নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, ওর মত হওয়ার চেষ্টা কর

০৩ রা জুন, ২০১৫ ভোর ৬:৩০

মানব শিশু সকল মেরুদণ্ডী এবং অমেরুদণ্ডী প্রানিদের মধ্যে সবচেয়ে অসহায় হয়ে জন্ম গ্রহণ করে। জন্মের পর হতে প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অন্যের সহযোগিতা নিয়ে নিজের পায়ে দাড়াতে হয়। স্বাভাবিক ভাবেই জন্মের পর থেকে একটি শিশুকে সম্ভব্য সকল আদর, যত্ন এবং ভালবাসা দেয় শিশুটির পিতা মাতা এবং নিকটজনেরা। একটি মানব শিশুর একজন মানুষে রূপান্তরিত হতে এই পিতামাতাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। এই শিশুটি ছোট বেলা হতেই দেখে যে তার যেকোনো সমস্যা কিংবা অসুবিধাতে পিতামাতা তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ান। শিশুটিকে সাহস দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান। এর ফলে পিতামাতার প্রতি শিশুটির এক ধরণের নির্ভরতা এবং ভালোলাগা তৈরি হয়। মানুষ তার মনের সকল দুঃখ কষ্ট পিতামাতার সাথে শেয়ার করে তা লাঘবের চেষ্টা করে। সমস্যা হয়ে যায় তখনই যখন এই ছেলে/ মেয়েটি কোন পাবলিক পরিক্ষাতে সর্বোচ্চ কিংবা তাঁদের আশানুরূপ কোন ফলাফল করতে না পারে। যে পিতামাতা এই ছেলে/ মেয়ে টির এক বেলা একটু কম খাওয়া নিয়ে চিন্তা করে নিজেদের নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে দেন তারাই এই শিক্ষার্থী কে যেকোনো ধরণের কথা শুনাতে পিছপা হন না। হঠাৎ করে পিতা মাতার এই আচরণের পরিবর্তন এই শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর যে কত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা তাঁদের মনে থাকে না। সচরাচর পিতামাতাগণ বাসার পাশের বা ক্লাসের অন্য একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ ধরে নেন। একই সাথে “তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, ওর মত হওয়ার চেষ্টা কর” এই কথা টি সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে তাঁদের সন্তান কে নিয়মিত শুনাতে থাকেন।

যেকোনো খাদ্যের একটি লিমিট থাকে যার বেশি খেলে পেট খারাপ হতে বাধ্য, সন্তানের খাবারের চাহিদা মা ছাড়া কে বেশি ভালো জানে? সেই মা ই যদি অন্য “ভাবিরা” কি করছে তা বিবেচনা করতে গিয়ে নিজের সন্তানের বদহজম হওয়ার পরিমাণ বিদ্যা গ্রহনে তাকে বাধ্য করেন তাহলে সেই সন্তানের অনাগত ভবিষ্যৎ ধংসের জন্য আপনার দায় কীভাবে এড়াবেন? এত সব করার পরে যখন এই ছেলেটি হয়ত গোল্ডেন “এ+” (এটা আসলে এমন কিছু অভিভাবকদের সৃষ্টি গোল্ডেন বলতে কোন মাণ দণ্ড নেই) মিস করল বা তুলনামূলক খারাপ ফলাফল করলেই আপনি তাকে কত টাকার কোচিং করিয়েছেন তার হিসাব করতে বলেন। কোন কোন “ভাবি” এসে আপনাকে বলল “এ কি করল পুলক, এই ফলাফল নিয়ে বুয়েট, মেডিক্যাল, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সম্ভব না” (এই ভাবি হয়ত এই সকল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কীভাবে হয় তাও তিনি জানে না)। এই কথা শুনেই আপনি আপনার সন্তানকে ডায়লগ দিয়ে ফেললেন কি হবে তোকে দিয়ে কি হবে?

পরিপূর্ণ লেখাটি এই অনলাইন পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে। ণিচে লিঙ্ক এ আছে

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৫ ভোর ৬:৩১

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: অনলাইন বাংলা এর লিঙ্ক টি এখানে আছে

২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

মাহবুবুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: "ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়া" ছেলেদের নিয়ে শুধু বাংলা সিনেমাই বানানো হয়। জীবনের আসল হিরো ঐসব ব্যাকবেঞ্চের ছাত্ররাই যারা নিজেদের শ্রম ও মেধার জোরে ইতিহাস পাল্টে দেয়....

০৩ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয় তবে বেশিরভাগই সফল আমার দেখা।
কিন্তু এই এস এস সি বা এইচ এস সি এর ক্ষেত্রে আসলে খুব ভালো ফলাফল খুব বেশী সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারেনা।
হিরো তারাই যারা ভেঙ্গে না পরে লড়তে থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.