নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাব্বিশে মার্চ ১৯৭১

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:২৫

আমরা ঘুমিয়েছিলাম। যেমন ঘুমিয়ে থাকি প্রতি রাতে। সকালটা শুরু হয়ে ছিল একই রকম। কিন্তু একটু বেলা বাড়তে অস্বস্থি শুরু হলো বড়দের মাঝে। রেডিও সকাল থেকে বাজছে না। কোন কথা নেই, সাড়া শব্দ নেই। নতুন কেনা ট্রেন্জিস্টারটা নব ঘুরিয়ে কোন শব্দ না পেয়ে থাপ্পর মেরে ঠিক করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন মা ক্রমাগত। ঢাকা স্টেশন কিছুতেই ধরছে না।
ব্যাটারি কি শেষ হলো? এমন চিন্তা মাথায় আসলেও মানতে ইচ্ছে হচ্ছিল না মায়ের। ব্যাটারি নতুনই আছে। সকালের নাস্তা, কাজের ফাঁকে, ঘুরে ঘুরেই একটু পর পর চেষ্ট করছিলেন কিছু শোনার, রেডিও থেকে। এই থমথমে নিঃশব্দ সময় বড় বেশি দম বন্ধ করে দিচ্ছে যেন। যখন রেডিও কাজ করছে না বাজছে না তখন তাকে বাজানো খুব জরুরী হয়ে উঠেছে।
কিছু একটা খবর জানা দরকার। গলা উঁচু করে যে পাশের বাড়ির বা রাস্তার কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন তেমন অবস্থা নেই।
চারপাশের সব প্রতিবেশীরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন, একে একে সবাই ইন্ডিয়ার পথে। কে কোথায় যাচ্ছে, কত দিনের জন্য যাচ্ছে কিছু জানা নেই।
শুধু গুমট একটা অবস্থা আভাস দিচ্ছে যেন বিশাল ঝড় উঠবে। ভয়াবহ কিছু হবে। মানুষ সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু অজানা আশংকাকে কেন্দ্র করে, কতটা সতর্ক মানুষ হতে পারে। কি হতে পারে তেমন কোন ধারনা নেই। অথচ সবার মনে একটা কিছু ঘটবে এমন আশংকা, ভয় শুধু ঘিরে আছে, দেশের অবস্থা ভালো না। কিছু একটা হবে।
শহর ছেড়ে সবাই চলে যাচ্ছে। কিছু কাপড়, কিছু জরুরী জিনিস পুটলি বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছেন সবাই। ঘরের কাপড় পরে, যে যেমন ছিলেন। এ যাওয় তেমন নয়, আমরা যখন মামা বাড়ি বেড়াতে যেতাম কত আয়োজন, নতুন জামা বানানো। পিঠাপুলি, খাবারদাবারের বাক্স, টিফিন কেরিয়ার। স্যুটকেস, ট্রাংক, বেডিংয়ের ছড়াছড়ি থাকত সাথে। উৎসব উৎসব ভাব থাকত। তেমন নয় সবাই চলে যাচ্ছে অজানা আতংকে। নিজের ঘর বাড়ি ছেড়ে। পুরো পাড়া জনমানব হীন। শুধু আমরা তিন ঘর মানুষ তখনও যার যার বাড়িতে আছি।
এতদিন যে রাস্তায় এত মানুষ ছিল, মিছিল প্রতিবাদ শ্লোগান তারা সবাই কোথায় চলে গেছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন চলছে না, চলছে এক ধরনের অস্থিরতা।

মায়ের রেডিও ধরার চেষ্টা আর খবর জানার উসখুশ কাজের মধ্যে আব্বা এসে মাকে পাশের ঘরে নিয়ে গেলেন ফিসফিস করে কিছু বলছেন। পর্দার আড়ালের কথাবার্তা আমার কানে চলে আসল।
আমি পড়ার টেবিলে বসে আছি। পড়ছি না। পড়াশোনা নেই। অনেক দিন ধরে স্কুল বন্ধ।
সাত মার্চ, শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর থেকে স্কুলে আর যাওয়া হয় না। শেখ মুজিব বলেছেন সব বন্ধ অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল সরকারি অফিস, সচিবালয়, হাইকোর্ট ও অন্যান্য আদালত, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, পিআইএ, রেলওয়ে এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, সব কিছু বন্ধ।
দেশে সবাই উনার কথা মতন চলছে। ইয়াহিয়াকে পাত্তা দিচ্ছে না কেউ। লাঠি হাতে বিক্ষোভ মিছিল করে মানুষ আর চিৎকার করে শ্লোগান দেয়। খুব ভালোলাগে দেখতে। মাঝে মাঝে রাতে লাঠিতে আগুন দিয়ে মিছিল করে মানুষ। খুব ভালোলাগত এই মিছিল দেখতে। শ্লোগান শুনতে। আমাদের বাড়িতে নতুন একটি পতাকা উড়ছে পতপত করে প্রতিদিন। সন্ধ্যাবেলা নামানো হয় না রাতদিন সবুজের মধ্যে লাল সূর্য তার ভিতরে বাংলাদেশের মানচিত্র সোনালী রঙের এই পতাকা উড়ে। এটা বাংলাদেশের পতাকা। আমরা এখন বাংলাদেশের মানুষ। শেখ মুজিবর রহমান আমাদের নেতা। তিনি আমাদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা দিবেন। সুন্দর একটি দেশ গড়বেন। সবার মাঝে কেমন খুশি খুশি একটা ভাব। বাড়িতে যারা আসেন সবাই মিলে এইসব দেশের কথাবার্তাই বলেন এখন। আগের মতন সাধারন গল্পগুজব হয় না।
মাঝে মাঝেই শুনছি বড়রা উত্তেজিত হয়ে কথা বলছেন। শেখ মুজিব জিতেছেন উনি এখন এদেশের শাসক হবেন। কিন্তু ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে কথা বলা চলছে। ইয়াহিয়া,ভুট্টো এসেছে, দীর্ঘ কথা মিটিং কয়েক দিন ধরে শেষ হচ্ছে না। কেউ বলছেন উনার আর মিটিং করার দরকার নাই। উনার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করছে না কেন? কেউ বলছেন,পাকিস্থানিরা বাঙালির কাছে ক্ষমতা দিয়ে শাসিত হতে চায় না। তাই এই সব ভন্ডামি করছে, মিটিংয়ের নামে। কেউ বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে সব মিটমাট হয়ে যাবে। এই সব টুকরো কথা কানে আসে। নতুন কিছু যা বুঝি না সে বয়সে তেমন। নতুন নতুন শব্দ শুনছি, যার অর্থ বুঝি না।
সব কথা সব আলোচনা বুঝতে পারি না। তবে সবাই কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত বুঝতে পারি। সন্ধ্যায় পাড়ার অনেকে আসতেন। কিন্তু কিছুদিন হলো সবাই শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আমরা একা হয়ে গেছি। এত নির্জনতা কখনো দেখিনি।
সাত মার্চের ভাষন বিকালে শুনতে বসে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে রেডিও থেমে গিয়েছিল। ভাষণ আর শোনা যায়নি। আট মার্চ সকালে যখন আমি দিদির (প্রাইভেট টিউটর) কাছে পড়ছিলাম। হঠাৎ রেডিওতে গমগমে শব্দে ভাষণ শোনা যেতে লাগল। পড়ানো বাদ দিয়ে দিদি, কান পেতে আছেন। শেখ মুজিবর রহমান কি বলছেন তা শোনার জন্য। এত সুন্দর কথা সেই রোদেলা সকাল সেই সময় সেই উত্তাল শব্দমালা থেমে আছে স্মৃতির ভাণ্ডারে একই রকম।
একজন মানুষ কথা বলছেন, পিছনে অনেক অনেক মানুষের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। যারা সায় দিচ্ছেন কথার। যেন গমগম করছে মাঠ। কত মানুষ ভাবার চেষ্টা করি। আমিও কান পেতে শুনছি। কেউ কোন কথা বলছেন না। বাড়িতে মনে হয় কোন মানুষ নেই।
যতক্ষণ ভাষণ হলো সবাই চুপচাপ।
ভাষণ শেষ হতেই মা এ ঘরে এসে দিদির সাথে কথা বলছেন, ভাষণের বিষয় নিয়ে। শুনেছো খুব ভালো বলেছেন। মা খুব উত্তেজিত সাথে উৎকণ্ঠিতও; যুদ্ধ কি তবে লেগে যাবে। ওরা কি ক্ষমতা আপষে দিবে না। আলোচনার সাথে দুঃশ্চিন্তার ছাপ পরে। শেখ মুজিব বলেছেন.আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরবে, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিবো। তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা এবং যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থেকো। রেসকোর্স ময়দান, কত্ত বড় চেখে ভাসছে। ঢাকা গেলেই বাবা সব দেখাতেন।ফুল গাছে ছাওয়া রমনাপার্ক পাশে রেসকোর্স ময়দান। হাঁটতে হাঁটতে আমার পা ব্যাথা হয়ে যেত। বলতাম রিকসা ডাকো না ঘোড়ার গাড়ি চড়ব। বাবা কোলে তুলে নিতেন। বলতেন, ভিতরে তো হাঁটতে হবে বাবা। এখানে রিকাসা ঘোড়া গাড়ি আসবে না। সেই রেসকোর্স ময়দানে কত মানুষ এসেছে ভাবার চেষ্টা করি। ভাষণ আমি আগে কখনো শুনিনি। মনযোগ দেইনি। কিন্তু রেডিও থেকে শোনা কিছু কথা কেমন মাথায় হৃদয়ে গেঁথে গেল।
সেদিন হঠাৎ করে দিদির পড়ানো শেষ হয়ে গেল আমাকে। আর তারপর থেকে সব কেমন বদলে গেল। স্কুল বন্ধ সুযোগ পেলেই আমরা মিছিল মিছিল খেলি। ভোট ভোট খেলি।সকালে পড়াতে দিদি আর আসেন না। দিদিরা বাড়ি ছেড়ে ইণ্ডিয়া চলে গেছেন। অথচ এ বছর আমি পড়ালেখায় খুব মনযোগী হয়েছিলাম শুরু থেকে।
পাশের ঘরে বাবার ফিসফিস করে বলা কথা, সবই আমি শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না তেমন। কেউ একজন এসে জানিয়েছে, ওয়্যারলেসে খবর এসেছে থানায়। ঢাকায় মানুষ মেরে শেষ করে ফেলেছে, পাকিস্থানি আর্মিরা। ঢাকায় আর মানুষ নাই শুধু মিলিটারি। পাকিস্থানী আর্মি ট্রাকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঢাকার রাস্তায়। টেংক নিয়ে ঘুরছে শহরের রাস্তায়।ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ। বাড়ি ঘরে আগুন জ্বলছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সব মরা মানুষকে বুড়িগঙ্গার পানিতে ফেলে দিচ্ছে।
মা বাবা আতংকিত কথা বলছে। কি শলা পরামর্শ করছেন, বুঝতে পারছি না। কিন্তু সর্বনাশা কিছু হয়েছে এটা আঁচ করতে পারছিলাম।
একটু পরে বাবা মা দুজনে বেড়িয়ে বাসার সামনে চলে গেলেন। এতদিন ধরে উড়ানো পতাকাটা নামিয়ে নিলেন। বাবা খুব যত্ন করে ভাঁজ করলেন পতাকাটা। তারপর কোথাও লুকিয়ে রাখলেন।
এ সময় সেজ ফুপাসাহেব আসলেন, । তিনিও ভয় পাওয়া মানুষের মতন প্রশ্ন করলেন বাবাকে, ভাইসাব কি হবে, কি করব বলে চুপচাপ বসে আছেন। কুষ্টিয়া থেকে বড় ছেলে আর ছোট ছেলে কে নিয়ে তিনি কয়েকদিন আগে ভাইয়ের অসুখের খবর জেনে এসেছেন উনাদের গ্রামের বাড়ি, সেখান থেকে শ্বশুর বাড়িতে এসেছেন। এখন আমাদের পুরান বাড়ি, আমার দাদার বাড়িতে চাচাদের সাথে আছেন। কুষ্টিয়ায় সুগারমিলে উনার চাকরি। ফুপু তিন মেয়ে আর মেঝ ছেলেসহ একা। তাদের চিন্তায় তিনি অস্থির । যদি যুদ্ধ লেগে যায় তারা একা একা কি করবে উনার পরিবার। যোগাযোগ বন্ধ , কার্ফিউ চলছে এত দূর থেকে তিনি কি ভাবে ফিরবেন কুষ্টিয়া। টেলিফোন, টেলিগ্রাম করার ব্যবস্থা সহজ ছিল না। আর এই সময় তো সব বন্ধ পরিবারের খবর কেমনে নিবেন ভেবে উদ্বিগ্ন।
সবাই বসে আছেন। কি বলার, কি করার বুঝতে না পেরে। শলা পরামর্শের শব্দ নাই। চা নাস্তা আপ্যায়ন ভুলে গেছেন। ভুলে গেছেন পান খেতেও যেন।
আতংকিত একটা দিন। এমন আতংক নিয়ে বড়রাও ভেবে পাচ্ছেন না কি করবেন। স্বাভাবিকতা হারানো অস্থিরতা শুধু কাজ করছে বড়দের সবার ভিতর।
আমরা ছোটরা নিরবে ঘুরাফেরা করছি। হৈ চৈ করে ঝামেলা করা যাবে না আজ এটা বুঝতে পারছি। চারপাশের পরিবেশ আমাদের উপরও প্রভাব ফেলছে।






মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেই সময়ের আশা, নিরাশা, অস্হিরতা, ভয়, নৃশংসতা সবই সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনি সেই সময়ের মানুষ আপনি বুঝতে পারবেন। অনেক কিছু এখনের ভাবনায় ঢুকিয়ে দিতে পারি লেখায় কিন্তু আমি ঠিক সেই সময়টাকে ধারন করারই চেষ্টা করছি। যতটুকু মনে করতে পারছি।
শুভেচ্ছা রইল একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা।
আমাদের বাসা ছিল তখন রাজারবাগের কাছে।
বোমা আর গুলির শব্দ সাথে আগুন জ্বলছিল।
পুরো এলাকা অন্ধকার। চারিদিকে ধোয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছিলো না।
প্রতিটা পরিবার আলো বন্ধ করে খাটের নিচে বসে ছিল।
এই সমস্ত কথা মা খালার মুখে শুনেছি।

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: শোন বিষয়টা হৃদয়ে ধারন যারা করতে পেরেছে তারা কখনো দেশের বিরোধীতা করতে পারে না। এই বিশ্বাসটা তৈরি করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু আমাদের দেশে বিজয় এলেও স্বাধীনতা দেশের প্রতি প্রবল ভালোবাসার মনোভাব তৈরি হওয়ায় নানা ভাবে ব্যাহত হয়েই যাচ্ছে।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আছে অনেক অজানা জানার

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: সাত কোটি মানুষের গল্প ভিন্ন রকম হবে। কারো ভাবনা চিন্তা এবং সেই সময়ের প্রবাহে বয়ে যাওয়া অবস্থার সাথে অন্যজনের মিলবে না।
শুধু দুটো ভাগে মিল খুঁজতে হবে কারা স্বাধীনতার জন্য নানা ভয় অতিক্রম করে জীবন যাপন করেছিল। আর কারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল বাঙালি হয়েও স্বজাতির বিরোধীতা করে ছিল।
শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.