নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করতে এবং তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করছেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন।
( আয়াত: ৮৷ সুরা- মমতাহিনা)
আজকে একজন সনাতনী নেতাকে গ্রেফতার করা হল। জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলায়।
মাত্র দুই দশক আগেও হিন্দু মুসলমান কোনো ভেদাভেদ ছিলো না আমাদের। কৈশোরে পূজা দেখতে যেতাম।
আমার ৩ জন গৃহশিক্ষক ছিলেন এবং এবং তাদের মধ্যে ২ জন হিন্দু ছিলেন। কিন্তু আমি বা আমার স্যারদের কাছে কখনো ধর্মীয় পরিচয় মুখ্য ছিলো না।
বিএনপির আমলে কিশোরী পূর্ণিমা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। বাঁশখালীতে ১১ জন হিন্দুকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।
২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের সময় মাহমুদুর রহমান দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন। এবারও দেশে এসে ক্রমাগত উগ্রবাদীদের উস্কানিমূলক কথা বলে ইসকনের মুখোমুখি করিয়েছেন। সাথে তো পিনাকী ইলিয়াসের মতো ভন্ডরা যুক্ত হয়েছে।
ক্রমাগত একটা গোষ্ঠীকে যখন আপনি প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করবেন তখন পাল্টা আঘাত সহ্য করার মতো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতাও আপনার থাকতে হবে।
কিছু হলেই আমরা প্রশ্ন তুলি হিন্দুরা এদেশকে আপন মনে করে না। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতকে বেশি ভালোবাসে। তারা ভারতে চলে যায়।
ভারতীয় মুসলিমরা কখনো বাংলাদেশ বা পাকিস্তান কেন যায় না। কারণ তারা মনে করে, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের চেয়ে ভারত তাদের কাছে বেশি নিরাপদ।
আহমদ ছফা শুধু একজন লেখক ছিলেন না বরং মনীষাও ছিলেন। তাঁর সব বিষয়ের সাথে আমি একমত নাও হতে পারি।
ব্রাত্য রাইসু একবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন,
আচ্ছা, হিন্দুরা সব সময়ই ইন্ডিয়াতে কেন যায়?
জবাবে, আহমদ ছফা বিস্তারিত উত্তর দিয়েছিলেন।বলেছিলেন,
যাওয়ার জায়গা আছে বলেই যায়। পাকিস্তান থাকলে আমরাও যেতাম।
ওদের কেউ না কেউ আছে ইন্ডিয়ায়। এটার তো একটা ঐতিহাসিক রিজন আছে। সেটা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে হবে না।
ভ্রাতৃভাবের কারণে প্রশ্ন না, অনেক কারণে। যেমন মুসলমানেরা বেশিরভাগ সৌদি আরবে যায়। এটা শুধু অর্থনৈতিক, সামাজিক না। তীর্থগুলো; ওখানে হিন্দু তীর্থগুলো আছে, বিয়েশাদি আছে মেয়েদের। হিন্দু মুসলমানের প্রসঙ্গটা এখানে আনা ঠিক হবে না। কারণ জিনিসটা ইট ইজ এন ইনোসেন্ট কাইন্ড অব থিং। আমার প্রেক্ষিত যেটা, আমার কোলকাতা যাওয়ার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমার মনের মধ্যে কোলকাতা কোন খেলা করত না। বরঞ্চ বার্মা-টার্মা এগুলো খেলা করত। আমাদের ছোটবেলায় চট্টগ্রাম-নোয়াখালির লোক সকলে বার্মা যেত। এবং বার্মা নিয়ে গান ছিল একটা:
রেঙ্গুন রঙ্গিলা রে/রেঙ্গুনেরে। বার্মার মাইয়া কত ঠমক জানে/চুলের আগাত ফুলের কলি ইশারাতে টানে...
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: জাতীয় পতাকা অবমাননা আপনার কাছে একটা তুচ্ছ ব্যাপার মনে হচ্ছে, তাই না? আপনি জানেন কী (?) ভারতে শুধুমাত্র ভিনদেশের ক্রিকেট খেলাকে সমর্থন করার কারণে হাজত বাস করতে হচ্ছে তাদের কোন জামিন হয়।
হিন্দুরা (সবাই না) মনে মননে ভারত ছাড়া কিছুই বোঝেনা তারা বাংলাদেশে থেকে বাংলাদেশকেই থ্রেট দেয় এমনভাবে কথা বলে যেন তারা ভারতে নাগরিক!! তবে অনেক হিন্দু আছে যারা আমাদের চেয়েও অত্যন্ত দেশপ্রেমীক।
দাঙ্গা হাঙ্গামা শতকরা ৯৮ ভাগ হয় রাজনৈতিক কারনে কিন্তু সেটা অত্যন্ত সুকৌশলে ধর্মীয় প্রলেপ দেওয়া হয় যাতে সুবিধা পাওয়া যায়। তারা রাজনৈতকিভাবে সুবিধা নেবে এবং ঝামেলা হলেই আবার সংখ্যালঘু হিবেবে সুবিধা নেবে এটা তো হয়না।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩
আজব লিংকন বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সাথে তো পিনাকী ইলিয়াসের মতো ভন্ডরা যুক্ত হয়েছে।
ওরা ভণ্ড না ওরা কাউয়া চালাক। ওরা নিজ ফায়দার জন্য দেশে হিংসা ও সহিংসতা ছড়াচ্ছে।।
কথায় আছে, সেয়ান কাউয়া গু খায়।।
তবে ওরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার সঠিক কথা বলে কিন্তু দিন শেষে তাদের চরিত্রের কারণে তা ফিকে হয়ে যায়।।
ঢাকার কপালে শনি লেগেছে।।
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হিন্দু মুসলিম দের সসম্প্রীতি ধ্বংস করেছে মিডল ইস্টে যাওয়া বাংলাদেশের প্রবাসী এবং রাজনৈতিক ইসলামিক জোট। ছোট বেলায় আমার মা বুবু কে নিয়ে ইস্কুল থেকে আনার সময় আমাকে হিন্দু আন্টির বাসায় রেখে যেতেন। আন্টির ছেলের সাথে আমি খেলতাম। অনেক সময় তাদের বাসায় ভাত খেতাম। বুবুকে মা গান শেখানোর জন্য মাস্টার রেখেছিলেন তিনিও হিন্দু। আমার মা যখন ২/৩ বছর বয়স নানা বাড়িতে আগুন লেগেছিল তখন একজন হিন্দু প্রতিবেশী মা কে সেইভ করেন। ক্লাস ওয়ান /টু তে থাকার সময় আমার ৪/৫ জন হিন্দু বন্ধু ছিলো। সমস্যা শুরু হয় যখন আমি আরবী শেখা শুরু করি। হুজুর রাখা হয় আমার জন্য! হুজুর আমার বন্ধুদের পছন্দ করতেন না। তারা বিকালে খেলার জন্য ডাকতো! হুজুর আমার মাকে সরাসরি বলেছিল, আপনার ছেলে হিন্দুদের সাথে এত ঘুরে কেন? নানার মৃত্যুবার্ষিকী তে হুজুর ও কিছু এতিমদের খানার জন্য দাওয়াত করা হয়েছিল। আমার একজন বন্ধু ( মুন) আমার সাথে তখন আমাদের বাসায় পোকেমন কার্ড দিয়ে খেলছিলাম! আমার মা তাকেও খাবার খেয়ে যেতে বলে! দাওয়াত খেতে এসে হুজুর আমার হিন্দু বন্ধু কে দেখে অনেক রাগ হয়! মন্দিরে যেতাম পূজো দেখতে!
ঢাকায় আসার পর দেখি ঢাকার মানুষ শবে বরাত পছন্দ করে না, হিন্দুদের পছব্দ করে না, খালি মাদরাসা আর হুজুর!
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের ধর্মীয় বক্তারাই দেশের মানুষের মাঝে বিভক্তি বাড়াচ্ছেন।
মুসলমানেরা বিধর্মীদের বন্ধু হতে পারেনা সেটা তারাই সমাজে প্রচার করে যাচ্ছেন।
আমরা স্কুলে পড়ার সময়ে কে হিন্দু, মুসলমান, খৃস্টিয়ান, বৌদ্ধ দেখে বন্ধুত্ব করতাম না। আমাদের বাবা মায়েরাও কোন নিষেধ করতো না। তাতে কারুর ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলেনি।
কুরবানীর ঈদে মা আমার হিন্দু বন্ধুদের জন্য মুরগীর মাংস রান্না করতো। হিন্দু বন্ধুর দাদীর শ্রাদ্ধে আমরা সবাই মিলে অতিথীদের খাবার পরিবেশনা করেছিলাম। কিছু মানুষ প্রশ্ন করলে বন্ধুর কাকা তাদের মুখের উপরে জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন।
এখন বর্তমানে মানুষকে বিভক্ত করার জন্য ধর্মগুরুরাই দায়ী তাতে তাদের ব্যবসা ভালো হবে।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১১
অগ্নিবেশ বলেছেন: হিন্দুগুলোও বড্ড নাছোড়বান্দা, ইসলামের ছায়াতলে এলেই ত সমস্যা মিটে যায়। এরাই ত মুশরিক, ৯৯%মুসলমানের দেশে
মুর্তিপূজার মত শিরকি কাজ কারবার মুসলমানরা আর কত সহ্য করবে। মুমিনদের দিলে আর কত ব্যাথা দেবে? মুমিনগন এগিয়ে আসো এইসব হিন্দু মুশরিকদের দোজখের আগুন থেকে রক্ষা করো। পারলে বল প্রয়োগ করে হলেও এদের রক্ষা করো। আমিন, ছুম্মা আমিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০
কলাবাগান১ বলেছেন: মেইক সেন্স... তবে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাস্প ছড়ানোর জন্য বা বাহবা পাওয়ার জন্য প্রামানিক সাহেব রা হিন্দুদের কে শুধুই টাকা পাচারকারী হিসাবেই সাদা চোখে গন্য করেন। চিন্তার গভীরতা বলতে কিছুই নাই এসব সস্তা কবিতায়।