নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু প্রশ্ন যার উত্তর আমার জানা নাই-

০২ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:১৫

অগ্নিঝরা এই মার্চের শুরুটা আমাদের ভাল হইল না। এমন পরিস্থিতিতে আমার মনে কিছু প্রশ্ন উদ্রেক হইল কিন্তু জানি না কেউ উত্তর দিবে কিনা-

১। আমরা কি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ চাই নাকি ধর্মহীন বাংলাদেশ চাই?

২। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি ধর্মনিরপেক্ষতা নাকি ধর্মহীনতা ছিল? বর্তমান বুদ্ধিজীবীগণ যদিও শুধু Secularism কথাটুকুন ই বলতে অভ্যস্ত কিন্তু এর আকারে ইঙ্গিতে যে ব্যাখ্যা দেন তা আসলে ধর্মহীনতা বা Impiety ই বুঝায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন “ধর্ম নিরপেক্ষতা মানেই ধর্মহীনতা নয়”। তাহলে এই চেতনাজীবীরা কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আসল উদ্যেশ্যকে বিকৃত করে শিখাচ্ছে না? যদি শিখায় তাহলে তাদের উদ্যেশ্য কি?

৩। বাংলাদেশ যদি একটি উদার ইসলামিক রাষ্ট্র হয়ে থাকে তাহলে সেই দেশে কিভাবে মুক্তমনা ব্লগের মত নামকরা কয়েকটি নাস্তিকতাবাদি ব্লগকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার মাপদন্ড হিসেবে দেখা হয়? যেখানে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান সহ সকল ধর্মের লোকজন যে ব্যক্তিকে সর্বকালের সর্বসেরা মহামানব মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নামে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়? মানুষের সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিশ্বাস হইল তার ধর্মীয় বিশ্বাস কিন্তু এই সকল ব্লগাররা সকল ধর্মের মানুষের মনেই যে আঘাত করছেন এ ব্যাপারে কি তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ আনা যায় না? যেই দেশে একজন মন্ত্রী বা আমলার নামে কটু কথা বলার অপরাধে জেল জরিমানা হয় সেই দেশে মহামানবদের নিয়ে কটূক্তি বা মন্দির ভেঙ্গে শুধু এই দল সেই দলকে সেই দল এই দলকে অভিযুক্ত করতে করতেই অপরাধীরা পার পেয়ে যায়, এটা কি আমাদের জন্য খুবই অপমানজনক নয়?

৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত যায়গাতে একজনকে মৃতপ্রায় করে রেখে খুনি নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়া বা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অথবা পেট্রোল বোমাতে নিরপরাধ মানুষ মারা যাওয়া কি আমাদের জাতীয় দৈন্যদশা তুলে ধরেনা? গণপিটুনিতে নিহত তিন জনের শরীরে ৪৫/৫৪ টি বুলেট কি আমাদের হিংস্রিতার বহিঃপ্রকাশ নয়? উদর পিণ্ডী বুদর ঘাড়ে চাপিয়ে কি আমরা একপ্রকার খুনের অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা করছি না?

এবার একটি সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের বা দেশের ইতিহাসের জ্ঞানের পরিধি জেনে আসি-
শেরেবাংলা কিন্ডারগার্টেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এক শিক্ষার্থী কে এক প্রতিবেদকের প্রশ্নঃ আচ্ছা আপু আমাদের ১৬ ই ডিসেম্বর কে কিবলে?
ছাত্রীঃ ২৬ শে মার্চকেই ১৬ই ডিসেম্বর বলে।
প্রতিবেদকঃ আচ্ছা আপু তুমি কি বলতে পার আমাদের স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবস কবে?
ছাত্রীঃ ১৬ ডিসেম্বর এবং ২৬ মার্চ !
প্রতিবেদকঃ আচ্ছা আপু তুমি কি বলতে পার ১৯৫২ সালে কি হয়েছিল?
ছাত্রিঃ ১৯৫২ সালে আমাদের মা বাবা ভাই বোনকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছিল। আমাদের অনেক নির্যাতন করা হয়েছিল।
আরও দু এক শিক্ষার্থী এমন উত্তর দেওয়ার পরে হতাশ প্রতিবেদক প্রধান শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার সাহেবকে প্রশ্ন করলেনঃ স্যার আমাদের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম?
প্রধান শিক্ষকঃ অম, এম , ... মুখস্থ নাই তো দেখে বলতে হবে !!!

এই হইল আমাদের চেতনাজিবিদের চেতনা চেতনা চিৎকারের ফসল। আমাদের সময় তো এমন চিৎকার কারি কেউ ছিল না তাও তো আমরা এই ব্যাপার গুলো অন্তরের অন্তঃস্থল হতে উপলব্ধি করেছি এবং আজও ধারন করতেছি। তাহলে আমরা কি একটি ইতিহাস অজ্ঞ জাতী তৈরির চেষ্টাতে আছি যে জাতীর লোকেরা বাহাদুর শাহ, তিতুমির, হাজি শরিয়ত উল্লাহ, রাজা রাম মহন রায়, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, হোসেন শহীদ সহ্রেওয়ারদি, মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানিদের নাম তো জানবেই না উপরুন্ত মুক্তিযুদ্ধকেও ভুলে যাবে।

আমি লজ্জিত, স্তম্ভিত, সঙ্কিত সরবপরি বেদনাহত এই ভেবে যে তিল তিল করে চেতনার নাম করে আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?
আপনি কি জানেন এই প্রশ্ন গুলর উত্তর।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:১৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার লেজ লুকিয়ে রাখা বড়ই দূরুহ

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:২৩

অদ্বিত বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া। কিন্তু ধর্মহীনতার চেতনা ধারণ করার মধ্যেও কোন সমস্যা দেখছি না। ধর্মহীন হওয়া মানে হল গিয়া কুসংস্কারহীন হওয়া। আর কুসংস্কারহীন হওয়া কি ভাল নয় ?

০২ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৫২

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধরমহিনতা মানে কুসংস্কারহীনতা এটা কি আপনি জেনে বলছেন?
ধর্ম নিজেই সর্বাপেক্ষা আধুনিক সর্বকালের জন্য। কিন্তু আমরা ধর্মকে বিচার করি কিছু ধর্ম বিশ্বাসীদের লেবাস ধারীদের দিয়ে। তাই আমার মতে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করার পূর্বে ভাল করে ধর্মের খুঁটি নাটি বিষয় জেনে নিন। দু একটি আয়াত অথবা ১০-২০ টি হাদিসের আংশিক অর্থ জেনে যদি আপনি ৬৬৬৬ টি আয়াত বা লাখ লাখ হাদিসকে ব্যাঙ্গ করতে চান তাহলে আপনার দৈন্য তাই প্রকাশ পাবে অন্য কিছু নয়। আর উপমহাদেসের নাস্তিকগন ব্যাতিত পৃথিবীতে এমন নাস্তিক খুজে পাওয়া দুস্কর যারা মানুষের ধরমানুভুতিতে আঘাত হানে। অন্যান্য দেশের নাস্তিকরা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করে। তাই আগে একটি ব্যাপারে জানি তার পরে গঠন মুলক সমালচনা করি।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৪৮

সারশু বলেছেন: আমরা কি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ চাই নাকি ধর্মহীন
বাংলাদেশ চাই?

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৫৫

রামন বলেছেন:
আপনার সন্তানকে যদি প্রশ্ন করা হয়, বলত আমাদের জাতির পিতার নাম কি ?
উত্তরে সে বলবে, কায়দে আজম আলী জিন্নাহ।

স্বাভাবিক আপনি যা তাকে শিখিয়েছেন।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ইংরেজি দুটি শব্দ -
১. Secularism যার শাব্দিক অর্থ হল ধর্ম নিরপেক্ষতা। এই একটি শব্দকে যদি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান দ্বারা একটু বিশ্লেষণ করি এর অর্থ দাঁড়াবে এমন একটি ব্যাবস্থা বা পরিবেশ যেখানে মুসলমান, খ্রিষ্টান, ইয়াহুদি, হিন্দু, বৌদ্ধ, সিখ, জৈন নাস্তিকতা ইত্যাদি সকল ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী মানুষ পারস্পারিক সহমর্মিতা এবং সহযোগিতা নিয়ে সহ অবস্থানে থাকবেন (নাস্তিকতাও আমার মতে তাঁদের একটি বিশ্বাস কারন আমরা আস্তিকরা সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাসী আর তারা তাঁকে বিশ্বাস করেনা, এটাই তাঁদের বিশ্স্বাস)। এই Secular সমাজ ব্যাবস্থাতে শান্তি সৌহার্দ্য ধরে রাখতে একজন আরেকজনের বিশ্বাসের উপর সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। কিন্তু আমাদের উপমহাদেশে কেন যেন নাস্তিক পরিচয়ের অন্যতম গুন ধরা হয় কে কত বাজে ভাবে অন্য আরেকটি ধর্মের প্রচারক বা গ্রন্থ নিয়ে হাসি তামসা মূলক কথা বলতে পারবে তা বুঝায়। আমার অধ্যাপক যিনি নিজেকে একজন নাস্তিক পরিচয় দিতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন কিন্তু তিনি এই গত ১.৫ বছরে একবারও ধর্মীয় আলোচনাতে আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) বা হজরত ঈসা (আঃ) কে নিয়ে কোন কটূক্তি করা দূরে থাক তার মতে এরা অনেক জ্ঞানী এবং সজ্জন ব্যাক্তি ছিলেন যাঁদের নিয়ে মন্তব্য করার মত যোগ্যতা উনি রাখেন না।

২. Impiety যার শাব্দিক অর্থ ধর্মহীনতা। এই শব্দ টিকে যদি আমি বিশ্লেষণ করি তাহলে আমার মনে হয় এমন দাড়ায় যে, ধর্মহীন সমাজ এমন একটি সমাজ ব্যাবস্থা যেখানে যেকোনো ধর্মের গ্রন্থ বা প্রচারকগণকে নিয়ে মনগড়া কিছু কথা বলা যাবে। যে কেউ চাইলেই যে কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে বা বিশ্বাসে আঘাত হানতে পারবে। যার ফলশ্রুতিতে সমাজে একটি দৃশ্যমান ধর্মীয় বৈষম্য কাজ করবে এবং জোড় যার মুল্লুক তার নিতিতে সমাজ পরিচালিত হবে।

আর আমার সন্তানকে আমি হয়ত ১৮-২০ বছর পর্যন্ত মিথ্যা কিছু শিখাতে পারব কিন্তু এর পর সে যখন জানতে পারবে গত ২০ বছর আমি তাঁকে মিথ্যা শিখিয়েছি তাহলে সে কি আমাকে শ্রদ্ধা করবে? তার বিবেক আছে সুতরাং কোন বাবাই তার সন্তানকে মিথ্যা বলা সিখাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.