নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন সুখে একজন মানুষ সমুদ্র পথে বিদেশ যাত্রা করে?

২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
চাঁদকে মনে হয় ঝলসানো রুটি”

এটি সুকান্তের কথা।

এই কথার সত্যতা বা নির্মমতা বুঝতে হলে আপনাকে অভুক্ত থেকে বুঝতে হবে। এই অভুক্ত বলতে হয়ত আপনি বলবেন আমি তো রমজানে রোজা রাখি। আরে ভাই রমজানে তো আপনি সারাদিন পরে যে ইফতার করেন তাই দিয়ে হয়ত কেউ তাঁর তিন দিনের আহার সম্পন্ন করেন। তাই অভুক্ত থেকে দেখুন তখন আর চাঁদ দেখেলে মনে প্রেম না জেগে চাঁদের আকারের একটি রুটির কথাই বেশী করে মনে পরবে।

মৃত্যুক্ষুধার প্যাকালের বউকে বিড়ালের মুখ দেয়া যে দুধ টুকুন মনের উদারতার কারনে মেমসাহেব দিয়েছিলেন, সেই দুধের পায়েস পেটে কত ক্ষুধা থাকলে তৃপ্তি সহ মানুষ খেতে পারে তা আপনারা যারা দুই কেজি দুধে দুই মুট চিনিগুড়া চাল দিয়ে পায়েস রেধে খান তারা কি করে বুঝবেন। বলতে পারেন আপনার কল্পনা শক্তি দিয়ে আমি বলব রাখেন ভাই ওত প্রখর কল্পনা শক্তি নজরুলের মত শক্তিমান (দরিদ্র ঘরের কবি সাহিত্যিক রাই শুধু) সাহিত্যিকগনেরই ছিল।

দারিদ্রের কষাঘাতে কত টুকুন জর্জরিত হলে একজন মানুষ নিজের ভিটে মাটি বিক্রয় করে বা নিজের গোয়ালের গরু বিক্রয় করে তা কেবল গফুর (মহেশের মালিক) রাই জানতে পারে। আপনার কাছে আজ মনে হচ্ছে এই লোক গুলো পাগল কারন আপনি জানেন না কত কষ্ট থেকে গফুর মহেশের মাথাতে বাড়ি দিয়েছিল। আর তা জানার খমতাও আপনাদের নেই।

একে ফজলুল হকের মেয়ে নাকি উনাকে জিজ্ঞেস করেছিল “বাবা এই দরিদ্র লোক গুলো এত ভাত ভাত করে কেন?”

তাই আপনাদের যাঁদের জন্ম এমন সকল ঘরে, যারা আপনারা জন্মের পরেই সোনার চামুচে মধু খেয়েছিলেন তারা কি করে বুঝবেন কত জ্বালা বুকে নিয়ে মানুষ সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সুখ পাখিকে ধরতে চায়?

সুখ পাখি বড়ই বেয়াড়া সে ধরা তো দেয় ই না বরং প্রান পাখিটাকেও সঙ্গে করে নিয়ে উড়াল দেয়।

পুনশ্চঃ আল্লাহ্‌ যারা এই অসহায় মানুষ গুলোর এই অবস্থার জন্য দায়ী তুমি তাঁদের ক্ষমা করিওনা কখনোই। কখনোই নয়।


ফটো ক্রেদিতঃ প্রথমআলো

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

বাংলার দামাল সন্তান বলেছেন: বাংলাদেশ নাকি দিন দিন উন্নয়ন আর উন্নতি হচ্ছে?

২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: উন্নয়ন এর জোয়ার এ ভাসতেছে কিনা তা জানি না
তবে বংলার এক দল জনগন যে সাগরে ভাসতেছে অভুক্ত অবস্থাতে তা জানি।

২| ২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

জনতার রায় বলেছেন: শেখ হাসিনার মতে, "দেশে এত উন্নয়ন সত্ত্বেও যারা বিদেশে যায় জীবিকার খোঁজে, তারা আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ"
মানসিকভাবে অসুস্থ

২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের মতে কোন উন্নত রাষ্ট্রের নাগরিক গন ভাগ্যের অন্বেষণে এমন সাগরে ভাসে না।

অসুস্থ না সুস্থ তা তো ডক্টর বা মনোবিজ্ঞানী গন ভালো জানেন আমি এই দুইটির কোনটিই নই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.