![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগে রোমানদের গ্ল্যাডিয়েটর খেলাটা - একজন সুস্থ মানুষ কিভাবে উপভোগ করত বুঝে আসতনা। হিংস্র পশু মানুষকে খেয়ে ফেলছে, একজন আরেকজনকে হত্যা করছে, এই জিনিস পরিবার নিয়ে উপভোগ করছে সাধারণ- মানে এ খেলা ঘিরে কি পরিমাণ উম্মত্ততা থাকলে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে তা কেবল খেলা হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব।
আজকে খবরে দেখলাম ভারতের ক্রিকেটের পরাজয়ের পর সে দেশের ক্রিকেটারদের বাসায় নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করতে হয়েছে। এ দেশেও দেখলাম এই সামান্য একটি খেলা নিয়ে কি পরিমাণ ক্রেইয, অশ্লীলতা, টাকার খেলা হল। তারপর কোন এক হারের পর বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন মাশ্রাফিকেও মসজিদে জুম্মার সালাতে অপদস্থ করা হয়েছিল। এখনো চলছে ভারত-বাংলার ক্রিকেট বোদ্ধাদের অশ্লীল গালি আর পালটা গালি।ইউরোপের ফুটবল-সংক্রান্ত হুলিগানিযম সম্বন্ধে আমরা জানি। সামান্য একটা খেলার রাইভাল্রি নিয়ে প্রাণ গেছে হাজার হাজার মানুষের।
আমাদের বুঝতে হবে এসব খেলা কেবল নির্দোষ বিনোদন না।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমাজে শাসকরা, বনিকরা এই খেলা কেন্দ্রিক-উমত্ততা মানুফাকচার করে থাকে, নিজেদের ক্ষমতা সুরক্ষিত করার জন্য, বা জনগণকে ভুলিয়ে রাখার জন্য বা মুনাফা করার জন্য।
আর ভিকটিম হয় সাধারণ জনগোষ্ঠী। কেবল বিশকাপ উপলক্ষে সেক্স ট্যুরিজম, মানুষের ঘর বাড়ি উচ্ছেদ, জনগণের ট্যাক্সের টাকার তসরুফ, নারী শিশুদের পতিতা বৃত্তিতে বাধ্য করার পরিসংখ্যান গা শিউরে দেবার মত।
দুঃখজনক হলেও আমরা যারা নিজেদের মুসলিম হিসেবে, দা'ই হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকি, তারাও এই উম্মত্ততায় শামিল হয়ে যাই, কেবল এটিকে বিনোদন মনে করে।
খেলার ঘটনাবলি কেন্দ্র করে আমরা পোস্ট দেই, আলহামদুলিল্লাহ বলে বা মানুষকে সিজদা দিতে বলি। ক্রিকেট - বিশেষ করে আই পি এল বা বা বিশ্বকাপের মত ইভেন্টগুলো, কোন ক্রমেই বিনোদনের পর্যায়ে নেই, বরং সমাজের প্রচলিত মুনকারগুলোর অন্যতম। এসব নিজেরাও মুনকার এবং আরো অনেকগুলো মুনকারের বাহক।
আমাদের বুঝতে হবে- যে কোন বিকৃতি, ডেভিয়েশান, শুরুতে সামান্য মনে হয় বা নির্দোষ মনে হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে তা যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছায় তখন তার সরূপ বোঝা যায়। যেমনটা হয়েছিল রোমানদের গ্লাডিয়টর খেলায়।
আমাদের উচিত নিজেদের এসব থেকে হেফাজত করা, এবং পরিবার পরিজনকে সতর্ক করা যেন কেয়ামতের ময়দানে আমরা এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত না হই।
--Abu Muaz
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রায় একমত।