![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারন মানুষ আমি মানুষের কথা বলি, দেশের কথা বলি। আমি যা বলি আর যা লিখি তা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ধারনা।
বাসর রাতে বিড়াল মারা নিয়ে বিবাহিত/
অবিবাহিত নারী/ পুরুষরা নানা গুঞ্জন করে থাকে।
একেক জন একেক দৃষ্টি ভঙ্গিতে দেখে। সবাই এই
বিষয়টিকে নিয়ে হাসি- তামাশা করে। বিড়াল
মারতে পারলে সবাই খুশী। তবে দুঃখ জনক হলেও সত্য
যে আজকাল স্বামীরা বাসর রাতে বিড়াল মারা তো দুরের
কথা উল্টো বউয়ের কাছে মাফ চাইতে হয়। কেন মাফ
চাইতে হয় জানেন? তাহলে শুনুন।
> আজ থেকে কয়েক দশক আগেও বিয়েতে খুব
অল্প পরিমান মোহরানা ধার্য করা হত। বেশীর ভাগ
স্বামী মোহরানা আদায় করে দিত। কেউবা বউয়ের নামে জমি লিখে দিত। কিন্তু আজকাল মোহরানা নিয়ে বর-কনে
দু'পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি শুরু হয়। ডিজিটাল এই যুগে তালাকের পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই তালাক
ঠেকাতে এখন মোহরানার পরিমান বেশী ধার্য করা হয়।
মোহরানার টাকা স্বামী স্ত্রীকে দিতে পারবে কি পারবে না
তা আর কেউ দেখে না। এখন বেশী মোহরানা ধার্য করে বিয়ে ঠিকিয়ে রাখার জন্য সবাই চেষ্টা করে। স্বামীকে চাপের
মধ্যে রাখে। এই সুযোগে স্ত্রীদের পক্ষ থেকে তালাকের প্রস্তাব
বেশী আসছে। তাই তালাকের পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ইসলামে মোহরানা আদায় করে স্ত্রীর কাছে যেতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে বিয়েতে স্ত্রীকে উপহার দেয়া স্বর্নের মূল্য হিসাব
করে কিছু টাকা উসুল দেখিয়ে মোহরানার বাকী টাকাটা
বাকীর খাতায় রেখে দেয়া হয়। তাই মোহরানার
টাকা শত ভাগ পরিশোধ না করে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীকে মোহরানার বাকী টাকা পরে পরিশোধ করার ওয়াদা করে থাকে। স্ত্রীও স্বামীর কথায় বিশ্বাস করে সংসার জীবন শুরু করে। তাই বাসর রাতে বিড়াল মারার পরিবর্তে উল্টো স্ত্রীর কাছে মোহরানার টাকা নিয়ে ছোট হতে হয়। দাম্পত্য জীবনে কোন এক সময় ভুল-বুঝাবুঝি হলে তালাকের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে
স্বামী স্ত্রীকে মোহরানার টাকা পরিশোধ করতে হয়। মোহরানার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে স্বামী জেলের ভাত খেতে হয়। তাই বাসর রাতে বিড়াল মারা নিয়ে যারা অতি উৎসাহী
তাদেরকে বলতে চাই, বাসর রাতে বিড়াল মারার আগে স্ত্রীর মোহরানা আদায় করুন। মোহরানা আদায় না করে যদি আপনার মৃত্যু হয় তাহলে আপনাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে....
©somewhere in net ltd.