মধ্যে অহেতুক ধর্মকে টেনে নিয়ে আসি নি। কিন্তু কেনো এই প্রহসন? (সাওর বলছে ঃ ধরি মাছ না ছুই পানি এর প্রহসন বন্ধ করুন)
©somewhere in net ltd.