জিয়া বনাম শেখ মুজিব ও সুবিধাভোগীগন

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

৭ ই মার্চের ভাষণের পূর্বে শেখ মুজিব সাহেব সব সময় আলোচনার কথা বলেছেন, ৬ দফার কথা বলেছেন । স্বাধীনতার কথা একবারের জন্যও বলেননি । এমন কি ভাষণ শেষে তিনি পাকিস্তান জিন্দাবাদও বলেছেন ।

এ দেশে স্বাধীনতা এসেছে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের দাবীর কল্যাণে । জাতীয় চার নেতার বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কল্যাণে । জিয়া কিংবা মুজিব মুক্তিযুদ্ধে কারো অবদান কম নয় । কিন্তু দু:খের বিষয় কিছু সংখ্যক দলীয় চামচা এবং পাতি নেতাদের চাটুকারিতা ও নিজ দেলের নেতা ও নেতৃত্বকে বড় করে দেখাবার পরিণতিতে অন্য দলের নেতা বা নেতৃত্বের অবদানকে ছোট করে দেখাবার প্রয়াস থেকে গোটা মুক্তিযুদ্ধকে আজ ছোট করে দেখানো হচ্ছে । একবার চিন্তা করে দেখুন আমি যদি গালি দেই অন্যরাও প্রতি উত্তরে গালি ফেরত দিতে পারে । ব্যক্তি স্বার্থের খাতিরে যারা রাজনীতি, কলমনীতি করেন তারাই বঙ্গবন্ধু এবং জিয়াকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলছেন । ব্যক্তি স্বার্থের কারণে ক্ষতি যা হবার তা হচ্ছে মুজিব এবং জিয়ার এবং বাংলাদেশের ।



স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর, আজ কাদের সিদ্দিকিকে রাজাকার বলে গালি শুনতে হয় কাদের কল্যাণে ? কয়েক বছর আগেও জামাতের যুদ্ধাপরাধী নেতারা গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে । অহংন্কার করে বলেছে , দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই । সবই হয়েছে কিছু মানুষের স্বার্থের নেশায় মেতে উঠার কল্যাণে । ক্ষমতা এমন এক জিনিষ যা শুধু পেতে মন চায় ত্যাগ করতে মন চায় না । কিন্তু চিরদিন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা যায় না । আপনা থেকে মুঠো গলিয়ে বের হয়ে যায় । শেখ মুজিবও এর ব্যক্তিক্রম ছিলেন না ক্ষমতায় বসে প্রকৃত বন্ধুদের দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন । ক্ষমা করে দিয়েছিলেন রাজাকারদের । আর পক্ষান্তরে জিয়া নিজের ক্ষমতা দখলকে জায়েজ করার জন্য সেই ক্ষমতাপ্রাপ্ত জামাতকে রাজনীতি করার অধিকার দিয়ে দিয়েছিলেন । ক্ষতি যা হবার তা হয়েছে বাংলাদেশের ।

দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ ও অবহেলিত এর কারণ রাজনীতি মেরুকরণের নামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত-করণ । এ অবস্থা থেকে মুক্তি নেই বলেই মনে হচ্ছে । নিজে ঘরের খবর রাখে না অথচ এক একজন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের চেয়ারে বসে আছেন । যে যার মতো রাজনৈতিক বিবৃতি দিচ্ছেন, টক শো, বক শো করছেন । সবই হচ্ছে স্বার্থের খেলায় । ক্ষতি যা হবার হচ্ছে বাংলাদেশের ।

২ টি +০/-০