নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের প্রয়োজনে বদল

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৮

অনেকদিন যাবত উন্নত বিশ্বের মানুষের জীবন যাপন দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। প্রথম অবস্থায় আমার কাছেও মনে হতো এদের সব আছে শুধু আবেগটা খুব কম। কিন্তু বাস্তবতা আবেগকে বেঁধে ফেলার যে মানসিকতা তারা তৈরি করতে পারছে। সেটা বরঞ্চ ভালো হয়েছে পারিবারিক সম্পর্কের জন্য।
আমাদের দেশে আগে যৌথ পরিবার ছিল অথচ এখন অনেক পরিবার মিলে মিশে থাকত সমস্যা তেমন ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বাস্তবতার জন্য পরিবার গুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এক সদস্য অন্য শহরে, তো আরেক সদস্য বিদেশে। আট দশজন ছেলে মেয়ের পিতা মাতা একা শেষ পর্যন্ত নিজ বাড়িতে। অথবা ঘুরে ফিরে এক এক সন্তানের কাছে কোন বাড়িতে মা বাবার জন্য নিদৃষ্ট কোন ঘর নেই। যেখানে তারা স্বস্থি নিয়ে নিজের মতন বাস করতে পারেন।
হয় তো বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু পরিবার মাবাবার যোগ্য মর্যাদা দিয়ে রাখেন।
আমাদের দেশে মা বাবার আবেগ অত্যন্ত বেশী । সন্তানের জন্য নিজের শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত দিয়ে দিতে পারেন। নিজের জন্য কিছুই না রেখে সন্তানদের সব তুলে দেন। কিন্তু অন্য পক্ষে সন্তান অতটা উদার হতে পারেন না।
সমস্যা মূলত অর্থনৈতিক। তার চেয়ে বড় বাজে মানসিকতা। যে সব পরিবারে একা কুক্ষিগত করার চিন্তা নাই তারা ভালো আছেন।
তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অন্যের অংশ মেরে দেয়ার প্রবনতা।

সময় এসেছে আমাদের দেশের মানুষের মানসিকতা পরিবর্তনের। ছেলে মেয়ের মুখাপেক্ষি না থেকে নিজের বাড়িতে রাজার মতন থাকার জন্য মানসিকতা তৈরি করতে হবে। শক্ত হতে হবে মানসিক ভাবে বাচ্চাদের বাবা মায়ের উপর নির্ভরশীল না রেখে তাদের মতন সয়ংসম্পন্ন হতে দেওয়ার। একটা বয়স পর্যন্ত সন্তানকে দেখাশোনা করবে বাবা মা এবং একটা বয়সের পরে ছেলে মেয়ে অভিভাবককে দেখাশোনা করবে এই ধারনাটা পরিবর্তন করে সমাজে সংস্কার আনতেই হবে। যত কাছের সম্পর্কই হোক সম্পর্কের মধ্যে একটা পর্যায়ের দূরত্ব রাখা দরকার। তা সবার জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে।
সন্তানের সংসারে বাবা মার ঢুকে যাওয়া যেমন কাম্য নয় ছেলে মেয়েরও বাবা মায়ের উপর নির্ভর না করে একটা বয়সের পর থেকে নিজের মতন সয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। বাবা মা সন্তানের মধ্যেও অবিচ্ছদ্দ যে সম্পর্ক তাকে মধুময় করতে একটু দূরত্ব রাখাই বাঞ্চনিয়। নানা প্রয়োজনেই সবাই নিজের জীবন নিজের মতন যাপন করতে পছন্দ করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি মানুষের বোঝা বয়ে নিজের জীবনটা বুঝতে পারার সুযোগ অনেকে পায় না।
বিদেশে অনেক পরিবারের সন্তান বাবা মার বিপুল সম্পদের তোয়াক্কা না করে নিজের মতন জীবন যাপন করতে পারে। বাংলাদেশে তেমনটা দেখা যায় না।
মানুষ আসলে আট নয় বছর বয়সের পরেই আমি হয়ে উঠে। তখন থেকে স্বনির্ভর হওয়ার সবরকম শিক্ষা তাদের দেয়া দরকার। প্রতিদিন নিজের কাপড় জুতা জামা বিছানা ঘর পরিচ্ছন্ন গুছিয়ে রাখা থেকে, খাবার তৈরি করে খাওয়ার শিক্ষা ছেলে হোক, মেয়ে হোক সবাইকে এক ভাবেই শিখানো দরকার পড়ালেখার পাশাপাশি। জীবন যাপনের প্রতিটি স্তরে বাচ্চা যেন সয়ংসম্পূর্ণ হয় সেটাই শিক্ষা দেওয়াই আসল শিক্ষা।
আমাদের দেশের মানুষ যারা অনেককাল বিদেশে আছেন তারা অনেকে স্বয়ংসম্পর্ন জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়েছেন। তারপরও পুরুষ বাইরের কাজে যতটা পারদর্শি তাতটা নন গৃহকর্মে নিপুন। নিজের সব কিছু গুছিয়ে চলার বেলায়। এ ব্যাপারে নারী অনেক বেশী পারদর্শি সয়ংসম্পূর্ন। একা হয়েও তাই নারীরা ভেঙ্গে পড়েন না। কিন্তু পুরুষরা একা হলে অগোছাল এলোমেলো হয়ে পরেন। সবচেয়ে প্রথম অসুবিধা হয় তাদের খাবার খাওয়া থেকে। তৈরি করতে পারেন না কিছু যেহেতু সারা জীবন মায়ের পর স্ত্রীর উপর নির্ভরশীল থেকেছেন। অথচ শিশু বয়স থেকে যদি শিক্ষাটা হয়ে যায় তবে যে কোন অবস্থায় নিজের খাবার তৈরি করা থেকে প্রয়োজনে অন্যকেও সেবা করতে পারেন তারা।
বিদেশে আসা ইয়াং ছেলেরা বা দেশে বাড়ি ছেড়ে হোস্টেলে আসা ছেলেটির সবচেয়ে বড় কষ্ট হয় খাবারের জন্য। অথচ তারা যদি বাড়িতে ছোট বেলা থেকে রান্না শিখে অভ্যস্থ হতো তবে মেয়েদের মতন তারাও নিজের খাবার নিজেরা তৈরি করে নিতে পারত। যারা বিদেশে একা থেকে কিছুটা শিখে যায় বিয়ের পর তাদের রান্না বান্না লাটে উঠে বউয়ের উপর নির্ভর করে।
এটা সম্পূর্ণ মানসিকতার ব্যপার। আমাদের সংস্কৃতিতে ছেলেদের বড় করা হয় গৃহকর্ম বিমুখ করে পর নির্ভর করে। এটা তাদের ক্ষতি, সাথে একটা পুরো জাতির ক্ষতি। শুধু রান্না খাওয়ার জন্য স্ত্রীর উপর নির্ভর না করে সুখে পাশে থাকার মানুষ হিসাবে ভাবার মানসিক বিকাশ হবে না, যতদিন পুরুষ বিয়ে করেছে বউ রান্না করে খাওয়াবে বলে এই ভাবনার বাইরে চিন্তা করা না শিখবে। পুরুষ আয় করবে আর নারী রান্না করে ঘর সামলাবে এ ধারনা ভুলে দুজনে মিলে সব কিছু করতে হবে। দুজনে পাশাপাশি সব কাজ সব ভালোলাগা ভাগ বন্টন করার চিন্তা মননে এলেই সুন্দর পরিবার হবে।
মেয়েরা কিন্তু শুরু করে দিয়েছে তারা বাইরে যেমন ভালো কাজ করে আয় করছে তেমন সংসার সামলিয়ে চলতে পারে । পুরুষরা পিছিয়ে পরছে নিজেদের মানসিকতার করনে।
আমাদের বাঙালি মানসিকতায় বিদেশের মানুষ সম্পর্কে ধারনা, কোন দম্পত্তি এক সাথে অনেকদিন সংসার করে না, জীবন কাটায় না। এ ধারনা অনেক কাল আগে থেকে আমার নেই। তবে আরো দৃঢ় হলো কাছে থেকে এক সাথে থাকা অনেক বিদেশি দম্পতিকে দেখে। অনেককে দেখেছি মধুর সম্পর্কে জড়িত আজীবন।
ভালোবাসা পৃথিবী জুড়ে অনেক মানুষের মাঝে আছে যা আমাদের ধারনার বাইরে। কাজেই অনুরোধ থাকবে, প্রকৃত ভাবে না জেনে মানুষ সম্পর্কে ধারনা করবেন না। উল্টাপাল্টা যা খুশি মতবাদ ছড়াবেন না।
পশ্চিমা দেশে অনেক মানুষ কাছাকাছি পাশাপাশি অনেককাল যাবত সুখি সুন্দর বিবাহিত জীবন যাপন আগেও করেছে ,এখনও করছে । আবার বাংলাদেশের মানুষের মাঝেই যত ভালোবাসা বিরাজ করে এমন ধারনা সবটাই ভুল।
আবার বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ডির্ভোসের সংখ্যা আশংকা জনক ভাবে বেড়ে গেছে এ নিয়েও অনেক হাহুতাস করছেন, বর্তমান সময়ে। এ সংখ্যা পরিবর্তন করে কমিয়ে আনতে হলে । পারিবারিক এবং পুরুষ হিসাবে বড় হয়ে উঠার সাথে জীবন যাপনের চিন্তা চেতনার বিস্তর মানসিক ভাবনার পরিবর্তন করে মানুষ হিসাবে সব কাজ সমান ভাবে করার চিন্তা চেতনা বিকাশ করতে হবে। বউকে ভালোবাসতে হবে সঙ্গী হিসাবে। ভাগ করে নিতে হবে সব কাজ এক রকম।
মেয়েরা মানিয়ে নিয়ে নিজের মতন জীবন যাপন করতে পারে অনায়াসে। ছেলেদের জন্য অনেক কঠিন কাজ এটা। তাই ছেলেদের মানসিকতা পরিবর্তন করে সব শিখে বড় হওয়ার জন্য পরিবারগুলোর মানসিকতা পরিবর্তন খুব জরুরী।
অনেকের ভালোলাগবে না এমন তীতা সত্যি কথা। যদিও জীবন যাপনে নানা সমস্যার সম্মুখিন তারা হচ্ছেন প্রতি নিয়ত। কিন্তু বাস্তবে মুখে অন্যের কাছে স্বীকার করবেন না।
এটা আমাদের দেশের মানুষের এক ধরনের বৈশিষ্ট। ভাব দেখিয়ে সত্যকে না মানা। তবে যারা মেনে নিচ্ছেন, তারাই ভালো আছেন।







মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের অর্থনীতি এখনো অনেক কিছু সঠিকভাবে করতে দিচ্ছে না।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রতিটি মানুষ নিজের মতন অর্থনীতি বদল করছে জীবনের প্রয়োজনে। কিন্তু ঘুনেধরা কিছু চিন্তা চেতনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। ধর্ম এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার দোহাই জড়িয়ে

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বিদেশের সাথে আমাদের ভালবসার পরিমাপটা বেশ কঠিন।। আবেগটা হয়তো আমারই মত।। কিন্তু ভালবাসাটা কাঁদামাটি আর ইট-পাথরের বেড়াজলের পার্থক্যে।।
ডিভোর্সও কিন্তু এটাই সমর্থন করছে।। বেশী না মাত্র স্বাধীনতার পরের কথাই ভেবে দেখুন।।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমার মনে হয় পার্থক্যে তেমন নেই কিন্তু আমাদের ভাবনাটা বড় করে দেয় অনেক কিছু বায়বিয় একটা ব্যাপার আমরা জোড় করে ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
স্বাধীনতার পরেই বিশাল একটা পরিবর্তন এসেছে সব কিছুতে

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, ভাল একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । একথা সত্য যে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরিবার হচ্ছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। সভ্যতা নির্মাণে পরিবারের অবদানই সবচেয়ে বেশি। মাতৃগর্ভে জন্ম নিলেই একটি শিশু মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠে না। মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য তাকে মূল প্রশিক্ষণ দেয় তার পরিবার। কাজেই একটি সভ্যতা নির্মাণের জন্য পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্যে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন এ প্রতিষ্ঠানটি আজ বিপর্যয়ের মুখে। পরিবারই যে মানবজাতির শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়,সে কথাটি যেন প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের সরকার ও নীতিনির্ধারকরা ভুলতেই বসেছেন। পরিবার যে উচ্চতর এক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গড়ে ওঠে,তারা পরোক্ষভাবে তা অস্বীকার করছেন। আসলে সুস্থ ও সমৃদ্ধ পরিবার একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ ও সভ্যতার জন্ম দেয়। অপরদিকে, পারিবারিক বিপর্যয় সভ্যতা ধ্বংসের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে পারে। পারিবারিক বিপর্যয় রোধে সামাজিক ও আর্থিক ব্যবস্থাচনায় প্রয়োজনীয় পুর্ণগঠন আনতে হবে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: নির্দ্বিধায় পরিবার মূলভিত্তি মানুষের জীবন পথ চলার নির্দেশিকা।
প্রতিটি পরিবার থেকে তাই ভিন্ন চোখের মানুষ বাহির হয়।
উন্নত বিশ্বের স্কুলগুলোতে। বিভিন্ন ব্রাণ্ডের বাচ্চাগুলোর ব্লেন্ড করে এক ধরনের নীতি নৈতিকতা আচরণের খোলস পরিয়ে দেয়া হয়। একটা পর্যায়ে দেখা যায় এরা অনেক বিষয়ে একই রকম আচরণ করে।
বর্তমান সময়ে এই ধারাটা আবার পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবারকে বেশী গুরুত্ব দেয়ার জন্য। সুক্ষভাবে আমি অনুভব করছি।
আর আমাদের দেশে স্কুলের যে একটা নিয়ম নীতি ছিল দিন দিন তা হারিয়ে যাচ্ছে।
সবাই নিজের মতন হয়ে বড় হচ্ছে।
অনেক অনেক গ্যাপ সব কিছু জগাখিচুরি বানিয়ে দিচ্ছে মনে হয়।
কিছু সঠিক নীতি নির্ধারন জরুরী ।
শুভেচ্ছা রইল

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আপা খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন।
আপনার লেখার সাথে আমি সহমত।
তবে আপনারা যারা উন্নত দেশে থাকেন- তাদের দেশের প্রতি একটা দায়িত্ব আছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর।
আমি সাধারন কিছু ধারনা যা আমার কাছে ভালো লেগেছে তাই সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম। ধারন করা না করা প্রত্যেকের নিজের ব্যপার।

বিশাল মানুষের বোঝার একটা অংশ হালকা হয়ে আছে দেশে অনেকে না থাকার জন্য। এছাড়া তারা নানারকম উন্নত ধারনা এবং রেমিটেন্সের সাহায্য দিয়ে কিছুটা দায়িত্ব দেশের জন্য পালন করে যাচ্ছেন।
কিন্তু একজন শ্রমিক থেকে বুদ্ধিজীবী যিনি দেশে আছেন দেশ তার জন্য কতটা দায়িত্ব পালন করে।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা আপু।

আসলেই সময় এসেছে মানষিকতা পরিবর্তনের।

আমাদের দেশের প্যারেন্টসরা ছেলে মেয়ে করে করে জীবন উৎসর্গ করে। একটা সময় এক্সপেকটেশনের সাথে যখনই মিলেনা তখনই হা হুতাশ বাড়ে। এক্সপেকটেশন কমাতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চর্চা শেখাতে হবে। খাঁটি কথা আপু। আর মেয়েরা একা চলতে পারেনা এ ধারনাও বদলাতে হবে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা
পরিবর্তনটা ঘটছে সবাই এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু মুখে স্বীকার করতে এখনও অনিহা। বাস্তবতার খাতিরে মেনে নিতেই হবে।
নারীরা অসহায় নয় আসলে তাদের মানসিক ভাবে পঙ্গু করে রাখা হয়। নিম্নুবত্তের অনেক নারী যাদের স্বামী ছেড়ে চলে যায়। অথবা পরিবারে অর্থকড়ি দেয় না। সে সব সংসারে নারী কিন্তু খুব ভালো ভাবে নিজের আয়ে জীবন যাপন করে সন্তান মানুষ করে। এখনও শুধু তারা নিজের শেষ সঞ্চয়টুকু রাখা শিখে নাই। মায়ার কারণে। তাদের এটুকু মানসিক ষক্তি যোগান দরকার।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

নাদিয়া হাসান বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে প্রকৃত পক্ষে আমার মনের কথা বলেছেন। বিদেশে এসে পড়াশুনা করতে গিয়ে আমরা ও অনেক ভুল ভেঙেছে। যেটা আমি লক্ষ করেছি সেটা হলো এই বিদেশীরা অনেক সৎ এবং কথার বর খেলাপ করে না। সাহায্য করার জন্য কোন রকম চালাকি করে না। অনেক পরিশ্রমী এরা। অনেক কিছু শিখেছি এদের কাছ থেকে!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ নাদিয়া হাসান।
না জেনে বড় বড় কথা বলা আর অহংকারী হওয়া মনে হয় বাঙ্গালিদের এক ধরনের ম্যানিয়া।
বিদেশে যাওয়ার জন্য লাইন অথচ দেখবেন বিদেশে থাকা মানুষদের ছিঁড়ে ফেলছে মুখে।
তবে আরেক ধরনের মানুষ আছে বিদেশে থাকবে সব সুযোগ সুবিধা নিবে কিন্তু ভুলেও প্রশংসা করবে না। নিজে চেষ্টা করে বিদেশে এসেছে অথচ ভাব নিয়ে থাকবে যেন তাদের জোড় করে আনা হয়েছে।
সত্যি কত রকমের চিরিয়া যে দেখতে হয়।
এরা অনেক বেশী সৎ নির্দ্বিধায়।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: বাহ্‌! কি সুন্দর করে ভেবেছেন!! দারুন!

কিন্তু, আপামনি! জীবনের সমীকরণ কি এত সহজ নিয়ম মেনে চলে, সবসময়?

ধরে নিলাম, এক দম্পতি আপনার কথামত তাদের সন্তানদের খুব সুন্দরভাবে মানুষ করে নিজের পায়ে দাড় করিয়ে নিজেরাও আলাদা হয়ে সয়ংসম্পূর্ণভাবে চলতে লাগলেন। কেউ কারোর উপর বোঝা হয়ে রইলেন না। শুধু, স্বামী-স্ত্রী নিজেদের দায়িত্ব ভাগা-ভাগি করে একে অন্যের পরিপূরক হয়ে একটা সুন্দর বুঝা-পড়ার মধ্যদিয়ে চলতে লাগলেন।

নাটকের এই অংক এই দৃশ্যপর্যন্ত ঠিকই ছিল, কোন সমস্যা নেই। কিন্তু, গ্যারান্টি কি যে তারা একসাথেই জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্তও কাটাবেন, একজন আরেকজনকে ছেড়ে যাবেন না? হতে পারে মৃত্যু তাদের আলাদা করে দিল? বা তাদের বনিবনা কতদিন পর্যন্ত টিকবে তারই বা নিশ্চয়তা কতটুকু?

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, বনিবনায় কোন সমস্যা হল না যেহেতু বয়স একটা ফ্যাক্টর!!:) কিন্তু, মৃত্যু একজনকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল অন্যজনকে রেখে। তখন কি করে একা চলা যায় সয়ংসম্পূর্ণভাবে, কারো সহযোগীতা, সহমর্মীতা ছাড়া? গেলেও কতদিন পর্যন্ত?

তাও না হয় ধরলাম সমস্যা হল না কারন, দম্পতিটি সচেতন ছিলেন, আর্থিকভাবেও সচ্ছল। টাকা দিয়ে লোক রেখে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন কিন্তু, কোন ছেলে-বৌয়ের বা মেয়ে-জামাইয়ের ঘাড়ে বোঝা হলেন না। কিন্তু, ধরুন হঠাৎ করে অসুখে পড়লেন তিনি, এমনই অসুখ যে চলৎ শক্তি হরিয়ে ফেললেন, যেমন স্ট্রোক করে একপাশ পড়ে গেল এবং বাকশক্তিও হারিয়ে ফেললেন, তখন?

বলবেন যে, তখন তো মানবিকতার খাতিরেই করা উচিৎ, এমন হলে পড়শিরাও কিছু করত, আর আপন সন্তান তো সন্তান!!!

তাহলে, কি হল? সেই তো বোঝাই হল মৃত্যু পর্যন্ত, তাই নয় কি?

সুতরাং, এরকম স্বাধীন চিন্তাও সমস্যা আছে, তা না হলে একের প্রতি অন্যের কর্তব্য বর্তাত না। এক্ষেত্রে, পরিবারতন্ত্রই পারে এর সমাধান দিতে। কারন, আপনি যে ছেলেকে আজ বিয়ে দিচ্ছেন যে মেয়েটির সাথে, সে মেয়েটিও যদি পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী হয় তাহলে, বাবা-মা বা শ্বশুর-শাশুড়িকে উটকো ঝামেলা মনে না করে তাদের প্রতি তাদের দায়ীত্ব-কর্তব্য কে আমানত হিসেবেই দেখবে যা পরিবারতন্ত্রের একটা সুফল যা চলতে থাকবে পরিবার থেকে পরিবারে, জন্ম-জন্মান্তরে। আলি ভাই যেমনটি বলেছেন -

"একটি সভ্যতা নির্মাণের জন্য পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম।"

তবে, আপনার বাকী কথাগুলোর সাথে দারুন ভাবে সহমত।

ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ বিশাল বিস্তৃত মন্তব্যের জন্য।
জীবন কোন অংক নয় যে ফলাফল মিলাবেন।
প্রতিটি মানুষের জীবন নিজস্ব নিয়মে চলে। শেষ পর্যন্ত বহু মানুষ একাই এই পৃথিবীতে জীবন যাপন করছে। উন্নত বিশ্বে নিয়মগুলো এমন যে হাসপাতালে আত্মিয় বন্ধু কারো পাশে না থাকলেও চলে।
চারপাশে অনেক মানুষের উপর নির্ভর করা আমাদের দেশের মানসিকতায় এখনও দারুণ ভাবে প্রচলিত। তবে অনেক মানুষ কতটা একা এই সংস্কৃতির ভিতরও খোঁজ করে দেখুন।
আমার বক্তব্য মানুষের নিজের মতন চলার সয়ংসম্পন্য থাকার মানসিকতা গড়া জরুরী।
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি।
প্রতিদিন কতটা সময় বাবা মার সাথে কাটানোর জন্য বরাদ্দ আপনার?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.