নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাওর

আমার চুল আেছ

সাওর

আিম আম খাই

সাওর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি বলে আমি ইউনুস ইবনে মাত্তা’র থেকে উত্তম সে অবশ্যই মিথ্যা বলেছে।”

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

[ংন]নাবীদরে মধ্যে কাউকে

শ্রষ্ঠে বলা যাবে না

[/ংন]



রাসূল (দ.) বলনে,

“তোমরা নাবীদরে মাঝে কাউকে শ্রষ্ঠেত্ব দওি না।” (বুখারী তা.পা. হা. ৬৯১৬, আ.প্র. হা. ৬৪৩৬, ই.ফা. হা. ৬৪৪৮, মুসলমি, আ.হা.লা. ৬০৫০, ই.ফা.বা. ৫৯৪১, ই.স.ে ৫৯৮০, আবু দাউদ, সহীহ্, হু.মা. ৪৬৬৮)এই হাদীসটি স্পষ্ট ঘোষণা করছে য,ে নাবীদরে মাঝে কাউকে কারোর উপর শ্রষ্ঠেত্ব দয়ো নষিধে।



এই বষিয়টি আরো স্পষ্টভাবে উঠে এসছেে জনকৈ আনসার সাহাবী এবং এক ইয়াহুদীর ঘটনাকে কন্দ্রে কর।ে ঘটনাটি হলো আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে র্বণতি-



“তনিি বলনে একবার রাসূলুল্লাহ্ (দ.) উপবষ্টি ছলিনে এমন সময় এক ইয়াহুদি এসে বলল, হে আবুল ক্বাসমে! আপনার এক সাহাবী আমার মুখে আঘাত করছে।ে তনিি (দ.) জজ্ঞিসে করলনে ক?ে সে বলল একজন আনসার। তনিি (দ.) বললনে তাকে ডাকো। তনিি (দ.) তাকে জজ্ঞিসে করলনে তুমি ওকে মরেছে? তনিি (রা.) বললনে আমি তাকে বাজারে শপথ করে বলতে শুনছে,ি যনিি মুসা (আ.)-কে সকল মানুষরে উপর র্মযাদা দয়িছেনে। আমি বললাম হে খাবীস্ মুহাম্মাদ (স.) এর উপরওে ক?ি এতে আমার রাগ এসে গয়িছেলি তাই আমি তার মুখরে উপর আঘাত কর।ি নাবী (স.) বললনে “তোমরা নাবীদরে মাঝে কাউকে শ্রষ্ঠেত্ব দওি না...” (বুখারী তা.পা. হা. ২৪১১, ২৪১২, ৬৯১৭, আ.প্র. ২২৩৪, ২২৩৫, ই.ফা. ২২৫১, ২২৫২, মুসলমি আহলে হাদীস লাইব্ররেী, ২৩৭৩, ২৩৭৪।



এই হাদীসটি স্পষ্ট বলছে য,ে রাসূল (স.) এর একজন সাহাবী রাসূল (দ.) কে মুসা (আ.) এর উপর র্মযাদা দয়িছেলিো। আর রাসূল (দ.) জনকৈ ঐ আনসার সাহাবীর বশ্বিাস ঠকি নয় তা প্রমাণ করলনে খুব সুন্দরভাব।ে তনিি বুঝালনে শুধু মুসা নয় কোন নাবীকইে কোন নাবীর উপর র্মযাদা দয়ো যাবে না।



[ংন]রাসূল (স.) র্সবশ্রষ্ঠে নাবী নন যা তনিি (দ.)

নজিইে বুঝয়িে গয়িছেনে[/ংন]



রাসূল (দ.) বলনে,



“তোমাদরে কউে যনে না বলে আমি (মুহাম্মাদ (দ.) ইউনুস (আ.) থকেে শ্রষ্ঠে।” (বুখারী তা.পা. হা. ৩৩৯৫, ৩৪১২, ৩৪১৩, ৩৪১৫, ৩৪১৬, ৪৬০৩, ৪৬৩০, ৪৬৩১, ৪৮০৪, আ.প্র. হা. ৩১৬১, ৩১৬২, ৩১৬৪, ৪২৪২, ৪৪৪০, ৪২৬৯, ৪২৭০ ই.ফা. হা. ৩১৭০, ৩১৭১, ৩১৭৩, ৪২৪৫, ৪২৭২, ৪২৭৩, ৪৪৪১ মুসলমি, আহলে হাদীস লাইব্ররেী, হা. ২৩৭৬, ৬০৫৪, ই.ফা.বা. ৫৯৪৫, ই.স.ে ৫৯৮৪, আবু দাউদ, সহীহ, হু.মা. ৪৬৭১।



রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,



“যে ব্যক্তি বলে আমি ইউনুস ইবনে মাত্তার থকেে উত্তম সে অবশ্যই মথ্যিা বলছে।ে” (বুখারী তা.পা.হা. ৪৬০৪, ৪৮০৫, আ.প্র. হা. ৪২৪৩, ৪৪৪১, ই.ফা. হা. ৪২৪৬, ৪৪৪২)



রাসূল (দ.) বলনে,



“আমাকে তোমরা মুসা (আ.) এর উপর শ্রষ্ঠেত্ব দওি না...।” (বুখারী তা.পা. হা. ২৪১১, আ.প্র. ২২৩৪, ই.ফা. ২২৫১, মুসলমি, আহলে হাদীস লাইব্ররেী হা. ২৩৭৩, ৬০৪৭, ই.ফা.বা. ৫৯৩৮, ই.স.ে ৫৯৭৭)



রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,



“আল্লাহ্ তাবারকা ওয়াতায়ালা বলছেনে, "“আমার কোনো বান্দার ক্ষত্রেে একথা বলা উচৎি নয় য,ে আমি ইউনুস ইবনে মাত্তার থকেে উত্তম।”" মুসলমি, আ.হা.লা. ৬০৫৩, ই.ফা.বা. ৫৯৪৪, ই.স.ে ৫৯৮৩।



রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,

“তোমরা আমাকে কোনো নাবীর থকেে উত্তম বলোনা।” (বুখারী, তা.পা. ৪৬৩৮, ই.ফা.বা. ৪২৮০, আ.প্র. ৪২৭৭)রাসূল (দ.) যদি র্সবশ্রষ্ঠে নাবী হতনে তাহলে তনিি কনে বললনে য,ে “আমাকে ইউনুস (আ.) ও মুসা (আ.) এর উপর র্মযাদা দওি না। তবে আমরা একথাও বলনিা য,ে মুহাম্মাদ (দ.) তাদরে বা অন্য সকল নাবী এবং রাসূলদরে থকেে তনিি (দ.) কম উত্তম। বরং আমরা বলি প্রত্যকে নাবী এবং রাসূল সমান র্মযাদার অধকিারী, যা রাসূল (দ.) তনিি নজিইে আমাদরেকে শখিয়িছেনে। 



[ংন]কোনো নাবীর-ই নজিকেে ইউনুস (আ.) এর

উপরে র্মযাদা দয়ো জায়যে নয় [/ংন]



রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,



“কোনো নাবীর-ই একথা বলা উচৎি নয় য,ে আমি ইউনুস ইবনে মাত্তার চয়েে উত্তম।” (আবু দাউদ, সহীহ্, হু.মা. ৪৬৭২)।



[ংন]সংশয়মূলক প্রশ্নোত্তর[/ংন]



[ংন]প্রশ্ন (১) ঃ[/ংন]



আল্লাহ্ তায়ালা বলনে-



“এ রাসূলগণ এরূপ য,ে তাদরে মাঝে কাউকে কারোর উপর ফযীলত দয়িছে”ি সূরা বাক্বারাহ্, ২/২৫৩।“অবশ্যই আমি নাবীদরে মাঝে কাউকে কারোর উপর র্মযাদা দয়িছে।ি” সূরা বানী ইসরাঈল, ১৭/৫৫এ দুটি আয়াত প্রমাণ করে কোনো-কোনো রাসূলরে উপর কোনো-কোনো রাসূলকে আল্লাহ্ র্মযাদা দয়িছেনে। তাহলে কনে নাবীদরে মাঝে কাউকে শ্রষ্ঠে বলা যাবে না ?



[ংন]উত্তর ঃ[/ংন]



আয়াতরে দাবীটি অবশ্যই সঠকি। তবে তাতে কছিু ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়ছে।ে আয়াত দুটি লক্ষ্য করুন, আল্লাহ্ বলছেনে,



“এই রসূলগণ-আমি তাদরে কাউকে কারো উপর র্মযাদা দয়িছে।ি তাদরে মধ্যে কউে তো হলো তারা যার সাথে আল্লাহ্ কথা বলনে, আর কারও র্মযাদা উচ্চতর করছেনে এবং আমি মারইয়াম তলয় ঈসাকে সত্য-মথ্যিা র্পাথক্যকারী দান করছেি এবং তাকে শক্তি দান করছেি ও রহুল কুদুস্ র্অথাৎ জবিরাঈলরে মাধ্যম।ে” সূরা বাক্বারাহ, ২/২৫৩



“আপনার রব তাদরে সর্ম্পকে ভালভাবে জ্ঞাত আছনে, যারা আকাশসমূহে ও ভূপৃষ্ঠে রয়ছে।ে আমি তো কতক নাবীকে কতক নাবীদরে উপর শ্রষ্ঠেত্ব দান করছেি এবং দাউদকে যাবুর দান করছে।ি” সুরা বাণী ইসরাঈল, ১৭/৫৫

উপরোক্ত আয়াতটি বলছে য,ে আমি কতক রসূলকে কতক রসূললরে উপর র্মযাদা দয়িছেি এবং আয়াতরে পররে অংশ বলছে য,ে এই র্মযাদাটি কি কি বষিয়ে তা হলো-



(১) কতক রসূলরে সাথে আল্লাহ্ কথা বলছেনে এই কথা বলার মাধ্যমে তনিি র্মযাদা দয়িছেনে।



(২) ঈসা (আ.) কে আল্লাহ্ সত্য-মথ্যিার র্পাথক্যকারী বষিয় দান করার মাধ্যমে র্মযাদা দান করছেনে এবং রুহুল কুদুস্ দ্বারা শক্তি প্রদান করার মাধ্যমে র্মযাদা দান করছেনে।



এই দু’টি বষিয় দ্বারা প্রমাণ হয় য,ে আল্লাহ্ এই আয়াতে কোনো রসূলকে কোনো রসূলরে উপর র্মযাদা দয়িছেনে কোনো-কোনো বষিয়,ে র্সাবকি বষিয়ে নয়। কোনো-কোনো বষিয়ে অন্যন্য নাবীগণ মুহাম্মাদ (দ.) এর উপরওে র্মযাদা পয়েছেনে। এসর্ম্পকে রাসূল (দ.) বলনে-



“নশ্চিয় আমাদরেকে হাশররে ময়দানে খালি পা, বস্ত্রহীন এবং খতনাবহিীন অবস্থায় উপস্থতি করা হব।ে অতপরঃ তনিি কুরআনরে আয়াতটি তলিাওয়াত করলনে- “যভোবে আমি সৃষ্টরি সূচনা করছেলিাম, সভোইবে পুনরায় সৃষ্টি করবো। এটি আমার প্রতশ্রি“তি এর বাস্তবায়ন আমি করবোই।” সূরা আম্বয়িা, ২১/১০৪। আর কয়েমাতরে দনি সবার আগে যাকে কাপড় পড়ানো হবে তনিি হবনে ইবরাহীম (আ.)...।” (বুখারী তা.পা. হা. ৩৩৪৯, ৪৭৪০, ৬৫২৬, আ.প্র. হা. ৩১০১, ই.ফা. হা. ৩১০৯)



এই হাদীসে ইবরাহীম (আ.)কে হাশররে ময়দানে সবার আগে কাপড় পরধিান করয়িে আল্লাহ্ তায়ালা র্মযাদা দয়িছেনে। অন্যকোন নাবীকে এই র্মযাদা দনেনি ! স্বয়ং মুহাম্মাদ (দ.) কওে না !



সাহাবাগণ রাসূল (দ.) এর কাছে প্রশ্ন করলনে,



“হে আল্লাহর রাসূল (দ.) মানুষরে মাঝে সবচয়েে সম্মানীত ব্যক্তি কে ? তনিি (দ.) বললনে- “যে তোমাদরে মাঝে সবচয়েে তাক্বওয়াবান। তখন তাঁরা বলল আমরাতো আপনাকে এব্যপারে জজ্ঞিসে করনি।ি তনিি (দ.) বললনে- “আল্লাহর নাবী ইউসূফ (আ.) যনিি নাবীর পুত্র এবং আল্লাহর নাবীর পৌত্র, আল্লাহর খালীলরে প্রপৌত্র...। (বুখারী, তা.পা. ৩৩৫৩, ৩৩৭৫, ৩৩৮৩, ৩৪৯০, আ.প্র. হা. ৩১০৫, ই.ফা. হা. ৩১১৩।



এ হাদীস স্পষ্ট ঘোষণা করছে য,ে তাক্বওয়ার দকি থকেে রাসূল (দ.) ইউসুফ (আ.) কে শ্রষ্ঠেত্ব দয়িছেনে অন্য নাবীদরে নাম বলনেন।ি স্বয়ং মুহাম্মাদ (দ.) এর নামও উল্লখে করনেে ন।িমহান আল্লাহ্ বলনে-



“আমি তোমাকে (মুহাম্মাদ) সমস্ত বশ্বিরে জন্য রহমাত স্বরূপ পাঠয়িছে।ি” সূরা আম্বয়িা, ২১/১০৭।



এই আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা সমগ্র বশ্বিবাসীর উপর মুহাম্মাদ (দ.) কে রহমাত স্বরূপ পাঠয়িে র্মযাদা দয়িছেনে। যা অন্যকোন নাবীদরেকে দান করনে ন।ির্সাবকিভাবে কোনো রসূলকে কোনো রসূলরে উপরে র্মযাদা দয়োর ব্যপারে কুরআনওে নষিধে করা হয়ছে।ে মহান আল্লাহ্ বলনে,



“আমরা রসূলদরে মাঝে কোনো র্পাথক্য করনিা।” -সূরা বাক্বারাহ্, ২/২৮৫

এই আয়াত দ্বারা বুঝা যায় য,ে র্সাবকি বষিয়ে কোনো রসূলকে কোনো রসূলরে উপরে র্মযাদা দওেয়া নষিদ্ধি। কোনো-কোনো বষিয়ে কোনো নাবী কারো-কারো উপরে র্মযাদা পতেে পারনে। কন্তিু তা র্সাবকি বষিয়ে হবে না। এ কারণইে রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,



“তোমরা নাবীদরে মাঝে কাউকে শ্রষ্ঠেত্ব দওি না।” (বুখারী তা.পা. হা. ৬৯১৬, আ.প্র. হা. ৬৪৩৬, ই.ফা. হা. ৬৪৪৮, মুসলমি, আ.হা.লা. ৬০৫০, ই.ফা.বা. ৫৯৪১, ই.স.ে ৫৯৮০, আবু দাউদ, সহীহ্, হু.মা. ৪৬৬৮)



[ংন]প্রশ্ন (২) ঃ[/ংন]



কয়োমতরে দনি র্সবপ্রথম সুপারশি করার অনুমতি পাবনে। তাহলে এতইে প্রমাণ হয় না, মুহাম্মাদ (দ.) র্সবশ্রষ্ঠে নাবী এবং রাসূল (দ.) ?উত্তর ঃ

আমরা র্পূবইে প্রমাণ করছেি য,ে কোন কোন বষিয়ে কোন কোন নাবী এবং রাসূল (আ.)গণকে অন্য নাবী এবং রাসূল (আ.) গণরে উপর র্মযাদা দয়িছেনে। র্সাবকিভাবে নয়। কয়োমতরে দনি সুপারশি করার দকি দয়িে মুহাম্মাদ (দ.) কে র্মযাদা দয়িছেনে। এতইে যদি প্রমাণ হয়ে যায় য,ে তনিি (দ.) র্সবশ্রষ্ঠে তাহলে ইবরাহীম (আ.) কে য,ে আল্লাহ্ র্সবপ্রথম কাপড় পরধিান করাবনে তার উত্তর কি হবে ?



“নশ্চিয় আমাদরেকে হাশররে ময়দানে খালি পা, বস্ত্রহীন এবং খতনাবহিীন অবস্থায় উপস্থতি করা হব।ে অতপরঃ তনিি কুরআনরে আয়াতটি তলিাওয়াত করলনে- “যভোবে আমি সৃষ্টরি সূচনা করছেলিাম, সভোইবে পুনরায় সৃষ্টি করবো। এটি আমার প্রতশ্রি“তি এর বাস্তবায়ন আমি করবোই।” সূরা আম্বয়িা, ২১/১০৪। আর কয়েমাতরে দনি সবার আগে যাকে কাপড় পড়ানো হবে তনিি হবনে ইবরাহীম (আ.)...।” (বুখারী তা.পা. হা. ৩৩৪৯, ৪৭৪০, ৬৫২৬, আ.প্র. হা. ৩১০১, ই.ফা. হা. ৩১০৯)



এই হাদসি দয়িে এখন কউে যদি বলনে ইবরাহীম (আ.) কে যহেতেু র্সবপ্রথম কাপড় পরধিান করাবনে তাই তনিি র্সবশ্রষ্ঠে তাহলে তার কথা বা বশ্বিাস কি সঠকি হবে ? নশ্চিয়ই না। কারণ, রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে-



“তোমরা নাবীদরে মাঝে কাউকে শ্রষ্ঠেত্ব দওি না।” (বুখারী তা.পা. হা. ৬৯১৬, আ.প্র. হা. ৬৪৩৬, ই.ফা. হা. ৬৪৪৮, মুসলমি, আ.হা.লা. ৬০৫০, ই.ফা.বা. ৫৯৪১, ই.স.ে ৫৯৮০, আবু দাউদ, সহীহ্, হু.মা. ৪৬৬৮)তাছাড়া সুলাইমান (আ.) সর্ম্পকে আল্লাহ্ বলনে,





“সুলাইমান দাউদরে উত্তরাধকিারী হয়ছেলিনে। (সুলাইমান) বলছেলিনে, ওহে লোক সকল, আমাকে উড়ন্ত পক্ষীকূলরে ভাষা শক্ষিা দয়ো হয়ছেে এবং আমাকে সব কছিু দয়ো হয়ছে।ে নশ্চিয়ই এটা সুস্পষ্ট শ্রষ্ঠেত্ব।” -সূরা নামল, ২৭/১৬এই আয়াতা থকেে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় য,ে সুলাইমান (আ.) কে আল্লাহ্ পক্ষীকূলরে ভাষা শক্ষিা এবং সবকছিু পাওয়ার দকি দয়িে শ্রষ্ঠেত্ব পয়েছেনে। এখন কউে যদি এই আয়াত দয়িে সুলাইমান (আ.)-কে র্সবশ্রষ্ঠে নাবী বলে তা’কি সঠকি হবে ? নশ্চিয়ই না। কারণ, রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,“তোমরা নাবীদরে মাঝে কাউকে শ্রষ্ঠেত্ব দওি না।” (বুখারী তা.পা. হা. ৬৯১৬, আ.প্র. হা. ৬৪৩৬, ই.ফা. হা. ৬৪৪৮, মুসলমি, আ.হা.লা. ৬০৫০, ই.ফা.বা. ৫৯৪১, ই.স.ে ৫৯৮০, আবু দাউদ, সহীহ্, হু.মা. ৪৬৬৮) 

[ংন]প্রশ্ন (৩) ঃ[/ংন]



আনাস ইবনু মালকি (রা.) হতে র্বণতি আছ,ে তনিি বলনে, রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে, যে দনি লোকদরেকে উঠানো হবে (কবর হতে কয়িামাতরে মাঠ)ে সে দনি আমইি র্সব প্রথম আত্ম প্রকাশকারী হব। যখন সকল মানুষ আল্লাহ্ তায়ালার আদালতে একত্র হব।ে তখন আমি তাদরে ব্যাপারে বক্তব্য উপস্থাপন করব। তারা যন নরিাশ ও হতাশাগ্রস্থ হবে তখন আমইি তাদরে সুখবর প্রদানকারী হব। সদেনি প্রশসংসার পতাকা আমার হাতইে থাকব।ে আমার “রব” এর নকিট আদম সন্তানদরে মধ্যে আমইি সবারচাইতে সম্মানীত, তাতে র্গবরে কছিু নইে। (আত-তরিমযিী, দ্বতিীয় খণ্ড, হু.মা. ৩৬১০)



এই হাদসি বলছে য,ে রসূলুল্লাহ্ (দ.) সবারচাইতে আল্লাহ্’র কাছে সম্মানীত। একথাটি দ্বারা কি বুঝা যায় না য,ে রসূলুল্লাহ্ (দ.) র্সবশ্রষ্ঠে রসূল ?



[ংন]উত্তর ঃ[/ংন]



এই হাদসিটি “যঈফ” তাই এই হাদসিটি দাললিরে ক্ষত্রেে একবোরইে অযোগ্য। দখেুন- যঈফ, আত-তরিমযিী, দ্বতিীয় খণ্ড, হু.মা. ৩৬১০। অপরদকিে সহীহ্ হাদসি বলছে য,ে



“তোমরা নাবীদরে মাঝে কাউকে শ্রষ্ঠেত্ব দওি না।” (বুখারী তা.পা. হা. ৬৯১৬, আ.প্র. হা. ৬৪৩৬, ই.ফা. হা. ৬৪৪৮, মুসলমি, আ.হা.লা. ৬০৫০, ই.ফা.বা. ৫৯৪১, ই.স.ে ৫৯৮০, আবু দাউদ, সহীহ্, হু.মা. ৪৬৬৮)

সহীহ্ এই হাদসি অনুযায়ী নাবীদরে মাঝে কাউকে র্সাবকি দকিদয়িে র্মযাদা দয়ো নষিধে।



[ংন]প্রশ্ন (৪) ঃ[/ংন]



রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,



“আমি নাবীগণরে উপরে র্মযাদা পয়েছে।ি” (সহীহ্, তরিমযিী, হু.মা. ১৫৫৩)এই হাদসি থকেে বুঝা যায় সমস্ত নাবীদরে থকেে মুহাম্মাদ (দ.) র্সবশ্রষ্ঠে।



[ংন]উত্তর ঃ[/ংন]

হাদসিটি সহীহ। তবে হাদসি প্রশ্নকারী ব্যক্তি র্অধকে দয়িছেনে। পুরো হাদসিটি হচ্ছ,ে



“রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,]



আবু উমামা (রা.) থকেে র্বণতি, রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,



আমি অন্যান্য নাবীদরে উপরে র্মযাদা পয়েছেি অথবা বলছেনে আমার উম্মাত অন্যান্য উম্মাতরে উপরে র্মযাদা পয়েছেে (সইে র্মযাদাটি হচ্ছ)ে গানীমাতরে মাল আমাদরে জন্য হালাল করা হয়ছে।ে (সহীহ্ ল-িগইরহিী, তরিমযিী, হু.মা. ১৫৫৩)



এই পুরো হাদসিটি থকেে বুঝা যায় য,ে রসূলুল্লাহ্ (দ.) র্সাবকিভাবে র্মযাদা পানন।ি বরং গাণীমাতরে মাল হালাল হওয়ার দকি থকেে র্মযাদা পয়েছেনে। আর এরকম বভিন্নি দকি থকেে বভিন্নি নাবীগণও মুহাম্মাদ (দ.) এর উপরে র্মযাদা পয়েছেনে। যা র্পূবে আলোচতি হয়ছে।ে র্সাবকিভাবে কোনো নাবীকে কোনো নাবীর উপরে র্মযাদা দতিে রসূলুল্লাহ্ (দ.) নষিধে করছেনে। এ সর্ম্পকে রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলনে,“তোমরা নাবীদরে মাঝে কাউকে শ্রষ্ঠেত্ব দওি না।” (বুখারী তা.পা. হা. ৬৯১৬, আ.প্র. হা. ৬৪৩৬, ই.ফা. হা. ৬৪৪৮, মুসলমি, আ.হা.লা. ৬০৫০, ই.ফা.বা. ৫৯৪১, ই.স.ে ৫৯৮০, আবু দাউদ, সহীহ্, হু.মা. ৪৬৬৮)



[ংন]প্রশ্ন (৫) ঃ[/ংন]



রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,“তোমরা নাবীদরে মাঝে কাউকে শ্রষ্ঠেত্ব দওি না।” (বুখারী তা.পা. হা. ৬৯১৬, আ.প্র. হা. ৬৪৩৬, ই.ফা. হা. ৬৪৪৮, মুসলমি, আ.হা.লা. ৬০৫০, ই.ফা.বা. ৫৯৪১, ই.স.ে ৫৯৮০, আবু দাউদ, সহীহ্, হু.মা. ৪৬৬৮)এই হাদসিে রসূলুল্লাহ্ (দ.) ভদ্রতার কারণে কোনো নাবীকে কোনো নাবীর উপরে র্মযাদা দতিে নষিধে করছেনে। আসলে তনিি (দ.) র্সবশ্রষ্ঠে।



[ংন]উত্তর ঃ[/ংন]



এই কথাটি রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর উপর একটি মথ্যিা অপবাদ ! কারণ, রসূলুল্লাহ্ (দ.) ভদ্রতা করে র্ধমীয় শক্ষিা উল্টাভাবে দবিনে না। আপনারা কি বলতে চান রসূলুল্লাহ্ (দ.) ভদ্রতা করে আমাদরেকে উল্টা শক্ষিা দয়িছেনে ! আপনাদরে কাছে কি কোনো প্রমাণ আছে য,ে রসূলুল্লাহ্ (দ.) ভদ্রতা করে এরকম শক্ষিা দয়িছেনে আসলে এরকম শক্ষিা নয় ?! এসর্ম্পকে রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,



রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে, “আল্লাহ্ তাবারকা ওয়াতায়ালা বলছেনে,



“আমার কোনো বান্দার ক্ষত্রেে একথা বলা উচৎি নয় য,ে আমি ইউনুস ইবনে মাত্তার থকেে উত্তম।” (মুসলমি, আ.হা.লা. ৬০৫৩, ই.ফা.বা. ৫৯৪৪, ই.স.ে ৫৯৮৩।এই হাদসিটি বলছে য,ে স্বয়ং আল্লাহ্ বলছেনে য,ে “আমার কোনো বান্দার ক্ষত্রেে একথা বলা উচৎি নয় য,ে আমি ইউনুস ইবনে মাত্তার থকেে উত্তম।”



বান্দা কথাটি র্সাবকিভাবে এসছেে যার মাঝে নাবীগণও উদ্দশ্যে। যমেন- রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলছেনে,



“কোনো নাবীর-ই একথা বলা উচৎি নয় য,ে আমি ইউনুস ইবনে মাত্তার চয়েে উত্তম।” (আবু দাউদ, সহীহ্, হু.মা. ৪৬৭২)।



র্অথাৎ কোনো নাবীর-ই এই কথা বলা উচৎি নয় য,ে তনিি নজিকেে ইউনুস (আ.) এর উপরে শ্রষ্ঠেত্ব দবিনে। এই কথার দ্বারা বুঝা যায় য,ে কোনো নাবী-ই র্সবশ্রষ্ঠে নয়। এই কথাটতিো আল্লাহ্ বলছেনে, এখন আপনারা কি বলবনে য,ে আল্লাহ্ ভদ্রতার খাতরিে একথা বলছেনে ? আসলে মুহাম্মাদ (দ.)-ই র্সবশ্রষ্ঠে ? আশাকরি এই ধরণরে কুফরি বশ্বিাস ও কথা বলা থকেে বরিত থাকবনে



[ংন]!প্রশ্ন (৬) ঃ[/ংন]



মহান আল্লাহ্ বলনে,



“নশ্চিয়ই আল্লাহ্ এবং মালাইকাহ্রা নাবী’র উপরে স্বল্লু (দরুদ) পাঠান।” -সূরা আহযাব, ৩৩/৫৬এই আয়াতে আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা এবং মালাইকাগণ আমাদরে নাবীর উপরে স্বল্লু (দরুদ) পাঠায় তাই বুঝাই যায় য,ে আমাদরে নাবী মুহাম্মাদ (দ.)-ই র্সবশ্রষ্ঠে নাবী।



[ংন]উত্তর ঃ[/ংন]



এই ব্যাখ্যাটি সঠকি নয়। কারণ, মহান আল্লাহ্ বলনে,



“তনিি (আল্লাহ্) তোমাদরে (মু’মনিদরে) উপর স্বল্লু (দুরুদ) পাঠান এবং মালাইকাহ্গণও। -সূরা আহযাব, ৩৩/৪৩এই আয়াতটি বলছে য,ে সমস্ত মু’মনিদরে প্রতি আল্লাহ্ এবং ফরেশেতাগণ স্বল্লু (দুরুদ) পাঠয়িে থাকনে।

এই আয়াত দ্বারা কি এটা বুঝা যায় য,ে মু’মনিগণ অন্যান্য নাবীগণদরে থকেে শ্রষ্ঠে ? নশ্চিয়ই এই ধরনরে বাতলি বশ্বিাস আপনাদরে মধ্যে নইে। তাহলে বুঝা যায় য,ে শুধুমাত্র মুহাম্মাদ (দ.)এর-ই উপর আল্লাহ্ এবং মালাইকাহ্গণ স্বল্লু (দুরুদ) পাঠায় এই কথাটি সঠকি নয়। বরং সকল নাবী এবং সাধারণ মু’মনিগণরে উপরওে স্বল্লু (দুরুদ) পাঠানো হয়।



অতএব, প্রশ্নকারীর উল্লখেতি সূরা আহযাব, ৩৩/৫৬নং আয়াত দয়িে কোনোভাবইে মুহাম্মাদ (দ.) কে র্সবশ্রষ্ঠে প্রমাণ করা সম্ভব নয়।



[ংন]প্রশ্ন (৭) ঃ[/ংন]



মহান আল্লাহ্ বলনে,



“তোমরাই শ্রষ্ঠে উম্মাহ্।” -সূরা আলি ইমরান, ৩/১১০



এই আয়াত দ্বারা মুহাম্মাদ (দ.) এর উম্মাহ্কে র্সবশ্রষ্ঠে উম্মাহ্ বলা হয়ছে।ে তাহলে যে নাবী’র উম্মাহ্ র্সবশ্রষ্টে সইে নাবী কি র্সবশ্রষ্ঠে নাবী হবে না ?



[ংন]উত্তর ঃ[/ংন]



এই আয়াতরে ব্যাখ্যাটি সঠকি নয়। কারণ, তোমরাই শ্রষ্ঠে উম্মাহ্ বলে আল্লাহ্ মুহাম্মাদ (দ.) এর উম্মাহ্কে বুঝান ন।ি বরং গোটা মুসলমি উম্মাহ্কইে বুঝয়িছেনে। আর সকল নাবীগণ এবং তাঁদরে অনুসারীগণ মুসলমি ছলিনে। যমেন মহান আল্লাহ্ বলনে,



“নশ্চিয়ই যারা ঈমান এনছেে এবং আ’মালে স্বালহিা করছেে তারাই হচ্ছে সৃষ্টরি সরো।” -সূরা বায়্যনিাহ্, ৯৮/৭



এই আয়াতটি বলছে য,ে যারা ঈমান আনে এবং সৎর্কম করে তারাই হচ্ছে সৃষ্টরি সরো। আর র্পূবর্বতী সকল নাবীগণ এবং তাঁদরে অনুসারীগণ সকলইে ঈমান এনছেলিনে এবং সৎর্কম করছেলিনে। তাই এই আয়াত অনুযায়ী তারাও সৃষ্টরি সরো।



অতএব, প্রশ্নকারীর উল্লখেতি সূরা আলি ইমরানরে ১১০নং আয়াতরে অনুবাদ হব,ে



“তোমরাই (মুসলমি উম্মাহ্-ই) র্সবশ্রষ্ঠে উম্মাহ্।” -সূরা আলি ইমরানরে ৩/১১০অতএব, এই আয়াতটি দ্বারা কোনোভাবইে প্রমাণ হয় না য,ে মুহাম্মাদ (দ.) এর উম্মাহ্ অন্যান্য নাবীদরে উম্মাহ্ থকেে শ্রষ্ঠে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.