নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরও কত দিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বীরশ্রেষ্ঠ ও মুক্তিযোদ্ধা দের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে এবং দেখতে

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০২

১৯৭১ সালের এই দিনে এক ঝাক বাঙ্গালীর তাজা প্রানের বিনিময়ে, এক সাগর রক্তের, হাজার নারীর সম্ভ্রম বিনিময়ে এবং এক সাম্যের বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর কিছু জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের অঙ্গ ও নিকটাত্মীয় দের হারানোর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী জীবিত থাকা সত্তেও পাক হানাদার বাহিনী ভারতীয় জেনারেল অররা এর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং আমরা পাই স্বাধীন এই মাতৃভূমি।
সকল জীবিত এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দের প্রতি যথা বিহিত সম্মান রেখেই নিচের লিখা টুকুন লিখছি।

আজ বিজয়ের এই ৪৩ বছর পরেও কেন যেন মনে হয় আমরা পরাধিন এক জাতি, অভিশপ্ত এক জাতি। আমাদের তাড়া করে ফিরছে শহীদদের আত্মার অভিশাপ। কারন তাঁরা যে স্বপ্নে বিভোর হয়ে আমাদের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিল আমরা তাঁদের সেই স্বপ্নের ১০% ও পূরণ করতে পারছি কিনা আমি জানি না।

নিচের অংশ টুকুন এক ভাইয়ের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া-
একজন বীরশ্রেষ্ঠের মা এবং তাঁর পায়ের ছেঁড়া স্যান্ডেল. আমি আজ বাকশক্তি হীন।
যুবরাজ:
প্রধানমন্ত্রী আসবেন আর একটু পরে। আমি দাঁড়িয়ে আছি এক কোণায়। SSF এর আমার ব্যাচমেট, জ়ুনিয়ার-সিনিয়ারদের ব্যস্ত আনাগোনা। উপরের দিকে তাকিয়ে প্যান্ডেলের জৌলুস দেখছি। আগের আমলের রাজ-দরবার বুঝি এমনই ছিল। এত অভিজাত মানুষের ভিড়ে চোখ আটকে গেল খুব সাধারন এক মহিলা, বৃদ্ধা মহিলার উপরে, সাদা শাড়ী পড়া। বেচারি খুব অসহায় ভাবে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলেন। তিনি নিজেই হয়ত বুঝতে পারছিলেন না এই জলসায় তার কোথায় স্থান।আমি এগিয়ে গেলাম তাঁর দিকে।
জানতে পারলাম এই মহিয়সী নারী সাধারন কেউ নন, তিনি বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের জন্মদাত্রী।
আমি যখন ক্লাস ২ তে ছিলাম, তখন বাঙলা বইয়ের পাতায় এই বীর শ্রেষ্ঠ'র কথা পড়েছিলাম, জানিনা, এখন পাঠ্য বইয়ে সে রকম আছে কিনা। এই মহিলা তাঁর মা।
সবাই যখন জেনারেল এরশাদ, জেনারেল মীর শওকত আলী, জেনারেল মাহবুব, সহ সকল জেনারেলদের সাথে ছবি তুলতে ব্যস্ত, আমি মুগ্ধ ভাবে তাঁর দিকে তাকিয়ে। জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কেমন আছেন? বললেন, ভাল নাই বাবা। বুড়ো হয়ে গেছি তো, তাই অনেক রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে। আর কিছু বললেন না। তবে আমি অনেক কিছু বুঝে ফেললাম তার পায়ের স্যান্ডেল জোড়ার দিকে তাকিয়ে। ঐ এক-জোড়া স্যান্ডেল জানান দিচ্ছিল, রাষ্ট্র তাকে কতটা খেয়াল রেখেছে। আমার মনে হয়েছিল, যদি আমি পারতাম তবে আমি ঐ দু-পা কে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিতাম। তাঁর এই পায়ের নিচেই তো সারা বাংলাদেশ!

(রাকিব হাসান চৌধুরী)

এই লেখা পরে কি আপনার চোখে পানি আসে? না আসলে কি আপনি দেশ প্রেমিক?
যে দেশে একজন বীরশ্রেষ্ঠের মা ছেড়া স্যান্ডেল, ছেড়া শারি পরে ৫০০০ বা ১০০০০ টাকা সাহায্য নেয়ার জন্য আসেন সেই দেশ কেন অভিশপ্ত হবে না?
যে দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী যার পা তাঁর নিজের ওজন বহন করার ও সামর্থ্য রাখে না সে দুবেলা খাবারের জন্য সেই পা দিয়ে রিক্সা বয়ে বেড়ায়, তাহলে এই দেশ অভিশপ্ত হবে না কেন?
যেই দেশের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা গন এত বিবেকবান ও জ্ঞানী যে মুক্তিযুদ্ধের মত একটি অনুভুতির ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করেন শুধু মাত্র দু বছর পদ আঁকড়ে থাকার জন্য, সেই দেশ অভিশপ্ত নয় তো কি?

আজ আমরা কোটি কোটি টাকা দিয়ে জাতীয় পতাকার বিশ্ব রেকর্ড গড়ি। কোটি টাকা খরচ করে বাংলা ভাষাতে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রেকর্ড করি যেখানে শহীদ জব্বারের মা বাংলাদেশের মাটিতে বিনা চিকিৎসাতে ধুকে ধুকে গাংরিন এ ভুগে মারা যান।
আমরা ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার দেশের পতাকা দিয়ে রেকর্ড গড়ি এমন এক সময় যে সময় সাহেব আলিরা গরম কাপড়ের অভাবে ছেড়া কাথা গায়ে মুরি দিয়ে কনকনে শীতে রিক্সার প্যাডেলে চাপ দেয়।

আমার ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্ট কোন এক আপু একবার লিখেছিলেন যারা জাতীয় পতাকার রেকর্ড/ গানের রেকর্ড/ ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারের রেকর্ডের বিরোধীতা করেন বা চুল্কানি আছে তাঁরা নিজ দায়িত্বে যেন ওনাকে আনফ্রেন্ড করে দেন।
এই মনভাবের লোকদের কাছে প্রশ্ন-
কখনো না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন? কখনো দিনের শেষে রাতে এক বেলা শুধু পান্তা আর মরিচডলা দিয়ে ভাত খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন?
কখনো কি বাস্তবে দেখেছেন মা ভাতের হাড়ি ঢেকে রেখে সবাইকে তৃপ্তি ভরে খাইয়ে নিজে একগ্লাস পানি খেয়ে শুয়ে পড়তে?
যদি না দেখে থাকেন তাহলে আপনারা এমনটি বলতেই পারেন। আর আজ আপনারা এমনটি বলতে পারতেছেন বা ইন্টারনেট ব্যাবহার করতেছেন যেই মানুষগুলোর পাঠানো রেমিট্যান্স এর কল্যানে কখনো কি ভেবে দেখেছেন তাঁরা কি ধরনের বা কতটুকুন কষ্ট করে আপনাদের মত অফিসার দের জন্য বেতনের টাকা পাঠায়? কিভাবে ভাববেন আপনি তো সেই কাস্টমস কর্মকর্তা যিনি সাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এসি রুম এ বসে সেই এসির বিল দেয়া এই সকল শ্রমিক দের তুই তকারি করতে ব্যাস্ত।

এত কিছুর পরেও আমরা স্বপ্ন দেখি কারন আমরা বীরশ্রেষ্ঠ দের, ভাষা শহীদ দের বাংলার আপমর জন সাধারন। আমরা এই আম জনতা স্বপ্ন দেখি বলেই আজো আপনারা ২০০ সঙ্গিসাথি নিয়া বাণিজ্য ভ্রমন বা লবিং ভ্রমন কাম প্রমদ ভ্রমন করতে এবং কথার তুবড়ি ছিটিয়ে নিজেদের দেশ প্রেমিক দাবিকরতে পারেন।

জানি না আরও কত দিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বীরশ্রেষ্ঠ ও মুক্তিযোদ্ধা দের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে এবং দেখতে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন । আফসুস দেশ যারা স্বাধীন করলো তাদেরই স্বাধীনতা নেই ।

বিজয়ের উষ্ণ শুভেচ্ছা......

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৪

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ @কলমের কালি শেষ
আপনাকেও বিজয়ের উষ্ণ শুভেচ্ছা......

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৪

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল এর পরিবার মাসে ১৪০০ (সিপাহি হিসেবে পেনশন) + ৪৫০০ (মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্ট) সর্বমোট ৫৯০০ টাকা মাসিক ভাতা হিসেবে পান যেখানে শুধু ২০১৩ সালেই বাংলাদেশ থেকে ১৪০০০ কোঁটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
২০০৪ সালে তাঁর নামে একটি মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও আজও সেটি এম পি ও ভুক্ত হয় নি(!)।
যে দেশের একজন বীরশ্রেষ্ঠের মা সহ পুর পরিবারের জন্য রাষ্ট্র ৫৯০০ টাকা বরাদ্ধ দিয়ে ই তাদের দায়িত্ব শেষ করে, সেই গরীব দেশের ব্যাক্তিগন ১৪০০০ কোঁটি টাকা পেল কোথায়?

যেই দেশে হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম পি ও ভুক্ত হইলেও একজন বীরশ্রেষ্ঠের নামের প্রতিষ্ঠান ১০ বছরেও এম পি ও ভুক্ত হয় না। সত্যিই বিচত্র দেশ আমার জন্ম ভূমি যেখানে যে যত বড় চোর সে তত সন্মানি ব্যাক্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.