নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্তিত্ব

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭


দেশ থেকে দূরে থাকলে দেশ আরো বেশি বুকের মধ্যে ঢুকে যায়। কারণে অকারণে বড় বেশি মনে হয়। বিদেশে বাসন্থান পরিবর্তনের সাথে বদল হয়ে গেল জীবনের চেনা পরিচিত নিশ্বাসের সাথে মিলে থাকা কাদা মাটি প্রকৃতির মতন ব্যবহার্য খাওয়া পরা, জীবন যাপনের অভ্যাস। নতুনের সাথে জীবন যাপনের সাথে পুরাতনকে বুকে রেখে পথ চলা শুরু হলো। সব কিছু চাইলেই পাওয়া যায় না। তবে নতুনের সাথে মানিয়ে পিছনের দীর্ঘ জীবনের সঞ্চয়কে নতুন ভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টায় মন্দ হয়নি পথ চলা। বরং অন্যদেশিদের নিজের ঐতিহ্য ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারাটাও অনেক আনন্দময় হয়েছে।

তখন দেশের প্রতিটি বিশেষ দিবসের সাথে সংযুক্ত হতাম আমরা নিজেদের মতন পরিবারের সদস্য মিলে। কিছুটা সময় গানে গল্পে কবিতায় মিলে মিশে যেতাম। দেশকে তুলে আনতাম এই সুদূরে নতুন প্রজন্মের কাছে । তখন খুব বেশী অনুষ্ঠান ছিল না দেশীয় পর্যায়ের। বাঙালিদের বিনোদন ছিল ভারতিয় শিল্পী বলিউডের গান উপভোগ। বা পশ্চিম বঙ্গের বাঙালিদের সাথে মিলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতেন। বাংলাদেশিদের একটা দুটো বিচ্ছিন্ন অনুষ্ঠান হতো বছরে। বাচ্চারা দেখতাম ঘরোয়া অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের সাথে নাচ করত।
বরফ পরা শীতল ডিসেম্বরে আমরা ঘরে বসে নিজের মতন স্মরণ করতাম বিজয় দিবস। তেমনি এক অনুষ্ঠানে মুখে এঁকে ছিলাম পতাকা বাচ্চাদের সাথে করে। এই ভাবে এক বছর এক এক রকম ঘরোয়া অনুষ্ঠানে সাজিয়েছি হৃদয়।
আরো একটা কাজ করতাম আমি সারাদিন আমার গাড়িতে চলার পথে বাড়িতে বাংলা গান, কবিতা, বাজাতাম বিশেষ দিন অনুয়ায়ি।
বাচ্চারা তেমন একটা পছন্দ করত না। আর ইউ ফিনিস ইউর সং, কেন উই প্লে আওয়ার নাও এভাবে তারা গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মধ্যে থাকত। কিন্তু শুনতে শুনতে এক সময় তাদের হৃদয়ে সে গান এবং গল্পগুলো গাঁথা হয়ে গেছে। নিজেরা ভালোবেসে এখন তারা স্মরন করে গান গায় বা কবিতা আবৃত্তি করে । কখনো জানতে চায় মুক্তিযুদ্ধ বা দেশের বিভিন্ন সময়ের গল্প। তখন ভালো লাগে আমার। জোড় করে নয় ভালোবেসে সহজে শিশু মনে অনেক কিছু পৌঁছে দেয়া যায় গল্পে গল্পে, একটু একটু করে। অনেকে সে ভাবে না করে বিশেষ ভাবে নিয়মের মাঝে করতে চানএবং অকার্যকর হন সন্তানকে দেশের বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ায়। ওদের আগ্রহ না জাগিয়ে বরং যে টুকু আগ্রহ ছিল সেটা নষ্ট করে ফেলা হয়।
বিদেশে দেশীয় আবহ ধরে রাখা কঠিন। বড়রা ভাবেন আমি যেমন চলেছি আমার বাচ্চাটি ঠিক সে ভাবে সব করবে। কিন্তু বড়রা ভুলে যান তিনি যে পরিবেশে থেকে যা করেছেন এবং যে পরিবেশে রেখে তার বাচ্চাকে দিয়ে নিজের মতন চলার আচরণ করাতে চাচ্ছেন তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। যে যে পরিবেশে বড় হয় সেটাই তার বড় হওয়ার বেড়ে উঠার স্মৃতি।
অনেকে যেমন নানা বাড়ি দাদা বাড়ি বা নিজ গ্রামে না থেকে, বড় হয়েছেন ভিন্ন শহরে বাবার কাজের সূত্রে। বন্ধু শৈশব স্মৃতি সে সব জায়গাই তার প্রিয়, নিজ গ্রামের চেয়ে। অথচ কোন অদ্ভুত কারণে বড়রা এসব বিষয় ভুলে যান ছোটদের শিক্ষা দেওয়ার সময়।
বাচ্চাদের ভিন্ন দেশে বড় হওয়ার সুযোগ দেয়াটা আপনার সিদ্ধান্ত, বাচ্চার না। তাই তার শৈশবটা তার মতন করে গড়তে দিন নিজের মতন হবে এটা না ভেবে । আপনার ভালোবাসার বিষয় গুলো যার অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে চান তাকে ছাড়িয়ে দিন ছোট ছোট ফুল ফুটিয়ে মালা গেঁথে শিশু মনে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
দেশ থেকে দূরে থাকলে দেশ আরো বেশী বুকের মধ্যে ঢুকে যায় - সূচনাবাক্যটা চমৎকার!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ শুধু সূচনা বাক্যটি ........
বিজয় মাসের শুভেচ্ছা

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রবাসীদের দেশেরে জন্য টান সবচেয়ে বেশি।
বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে দেশে চলে আসবেন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালোবাসার মানুষ দূরে গেলে যেমন তার অভাব তীব্র হয় দেশ থেকে দূরে গেলে তেমনি দেশের শূন্যতা তীব্র ভাবে অনুভব হয়। সবটাই আসলে মানুষের অভ্যস্থতার ব্যাপার।
বিশেষ দিনে দেশে থাকলেও তেমন বিশেষ কিছু হয় না আসলে।
দু বছর আগে ছিলাম স্বাধীনতা আর নববর্ষে ভীড় ভাট্টা আর সাজুগুজু মানুষের জনসমাগম দেখলাম।
শুভেচ্ছা রইল

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: তার শৈশবটা তার মতন করে গড়তে দিন নিজের মতন হবে এটা না ভেবে । এটা সিংহভাগ অভিভাবক ই বুঝে না। জানেও না। আফসোস।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: বুঝতে পারণে ভালো হয় প্রতিটি মানুষ ভিন্ন স্বত্তা।
শুভেচ্ছা মোহেবুল্লাহ অয়ন

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ শুভেচ্ছা মোস্তফা সোহেল

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: বিমানের চাকা যখন ঢাকার মাটিতে পা ফেলে, কি যে এক আশ্চর্য অনুভূতি তৈরী হয় বুকের অভ্যন্তরে, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না সে অনুভুতি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:০৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: দেশের সাথে হৃদয়ের একটা অদভুত সম্পর্ক। প্রকাশ করা যায় না।
তবে দুঃখ হয় দেশে থেকেও যারা দেশের বিপক্ষে কাজ করে দেশের কথা ভাবে না তাদের কথা ভেবে।
শুভ কামনা নিরাপদ দেশ চাই

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ভালো লাগলো লেখাটা। দেশের প্রতি আপনার এই টান যেন সব প্রবাসীদের তরফ থেকেই।

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা জাহিদ অনিক

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাচ্চারা তাদের মা-বাবার সংস্কৃতি, ট্রেডিশনকে ভালোবাসে, সুযোগ পেলে ধরে রাখে।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: সেটাই কিন্তু অনেক অভিভাবক জোড় করে হিতে বীপরিত করে ফেলেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.