![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'ব্যর্থ হয়ে থাকে যদি প্রণয়ের এতো আহবান, আগামী মিছিলে এসো, স্লোগানে স্লোগানে হবে কথোপকথন।....' 'এই ফাটকা বাজির দেশে স্বপ্নের পাখিগুলো বেঁচে নেই। গানওয়ালা আরেকটা গান গাও। আমার আর কোথাও যাবার নেই। কিচ্ছু করার নেই!....' বহু বছর কাটল কেউ কথা রাখেনি.........
নদীর এক জলস্রোত একবারই ছোঁয়া যায়। স্রোত মানে না বাধ। সময় মানে না বাধ। তাই লিখতেই হবে। এখন না লিখলে বড্ড দেরি হবে। লেখার লোক খুব বেশি নেই পৃথিবীতে আজ। বলার মানুষ খুব বেশি নেই পৃথিবীতে আজ। এ কথা আকাশের নীলের মতো সত্য। চিৎকার করেই উচ্চারিত হোক এ সত্য-- বিবেক হ্রাস পেয়েছে এখন, বিবেক খুব বেশি নেই আর।
গুন্টার গ্রাসের কথাই বলি। নীরবতা ভাঙলেন-- প্রবল বাতাসের ছোঁয়ায়। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো গর্জন করে উঠল তাঁর কলম। কলম যাকে হানার, তাকে ঠিকই হানল আঘাত। বেহায়ার নির্লজ্জ উচ্চস্বরই প্রমাণ!
বারবার বদলে যাচ্ছি, বৃত্ত ভাঙছি বারবার। নিজের মধ্যে মিশে গেছে নদীর ঢেউয়ের মতো সংশয়-- গুটিয়ে রাখার অর্থ ভালো হয় না পৃথিবীতে। হয় বৈকি! তবু বাবুইয়ের মতো যার স্বভাব তাকে মুখ নাড়তেই হবে। নইলে বড় বেশি দেরি হয়ে যাবে আমাদের। নইলে আমাদের মুখে ফিরবে না সেই বিপ্লবী রুশো-ভলতেয়ার। কবেকার কথা, লিখেই দুনিয়ার রূপটা বদলে দিলেন ওঁরা। নোয়াম চমস্কি এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন অবসরহীন নিরলস। ওদিকে সাঈদও ছিলেন কিছুদিন আগে। এদিকেও আছেন... সবার নাম বলব না এখানে। গুন্টার গ্রাসের কথা বলব আমরা। কী লিখলেন?
হিটলারি রাজত্বের বিষবাষ্পে চাপা থাকা জার্মান। দু’-দু’টা বিশ্বযুদ্ধের দায় স্কন্ধে নিয়ে দাঁড়ানো জার্মান আজও, আজও এই একুশ শতকে সে একই রকম মাত্রাহীন। লজ্জাহীনতার চূড়ান্ত দেখিয়ে এখন সে ইসরাইলের পাশে! বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি নিধনের নামে মানুষ মারার বিপক্ষে ছিলাম। পরাণের গহীন থেকে বলেছিলাম উচ্চস্বরে-- হিটলার-- can't make life, so can't ruin life!
আজ তুমি ইসরাইল-- ইঙ্গ-মার্কিন রাজনীতির প্রিয় বন্ধু। ধর্মের নামে বানিয়েছ সাম্রাজ্যের সৌধ, তুমিই এখন বিশ্ববিবেক! বিবেকের টানে ছাড়ো হুংকার, প্যালেস্টাইন বন্দী তোমার কাছে। যুদ্ধের দিকে তোমার অগ্রযাত্রা, আধিপত্য তোমার নিত্য খোরাক। সন্ত্রাসী হিটলারের মতো তোমাদের বলয়। সেই হিটলারের বিবেকহীন জার্মান তোমার মিত্র আজ।
নিয়ত চলছে বিশ্ব রাজনীতির টম-জেরি খেলা। পক্ষশক্তি-অক্ষশক্তি এক আজ। গুন্টার গ্রাসের কথা তাই ভাবতেই হবে। যদি মরে না যাই, আরেকবার পৃথিবীর তামাম মানুষের জন্য-- মানুষের পৃথিবী চাই। জরাজীর্ণ বিশ্ব ভেঙে বাসযোগ্য ভূমি চাই। এ কথা বলতে গেলে লিখতেই হবে, রুশো-ভলতেয়ার স্বাক্ষী।
সংশয়ী হই, ভাবি নিজের জীবন নিয়ে কী নিদারুণ খেলা আমাদের। আমাদের জীবন নিয়ে কী নিদারুণ খেলা তাদের! মানুষের জীবন-ই তো? একদিকে আফ্রিকাতে হুংকার, একদিকে উপসাগর, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা-- নিজেরা তো খেলিই, আমাদের জীবন নিয়ে যাযাবরী খেলা ওদের আরও বেশি। কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানির লাশ তাদের বিবেকের বেসাতি! হিটলার খেলেছিল একদিন, আজ মার্কিন-ইঙ্গ-ইন্দো-ইসরা... পরমাণু আর অস্ত্রবাজি ওদের হুংকারের পাটাতন। ওরা সন্ত্রাসের গ্র্যান্ড-গডফাদার!
জীবন-মরণের প্রাকৃতিক দাসত্ব প্রতিটি মানুষের। স্বাধীন মানুষকে তবু দাসত্ব স্বীকার করতে হবে কেন অহর্নিশ আতঙ্কের ভারে? তাই এখনই সময়, গ্রাসের মতো ক্ষত-বিক্ষত কলম তোলার। পৃথিবীর প্রতি কোণা আধিপত্যের সামনে ক্ষত-বিক্ষত কলম হবে দুরন্ত-দুনির্বার। হবে লড়াইয়ের হাতিয়ার।
প্রতিটি মানবের প্রতি ইঞ্চি পৃথিবীর অধিকার পেতে এ লড়াই চলবে। আর প্রশ্ন রবে অনিবার-- can't make life, so can't ruin life! প্রত্যাশা রবে অনিবার-- সন্ত্রাসহীন মুক্তবায়ুর বিশ্ব চাই। মুক্ত মানবের ভুবন চাই। বিশ্ববিবেক জাগবেই... লড়াই চলবেই... টারজান জাগবেই... স্পার্টাকাস লড়বেই... প্রমিথিউস বলবেই... "এ পথে আলো জ্বেলে-- এ পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে"...
©somewhere in net ltd.