নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সদয়চিত্তকে দুর্বলতা ভেবোনা,ভেতরের জন্তুটা ঘুমিয়ে আছে,মরেনি!!!

সপ্তাংশু

...আমি আফসানা রশীদ... খুবই সাধারণ একটি মেয়ে যার কিছু অসাধারণ স্বপ্ন আছে!!!!

সপ্তাংশু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"You're Beautiful" (পর্ব-১)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

বেশ কিছুদিন ধরেই মাহিব একই গান দিয়ে দিনের শুরুটা করছে। আর সেটি হল জেমস ব্লান্ট এর ‘You’re Beautiful” গানটা। এ গানের Lyrics সারাক্ষণই মাহিবের মাথায় ঘুরছে। আজকেও অন্যান্য দিনের মত ঘুম থেকে উঠেই মাহিব পিসিতে গানটা ছেড়েই আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে দেখতে লাগল। নিজেকে দেখে মৃদু হাসল। ওর প্রিয় সঙ্গী এই আয়না, এটি কখনো মাহিবকে কষ্ট দেয়না।



এমন সময় রুমের দরজায় কেউ নক করল। মাহিব শুধু বলল,হুম। মাহিবের মা সায়রা রুমে ঢুকে মাহিবের দিকে একবার তাকিয়েই ওর রুম গুছাতে গুছাতে বলল, মাহিব তোমাকে আজ অনেক happy লাগছে যে, তুমি কেন দেরি করছো? প্রমিতাকে আজই বলে দাও। আমি মনে করি এসব ব্যাপারে দেরি না করাটাই Better!



মাহিব লাজুক ভঙ্গিতে মায়ের দিকে হাসতে হাসতে এগিয়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরল। মাহিবের মাও ওকে জড়িয়ে ধরে বলা শুরু করল, আমি জানি আমার মাহিবকে কেউ কখনো Refuse করতেই পারবে না। বলতে বলতে মায়ের গলাটা ধরে এল। মাহিব মা কে শান্তনা দিয়ে বোঝাতে শুরু করল যে, আজই সে প্রমিতাকে গিয়ে তার মনের কথাটা বলবেই বলবে!



তারপর মাকে নাস্তা রেডি করতে বলে মাহিবও তাড়াতাড়ি নিজেকে তৈরি করে আবার আয়নার সামনে দাড়ালো। এবার আর ওর হাসি আসলো না। ওর চেহারায় অস্থিরতা ফুটে উঠেছে। গতরাতে নিজ হাতে তৈরি করা কার্ড হাতে নিয়ে কয়েকবার প্রমিতাকে প্রোপজের প্র্যাকটিস করে ওটা ব্যাগ এ ভরে তাড়াতাড়ি নাস্তা করতে আসলো ডাইনিং রুমে।সামান্য কিছু নাস্তা খেয়েই বেরিয়ে গেল মাহিব, তবে প্রতিদিনের মত মাকে জড়িয়ে চুমু খেতে ভুললো না ছেলেটা। সায়রাও মাহিবকে thumbs up করে বলল, Best of luck বাবা!



ছেলের চলে যাওয়ার পথটা দেখতে লাগল সায়রা খান। একমাত্র মাহিবই তার সম্বল এবং সঙ্গী। চৌদ্দ বছর ধরে তিনিই একা মানুষ করেছেন মাহিবকে। সায়রা খানকে রেখে মাহিবের বাবা যখন চলে যায় তখন মাহিব নিতান্তই পাঁচ বছরের শিশু। কিন্তু এই পাঁচ বছর বয়সেই মাহিব বুঝে গিয়েছিল এ দুনিয়াটা কতটা নিষ্ঠুর! মাহিবের বাবার নামে কেস করার প্রতিশোধ নিতে, সায়রা খান অফিস থাকাকালীন একদিন তার সৎমা বাসায় এসে মাহিবের উপর যে অমানুষিক অত্যাচার করেছিল তার ফল আজও মাহিবকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।এরপর সায়রা খান আর চাকরী করার সাহস পায়নি। বাবার সূত্রে পাওয়া মোটা অঙ্কের টাকা ব্যাংকে রেখে যে টাকা আসে তাই দিয়েই দু’জনের সংসার চলে যায়।তার নিজের জীবনের আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই, সব চাওয়া পাওয়া এখন মাহিবকে ঘিরেই। মাহিব খুব sensitive ছেলে,বয়স মাত্র উনিশ,আর এজন্যই তার ভয়।যদি মাহিব অপমান বোধে কোন দূর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে তবে সে সহ্য করতে পারবে না, তার বেঁচে থাকাটাই হয়ত বৃথা হবে!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.