নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা, কুশিক্ষা, অশিক্ষা এবং গু-শিক্ষা

২১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

অনেক দিন আগে একটি কলাম পড়েছিলাম যার টাইটেল ছিল "আলোচনা বনাম গু-আলোচনা' বা আলোচনা, সমালচনা এবং গু-আলোচনা।

আলোচনা এবং সমালচনা সবাই বুঝতেছেন তাহলে গু-আলচনা কি? গু-আলচনা হইল এমন এক স্তুতিপুরন আলোচনা যাকে আসলে আলোচনা/ সমালচনা এর সংজ্ঞা মতে কোনটাতেই ফেলা যায় না।

বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাতে আমাদের চতুরজিবি গন.৯৯.৯% গু-আলচনা করে তাদের সময় অতিবাহিত করছেন।

এবার আমার টাইটেলে আসি-
শিক্ষাঃ কিছু বিখ্যাত ব্যাক্তির উক্তি পরি-
The function of education is to teach one to think intensively and to think critically. Intelligence plus character - that is the goal of true education...................Martin Luther King, Jr.

The great aim of education is not knowledge but action. .....Herbert Spencer

The roots of education are bitter, but the fruit is sweet. .......Aristotle

Education is the movement from darkness to light........Allan Bloom

The goal of education is the advancement of knowledge and the dissemination of truth................John F. Kennedy

“Intelligence plus character-that is the goal of true education.”
― Martin Luther King Jr
ছোট বেলাতে বইয়ে পড়েছিলাম শিক্ষা হইল এমন একটি বস্তু যা মানুষের অন্তর কে আলোকিত করে।

কুশিক্ষাঃ একজন শিক্ষিত ব্যাক্তি সিক্ষা লাভের পরে বিবাহ করার সময় যৌতুক, চাকুরি নেয়ার সময় প্রশ্ন আউট বা টাকার বিনিময়ে চাকুরি, গম চুরি হইতে শুরু করে বউয়ের হাতের বালা চুরি করতে বোধ না করে তাহলে তার শিক্ষাগ্রহণ কে শিক্ষা না বলে কুশিক্ষা বলাই শ্রেয় হবে। এসকল লোক আবার সমাজে খুব ভালো মানুষের ভাব নিয়ে বসবাস করে।

অশিক্ষাঃ যে শিক্ষা লাভের পরেও একজন ব্যাক্তি নিজের হাত টেবিলের নিচে দিয়ে দিতে দ্বিধা করে না। ২ টাকা থেকে শুরু করে চলমান যে কোন মুদ্রার বিনিময়ে নিজের সার্টিফিকেটের মর্যাদা বিকিয়ে দিয়ে চিতল মাছের পেটি দিয়ে খেয়ে ত্রিপ্তির ঢেঁকুর তুলে। যার শ্বশুর বা বাবা গর্ব করে বলে আল্লাহ্‌ জামাই/ ছেলেই দিয়েছে একটা ১১০০০ টাকা স্কেলে চাকুরি করে অথচ কাল একটা চিতল মাছ আনল ১০০০০ টাকা দিয়া, ঘর ভাড়াই তো দেয় ২৫০০০ টাকা। যে ব্যাক্তি প্রিয়তমার কোমরের বিছার টাকা যোগার করতে গিয়ে সরকারের ৫ কোটি টাকার সম্পদ ৫ লাখ টাকা (ঘুষ ২ লাখ) এর বিনিময়ে একজন নাগরিকের কাছে বিক্রয় করে দেয়। এই ব্যাক্তির শিক্ষা উপরের কোন মনিষীর উক্তির সাথে যায় বলে আমি মিলাতে পারছি না। তাই এই শিক্ষার নাম অশিক্ষা।

এবার আসি গু-শিক্ষা-
অনেকেই ভাবতে পারেন উপরের দুই ক্যাটাগরি তে তো সব বলা হয়ে গেছে শিক্ষিত মানুষ এর চেয়ে খারাপ হয় নাকি?
তাহলে বলব জনাব মুজতবা আলীর মত বাক্স পেটারা নিয়ে একটু বিশ্ব ভ্রমনে (মধ্যপ্রাচ্য বাদে) বেরিয়ে পরেন সেখানে আপনি এই শ্রেণীর লোক সর্বাপেক্ষা বেশি পাবেন। তবে এরা দেশেও যে নাই তা নয়। দেশে আবার এদের পর্যন্ত আপনি পৌছতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। আরেকটা সমস্যা হল এরা অক্টোপাসের মত রঙথলি রাখে সাথে। যেখানে যেই রঙ কার্যকর সেখানে সেই রুপধারণে তারা অক্টোপাসের চেয়েও সিদ্ধহস্ত। একই সাথে এরা দেশটাকে অক্টোপাসের ৮ শুঁড়ের চেয়ে বেশি শুঁড় দিয়ে শুষে খাচ্ছে কিন্তু এদের কারো নাম আপনি মিডিয়া বা অন্য কোথাও পাবেন না। এদের মধ্যে যে জিনিসটা কমন তা হইল এরা অধিকাংশই নামের পূর্বে ডঃ লিখেন। এরা আবার নিজেদের এমন বুদ্ধিমান বলে পরিচয় দেন যে আপনি যদি এদের মত এই সকল কারজে সিদ্ধ হস্ত বা এদের কারো শিষ্যত্ব গ্রহন না করেন তা হলে আপনার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলার হুমকি দাণ সরুপ তা করার সকল বন্দবস্ত করতে থাকেন আর তাতে যদি নিজের নাক কাটতে হয় তাহলেও অসুবিধা নাই।

এরা নিজেদের লাভ বুঝে নিতে বড়ই ওস্তাদ মানুষ। ৫ টাকা লাভের জন্য নিজেদের দেশের পতাকা দিয়া অন্যের গাড়ি মুছে দিতেও এদের কুণ্ঠাবোধ হয় না। এটাকে বৈধ করার জন্য এদের যুক্তি হইল এই ৫ টাকার ২ টাকা তো আমি দেশে পাঠাবো রেমিতেন্স বাড়বে !!

এরা এদের জেকন হীন কাজের বৈধতা সুকৌশলে দিতে জানে কারন এরাই আমাদের দেশের সরবচ্চ শিক্ষিত (কখনো সরবাদিক সার্টিফিকেট) এর অধিকারি ব্যাক্তিবর্গ।

এদের সবচেয়ে বড় অর্জন হইল এরা সকলেই এ টি এম সামসুজ্জামানের চেয়েও অনেক শক্তিশালী অভিনেতা। রোকেয়া প্রাচি কিংবা রওশন জামিন এদের অভিনয় দেখলে লজ্জাতে অভিনয় ছেড়েও দিতে পারত।

তাই যারা এই সকল লোকের সাথে এখনো কোন ডিলিংস এ যান নাই তারা গেলে একটু সাবধানে যাবেন। কারন সবাই কিন্তু জিন বিজ্ঞানি মক্সুদুল আলম সাহেবের মত নয়।
(এদের মধ্যে কিছু সঙ্খ্যক ব্যাতিক্রম আছে তবে তা ১০% এর অধিক হইবে না)

এই গু-সিক্ষিত লকেরাই বেশির ভাগ গু-আলচনাকারী ব্যাক্তি।

এই অশিক্ষিত, কুসিক্ষিত বা গু-সিক্ষিত এরা সবাই কিন্তু মিথ্যাকে সত্যের মহিমা দিয়ে বর্ণনা করতে একে অপরের তুলনাতে নিজেদের শ্রেণী অনুসারে সিদ্ধহস্ত।

আপনি যদি এই কুসিক্ষিত, অশিক্ষিত কিংবা গু-সিক্ষিত ব্যাক্তি না হন তা হলেই আপনি প্রকৃত শিক্ষিত ব্যাক্তি। আর শিক্ষা আপনার মন এবং বিবেক উভয়কে আলোকিত করেছে বলে ধরে নিবেন।

Most of the definition said education will make you intelligent and it taught to speak the truth boldly.
So if you become clever and learn to speak lie with different techniques to make it Truth then how could anyone call you a educated person?

(পুরোপুরি পড়ার পরে যদি নিজের মধ্যে এমন কোন কু-গুন বাদ দিতে চান তাহলেও আপনি সত্যিকারের শিক্ষিত ব্যাক্তি)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

এভারগ্রীণ আনোয়ার বলেছেন: ভাল লাগলো.।সুন্দর পোষ্ট.।.।.।.।.।।।

২২ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.