নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী জন্ম চট্টগ্রামে। জীবিকার প্রয়োজনে একসময় প্রবাসী ছিলাম।প্রবাসের সেই কঠিন সময়ে লেখেলেখির হাতেখড়ি। গল্প, কবিতা, সাহিত্যের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলা পত্রিকায়ও নিয়মিত কলামও লিখেছি। shakawatarticle.blogspot.com/

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী.

আমি খুবই সাদামাটা একজন মানুষ। শখের বশে লেখালেখি শুরু করেছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু লেখার। পছন্দ করি বই পড়তে।

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাওহীদ কী? (বিস্তারিত)

১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:১০




আল্লাহ্ জ্বীন এবং ইনসান (মানুষ) সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার ইবাদতের জন্য। [ সুরা যারিয়া’ত ৫১:৫৬ ] " ইবাদত করতে হলে অবশ্যই আল্লাহকে চিনতে হবে জানতে হবে। আর "তাওহীদ " হচ্ছে আল্লাহ্‌র একমাত্র পরিচয়। যার তাওহীদ সম্পর্কে ধারণা নেই তার কাছে আল্লাহ্ সম্পর্কে প্রকৃত এবং সঠিক জ্ঞান নেই।

তাওহীদ অর্থ কী?
তাওহীদ শব্দের সোজা অর্থ হলো এক, একক, অদ্বিতীয়, একত্ব। ইসলামী পরিভাষায় তাওহীদ শব্দটি যখন আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হয় তখন এর অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহ্ এক, একক এবং অদ্বিতীয় তথা তাঁর মতো দ্বিতীয় কোনো ইলাহ বা উপাস্য নেই।

সুতরাং "তাওহীদ " হলো আল্লাহর একত্ব তথা একত্ববাদ। । তিনি ছাড়া এই বিশ্ব জগতে অন্য কোনো দ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তা, আইনপ্রণেতা, উপাস্য বা কতৃত্ববাদী কেউ নেই। তিনি ই সর্বেসর্বা একক রব।

অর্থাৎ আল্লাহ্‌র "তাওহীদ " হলো তাঁর বান্দারা এই কথার স্বীকৃতি দিবে যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোনো পালনকর্তা, সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা, উদ্ধারকর্তা, আইনপ্রণেতা, সর্বোচ্চ কতৃত্ব, ইলাহ ইত্যাদি নেই।

তাওহীদের শ্রেণীবিভাগঃ
তাওহীদের তিনটি ভাগ রয়েছে। অর্থাৎ তিনটি বিষয়ের সমষ্টি তাওহীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এই তিনটি বিষয় পুরোপুরি মেনে স্বীকৃতি দেওয়ার নামই হলো "তাওহীদ "।

এই তিনটি ভাগ হলোঃ

১ .তাওহীদুল রুবূবীয়্যাহ

২. তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ

৩. তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত


তাওহীদুল রুবূবীয়্যাহঃ
তাওহীদুল রুবূবীয়্যাহ হলো, আল্লাহ্ ই আমাদের একমাত্র রব। অর্থাৎ সৃষ্টি, রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও পরিচালনা এবং একমাত্র আইনপ্রণেতা আল্লাহকে এক, একক এবং অদ্বিতীয় হিসাবে বিশ্বাস করার নাম তাওহীদে রুবূবীয়্যাহ।

অতএব তিনি আমাদের পালনকর্তা তথা একমাত্র তাঁর প্রনীত সকল আইনকানুনই পালন করতে হবে মানতে হবে। তিনিই আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং রব। তার একক কতৃত্বকে মানার নামই হচ্ছে তাওহীদে রুবূবীয়্যাহ। এটি তিনটি ভাগে বিভক্ত।

ক) সৃষ্টিতে আল্লাহর একত্বঃ
আল্লাহ একাই সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা। তিনি ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

“আল্লাহ ছাড়া কোনো স্রষ্টা আছে কী? যে তোমাদেরকে আকাশ ও জমিন হতে জীবিকা প্রদান করে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ৩]


অর্থাৎ জীবন্ত সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা শুধুমাত্র আল্লাহ্। অন্য আয়াতে বলেন,

" আল্লাহ সৃষ্টিকর্তাদের মধ্যে উত্তম সৃষ্টিকর্তা।” [সূরা আল-মুমিনূন আয়াত: ১৪]

অর্থাৎ পৃথিবীর মানুষও কিছু না কিছু সৃষ্টি করেন। তবে তারা যা সৃষ্টি করে তার থেকে সর্বোত্তম সৃষ্টিকারী হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ্। সুতরাং আল্লাহ্ যা সৃষ্টি করেছেন তাঁর অনুরূপ সৃষ্টি কখনোই মানুষ বা অন্য কোনো কথিত বাতিল ইলাহ সৃষ্টি করতে পারে না।

আল্লাহ্ যা যে রূপ সৃষ্টি করেছেন এবং করতে পারেন, ঠিক একইরকম অন্য কেউ সৃষ্টি করে পারে এমন ধারণা কেউ যদি পোষণ করে তাহলে সে সাথে কাফির মুশরিকেমুশরিকে পরিনত হবে। এটাই হলো আল্লাহর সৃষ্টিতে একত্ব।

খ) রাজত্বে আল্লাহর একত্বঃ
আল্লাহ্ হচ্ছেন সকল রাজত্বের মালিক। তাঁর হাতেই পুরো সৃষ্টি জগতের রাজত্ব। আল্লাহ্ বলেন,

“ ( আল্লাহ্) সেই মহান সত্বা অতীব বরকতময়, যার হাতে রয়েছে সকল রাজত্ব। আর তিনি প্রতিটি বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।” [সূরা আল-মুলক, আয়াত: ১]

আল্লাহ আরো বলেন,

“হে নবী! আপনি জিজ্ঞাসা করুন, সব কিছুর ক

র্তৃত্ব কার হাতে? যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যার ওপর কোনো আশ্রয় দাতা নেই।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৮৮]

অর্থাৎ সর্বময় রাজত্ব হচ্ছে আল্লাহর। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন ভাগের বিভিন্ন রাজা বাদশার রাজত্ব রয়েছে। তাও আল্লাহর অধীনস্থ। আল্লাহ্ সমগ্র জগতের সকল রাজা বাদশার রাজত্বের উপর কতৃত্ববাদী।

অন্যের জন্য বরাদ্দকৃত সীমিত রাজত্বের ব্যাপারে আল্লাহ্ বলেন,

“অথবা তোমরা যার চাবি-কাঠির (নিয়ন্ত্রনের) মালিক হয়েছো।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৬১


আল্লাহ ছাড়াও পৃথিবীতে অন্যদেরও রাজত্ব রয়েছে। তবে এ রাজত্ব আল্লাহর রাজত্বের মতো নয়। সেটা অসম্পূর্ণ রাজত্ব। তা ব্যাপক রাজত্ব নয়; বরং তা একটা নির্দিষ্ট সীমারেখার ভেতরে।


গ) পরিচালনায় আল্লাহর একত্বঃ

আল্লাহ্ ব্যতীত সমগ্র জগতের আর কোনো দ্বিতীয় পরিচালক নেই। একমাত্র আল্লাহ্ই পরিচালনা করেন সমগ্র বিশ্ব জগত। তাঁর আদেশ নির্দেশ এবং আইনেই চলছে, চলবে এবং চলতে হবে পুরো বিশ্ব জাহান। আল্লাহ্ বলেন,

" সাবধান! সৃষ্টি তাঁরই, এর উপর প্রভুত্ব চালাবার-একে শাসন করার অধিকারও একমাত্র তাঁরই। " [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪]

অর্থাৎ, সমগ্র বিশ্ব জাহানের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন আল্লাহ্। আর এই বিশ্ব চলবেও একমাত্র আল্লাহর বিধানে তথা আইনে।

বিশ্বে অসংখ্য দেশে তাদের দেশ পরিচালনার জন্য অসংখ্য আইন রয়েছে। আর আল্লাহর তাওহীদ হলো সমগ্র বিশ্ব শুধুমাত্র এবং একমাত্র আল্লাহর কিতাবের আইনে বিচার, ফয়সালা, দেশ পরিচালনা ইত্যাদি চলবে।

আল্লাহ্ বলেন,

" নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যা আল্লাহ আপনাকে হৃদয়ঙ্গম করান। আপনি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ থেকে বিতর্ককারী হবেন না। " (সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ১০৫)

অতএব, সৃষ্টি যার পরিচালনার আইন, বিচার, বিধি বিধান ও ক্ষমতাও তাঁর। এখন কেউ যদি আল্লাহর আইনের পরিবর্তে নিজেরাই আইন তৈরি করে বা অন্য কোনো উৎস থেকে আইন তালাশ করে তাহলে তা হবে সুস্পষ্ট শিরক

তাওহীদুল উলুহিয়্যাহঃ
আল্লাহ্ তাঁর বান্দা থেকে ইবাদত পাওয়ার একক এবং একমাত্র মালিক। মানুষ আল্লাহর জন্য যে ইবাদত করে সেই একই ইবাদত যদি অন্য কারো জন্য করা যাবে না। অথবা আল্লাহর ই ইবাদত আল্লাহর ভয় বা আশা নিয়ে না করে অন্য কারো ভয়ে বা লৌকিক ভাবে অন্য কাউকে দেখানোর জন্য করা হয় তাহলে তা তাওহীদুল উলুহিয়্যাহর শর্ত ভঙ্গ করবে।

অর্থাৎ আল্লাহকে বিশ্বাস করে আল্লাহর জন্য ইবাদত না করে অন্য কারো মন জয়ের জন্য করা হলে তা হবে সুস্পষ্ট শিরক। অতএব, তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ হলো শুধুমাত্র এবং একমাত্র আল্লাহ্ ই হলো ইবাদতের যোগ্য। তিনি ছাড়া আর কারো ভয়ে, আর কাউকে দেখানোর জন্য বা আর কারো কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশায় অন্য কারো জন্য ইবাদত করা যাবে না।

আরবের মক্কার মুশরিকরা আল্লাহ্ কে স্বীকার করতো এবং মানতো। কিন্তু তাঁরা আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি অন্যান্য দেব দেবী এবং আল্লাহর পূর্ববর্তী যুগের অলি আউলিয়ার মূর্তিরও ইবাদত করতো।শুধুমাত্র শির্কের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই মক্কার মুশরিকরা রাসুল সাঃকে মেনে নিতে পারেনি এবং ঈমান আনেনি।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ বলেন,
" নিশ্চয় যে ব্যক্তি শির্কে লিপ্ত হবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। তার ঠিকানা জাহান্নাম। আর যালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।" [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭২]

যুগে নবী রাসুলগণ এই তাওহীদুল উলুহিয়্যাহর দাওআতই সাধারণ মানুষকে দিয়ে এসেছিলেন। যারা আল্লাহ্ কে স্বীকারের পাশাপাশি অন্যান্য উপাস্যও তৈরি করেছিল। সুতরাং আল্লাহর জন্য নির্ধারিত অনির্ধারিত যেকোনো ইবাদতে অন্য কাউকে শরীক করা যাবে না।

উদাহরণঃ
সালাত, সিয়াম, হজ্জ্ব, যাকাত, কুরবানি ইত্যাদি আনুষ্ঠানিক ইবাদত সমূহ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহর জন্য। অর্থাৎ আল্লাহর ভয় (জাহান্নাম) এবং আশা (জান্নাত) সহকারে তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এইসব ইবাদত করা।

কোনো ঈমানদার এইসব ইবাদত লোক দেখানোর জন্য অর্থাৎ সালাত, সিয়াম আদায় করছি লোকে পরহেজগার বলবে, হজ্জ্ব করছি লোকে হাজী বলবে, যাকাত, কুরবানি দিচ্ছি লোকে বড় দানবীর বলবে এই উদ্দেশ্যে করে ; তাহলে তা হবে ইবাদতের শিরক

সেইসাথে কোনো ঈমানদার যদি আল্লাহর কোনো বান্দাকে (জীবিত বা মৃত) খুশি বা সন্তুষ্ট করার জন্য মাজারে দান, সদকা, মানত, কুরবানী ইত্যাদি করে, তবে তা হবে তাওহীদুল উলুহিয়্যাহর বিরোধী তথা শির্ক।

আল্লাহ্ বলেন,

" (হে রাসুল) আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে। "(সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ১৬২)

তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাতঃ
সিফাত হলো গুণ। আসমা হলো নাম। আসমা ওয়াস সিফাত হলো, আল্লাহর গুণাবলী সম্বলিত নাম। সুতরাং তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাতের অর্থ হলো, আল্লাহ নিজেকে যেসব গুণাবলী সম্বলিত নামে নামকরণ করেছেন সেইসব নামে এবং গুণে তিনি একক এবং অদ্বিতীয় কতৃত্ববাদী। অর্থাৎ তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই এবং হতে পারে না।

শুধু তাইনয়, তিনি নিজেকে যেভাবে যে গুণে সাব্যস্ত করেছেন তার পরিবর্তন পরিবর্ধনও করা যাবে না। সেইসাথে তিনি যেসব গুণে গুণান্বিত সেইসব গুণ অন্য কারো আছে এমন ধারণা ও বিশ্বাস করা যাবে না। যদি এরূপ প্রমাণিত হয় তবে, তা হবে সুস্পষ্ট শির্ক।

এছাড়াও আল্লাহ্ নিজের যেসব বাহিয্যক গুণাবলী প্রকাশ করেছেন তাঁর স্বরুপ অনুসন্ধান করা, সাদৃশ্য করা ধারণা করা ইত্যাদি চিন্তা করা যাবে না। যেমনঃ শরীর সম্পর্কিত কিছু গুণের কথা পবিত্র কুরআনে এসেছে। আল্লাহ্ বলেন,

" ইয়াহূদীরা বলে, আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে, বরং তাদের হাতই বন্ধ। তাদের উক্তির দরুন তারা আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত হয়েছে, বরং আল্লাহর উভয় হাত সদা উম্মুক্ত, যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৬৪]


এখানে আল্লাহ তা‘আলা নিজের জন্য দু’টি হাত সাব্যস্ত করেছেন। যা দানের জন্য সদা প্রসারিত। সুতরাং আল্লাহর দু’টি হাত আছে এর ওপর ঈমান আনতে হবে। কিন্তু আমাদের উচিৎ হবেনা তাঁর কী রকম তা অনুসন্ধান করা। আল্লাহ্ বলেন,

“কোনো কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]

অর্থাৎ আল্লাহর সাদৃ‌শ্যের মতো কিছুই নেই।

আল্লাহ আরো বলেন,

“তোমরা আল্লাহর জন্য দৃষ্টান্ত পেশ করো না”। [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৭৪]-

কেননা আল্লাহ্ বলেন,

“যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়ো না, নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু, অন্তর ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৩৬]

উপরোক্ত বিষয় গুলো থেকে এটা স্পষ্ট যে, আল্লাহর কোনো গুণে কাউকে ধারণা করা যাবে না। যেমনঃ সন্তান দেওয়ার মালিক (আশ শুরা :৪৯-৫০) রিজিক দেওয়ার মালিক (তালাক :২-৩,সাবা: ৩৯), বিপদে উদ্ধারকারী (আন আম :৬৩), কারো ভালো করার মালিক (তাওবা : ৫০- ৫১) ইত্যাদি সবই হচ্ছে আল্লাহর একমাত্র একক গুণ।

এখন কেউ যদি এইসব গুণ আল্লাহর কোনো বান্দার আছে বলে বিশ্বাস বা ধারণা করলে তা আল্লাহর তাওহীদুল আসমা ও সিফাত বিরোধী হবে। এবং কেউ এমন করলে তা সরাসরি শির্ক হবে।


উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা তাওহীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। আমাদের উচিত হবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তাওহীদের নির্ধারিত সীমা মেনে চলা। অধিকাংশ মুসলমানই ঈমান আনে কিন্তু শির্ক যুক্ত অবস্থায়। তাওহীদ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে অধিকাংশ মানুষই জেনে না জেনে শির্কে লিপ্ত হচ্ছে। তাই আমাদের উচিত হবে তাওহীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করা। যাতেকরে আল্লাহ্কে সঠিকভাবে চেনা এবং জানা যায়।



সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।




মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি পাপিষ্ট। সবই করি। শুধু ইবাদত টা করি না।

২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: শ্রদ্ধাভাজন


বলতে পারবেন কি, একজন ক্ষমতাশালী মানুষ কেন পাপ করবে না?

২| ২১ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাওহিদে বিশ্বাস না থাকা মানে সে হয় নাস্তিক অথবা সে শিরক করছে। আল্লাহতায়ালা শিরক ছাড়া অন্য যে কোন গুনাহ নিজের ইচ্ছাতে মাফ করে দিতে পারেন। কিন্তু তওবাহ না করলে শিরকের গুনাহ আল্লাহ মাফ করেন না। পরকালেও শিরকের গুনাহ মাফ হবে না। যদিও অন্য গুনাহ আল্লাহ মাফ করলেও করতে পারেন। তাই তাওহিদে বিশ্বাস খুব জরুরী।

আপনার বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট ভালো লেগেছে।

২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। লেখাটা মন দিয়ে পড়ার জন্য।


আপনার অনুপ্রেরণামুলক মন্তব্য নিজেকে সমৃদ্ধ করতে উৎসাহিত করবে।


জাযাকাল্লাহ খাইরান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.