নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজ

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

মুক্তিযুদ্ধের যে চারটি স্তম্ভ এর উপর দাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাগণ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন তা হল
১. জাতীয়তাবাদ
২. সমাজতন্ত্র
৩. সাম্যবাদ (সকল নাগরিক সমান সুবিধা ভোগ করবেন)
৪. ধর্ম নিরপেক্ষতা (বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের (!) মতে এটা নাকি সেকুলারিজম কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মতে ধর্ম নিরপেক্ষতা মানেই ধর্ম হীনতা নয়। অথচ আজকের দেশপ্রেমিক গন ধর্মনিরপেক্ষতা কে সেকুলারিজম এর সাথে মিলানোর প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।)

১৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখের আর টি ভি এর একটি টকশো তে শহীদ বুদ্ধিজীবী (অতান্ত শ্রদ্ধার সহিত) সহিদুল্লাহ কায়সার এর তনয়া সমি কায়সার আন্দালিব রহমান পার্থ সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দের সামনে বললেন মুক্তিযুদ্ধের স্তম্ভ চারটি হল-
১. গণতন্ত্র (!!)
২. জাতীয়তাবাদ
৩. সমাজতন্ত্র
৪. সেকুলারিজম (!!)

এর পরেই তিনি কোন এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন ছাত্রের উদাহরণ দিয়ে বললেন ঐ ছাত্র নাকি সহিদুল্লাহ কায়সার বা জহির রায়হান অথবা মুনির চৌধুরী কে চিনেনা। যদিও আমি ব্যাক্তি গত ভাবে মনেকরি এমন শিক্ষিত কুলাঙ্গার দেশে যত কম হবে ততই দেশের মঙ্গল । কিন্তু সমি কায়সার এর মতে এটা নাকি সেকুলারিজম নাই বলেই হইছে (!)। ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সহিদুল্লাহ কায়সার নিখোঁজ হলেও তার চাচা শহীদ বুদ্ধিজীবী জহির রায়হান নিখোঁজ হয়েছিলেন ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ তখন কি পাকিস্তানী বাহিনী বা তাদের দোষর রা ক্ষমতাতে ছিল? আপনি সমি কায়সার যদি শ্রদ্ধেয় শহীদ বুদ্ধিজীবী সহিদুল্লাহ কায়সার এর তনয়া হয়েই মুক্তিযুদ্ধের চারটি স্তম্ভ ঠিক ভাবে বলতে না পারেন, আপনি যদি আজও এই প্রশ্ন না তুলতে সমর্থ হন যে আমার বাবাকে পাকিস্তানী বাহিনী বা তাদের দোষররা হত্যা করতে পারে কিন্তু আমার চাচাকে কে বা কারা অথবা কাদের স্বার্থে স্বাধীন সর্বভৌম বাংলার মাটিতে হত্যা করল? তাহলে ঐ ছাত্র টি কি আপনার চেয়ে অনেক বেশী অন্যায় করেছে?
আমি একজন সনদহীন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে যদি চেতনা চারটি হুবহু তুলে ধরতে কুণ্ঠিত না হই তাহলে আপনার কি কুণ্ঠিত হওয়া উচিৎ?

কেন যেন আমাদের বর্তমান সময়কার সিংহভাগ বুদ্ধিজীবী গন সর্ব রোগের ওষুধ এর মত সেকুলারিজম কেই বাংলাদেশের বর্তমান সকল সমস্যার সমাধান রুপে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাস্ত। মনে হয় যেন দেশ থেকে ধর্ম (বিশেষ করে ইসালাম ধরমকে) বিদায় দিতে পারলেই তারা দেশটাকে উন্নতির চরম সিখরে নিয়ে যেতে পারবেন (!!!!)।

এদের সকলের উদ্যেশে সমি কায়সার এর কথাতেই আবার বলতে হয় সত্যি ই সকলের ই "Know Thyself " এর সত্যিকার অর্থ জানা এবং নিজের উপর প্রয়োগ করা উচিৎ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: একজন সনদহীন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান?

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:০৩

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করলেও কোন সনদ নেন নি। তাঁর মতে মুক্তি সনদ নেওয়া এবং মাকে একখানা শারি ক্রয় করে দিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান এর নিকট হতে মাতৃভক্তির সনদ নেওয়া একই কথা।
তাই বাবাকে আমি সনদহীন মুক্তিযোদ্ধা বলি। @সেতু আশরাফুল হক ভাই

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:১৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমি বিশ্বাস করিনা।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২১

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: শুরু করা যাক একটি বিতর্কিত কথা দিয়ে।

সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখায় কি অন্যায় হয়েছে? প্রশ্ন দেখা দেয় কারো কারো মনে। প্রশ্নটি অতি অবশ্যই মৌলবাদী দৃষ্টিভঙ্গির। প্রত্যেক ধর্মপরায়ণ মানুষ তাঁর নিজ ধর্মের মূল বিষয়গুলো বিশ্বাস করবেন এবং মেনে চলবেন এতে কোন দোষ নেই; যদি না তা তিনি অন্যের ক্ষতির কারণ হন।
মৌলবাদীরা স¤প্রদায় ভেদে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের অনুরূপ প্রতিদ্বন্দ্বি। তারা নিজেরা যা করে ন্যয্য বলে দাবী করে আর একই কাজ বা একই ধরনের কাজের জন্য অন্য স¤প্রদায়কে খারাপ বলে দোষী সাব্যস্ত করে থাকে। তারা যখন নিজ দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে তখন তাকে ন্যায্য করার জন্য নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধূয়া তোলে, অপর দিকে অন্য দেশে যেখানে নিজ স¤প্রদায়ের লোক সংখ্যালঘু; সেখানকার মৌলবাদী সংখ্যা গুরুদের প্রতি নিন্দা জানায়।

বিষয়টি একটি সহজ কথায় ব্যাখ্যা করা যায়। যেমন বাংলাদেশী মুসলিম মৌলবাদীর সাথে যদি ভারতীয় হিন্দু মৌলবাদীদের সাদৃশ্য তুলে ধরা যায় তবে বিষয়টা কিছুটা পরিষ্কার হবে। ধরা যাক ভারতীয় হিন্দু মৌলবাদী গোষ্ঠী রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে সংবিধানে সংযোজন করলো যে, রাষ্ট্রের সব কিছু শুরু হবে ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ কথাটি বলার মধ্যদিয়ে। অর্থাৎ শিবকে নমষ্কার জানিয়ে সকল রাষ্ট্রিয় কাজ শুরু করতে হবে। তাহলে কি হবে?

ব্যপার তো এই যে সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দুদের দেশে শিব পূজা করে রাষ্ট্রিয় কার্যাদি শুরু করা তো তাদের ন্যায্য, যদি বাংলাদেশে বিসমিল্লাহ ন্যায্য হয়।

এই ক্ষেত্রে একজন ভরতীয় মুসলিমের ধর্মীয় অধিকার খর্ব হচ্ছে কতটুকু? পুরোপুরি নয় কি? দেখা যায় যে এক্ষেত্রে একজন মুসলিম,
১. রাষ্ট্রীয়ভবে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হবেন,
২. অন্যধর্মের চাপিয়ে দেয়া বিধিনিষেধে নির্যাতিত হবেন,
৩. নিজ ধর্ম পালনে বাধাগ্রস্থ্য হবেন, এবং
৪. হিন্দু দেবতা শিবকে নমষ্কার করার মাধ্যমে ইসলামী ধর্মমত অনুসারে ‘শিরক’ করবেন।
তাহলে মৌলবাদ কি এবং এটা মানব সমাজে কি করে তা আমরা পরিস্কার বুঝতে পারলা্ম কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.