নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার আছে অনেক কিছু, শিক্ষা নিবে কতজন?

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition)

সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বৈরতান্ত্রিক পুঁজিবাদ ও মার্ক্সবাদী সমাজের প্রথম পর্যায়

০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১৯



মানুষের কাজ তার মধ্যে থাকা চিন্তার প্রতিফলন। আর, একটি কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আরেকটি কাজের সূচনা। কার্ল মার্ক্স জীবনে অর্থের গুরুত্ব বুঝতেন। জীবনে দারিদ্রতার কষাঘাতে বহু দিন কাটাতে হয়েছে। বন্ধু ফ্রেডেরিক এঙ্গেলসের কাছে একবার ঋণ চাইতে গিয়ে বলেছিলেন- ''এবার দিয়ে দাও। তোমার কাছে আর টাকা চাইতে আসার আগে যেন আমার হাতের বুড়ো আঙ্গুল কেটে ফেলি।''

জীবনে অর্থের প্রয়োজন, সেই উপলব্ধি থেকেই হয়তো মার্ক্স বলেছিলেন- 'সমগ্র সমাজ ব্যবস্থার চালিকা শক্তি হলো অর্থনীতি।' তিনি মনে করতেন- 'যাদের হাতে যত অর্থ সঞ্চিত হবে, তাঁরাই সমাজের সবচেয়ে ক্ষমতাবান, সমাজের প্রভু। তাই, রাজনীতি, বিজ্ঞান কলা, ধর্ম ইত্যাদি চর্চার আগে প্রয়োজন খাদ্য, পানীয়, আশ্রয়, পরিচ্ছদ।'

পূর্বের মতো এখনও আমাদের দেশের অনেকেই মনে করেন, পূঁজিবাদের মোকাবেলা একমাত্র মার্ক্সবাদ দিয়েই সম্ভব। অথচ, মার্ক্স-এঙ্গেলস রচিত কমিউনিস্ট ইশতেহার পড়লে মনে হয়- এ কি! এ যে পুঁজিবাদের অন্য রুপ! একটি পুঁজিবাদী সমাজে অসংখ্য পুঁজিপতির দেখা মেলে, অন্য দিকে মার্ক্সবাদী সমাজে এই অসংখ্য পুঁজিবাদীকে নির্মূল করে একটি পূঁজিপতি সরকার প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য।

লেনিনের 'রাষ্ট্র ও বিপ্লব' নামক রচনায় উল্লেখ আছে- কমিউনিস্ট সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম পর্যায় ন্যায় ও সমতা দিতে পারে না। সেখানে ধনের তফাত থাকতে পারে, সেটা অন্যায় হলেও! মার্কস লিখেছেন- ''...কমিউনিস্ট সমাজের প্রথম পর্যায়ে......অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও তন্নির্দিষ্ট সমাজের সাংস্কৃতিক বিকাশের চেয়ে অধিকার কখনো উঁচু হতে পারে না...।'' অর্থাৎ, ব্যক্তি অধিকার ক্ষুন্ন করে কমিউনের সমষ্টিগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এখানে।

উৎপন্ন পদার্থ ও শ্রম বন্টনের সমাজতান্ত্রিক নীতিতে বলা হয়েছে- 'যে কাজ করে না, তার খাওয়াও চলবে না।' 'সম পরিমাণ শ্রমের বদলে সমপরিমাণ উৎপন্ন'। এসব নীতিই এক বিশেষ অধিকার গোষ্ঠীর কথা মনে করিয়ে দেয়। আর, লেনিনও স্বীকার করেছেন যে- কমিউনিস্ট সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপে, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পুরোপুরি পুঁজিবাদের ঐতিহ্য বা চিহ্ন থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।

এ থেকে বুঝা যায়, কমিউনিজমে, সেটা কিছু সময়ের জন্যে হলেও, পুঁজিবাদীদের অধিকার রক্ষা করা হয়!










মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কিছু একটা হয়েছে। ইদানিং আপনার লজিক এলোমেলো লাগে।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার কি করোনা হয়েছিলো সম্প্রতি?

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:




কম্যুনিষ্ট পার্টির ইশতেহার 'অর্থনীতির বই' নয়; অর্থনীতির বই হচ্ছে "ডাস ক্যাপিটাল"।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:২৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মার্কসবাদের এমন সুন্দর ব্যাখ্যা পৃথীবিতে আগে কেউ করে নাই।মার্কস বেছে থাকলে এই ব্যাখ্যা পড়ে হাঁসতো।

মার্কসবাদের সারকথা হলো, বাস্তব অবস্থার বাস্তব ব্যাখ্যাই হল মার্কসবাদ।

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫০

স্থিতধী বলেছেন: কার্ল মার্ক্স জন্মসুত্রে অর্থনৈতিক ভাবে দরিদ্র ছিলেন না। তাঁকে দারিদ্রতা দেখতে হয় তাঁর এক্টিভিজমের ফল স্বরূপ ।

সম্পদের উদ্বৃত্ত তত্ব (Surplus Value), মানব ইতিহাসের বিভিন্ন শ্রেণী স্বার্থ ও শ্রেনী সংঘাত ও এর দ্বারা সমাজের পরিবর্তন তথা ‘দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ’ এই বিষয়গুলো না পাঠ করে মার্ক্স – এঙ্গেলসের কাজ বা তত্বের সারবত্তা কিছুই বোঝা যাবেনা । মোটাদাগে ধনিক শিল্পপতি শ্রেনীকে বুর্জুয়া, মধ্যবিত্ত শিক্ষিত চাকুরীজীবী দালাল শ্রেণীকে পেটি বুর্জুয়া আর দরিদ্র শ্রমজীবি মজদুর শ্রেণীকে প্রলেতারিয়েত আখ্যা দিয়ে এই শ্রেনী বিন্যাস ও তাঁর সঙ্ঘাতের বিশ্লেষণ আলাপ চালানো হয় । এগুলো হচ্ছে একেবারে বেসিক মার্ক্সবাদী আলাপ । কালেমা না পড়ে যেমন মুসলিম হওয়া যায়না, এসব না জেনে মার্ক্স বোঝা যায়না।

মার্ক্স মূলত দার্শনিক ও ইতিহাসবেত্তা ছিলেন ; ওনার গাণিতিক বুনিয়াদ মজবুত না থাকার কারনে আধুনিক অর্থনীতিতে ওনাকে কার্যত পলিটিকাল ইকনমিস্ট হিসেবে ধরা হয় এবং খুব নির্দিষ্টভাবে মার্ক্স পড়ানো হয় “ নরম্যাটিভ ইকনমিক্স” শাখায় যেটা হচ্ছে মূলত নৈতিকতা ভিত্তিক অর্থনীতি যাতে গণিতের অবদান নগণ্য। সলিড কিছু গাণিতিক মডেল ছাড়া যে ওনার অর্থনৈতিক তত্ব প্রায়োগিক ভিত্তি পাবেনা সে বিষয়ে তিনি সচেতন ছিলেন বলেই বীজ গণিত, ক্যালকুলাস শিখে নিয়ে কিছু কিছু গাণিতিক মডেল দাড়া করানোর চেষ্টা তিনি করেছিলেন বটে তবে সেগুলো যথেষ্ট ছিলোনা । কম্পিউটারের জনক বলে পরিচিত পলিম্যাথ চার্লস ব্যাবেজের তৎকালীন সময়ে বেশ কিছু ফ্যাক্টরির উপর চালানো কিছু গাণিতিক গবেষণা কাজের উপর মার্ক্সের ব্যাপক আগ্রহ ছিলো এবং তিনি সেসব ফাইন্ডিংস তাঁর নিজের গবেষণার কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন ।

শক্ত প্রায়োগিক গাণিতিক ভিত্তি না থাকার কারনে মার্ক্স -এঙ্গেলস এর কাজগুলোকে কে নিজেদের মত করে বুঝে নিয়ে সেটা “মার্ক্সবাদ” বানিয়ে লেনিন সোভিয়েতে আর মাও চীনে (মাওবাদী) কম্যুনিজমের যাত্রা শুরু করে । এসব ক্ষেত্রে যা হয় আরকি; পরে আবার “মার্ক্সবাদ” হয়ে গেলো “ মার্ক্স – লেনিনবাদ” ও “ ট্রটস্কিবাদ” এবং আরো পরে সেটা রাশিয়াতে হয়ে গেলো “স্টালিনবাদ” ( যেটাকে আপনি রাষ্ট্রীয়/ স্বৈরতান্ত্রিক পুঁজিবাদ বলছেন) । এই বৈশিষ্ট্য ইসলামেও দেখা গিয়েছে , নবির ওফাতের পর উমাইয়া মুয়াবিয়া বংশধারার সুন্নী ইসলামি পুজিবাদী অর্থনীতি এবং আদি সাহাবী শিয়া ধারার ইমাম আবু যর গিফারী (রাঃ) এর সমাজতান্ত্রিক ধারার ইসলাম ধর্ম ও অর্থনীতির সংঘাত ও আরো পরে ইসলামের আরো বিচিত্র বহুধা শাখা-প্রশাখার বিস্তার লাভ।

আধুনিক বিশ্বে মার্ক্সের প্রধানতম পরোক্ষ অবদান হিসেবে ধরা হয় ‘ওয়েলফেয়ার ইকনমিক্স’ বা কল্যান মূলক অর্থনীতির ধারনাটিকে। কারন মার্ক্স – এঙ্গেলস যদি পশ্চিমা সমাজ ও অর্থনীতি কে তাঁদের কম্যুনিজমের ধারণা দিয়ে একটা ধাক্কা না দিতে পারতেন তাহলে পশ্চিমা নীতি নির্ধারকরা আদৌ প্রচলিত পুঁজিবাদী প্রবৃদ্ধি ভিত্তিক অর্থনীতির বাইরে গিয়ে কোন সমাজকল্যাণ মূলক অর্থনীতির প্রচলন প্রতিষ্ঠা করতে চাইতেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.