নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট ।
চলচিত্র নির্মাণ একটা বিশাল শিল্প। তবে বাংলা ছবি নির্মাণ অনেক সোজা। কি থাকে এতে। গরীব নায়ক ধনীর মেয়ে এই সংঘাত এরপর দুইজনের মধ্যে প্রেম। বৃষ্টিতে ভেজা গান আর একটা ধর্ষণের দৃশ্য। ব্যস! হয়ে গেলো হিট ছবি !
প্রশ্ন ফাঁস যেমন গর্দভ স্টুডেন্ট কে সুযোগ করে দিয়েছে তেমনি এক সময় সরকারের গাফিলতির কারণে দেশের সিনেমা জগত ছিঃনেমা হয়ে গেছে। এখানে গর্দভের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে।
দীর্ঘদিন চলছে বাংলা ছবিতে নায়িকার বুক, নিতম্ব অশ্লীল ভাবে উপস্থাপন করা। আচ্ছা, দেশের কোন কলেজ ভার্সিটি তে মেয়েরা এমন টাইট বাচ্চা সাইজের গেঞ্জি , স্কার্ট, হাফ প্যান্ট, জিন্স পড়ে যায় ? আমার খুব দেখার ইচ্ছা !
এরপর ধর্ষণের মতন জঘন্য জিনিস কে এমন ভাবে আনা হতো যেন এইটা ডাইল ভাত ! খুব মজার জিনিস! মানে উৎসাহ প্রদান করার মতন। এরপর সোজা পর্ণ ছবির অংশ ছবির যে কোন অংশে দেখা যেতো।
তখন অনেকে এই অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা বলেছে আন্দোলন, মিটিং হয়েছে। কাজ কতদূর হয়েছে?সরকার কতদূর সহায়তা করেছেন ? সরকারের উচিত ছিল সেসব চলচিত্র নির্মাতাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে দেয়া সাথে কয়েক বছরের জেল এবং সেসব ছবির কলাকুশলীদের জন্য ও একই ব্যবস্থা করা। যদিও এখন সেই দিন নাই। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকার কে ধন্যবাদ।
এই যে, বর্তমানে সিনেমা হল দর্শক শুন্য বলা চলে এর কারণ ভালো ছবি হচ্ছে না। কেন দর্শক নিজের পরিশ্রমের টাকা খরচ করে আপনার ছবি দেখতে যাবে? কেন? যেখানে দুনিয়ার অন্যখানে ভালো সিনেমা হচ্ছে। সেগুলি রেখে কেন আপনার টা দেখবে?সেই বৃষ্টিতে ভেজা গান, ধর্ষণ আর গরম কিছু কথা এগুলি শুনতে ! মানুষ এগুলি আর খায় না।
এখন বলতে পারেন আমাদের বাজেট অত নাই! রাখেন এসব ফালতু কথা। অনেক ছবি আছে যেগুলো খুব অল্প টাকায় করা কিন্তু দর্শক দেখেছে পুরষ্কার মিলেছে। ধরেন স্লাম ডগ মিলনিয়ার এই ছবি কি খুব বড় বাজেটের ছবি ?
ইরানের ছবি গুলি যে হয় যা আন্তর্জাতিক মহলে খুব আঁচড় কাটে সেগুলি কি খুব বড় বাজেটের ?
আমাদের মরিয়ম নুর কান চলচিত্রে এত সুনাম অর্জন করলো ইহা কি খুব বড় বাজেটের ছবি ছিল ?
আসল কথা আপনার ভেতর মেধা থাকলে সাধারণ গল্পকে পর্দায় অসাধারণ করে উপস্থিত করতে পারেন।
সত্যজিৎ রায়ের ছবি গুলি কি খুব বড় বাজেটের? অথবা ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি কি খুব বড় বাজেটের?উনাদের মেধার কারণে সাধারণ গল্প অসাধারণ হয়েছে।
হুমায়ুন আহমেদ এর ছবি কি খুব বড় বাজেটের? মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর ছবি কি খুব বড় বাজেটের?
আপনার নিজের সংস্কৃতি নিজের স্টাইল চিন্তা চেতনাকে কত সুন্দর করে পর্দায় আনা যায় সেই চেষ্টা থাকলে চলচিত্র অবশ্যই দর্শক দেখবে। সেই চেষ্টায় কেউ নেই আছে কেমনে মাল কামানো যায়। এক সময় দেশের ছবির কথা কোন আড্ডায় উঠলে বলতাম, " ছ তে ছিঃনেমা ব তে বাল ! "
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
স্প্যানকড বলেছেন: কয়দিন পর হলে কেউ যাবে না। সবাই ঘরে বসে নেটফ্লিক্স, প্রাইম ভিডিও আরো যেসব আছে তাতে চলে যাবে। হলের কপালে উলু ! দুনিয়া হাতের তালুতে তাই রুচিবোধ পালটে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতা চলছে এখন বাংলা ছবি টিকে থাকবে কি না তাই তো সন্দিহান যদি অমন ছবি না বানাতে পারে। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি সাম্প্রতিক কালের কিছু ছবি দেখেছি। নাচ,গান,ফাইটের একশন ছবি গুলিকে আমার কাছে রীতিমতো আন্তর্জাতিক মানের মনে হয়েছে। সামাজিক ছবি তেমন একটা হচ্ছেনা। দুচারটা যা হচ্ছে, বা শর্টফিল্ম গুলি সবই মান সম্পন্ন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৮
স্প্যানকড বলেছেন: হুম একদম সত্যি দু চারটা ভালো ছবি হয়। ঐ আশাতে চলা কিন্তু কতদিন ? তাছাড়া আরও কারণ আছে কতটা টাকা পায় যারা চিত্রনাট্য লিখেন? খুব বেশী নয় তাই অত ভালো চিত্রনাট্য তৈয়ার হয় না। আর রাজনীতি ঢুকে এ শিল্পের বারোটা বেজে গেছে। ভালো থাকবেন।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
জ্যাকেল বলেছেন: হুম, মরিয়ম নূর ফিল্ম এর মত কোন ফিল্ম এই দেশে হয় না। কারণ করার মত সৎ সাহস এইসকল পরিচালকের তো নাই-ই বরঞ্চ এদের মধ্যে মাঞ্জা সমস্যা অনেক বেশি। মাঞ্জা সমস্যা বলতে কি জানেন? এদের মধ্যে এইসকল বস্তাপচা ডায়লগ/স্টাইলে অভস্ত হইয়া যাওয়াতে নতুন জিনিস চিন্তা করার মত যৌবন/জর নাই। অতএব আগামি ২০ বৎসর অন্ধকারেই থাকবে আমাদের এই শিল্প।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩০
স্প্যানকড বলেছেন: তাই নাকি ! এখন ঠিক না হলে আর কোনদিন হবে না আর সবচেয়ে বড় কথা চলচিত্রে স্বাধীনতা দিতে হবে গলা টিপে রাখা হলে এমন বস্তা পঁচা মাল বের হবে নিশ্চিত আর রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে নইলে শেষ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ২০০০-২০০৬ পর্যন্ত ঢাকাইয়া চলচ্চিত্র নোংরামিতে ভরে গিয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটাও তখনকার সময়েরই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে এসব বন্ধ হয়ে যায়।
এখন মোটামুটি ভালো ছবি তৈরি হচ্ছে। সমস্যা একটাই, লোকজন হল এ গিয়ে ছবি দেখতে চায় না। তাদের রুচিবোধও বদলে গেছে।