![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।
অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলার জন্যে দায়ী করেছেন বিদেশী কয়েকটি দেশকে। কিন্তু, ইতিহাস বলে, কোন সাদা চামড়ার মানুষ তো বঙ্গবন্ধুকে মারেননি। মেরেছে তো ঐ বাদামী চামড়ার আদমিগুলোই। আর, ইতিহাস বলে- খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষি, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, এবং এ,বি,এস সফদর-সহ আরো কয়েকজন ছিলো সেই বাদামী চামড়ার আদমিদের মাঝে অন্যতম। এরাই মেজর ডালিম, ফারুক-সহ কিছু সামরিক অফিসারকে উত্তেজিত করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
ব্লগে কয়েকজন ব্লগার বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করছেন। সমালোচনা হতেই পারে। যে কোন রাষ্ট্রপ্রধানের মতো বঙ্গবন্ধুও ভুলের উর্ধে ছিলেন না। কিন্তু, সেই ভুল কি এতোটাই ছিলো যার কারণে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হতে হয়েছিলো? ব্লগারদের কাছে প্রশ্ন থাকলো। যাহোক, আমার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর- বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলার কোন দরকার ছিলো না। অন্ততঃ এমনটাই মনে করতেন বঙ্গবন্ধুর জামাতা ডঃ ওয়াজেদ মিয়া। তাঁর স্মৃতিচারণমূলক বই থেকে ৩-টি ঘটনা উল্লেখ করছি-
ঘটনাঃ ০১
তারিখঃ ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসের কোন এক সন্ধ্যা
ঘটনার সারসংক্ষেপঃ মরহুম ওয়াজেদ মিয়াকে খন্দকার মোস্তাক তার আগামসী লেনের বাসায় ডেকে পাঠান। ওয়াজেদ মিয়া গিয়ে দেখতে পান যে, মোস্তাক প্রতিমন্ত্রী তাহেরুদ্দিন ঠাকুরের সাথে মিটিং করছেন। সেই দিন ওয়াজেদ মিয়াকে প্রায় ৪৫ মনিট বসে থাকতে হয়েছিলো খন্দকার মোস্তাকের দেখা পেতে।
প্রশ্নঃ কি এমন জরুরী আলাপ ছিলো খন্দকার মোস্তাক আর তাহের উদ্দিন ঠাকুরের মধ্যে? এই থেকে প্রমাণ হয় না যে, এই দুজনের মাঝে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো? ওয়াজেদ মিয়াকে ডেকে নিয়ে এভাবে অপেক্ষা করিয়ে অপমান করার মানে কি?
============================================================
ঘটনাঃ ০২
তারিখঃ ১ম সপ্তাহ, জানুয়ারি, ১৯৭৫
ঘটনার সারসংক্ষেপঃ খন্দকার মোস্তাকের ডাকে আবারো তার বাড়িতে যান ওয়াজেদ মিয়া। তিনি মোস্তাকের বাড়ির ছাদের লবিতে যাওয়ার সময়ে মেজর রশিদের দেখা পান। এরপরে, সেখানে আসেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াঁর বড় ছেলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। সেখানে মইনুল হোসেন কতিপয় আওয়ামী লিগ নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। তখন খন্দকার মোস্তাক তাঁকে থামিয়ে দিয়ে পরের দিন আসতে বলেন।
প্রশ্নঃ এখানে আপনারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেখা পাচ্ছেন কি, সুপ্রিয় ব্লগারগণ?
============================================================
ঘটনাঃ ০৩
তারিখঃ বিকেল ৫টার পরে, ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭৫
ঘটনার সারসংক্ষেপঃ বঙ্গবন্ধু তখন বাকশাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর বাসায় ওয়াজেদ মিয়া পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর লোকজনকে প্রহরারত অবস্থায় দেখতে পান। গেটে দেখা হয় খন্দকার মোস্তাকের সাথে। মোস্তাক খুব উত্তেজিত হয়ে ওয়াজেদ মিয়াকে বলেন- "আগামীকাল তোমার শ্বশুর সংবিধানের যে পরিবর্তন ঘটাতে যাচ্ছেন, তা করা হলে সেটা শুধু একটি মারাত্মক ভুলই হবে না, এর ফলে দেশে এবং বিদেশে তাঁর ভাবমূর্তিও অপূরণীয় ক্ষতগ্রস্থ হবে। অতএব, এখুনি বাড়ির তেতলার বৈঠকখানায় গিয়ে তোমার শ্বশুরকে সঠিক ভাবে অনুধাবন করানোর চেষ্টা করো। আমি আমার শেষ চেষ্টা করে বিফল মনোরথে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বাসায় ফিরে যাচ্ছি।"
প্রশ্নঃ তাহলে, খন্দকার বাকশালের বিরোধী ছিলেন? যদি তা-ই হয়ে থাকেন, তাহলে আরো আগে বঙ্গবন্ধুকে মানা করলেন না কেন? ঘোষণার আগের রাতেই কেন বঙ্গবন্ধুর সাথে কথা কাটাকাটি করলেন? বঙ্গবন্ধু তো অনেক আগেই বাকশালের রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন। আরো প্রশ্ন, বিদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে তা কিভাবে জানলেন খন্দকার মোস্তাক?
============================================================
আশা করি, যারা বঙ্গবন্ধুকে গালিগালাজ করছেন, তাঁরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন।
১০ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:২১
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
দেখুন, আর সবার মতো বোকামি করবেন না।
চিহ্নিত শত্রুকে চিনতে শিখুন।
কেউ বলে আমেরিকা, আবার কেউবা বলে ভারত আবার কেউবা চীনকে দোষারোপ করে শেখ সাহেব হত্যাকাণ্ডে।
কিন্তু, কে আসলে পিছনে আছে কেউই কোন প্রমাণ দিতে পারেন নাই এখন পর্যন্ত। সবই ধুয়াশা কথাবার্তা।
অথচ, হাতের কাছের শত্রুরা এই ফাঁকে নাকের ডগা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এই শত্রুরাই হচ্ছে খন্দকার মোস্তাক গং।
২| ১০ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: আপনার এই লেখা পড়ে তো খন্দকার মোশতাক সম্পর্কে আমার পূর্বের ধারণা পালটে যাচ্ছে। আপনার লেখার কাহিনী যদি সত্য হয়, তাহলে বলতে হয়, বঙ্গবন্ধুর তিনি একজন শুভাকাংখী ছিলেন এবং তার জীবন বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। প্রয়োজনে ডঃ ওয়াজেদ মিয়াকে ডেকে নিয়েও আকারে ইঙ্গিতে সেকথা বুঝিয়েছেন যে বঙ্গবন্ধুর জীবন হুমকির মুখে।
যতই শুভাকাংখী হোন, তখনকার যুগে আমেরিকা এত ভয়ংকর ক্ষমতাবান, যে এর ইচ্ছের বিপরীতে যাওয়ার মত ক্ষমতা মোশতাকের মত চুনোপুটির ছিলনা।
৩| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: বন্ধু বন্ধুকে হত্যার পেছনে অনেকের হাত ছিলো।
সিআইএ এর কথা বা দিলাম।
আমাদের দেশের অনেকেই জানতেন। যেমন ধরুন, খন্দকার মোশতাক, মেজর জিয়া ছাড়াও সেই সময়ে সেনাবাহীনিতে কর্মরত অনেক অফিসাররা জানতেন।
বঙ্গবন্ধু কে হত্যার মধ্যে দিয়ে পুরো জাতির কপাল পুড়লো।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:৪৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমেরিকা আর তার মিত্রদের মদদ ছাড়া এত বড় ঘটনা ঘটানো সম্ভব ছিল না। মুশতাকরা তো ছিল কেবল দায়িত্বপালনকারী। শেখ যে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেবেন; এর ধাক্কা সামাল দিতে পারবেন কি না আগেই বোঝা উচিত ছিল।