নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও সুন্দরের সন্ধানে

হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়।

শরিফ নজমুল

চাইনা আর কোন মায়ের বুক খালি হোক এই নষ্ট রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার সিড়ি হবার জন্য।

শরিফ নজমুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের দোষ জেনেও রসুল মিঞা ভাবে, চিরকালের দোষীর ঘাড়েই দোষ চাপাতে হবে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

শিরোনাম টা ধার করা।
একজন এটিএম বুথের দারোয়ান, যার সাথে আমাদের প্রায়ই দেখা হয়। কিন্তু তার নামটা হয়ত আর জানা হয় না। আরে তার পরিবারের খবর তো আরো পরে। তার কি স্ত্রী কি মাস শেষে অপেক্ষা করে স্বামী ঘরে আসবে বলে? ছেলে –মেয়ে কি আছে? তাদের কি বাবার জন্য পরান পোড়ে? তাদের স্কুলে যাবার সুযোগ কি হয়? তার ছেলেটা বড় হবে, এরকম এটিএম বুথে ঢুকে টাকা তুলবে , এই স্বপ্ন কি সে দেখে? হয়ত দেখে, কিনতু আমরা কি তা জানি? জানবার চেষ্টা করি? না করি , অসুবিধা নাই। কিন্তু ছোট একটা দোষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাকে বিপদে ফেলে দেয়া কি আমাদের মত ক্ষমতাবানদের করা উচিত?

আমি যে এলাকায় থাকি, আবাসিক এলাকার ভিতরে একটি এটিএম বুথে একজন দারোয়ান থাকে, যথারীতি মুখ চেনা। হঠাত দেখি বড় রাস্তার উপর অন্য একটি বুথে। সালাম দিয়ে জানতে চাইলাম বদলীর কারন। গল্পটি শুনে অবাক হলাম। দুর্বলের উপরের ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পেলে সেটা কেইবা ছাড়ে?

এক গ্রাহক বুথে এসেছেন , বিলস পে মেশিনে টাকা জমা দিবেন। কিন্তু কলম আনেন নি। ব্যাংকও ওখানে কোন কলম দেন নি। ভদ্রলোক গ্রাহক সিকিরিটি গার্ড কে কিছুদুরের দোকান থেকে কলম কিনে আনতে বলেন। গার্ড তার দ্বায়িত্ব সম্মন্ধে সচেতন হলেন। এর মনে কোন দুরভিসন্ধি নাই তো? তিনি তার স্টেশন লিভ করতে অস্বীকার করলেন। ভদ্রলোক ব্যাংকে অভিযোগ দায়ের করলেন। ব্যাস, সিকিউরিটি গার্ডের উপরে নেমে আসলো শাস্তির খড়্গ। দশদিনের বেতন কাটা আর বুথ বদলি।

গল্পের শেষে তার আফসোস বললেন। ওখানে আবাসিক এলাকা ছিল, অনেকেই আসত/চিনত। ঈদ –পরবে কিছু বখশিস দিত। দুটি ছেলে মেয়ে স্কুলে যায় । দশ দিনের বেতন কাটা গেল, এই মাস টা লম্বা হয়ে যাবে। আমি কিছু স্বান্তনা দেবার চেষ্টা করলাম।
আচ্ছা , এই ভদ্রলোক কি অভিযোগ না করলে পারতেন না? গার্ড তার স্টেশন লিভ না করতে চেয়ে তো দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয়ই দিয়েছেন, তাকে শাস্তি দেয়াটা কি ঠিক হয়েছে? গ্রাহক ভদ্রলোক কলম ছাড়া বিল দিতে এসেছেন, উনি নিজে কি কোন ভুল করেন নি? চারিদিকে এত এত অন্যায়, উনিকি সব গুলির প্রতিবাদ করেন?

কি জানি বাপু, আমার মাথা মানুষের এই আচরনের ব্যাখা করতে পারে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৭

Monthu বলেছেন: গুণাহ মাফের উপায়
ঢাকা : দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আর সে কারণে ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই আমাদের উচিত, মন ছোট না করে আল্লাহর দরবারে প্রতিনিয়ত ক্ষমা চাওয়া।
আল্লাহ ক্ষমাশীল, তিনি সর্বক্ষমতার মালিক। কাউকে ক্ষমা করার জন্য তিনি কোনো কিছুর পরোয়া করেন না। তাহলে আমাদের কেন এত সংকোচ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে?
হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত আছে: আল্লাহ বলেন, হে বনি আদম, তুমি আমার কাছে যা আশা করো এবং চাও, আমি তোমাকে মাফ করে দিলাম এবং এ জন্য আমি কোনো পরোয়া করি না। (জামে আত তিরমিযী)
হজরত আনাস (রহ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, আল্লাহ বলেন, হে বনি আদম, তুমি আমার কাছে যা যা দোয়া ও প্রত্যাশা করো, আমি তোমার সব গুনাহ মাফ করে দেব এবং এ ব্যাপারে আমি কোনো কিছুর পরোয়া করব না। হে বনি আদম, যদি তোমার গুনাহ আকাশের মেঘমালার মতো বিপুল পরিমাণও হয়, তারপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমার সে গুনাহ মাফ করে দেব এবং সে জন্য আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান, যদি তুমি জমিন পরিমাণ বিশাল গুনাহরাশি নিয়েও আমার দিকে ফিরে আসো এবং আমার সঙ্গে আর কাউকে শরিক না করো, তাহলে আমিও তোমার প্রতি জমিন পরিমাণ বিশাল ক্ষমা নিয়ে হাজির হবো। (জামে আত তিরমিযি)
আল্লাহর কাছে বান্দা তওবা ইস্তেগফার করলে আল্লাহতায়ালা অত্যন্ত খুশি হন। গুনাহ থাকুক বা না-ই থাকুক প্রত্যহ তওবা ইস্তেগফার পড়া উচিত। সাইয়্যিদুল মুরসালিন নবী মুস্তফা (সা.) সম্পূর্ণভাবে বেগুনাহ ও নিরপরাধ ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রত্যহ তিনি তওবা ইস্তেগফার করতেন।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূলে করীম (সা.) প্রত্যহ আল্লাহর কাছে একশতবার তওবা ইস্তেগফার পাঠ করতেন।
হযরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে- হুজুর (সা.) সাহাবায়ে কেরামগণকে এরশাদ করেছেন, তোমরা প্রভুর দরবারে তওবা কর।
আমাদের গুনাহ যদি আসমান সমানও হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, তবে তিনি নিশ্চয়ই ক্ষমা করে দেবেন।
অন্য এক হাদিসে আছে, কোনো মুসলিম কোনো একটি গুনাহ করে ফেললে ফেরেশতারা সঙ্গে সঙ্গে আমলনামায় না লিখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে থাকে। ওই সময়ের মধ্যে যদি ওই গুনাহগার তওবা ইস্তেগফার করে ফেলে তবে তার আমলনামায় ওই গুনাহটি লিপিবদ্ধ হয় না এবং এ জন্য কিয়ামতের দিবসে তার কোনো শাস্তিও পেতে হবে না।
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত: ইবলিশ মহান আল্লাহর কাছে বলেছিল, যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীতে আদম সন্তান জীবিত থাকবে, ততদিন আমি তাদের গোমরাহ করতে থাকব। তখন আল্লাহপাক এরশাদ করলেন, আমি আল্লাহর ইজ্জত ও বুজুর্গির শপথ করে বলছি- যতদিন পর্যন্ত মানুষ তওবা ইস্তেগফার করতে থাকবে ততদিন ধরে আমিও তাদের ক্ষমা করতে থাকব।
আসুন আমরা সব মুসলিম নারী-পুরুষ আল্লাহর কাছে তওবা করি, পানাহ চাইতে থাকি। মহান আল্লাহ্ তায়ালা শেষ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মতগণের গুণাহ মাফের জন্য হাজারো রাস্তা খোলা রেখেছেন। তার মধ্যে এমন কিছু ছোট ছোট আমল আল্লাহ্ পাক তার বান্দাদের জন্য নিয়ামত হিসেবে দিয়েছেন, যা পাঠ করলে গুণাহ থেকে মাফ পাওয়া যায়।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদুলিল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার পড়ে এবং একশবার পূর্ণ করার জন্য একবার — লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির — পড়ে তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমান হয়।’ (মুসলিম)।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৭

শরিফ নজমুল বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম ঘটনা রোজ ঘটছে কোথাও না কোথাও।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১০

শরিফ নজমুল বলেছেন: বিষয়গুলি ছোট হলেও এগুলি মানবতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা মানুষের উপকার না করতে পারি,ক্ষতি কেন করব? কেন মানুষের ছোট দোষগুলি ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবনা?
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.