নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেতন স্কেলে শিক্ষকগণকে হেয় করা এবং এর প্রতিবাদে তাঁদের দেখানো একটি খোঁড়া যুক্তি দুটোই অযৌক্তিক

১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

বেতন স্কেলে শিক্ষকগণকে হেয় করা সত্যিই দুঃখজনক। এ নিয়ে অনেকেই (বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকগণ) কলাম লিখেছেন, লিখেছেন ফেসবুকেও। উনাদের এই লেখা গুলো যতটুকুন সম্ভব মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছি। উনাদের লেখার দুটি দিক আমাকে মর্মাহত করেছে-

১। উনাদের অনেকের লেখাতেই শিক্ষক বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক গণকে বুঝানো হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গনের সুপারিওরিটি কমপ্লেক্স থেকে উদ্ভুদ একটি সমস্যা। স্কুল কলেজের শিক্ষক গণকে উনারা উনাদের পরিবারের সদস্য মানতে খুব কষ্ট হয়। অথচ গত দুই দিন পূর্বে এক বড় ভাই কে তাঁর তিন (স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়) স্তরের এমন কিছু শিক্ষকদের নাম মনে করতে বললাম যাদের অবদান না হলে তিনি আজ তাঁর বর্তমান অস্তিত্ব বা অবস্থান কল্পনা করতে পারতেন না। তিনি হরহর করে প্রাথমিক মাধ্যমিক এবং কিছুটা চিন্তা করে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষকগণের কথা বলতে পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কারো নাম সেই মুহুরতে মনে করতে পারছিলেন না। এর অন্যতম কারন হল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ (যৎসামান্য বাদে) কখনোই শিক্ষার্থীদের মোটিভেশন করার মতভাবে তাদের সাথে মিশেন না কেন মিশেন না তা উনারাই ভালো বলতে পারবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল উনারা কিন্তু উনাদের আজকের অবস্থানের পিছনে তাদের স্কুল কলেজ শিক্ষকদের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছেন যার প্রমান তাদের লেখা গুলো।

২। উনারা সকলেই এক বাক্যে উনাদের সরবচ্চ মেধাবি বলে দাবী করেছেন। যুক্তি হিসেবে উনারা বিভাগের ফলাফল কে দেখিয়েছেন। এমন একটি হাস্যকর যুক্তি হজম করতে না পেরেই এই লিখা লিখলাম। ২০০৩ সালে ঢাবি তে ভর্তি হই সেই বছর প্রতি ২৯ জনে একজন ঢাবি তে পড়াশুনা করার সুযোগ পায়। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ফর্ম কিনার যে যোগ্যতা নিরুপন করে তা থেকে এই টুকুন নিশ্চিত বলা যায় যারা ফর্ম কিনতে পারে তারা ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাবি। এর মধ্যে হতে যারা ভর্তি পরীক্ষাতে চান্স পায় তারা সকলেই সত্যিকারের মেধাবি। এর পড়ে যারা রাজনইতিক জটিলতা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি কাটিয়ে সময়কে কাজে লাগিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারেন তারাই বিভাগে প্রথম বা দ্বিতীয় হন। এর মানে এই নয় যে একজন শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হতে পারে নাই বলেই সে মেধাবি নয়। আপনারা যদি বলেন সে নিম্ন শ্রেণীর মেধাবি আর আমরা উচ্চ শ্রেণীর মেধাবি তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এটা বলে তো আপনি শ্রেণী বৈষম্য কে নিজ হাতে সমাজে ছড়িয়ে দিলেন। সম্প্রতি একজন এস পি ঢাবি কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রের কারজকলাপ নিয়ে অনেক খবর পরেছেন নিশ্চয়ই। সেই ব্যাক্তি র পাওয়ার হাতে নিয়ে নিজের মেধার বলেই কিন্তু এই সকল মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। এমন হাজারো উদাহরণ টানা যাবে যার সাথে তুলনা করলে হয়ত আপনি আপনার নিজের অবস্থানকে বিবেচনা করতে সক্ষম হবেন। এই সকল মেধার দোহাই না দিয়ে আপনাদের অবদানের দোহাই দেয়া অনেক যুক্তি যুক্ত। কারন এই এস পির এস পি হওয়ার পিছনে সকল শ্রেণীর শিক্ষকগণের অবদান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কালীন দেখেছি ফারমেসি (উদাহরণের সুবিদারথে বললাম) বিভাগের অনেক ছাত্র নিজেকে সএল সাইন্স এর ছাত্রের তুলনাতে মেধাবি দাবী করে খুব ভাবে থাকে। কিন্তু সেই ফারমাসির ছাত্র যখন শিক্ষক হয় তখন সএল সাইন্সের জনইক প্রভাবশালী শিক্ষকের বাসাতে যেতে পারলে বা তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প করতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে (কিছু কিছু ব্যাতিক্রম বাদে)। অর্থাৎ তখন সেই শিক্ষক সএল সাইন্সের হলেও তিনি মেধাবি হয়ে যান। প্রতিটি মানুষেরই উচিৎ তাঁর বর্তমানের অবস্থানের সাথে অতীত কে মিলিয়ে দেখা তাহলেই সে এই রকম মনভাব হতে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে তা না হলে সে হয়ে পরে অহংকারী আর অহংকার পতনের মূল।

তাই এই সকল আপেক্ষিক কথার যুক্তি না দিয়ে যৌক্তিক যুক্তি দেয়া হয়ত দেশের সব চেয়ে উচু স্থানের শিক্ষকগণকে বেশি মানাবে। আর দাবী দাওয়া পেশ করার সময় আপনার স্কুল কলেজের শিক্ষক গনের কথাও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরুন। তাদের সম্মান দিলে আপনার সম্মান বাড়বে কমবে না।

পুনশ্চঃ আমি আমার সকল স্তরের শিক্ষকগণকেই সম্মান এবং মেধাবি মনে করি (বাস্তব শিক্ষকগন বাদে সে যেই স্তরের ই হোক না কেন)। আমি নিম্নশ্রেণীর মেধাবি বলে যে তাদের পক্ষ নিয়েছি তা নয়। যদিও কখনোই কোন ক্লাসে প্রথম হওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না তাঁর পরেও যদি প্রথম হয়েও থাকতাম তাহলেও এমন মনভাবেই লিখতাম বলে আমার বিশ্বাস (আমি আমাকে যতটুকুন চিনি তাঁর ভিত্তিতে)। আমার লেখার উদ্যেশ্য ছিল শিক্ষকগণের যে কোন দাবীর যুক্তি হিসেবে সমাজের প্রতি তাঁদের যে অবদান তা সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব পাওয়া উচিৎ। এখানে ফলাফলের মত খোঁড়া যুক্তি গুলো না দিলেই বরং মঙ্গল হবে। এমন কোন শিক্ষক (বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ কিংবা স্কুল) খুজে পাওয়া দুস্কর যিনি এই অর্থের চিন্তা না করে জ্ঞান বিতরণ করতে পারবেন। কারন তাঁদের যত সম্মানি দেয়া হয় তা কোন লেভেলের জন্যই সম্মানজনক নয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শুধু নিজেদেরকেই শিক্ষক মনে করেন কলেজ বা স্কুলের শিক্ষকদেরকে উনারা শিক্ষকই মনে করেন না। উনারা কলেজ বা স্কুলের শিক্ষকদেরকে নিজের জাতি ভাবতে লজ্জাবোধ করেন।

সবচেয়ে বড় কথা হলো পাঠ না দেওয়ার ক্ষেত্রে রেকড় গুলো কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরই। উনার লাল দল নীল দল নিয়েই বেশী ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন।

১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শুধু নিজেদেরকেই শিক্ষক" সকলেই এমন নয় তাই গড়ে না বলে যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এমন মন মানসিকতা নিয়ে থাকেন তাঁদের বলাই উত্তম।

লাল, নিল, সাদা, গোলাপি এই রঙ গুলো যে কত ছাত্রের রঙ্গিন স্বপ্নকে সাদাকালো করার জন্য দায়ী তা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী মাত্রই জানার কথা। সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই সকল রঙের বাহার থেকে মুক্তি দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.