নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইন্ড ইওর স্পিড অবে দ্যা রুলস

২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৯

হাইওয়ে পেরুতে নানা রকম সাইন দেখতে পাই। বেশির ভাগ সাইনই সামনে রাস্তা কেমন। স্টপ করতে হবে। বা পাশে লুকানো রাস্তা আছে যেখান থেকে হঠাৎ অদেখায় গাড়ি চলে আসতে পারে। এছাড়া হরিণের সাইন দেয়া থাকে কোন কোন এলাকায়, কোথাও মুসের সাইনও থাকে। তারমানে এসব এলাকায় সাবধানে গাড়ি চালাত হবে হরিণ বা মুসের সাথে রাস্তায় দেখা হয়ে যেতে পারে। হরিণের সাথে প্রায় দেখা হয়। একবার মুসের সাথেও দেখা হয়ে ছিল। তবে ভাগ্য ভালো মুস রাস্তার মাঝ বরারবর দৌড়ায় নাই বা আমার গাড়িকে তাড়া করে আসে নাই। বরং যেদিক থেকে আসছিল সেদিকেই ফিরে চলে গেছে। মুসের সাথে ধাক্কা লেগে গেলে গাড়ি এক্সিডেন্টের সম্ভাবনা শতভাগ।
এসব সাইন ছাড়া মাঝে মধ্যে কচ্ছপের সাইন দেখেছি। এবং হেসেছি কচ্ছপ রাস্তা পার হয় নাকি? তবে কিছুদিন আগে দুবার কচ্ছপের সাথে রাস্তায় দেখা হলো। হাসাটা যে বোকামি ছিল বুঝতে পারলাম। অর্থ ব্যায় করে এ ধরনের সাইন দিয়ে রাখা হয়েছে ঘটনা ঘটে বলেই, শুধু শুধু না। এবং ভালোলাগল এত যত্নশীল প্রাণীর প্রতি এখানে মানুষ। রাস্তায় চলছো প্রাণীর দিকে খেয়াল রেখো। তাদেরও বাঁচার অধিকার আছে।
কিছুদিন আগে বাড়ির কাছেই একটা রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। সেখানে পেলাম কচ্ছপ ধীরে ধীরে চলছেন রাস্তার মাঝ বরাবর। তাকে দুচাকার মাঝে রেখে আস্তে করে পেরিয়ে এলাম যাতে তার গায়ে না লাগে সে ভাবে।
দুদিন আগে আবার যাচ্ছিলাম এক জায়গায় বেশ তাড়া ছিল। রাস্তা বেশ ফাঁকা। হঠাৎ দেখলাম সামনে থেকে আসা, একটা গাড়ি লাইট ফ্ল্যাস করে কিছু সিগন্যাল দিচ্ছে আমাকে। রাস্তায় আর কোন গাড়ি ছিল না। স্বাভাবিক ভাবে একটু সতর্ক হলাম।
একটু এগিয়ে যেতেই দেখতে পেলাম রাস্তার মাঝের হলুদ লাইন জুড়ে কিছু একটা পরে আছে যেন। সাবধানে তাকে কাটিয়ে পেরিয়ে যেতে যেতে দেখলাম বিশাল আকারের একটা সবুজ রঙের কচ্ছপ। যার বয়স শতবছর হবে। এত বড় কচ্ছপ সমুদ্রের নীচে দেখেছি ডাঙ্গায় এই প্রথম দেখলাম।
তাড়া ছিল তাই চলে এসেছিলাম দ্রুত, পরে মনে হলো থেমে এই দূর্লভ দৃশ্যটার ছবি তুলে রাখা রাখা দরকার ছিল। এখন তো সবাই সব কিছুর ছবি তুলে। আমারই শুধু সময় মতন মনে পরল না।
এমন সবুজ রঙের কচ্ছপ আগে কখনো দেখিনি।
আমার বাড়ির কচ্ছপগুলো হলুদ খয়েরি ডোরা কাটা। গ্রীষ্মের দুপুরে তারা ডাকাডাকি করে। কচ্ছপ যে শব্দ করে, ডাকাডাকি করে, আগে জানতাম না। তবে এখন কচ্ছপের ডাকাডাকি বেশ পরিচিত আমার কাছে।
এক শরতে দেখেছি পুকুরপাড়ে একটা কচ্ছপ কি ভাবে যেন উল্টে গেছে সে কিছুতেই সোজা হতে পারছে না। তাকে সোজা করে দিয়েছিলাম।
কাল যখন হাইওয়ে টেন থেকে ফোর ও ওয়ানে উঠলাম হঠাৎ সব গাড়ি ধীরে চলা শুরু করল। হাজার হাজার গাড়ির মাঝে কিভাবে যে দল ছুট হয়ে গীজটা ঢুকে পরেছে। কিন্তু প্রত্যেক চালক তাকে বাঁচিয়ে তাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে কেউ চাইছে না এতটুকু আঘাত লাগুক হাঁসটার গায়ে। সে তার পথে চলে যাক। মানুষ প্রাণীরও যত্ন নেয় রাস্তায় চলার পথে সহজে কেউ তাদের আঘাত করে না। আমিও চলে এলাম হাঁসটা পাশ কাটিয়ে ধীর লয়ে।
অথচ বাংলাদেশে একটা শিশুর জন্ম হয়ে গেলো ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তার উপরে আর সুস্থ স্বাভাবিক মায়ের পেটে থাকা শিশুটি ডান হাতটা ভাঙ্গার সাথে জন্মের সাথে হারিয়ে ফেলল পুরো পরিবার। অনাথ এতিম হয়ে এই পৃথিবীতে আসল। একজন অদক্ষ, অবিবেচক চালকের জন্য।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: ফেসবুক ওয়াচে প্রায়ই এই রকম ভিডিও চোখে পড়ে । রাস্তা দিয়ে হাঁস পার হচ্ছে, হরিণ যাচ্ছে মানুষ গাড়ি থামিয়ে তাদের নিরাপদে পার হয়ে যেতে দিচ্ছে । এই দৃশ্য আমাদের দেশে কী কল্পনা করা যায় ! এরা পারলে মানুষজনকে পর্যন্ত চাপা দিয়ে চলে যায় !

কচ্ছপ যে ডাকে আমিও জানতাম না । কোন দিন শুনি নি ।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:০৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: হ্যাঁ আগে এরকম ঘটনা আমিও ডিসকভারি চ্যানেল, ভিডিওতে দেখতাম এখন প্রত্যক্ষদর্শী করি মাঝে মধ্যে।
আমাদের দেশ ছাড়া এমন অনিয়মে গাড়ি চালানো আর কোন দেশে নাই সম্ভবত।
দেশে চালক ইচ্ছা কৃত ভাবে মানুষ চাপা দেয় যেন গাড়ির নিচে।
দেশে নতুন হওয়া কিছু হাইওয়েতে চলার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখতে চেয়েছিলাম বছর শুরুর সময় পরে ভাবলাম বছর শুরুতে দেশের বদনাম না করি।
দেখি এক সময় দিব ।
নিয়ম আছে নিয়ম পালনের মনবৃত্তি তৈরি করতে হবে দেশের মানুষের মধ্যে।

আমি মনে হয় একটা ভিডিও করেছিলাম কচ্ছপের ডাকের দিব যদি পাই ।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



নিউইয়র্কে আছেন?

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য হলে উত্তর দিতে সুবিধা হয়।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৫৭

কামাল৮০ বলেছেন: চলমান ঘটনার সুন্দর বর্ণনা।অনেক দিন পর লিখলেন।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল৮০।

নিয়মমেনে চললে আমাদের দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে পথ চলতে পারত।

নজর রেখেছিলেন বোঝা যাচ্ছে। একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে তাই ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারিছি না সব সময়।

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিন বাদে আপনাকে পেলাম। তা কেমন আছেন?
আপনার কাছ থেকেই এমন ভীন্নধর্মী কিছু যাপিত জীবনের গল্প শোনা যায়। আমার শূধু মন চায় সেখানে চলে যেতে।
বন্যপ্রাণীর প্রতি মানুষের এত ভাল্বাসা দেখে পরম মুগ্ধ হই।
আমরাও ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছি। বাচ্চারা আর এখন পাখির বাসা ভেঙ্গে ডীম চুরি করে না। গুইসাপ বেজী দেখলে তেমন করে ঢিল মারে না কেউ। গাছ লাগানোর প্রতি সবার ঝোঁক বেড়েছে।
ভাল থাকুন

২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মনে রাখার জন্য শেরজা তপন।
এমন গল্পের ঝুড়ি অনেক ভাড়ী হয়েছে মনে কিন্তু লেখার সময় পাচ্ছি না।
গ্রীষ্মকালটা এমনিতে ব্যাস্ততা বেড়ে যায়। আর দুবছরের থেমে থাকা জীবন অনেক বেশি চঞ্চল হয়েছে এবার। করোনা বাড়লেও কেউ আর ঘরে বসে থাকছে না। ব্যাস্ততা ছুটাছুটিতে কেটে যাচ্ছে সময়।
প্রাণীদেরও এই পৃথিবী কিন্তু আমরা দখল করে নিয়েছি ।
আর আমাদের দেশে মানুষ তো নিজেদের নিয়েই ব্যাস্ত বেশি পরিবারের মানুষকেও অসম্মান করে কত পরিবারে। সেখানে পশু পাখি কোন ছাড়। তবে আসলেই বদলাচ্ছে ব্যবহার। পশু পাখিদের প্রতি ভালোবাসা বাড়ছে মানুষের। সচেতন হওয়া জরুরী সবারই।
ভালো থাকবেন।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৬

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমাদের দেশ আর কানাডার নিয়ম কানুনে সামান্য তারতম্য দেখা যায়, যেমন পার্থক্য দেখা যায় mars and venus এর মধ্যে।
ভালো লিখেছেন।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: নিয়ম আসলে সব দেশেই একরকম। তবে বাংলাদেশ ছাড়া মনে হয় সব দেশের মানুষই নিয়মটা অনুকরণ করে। শুধু বাংলাদেশে নিয়ম না মানাটাকে সঠিক ভাবেন অনেকে।
ঐতিহ্যগত এমন অহংবোধের চর্চা কমলে অনেক কিছু সবার জন্য একরকম এবং সুন্দর হবে।
mars and venusএর তারতম্য সামান্য নয়। সেটুকু ঠিক করে একসমতলে উন্নত হতে পারে।
ধন্যবাদ কবিতা ক্থ্য

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,




এসব কিছুর জন্যে চাই মানবিকতা, নীতিবোধ আর শিক্ষা।
আমাদের দেশে এর সবক'টাকেই পশুত্বের চাকায় পথেই পিষে চিড়েচ্যাপ্টা করে ফেলা হয়েছে।

২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক বলেছেন আহমেদ জী এস,
আমাদের দেশে মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ নাই পশুর জন্য সমবেদনা মায়া আশা করা দূরাশা।
তবে বর্তমান প্রজন্মের কিছু অংশ মনে হয় প্রাণীকুলের প্রতি যত্নবান হচ্ছে।
আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে নীতিমালায় বেসিক ভালোবাসা সৌজন্যবোধ শেখানো খুব জরুরী মনে করি। আমাদের দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাচ্চাদের প্রতিযোগীতামূলক মনোভাবে বড় করা হয়। সহযোগীতা টিমওয়ার্ক না শিখিয়ে।
তবে গাড়ি চালকদের জন্য কঠিন নিয়ম চালু খুব জরুরী।
শুভেচ্ছা থাকল

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার জন্য গরু-ছাগল চিনলেই যেখান যথেষ্ট, সেখানে মানুষ জন চেনার দরকার কী!
যাইহোক, কচ্ছ্পটাকে দুই চাকার মাঝখানে না ফেলে বরং রাস্তা পার হবার জন্য সময় দিতে পারতেন :)

২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা মন্ত্রীর উক্তি যখন এমন তখন চালকরা তো পার পেয়ে যাবে গরু ছাগল চিনে। দেশে লাইসেন্স পাওয়ার বর্তমান খবর জেনে ভয় পেয়েছি, টাকার বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়।
কচ্ছপটা নিজের গতিপথে যাচ্ছে তার গতি পথ আমার জানা নাই তাই তাকে তার মতন যেতে দিয়েছি। আর রাস্তাটা একদম শুনসান তেমন গাড়ি চলে না। আরেকটা গাড়ি আসার আগে সে তার পথে চলে যাবে ঠিক রাস্তা পেরিয়ে।
শুভেচ্ছা ফয়সাল রকি

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর করে লেখা একটা পোস্ট। সবার ভাবনা চিন্তা মানসিকতা উন্নত হোক। একমাত্র মনুষ্যত্ব মানুষ কে পশু থেকে পৃথক করে থাকে।

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমারও এই ইচ্ছা আপনার মতন সবার মন মানসিকতা উন্নত হোক।
মানুষের মধ্যে আরো মানবিক গুণ প্রকাশ পাক।
শুভেচ্ছা মোহাম্মদ গোফরান

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৩

শায়মা বলেছেন: কচ্ছপের ডাক কেমন?
আমি তো ভেবেছিলাম তারা বোবা।
সবুজ কচ্ছপ শুধু ছবিতেই দেখেছি।
ছোট ছোট খয়েরী কালো কিনতে পাওয়া যায়। কচ্ছপের ডাক রেকর্ড করে রেখো আপু।

কিছুদিন আগে আমার এক রিলেটিভ বিশাল বড় পাইথন রাস্তা পার হচ্ছিলো সেই ভিডিও করে দেখিয়েছিলো। বাপরে আমি দেখলে তো অক্কা পেতাম।

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২১

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেকটা নাক ডাকার মতন আবার হুম হুম এমন শব্দও করে। একএক কারনে এক এক রকম শব্দ করে মনে হয়। ভিডিও করেছিলাম অনেক আগে। এরা বসন্ত শুরুর সময়টায় বেশি ডাকাডাকি করে। সঙ্গীদের ডাকে মনে হয়।
এসময় বেশ চুপচাপ। আবার আগামী বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বোবা না প্রত্যেক প্রাণীর নিজেস্ব ভাষা আছে।
থেমে ছবি উঠানো দরকার ছিল আসলে।
আসলে বিদেশে সবাই প্রাণীকে যত্ন করে নিদেন মেরে ফেলে না। সে সাপ হোক আর বিচ্ছুই হোক। গত বছর আমিও একটা সাপকে গাড়িতে নিয়ে অনেকদূর ড্রাইভ করেছিলাম। জানতাম না অবশ্য সে যে বসে আছে । মারিনি চলে যেতে দিয়েছি।




আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.