নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪

অফিস ছুটি হয়ে যায় কাজ ফুরায়, অবসর। সপ্তাহ শেষের বিশ্রাম আর আনন্দ সময়।
পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় অবসর। হাসি আনন্দ আড্ডা বন্ধুসঙ্গো আহা আরাম।
অথচ একজন নারীর কাজ শেষ হয় না। ঘরের কাজ রান্না গোছানো, পরিবারের ভালো মন্দ খুটি নাটির হিসাব রাখা। প্রতিটি সদ্স্যর জন্য মন খুলে রাখা, কার কখন কি প্রয়োজন হয় তার জন্য ব্যস্ত থাকা।
নারী যদি হয় কর্মজীবী, সারাদিন অফিস ঠোলার পর হেসেলও তাকে ঠেলতে হয় । আর তার উপর যদি নারী হয় সৃষ্টিশীল তা হলে নিজের সৃষ্টি শীলতার জন্য সময় বের করতে হিমসিম খেতে হয়। মাথার ভিতর চক্কর দিতে থাকে হৃদয় উজাড় করা শব্দ কিন্তু ছুটতে হয় বাস্তবতার সাথে। চোখে পিঁয়াজের ঝাঁঝ নিয়ে দেখে শব্দের গতিবিধী। রান্নার ধূঁয়ায় ডুবে ভাবনার ধূয়া জড়িয়ে নেয় বুকের মাঝে। যেন থাকে মাথায় যেন লিখতে ভুলে না যায়।
অক্ষর বিন্যাশ করতে করতে উঠে যেতে হয় ভাত বেড়ে দিতে। বিছানা পরিপাটি করতে। মশারি টানাতে। ব্যাঞ্জনে ফূরন দিতে।
ঈদের ছুটি, পুজার ছুটি, বড়দিনের ছুটি কেবল বিলাশী জীবন গৃহস্বামীর, লেখায় পড়ায় বা চুটিয়ে আড্ডা মারায়। আর গৃহকর্ত্রি ব্যাস্ত আরো বেশী আয়োজনে। মেহমানের তদারকিতে, কেনাকাটায় উপহার আর সাজানোয়- জনারণ্যে ঝোলে, ঝালে ধূয়ার বেষ্টনে।
বেরাতে গেলেও সবার কাপড়, জুতা আর সব কিছুর তদারকি ঠিক নারীর উপর চলে আসে। কোন ঝামেলা হলে সে দায়ও অনায়াসে ঠেলে দেয়া হয় নারীর উপর।
ঠিক কখন ছুটি তিনশ পয়শট্টি দিনে কেউকি জানে ঠিক ভাবে। চব্বিশ ঘন্টার ব্যাস্ত নারী। সপ্তাহের সাতদিনের ব্যাস্ত নারী। ঘুমের মাঝেও মাথায় চিন্তা চলতে থাকে, পরিবারের কোন সদস্যর কোন সমস্যা কি ভাবে সমাধান করা হবে, কোনটা আগে কোনটা পরে। কাল সকাল কি কাজ দিয়ে শুরু হবে। নিজের ইচ্ছেগুলো অপেক্ষায় থাকে অন্য সবার প্রয়োজন আগে প্রধান্য দিয়ে। ভাবনার ছক সাজানো চলতেই থাকে মাথার ভিতর। এভাবেই কেটে যায় অপেক্ষার জীবন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১০

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: একদম সত্যি, এই কঠিন বাস্তবতা ও কিছুটা হালকা হয় যদি কাছের মানুষদের কাছ থেকে সঠিক সন্মান আর ভালবাসা পাওয়া যায়।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুব আলম একদম সঠিক কথাটি বলেছেন। কিন্তু এই অনুভবের বড় অভাব। যদি বা কোন স্বামী স্ত্রীকে ভালোবেসে তার জন্য কিছু কাজ করে দেয়। সে জন্য হয় বিরূপ সমালোচনার সম্মুখিন।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

মেহেদী হাসান শীষ বলেছেন: আমি আজাদ ভাই সাথে সহমত

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০২

রোকসানা লেইস বলেছেন: মানসিকতা পরিবর্তন হোক। মা বা বউ বা বোন বা মেয়ে সবাই মানুষ এই উপলব্দি জাগরত হোক সবার মাঝে। একটু ভালোবাসায় বদলে দেয়া যায় জীবন। অনেক শুভেচ্ছা মেহেদী হাসান শীষ

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: চিরন্তন সত্য !!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: এই সত্যটা যদি একটু উল্টো দিকে ঘুরে যায় খুব ভালোলাগবে। শুভেচ্ছা রানার ব্লগ

ও হা আমি মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা শুরু করব র্মাচ থেকে আশা করি। এখন অন্য কিছু লেখা নিয়ে কাজ করছি। সাথে থেকো।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

ধমনী বলেছেন: পরিবার আর সমাজ তো নারী কাঠামোর উপরই দাড়িয়ে আছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ধমনী। অথচ নারীদের সবচেয়ে বেশী অবহেলা পেতে হয়

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

সুলতানা রহমান বলেছেন: একটানা চলতেই থাকবে এমন। এরকমটি হতে হতে একসময় ইচ্ছে গুলো ও মরে যাবে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: চলাটা বদল হোক ......জরুরী ভিত্তিতে

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এ এক অযাচিত গুরুভার... ঘুরে ফিরে সব দেশে সব রেসে গল্পটা অনেকটা একইরকম। সর্বংসহা হলে তবেই যেন সঠিক নারী, নয়তো সে আনারী। পৃথিবীর প্রাচীনতম বিভাজন।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে পট। অনেক মেয়েরা একা থাকা পছন্দ করছে। অথচ এক সময় মাতৃতান্দ্রিক পরিবার ছিল। আদিবাসীদের মধ্যে এখনও আছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.