নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও সুন্দরের সন্ধানে

হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়।

শরিফ নজমুল

চাইনা আর কোন মায়ের বুক খালি হোক এই নষ্ট রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার সিড়ি হবার জন্য।

শরিফ নজমুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়ারটেকার সরকার ব্যাবস্থা বাতিলই বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুল, যুদ্ধাপরাধের বিচার নয়

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

দশম সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে রাজনৈতিক অচলাবস্থা। চারদিকে অস্থিরতা, মরছে মানুষ, ধবংস হচ্ছে অর্থনীতি। এর দায় কে নিবে?একদল সুযোগ পেলেই একদল আরেক দলের উপর চাপিয়ে দেয় এর দায়। যে মানুষ টি মারা যাচ্ছে তার কাছে এই প্রশ্নের কোন মুল্য নাই। যে লোকটি মারা যাচ্ছে এবং পিছনে যে শোকাহত ও অসহায় পরিবার রেখ যাচ্ছে তার এই ক্ষতি কেউই কোনভাবেই পুশিয়ে দিতে পারবে না।

স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর চারটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার তার মেয়াদ শেষ করল (বর্তমান টি সহ)। এই সরকারগুলো ছিল সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য কারণ নির্বাচন ছিল তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন। বাংলাদেশের এই হাটি হাটি পা পা গণতন্ত্রের মায়ের মর্যাদা দেয়া যায় এই তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কে। অথচ গণতন্তরের দোহাই দিয়েই গলা টিপে মেরে হয়েছে এই কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা।

বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ এর বিচার। স্বভাবতই বিরোধী জোটের গুরুত্বপুর্ন শরীক জামাত এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে। এই বিচারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম কর্মসূচী পালন করেছে, অনেক কর্মসূচী থেকে সন্ত্রাস-নাশকতার মত ঘটনাও ঘটেছে! যদিও প্রধান বিরোধী দল এই বিচারের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেনি।

কিছু জ্ঞানপাপী আছেন যারা প্রচার করছেন যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধা দেবার জন্যই যে আজকের অচলাবস্থার তৈরী করা হচ্ছে। কিন্তু সেটা কি সত্যি? প্রধান বিরোধী দল কি কখনো বলেছে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করলে তারা নির্বাচনে আসবে?

বরং যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠিক মত এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল। একটি বিতর্কবিহীন নির্বাচনে বর্তমান সরকার পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসলে তারা জোর গলায় বলতে পারত এই বিচারের তারা জনগনের ম্যান্ডেট রিনিউ করেছে। পক্ষান্তএর কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা থাকলে বিএনপি র নির্বাচন বর্জন হালে পানি পেত না। বরং নির্বাচনের আগেই যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হতো, অফিসিয়ালী।জনগন তাদের ম্যনাডেট দেবার সুযোগ পেত। দেশী-বিদেশী সমালোচনাও বন্ধ হত কিম্বা সমালোচনা হলেও তার গ্রহনযোগ্যতা কমে যেত!

আজকের এই অচলাবস্থার মূলে রয়েছে নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার বাতিল করা, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এটা বাতিল করেছে। অথচ এটা তাদেরই ব্রেন চাইল্ড, তারা বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় জামাতের সাথে যুগপত আন্দোলন করে যা তারা আদায় করে নিয়েছিল

সুতরাং নির্বাচন কালীন কেয়ারটেকার সরকার পুণঃস্থাপনই বর্তমান অচলাবস্থা দূর করার সম্ভবত একমাত্র উপায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

আশমএরশাদ বলেছেন: যখন তত্বাবধায়ক ব্যবস্থার কথা প্রথম উচ্ছারিত হয় তখন আমরা খুব উৎসাহ নিয়ে বলেছিলাম- ভালো সিস্টেমতো!! সাংবিধানিক আইগত গভীর দিকটাকে উপেক্ষা করেও আমরা মনে করেছিলাম এটা বাংলাদেশের ইউনিক আবিস্কার।

কিন্তু দিন যায় মাস যায় আমাদের ক্ষমতাসীন উজিরেরা কিন্তু বসে নাই । শুধু মাত্র 5 বছরের শাসনে তারা সন্তুষ্ট নয় । পরের 5 বছরের জন্যও তাদের চাই জিতে আসার। জনতাকে বিশ্বাস করা আর ফুটো বালতিতে পানি ঢালা এক কথা । জনতা ভোট দিলেতো ভালো -না দিলেও যেন ক্ষমতা,এস এস এফ, শুল্ক মুক্ত গাড়ি এবং সম্ভাব্য হামলা-মামলা ঠেকানো যায় তার চিন্তা করলেন। বের করলো তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা কোন জায়গা থেকে হয় । নির্বাচন পরিচালনা কারা করে। বিজ্ঞ ব্যারিষ্টারেরা কাগজ কলম এবং ক্যালেন্ডারের পাতা ধরে অংক করতে বসে গেলেন। কোন বিচারপতির বয়স কতো? কোন বিচারপতি আমাদের হয়ে কাজ করতে পারে? যেই ভাবা সেই কাজ ! বাড়িয়ে দিলো আস্থাভাজন বিচারপতির চাকুরীর বয়স----

যে কারণে তত্ববধায়ক সরকারের পুনর্বহাল অসম্ভব:
Click This Link

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

আশমএরশাদ বলেছেন: আপনার উল্লেখিত কারণটা একটা কারণ কিন্তু মুল নয়:
কারণ বিএনপির প্রতিটি আন্দোলনেই স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে কাজ করছে জামাত । যুদ্ধাপরাধের বিচারে তারা যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ তাই তারা বিএনপিকে ডমিনেট করার জন্য আন্দোলনে রাখতে চায় এবং সরকারী দল থেকে যতদুরে রাখা সম্ভব ততটা দুরে রাখতে চায় । সম্ভাব্য সকল আপোষে নেপথ্যে বাঁধা হয়ে দাড়ায় জামাত।
আপনি দেখুন চলমান আন্দোলনে বেশীর ভাগ সহিংসতা তারাই করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.