নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো শিশু দেবো বেঁধে দিয়েছি প্রাণ তোমার সৌজন্যে

সন্ধ্যাগীত

এসো শিশু দেবো বেঁধে দিয়েছি প্রাণ তোমার সৌজন্যে...........

সন্ধ্যাগীত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি এবং চড়ুই

০১ লা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

আজ সকালে একটা চড়ুই ধরা পড়েছে। ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত চড়ুইটা আবোল তাবোল বকছিল। অনেকটা স্বেচ্ছায় ধরা দেয়ার মতো। স্বেচ্ছায় তখনই ধরা দিতে হয় যখন আর কোনও উপায় থাকে না, বাধ্য। যুদ্ধে যাকে বলে সারেন্ডার করা। চড়ুইটা কি সারেন্ডার করলো? কিন্তু যুদ্ধ কোথায়?

যুদ্ধ কোথায়? আর আমারই কাছে বা কেন সারেন্ডার করবে? আমি কি সৈনিক! অনেকটা বিস্ময় নিয়ে প্রশ্ন করি চড়াইকে, কি রে ভাই কি হলো তোর? চড়ুই হাপাতে হাপাতে আর উত্তেজিত হয়ে আকাশ দেখাল।

আরে আরে এতো চড়ুই! দল বেধে কই যাচ্ছে ওরা? আমি তাকিয়ে থাকি দিগ্বিদিক ছুটে চলা চড়ুই ঝাঁকের দিকে। একটা সরগোল তাদের মধ্যে। কতো আধারের হিসাব নিকাশও যেন শোনা যাচ্ছে

ভাই চড়ুই কি বলছে ওরা?

চড়ুই কেমন বিরক্তি আর ক্ষোভ নিয়ে আমার দিকে তাকালো। বলে, আরে মদনা তোর তো দেখি দুনিয়া জ্ঞান কিছুই নাই! খাইয়া খাইয়া ফার্মের মুরগি হইছিস, আর কিছু হইতে পারিস নাই!

আমার মনটা খারাপ হয়ে গেলে, কেমন যেন নেতিয়ে পড়লাম চড়ুইয়ের আস্পর্ধা দেখে। তুই সামান্য এক চড়ুই আমার মতো মানুষের সঙ্গে আস্ফালন করিস! কিছু বলতে পারলাম না চড়ুইকে। মনে হলো একটা আছাড় দিয়ে বেটার লাফানি বাইর করি। কিন্তু বড় মায়া লাগে। দৃষ্টি কেমন শীতল কিন্তু সম্ভাবনাময়।

আমি চড়ুই কে আবার জিজ্ঞেস করি, ভাই চড়ুই আমাকে বুঝিয়ে বলবে কি ঘটনাটা?

চড়ুই এইবার চিৎকার করে। সে চিৎকার আকাশের ঝাঁকে গিয়েও আছড়ে পড়ে। একটা পরিচিত আওয়াজ যেন খুঁজে পাই।

চড়ুইটা জানালো এরা সবাই শাহবাগ যাচ্ছে।

আমি দাঁড়িয়ে গেলাম, সটান। কি?

ওরা শাহবাগ যাচ্ছে! ওরা! বাবুইকে যারা ফেলনা ভেবে পরাশ্রয় গ্রহণ করল, সেই চড়াই! সেই চড়াই শঅহবাগ যাচ্ছে!

আমি যেন বুঝে যাচ্ছি। আমি যেন জ্ঞানী হয়ে যাচ্ছি। মুহূর্তে আমি চিৎকার করে উঠি- ***যে যেখানে আছো ভাই, শাহবাগ শাহবাগ, ডাকছে তোমায়***

চড়ুই বলে, আমরা সব চড়াই জাতি কোনও রাজাকারের ঘরে বাসা বাধবো না বলে সীদ্ধান্ত নিয়েছে। সব রাজাকার আর তর ঘোর দোর আমরা বয়কট করেছি। আমরা এখন শাহবাগ যাচ্ছি তরুণ চড়ুইদের কলতানে। সংহতি জানাতে।

আমি উদ্বেলিত হয়ে উঠালাম।

এ কোন সময়?

এ সময় আমাকে ডেকেছে কি?

সময় আমি কি তোমার সঙ্গে চলেছি?

নিজেকে প্রশ্ন করি, বারংবার

এতক্ষণে চড়ুইটি কিছুটা ধাতস্ত আর মজবুত হয়ে উঠেছে। উড়ু উড়ু ভাব। আমি হাতের মুঠো খুঁলে দিয়েছি। চড়ুই আমার দিকে তাকিয়ে খুব কঠিন স্বরে, সময় তোমাকে ডাকবে না কোনও সময়ে, সময়ের শব্দ তোমাকেই বলতে হবে- জয় বাংলা (((সংক্ষেপিত)))

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.