![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
বাবা দিবস কিংবা মা দিবস এগুলোর বিপক্ষে আমার অবস্থান।
বাবা বা মায়ের জন্য বছরের ৩৬৫ দিনই ভালবাসা, মায়া, মমতা বা শ্রদ্ধা থাকা আমাদের দক্ষিন এশিয়ার গর্ব করার মত একটি ঐতিহ্য।
এর পরেও অনেক কেই দেখলাম দিবসটি উপলক্ষে তাঁদের বাবার সম্পর্কে তাঁদের কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন। এসকল স্মৃতিময় ঘটনা বা অনুভূতির অনেক গুলো ভালো ও লেগেছে।
এই অনুভূতির গল্পগুলো পড়তে পড়তে আমি আজ হতে ২০ বছর পরের এমন একটি দিনের কথা কল্পনা করলাম। যেদিন মিয়ানমারে আটক নায়েক রাজ্জাক সাহেবের সন্তান ২০ বছর বয়সে উপনীত হয়ে তার বাবাকে নিয়ে লিখবে। সে কি লিখবে তা অনুমান করার চেষ্টা করলাম-
" বাবা দিবসেই আমার জন্ম কিন্তু দেশ মাতৃকার সীমান্ত পাহারা দেবার অপরাধে মিয়ানমারে আটক আমার বাবার স্নেহের স্পর্শ হতে সেই দিন আমি বঞ্চিত ছিলাম।
ভাবতে অবাক লাগে তখন বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ ছিল। ছিল হাজার হাজার বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল কিন্তু কেউ আমার বাবাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে শাহবাগে জড়ো হন নি, দেননি কেউ কোন সমন্বিত বিবৃতি।
একটি প্রশ্নের জবাব কখনোই মিলাতে পারি না আর তা হল-
২০০০ সালে নাকি বিজিবি এর সাথে যুদ্ধে মিয়ানমারের ৬০০ সৈন্য নিহত হয়েছিল। ২০১৫ সালে বিজিবি আরও শক্তিশালী হবার কথা। তাহলে ২০১৫ সালে আমার বাবাকে ফিরিয়ে আনতে সম্ভুক গতিতে আগানো হল কেন? এই প্রশ্ন আমি তৎকালীন এবং বর্তমান সকল সুশীল সমাজ, জ্ঞানী গুণীদের নিকট রাখলাম।---< জন্ম মুহূর্তে পিতা জীবিত থাকার পরেও পিতৃ স্নেহ বঞ্চিত এক সন্তান"।
আজ হতে ২০ বছর পরে করা এমন সকল প্রশ্নের কি জবাব দিবেন সুশীলগণ? কেন তাঁদের হাত এ ব্যাপারে লিখে না? কেন তাঁদের মুখ এ ব্যাপারে নিশ্চুপ? কোথায় শত সহস্র নাগরিক গণ?
একজন সীমান্ত রক্ষীর অপমান যে পুরো জাতির অপমান সে কথা বুঝার ক্ষমতাও কি আমাদের সুশীলগণ হারিয়ে ফেলেছেন?
©somewhere in net ltd.