![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাইনা আর কোন মায়ের বুক খালি হোক এই নষ্ট রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার সিড়ি হবার জন্য।
মানুষ তো ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে, সন্দেহ নাই। সগৌরবে এগিয়ে চলছে মানব সভ্যতা। মডার্ণ যুগ পার হয়ে আমরা পোষ্ট মডার্ণ যুগে প্রবেশ করেছি। গড় আয় বাড়ছে, গড় আয়ু বাড়ছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হচ্ছি। কিন্তু সামাজিক সেফটি নেটের অভাবে অভাবি/ অতি দরিদ্ররা এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছে।
আজ নিউজফিডে একটা খবর দেখে খুব মর্মাহত হলাম। ছেলেটি রাজশাহি ইউনিভার্সিটি তে পড়ে। টাকার অভাবে কয়েকদিন না খাওয়া। পরে বিশ্ববিদ্বালয়ের গাছ থেকে আম পেড়ে খেতে গিয়ে পুলিশে সোপর্দ। তারপর জানা যায় এই ঘটনা। বাবা মা নাই, ভেঙ্গে যাওয়া সংসারের শিশু, গরীব এক আত্মীয় মেট্রিক পর্যন্ত পড়িয়েছেন। তারপর নিজের চেষ্টাতেই এসেছেন বিশ্ববিদ্ব্যালয়ের গন্ডিতে। টিউশনি করে চলেন। কয়েক মাস টিউশনি নাই, হলের আশ পাশের দোকানে বাকী খাওয়ার সুযোগ না পেয়ে অবশেষে অনাহার যাপন এবং শেষ অবলম্বন হিসাবে গাছের আম পেড়ে খাবার চেষ্টা।
যে জিনিষ আমাকে অবাক এবং দুঃখিত করেছে তা হলো, তার তো ইতিমধ্যে কিছু বন্ধু বান্ধব হবার কথা, তাদের এই ছেলের আর্থিক অবস্থা জানবার কথা। কয়েকজন বন্ধু মিলে সামান্য কিছু দিয়ে হলেও তার এই দুর্দিনে কি এগিয়ে আসতে পারত না? ভার্সিটি পড়া তরুনরা এইটুকু মানবতার প্রমান দেবার উদ্যোগ নিতে পারলো না? তারা উদ্যোগ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া বা মেইনস্ট্রীম মিডিয়ায় লেখালেখি করলেও হয়ত কোন উতস থেকে একটা আর্থিক সাহায্যের ব্যাবস্থা হতে পারত। কোন শিক্ষক হয়ত এগিয়ে আসতে পারতেন। মানুষ, বিশেষ করে, তরুণ রা কেন এই রকম কাজে ঝাপিয়ে পড়বে না? সভত্যা কি আমাদের অসভ্য বানিয়ে ফেলছে?
দেশ তো উন্নত হচ্ছে, আয় বাড়ছে, বাজেট বাড়ছে। এই ধরনের দারিদ্র সীমায় থাকা যুদ্ধকরা লোক গুলো কি সামাজিক নিরাপত্তা পেতে পারে না? দেশে ভুরি ভুরি ব্যাংক, হাজার কোটী টাকা লোপাট করছে। সে বিচার হয়তে কেউ করবেনা। অল্প কিছু টাকা দিয়ে এরকম ছাত্রদের কি বৃত্তি/ শিক্ষাঋণ এর ব্যবস্থা করা যায় না? ইউনুভার্সিটি কি এধরনের ছাত্রদের জন্য ওয়েলফেয়ার ফান্ডের ব্যবস্থা করতে পারেনা?
দেশে ব্যক্তিপর্যায়ে অনেকেই আছেন যারা নির্ভরযোগ্য মাধ্যম পেলে এ ধরনের গরীব ছেলে মেয়েদের পড়াশুনায় সাহায্য করতে চান। ছাত্রদের সমন্বয়ে কিছু ভলান্টিয়ার সংগঠন এরকম ফান্ড সংগ্রহ করে এ ধরনের সাহায্য করতে পারে।
সভ্যতা আর অগ্রগতি আমাদের যেন স্বার্থপর না করে দ্বায়িত্ব নিতে শিখায়, এই কামনায়।
০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৩
শরিফ নজমুল বলেছেন: দুঃখজনক সত্য। তবে এই সভ্যতাতেই অনেক ভালো মানুষও নিশ্চয় আছে, অনেকের খবর হয়ত আমরা পাই, অনেকের টা লুকানো থেকে যায়।
২| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ২:৩১
অক্পটে বলেছেন: এমনতো হবার কথা নয়। দেশের তো উন্নয়ণ হচ্ছে। আপনি নিউজ ফিডে যা দেখেছেন তা হয়তো কোন রাজাকারের কর্ম হবে ওরা মনে হয় বিটিভি দেখেনা!
০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৫
শরিফ নজমুল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৮ ভোর ৪:২২
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: রাজশাহীবাসী যেসব ব্লগাররা আছেন তারা কোনো উদ্যোগ নিয়ে ছেলেটাকে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারেন।
০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৫
শরিফ নজমুল বলেছেন: মুুল নিউজফিডে অনেকের আগ্রহ দেখেছি। হয়ত ওখান থেকেই কেউ কেউ এগিয়ে আসবেন। আশা করি তার সমস্যার সমাধান হবে।
৪| ০১ লা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: একটা গল্প লিখবো বলে ভাবতেছিলাম। কিন্তু কি গল্প লিখবো তা জানা নেই। শুক্রবার দিনটি বরাদ্দ থাকে নতুন কিছু লেখার জন্য। ভাবলাম প্রেম নিয়ে কিছু লিখি। কিন্তু হৃদয়ে প্রেমের তেমন কোন সাড়া পাওয়া গেলো না। সকল লেখকের মনে একটা কাল্পনিক জগৎ থাকে। সে জগতে প্রেম থাকে, ব্যাথা থাকে, কষ্ট থাকে, আশা থাকে, সুখ থাকে। যা কেবল লেখক নিজে দেখতে পায়, আর লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে। পাঠকেরা লেখকের ভাবনাকে বাস্তবে ভেবে নেয়। যদিও সেটা একদম ঠিক নয়, তবে এখানেই লেখকের স্বার্থকতা বিরাজ করে।
০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০১
শরিফ নজমুল বলেছেন: আমার লেখায় যে তরুণটির দু:খগাথা আছে সেটিই নিয়েই একটি গল্প লিখে ফেলুন। তাকে এক অদৃশ্য হাত থেকে সাহায্য পৌছায়ে দিন, একজন হৃদয়বতী নায়িকা জুটায়ে দিন। একটি সুখি সমাপ্তি হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১:২৩
একাল-সেকাল বলেছেন: ডিজিটাল সভ্যতায় মানবিক গুণাবলী একটা ভ্রান্ত ধারনা মাত্র