নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সদা সত্য বলিব

আমি আমাকে ভালবাসি, আমার পছন্দ মতই চলি।

স্পাইক্র্যাফট

নিজে যারে বড় বলে বড় সে নয়,লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়।নিজের সম্পর্কে আলাদা করে তাই কিছুই বলব না, আমি কিরকম মানুষ তা আমার লেখা পড়েই বিবেচনা করতে পারবেন। তবে কিছু কথা না বললেই নয়, আমি খুবি শান্ত একজন মানুষ যে সবসময় একে থাকতে পছন্দ করি। লেখা-লেখি করার অভ্যাস খুব ছোট থেকেই ছিল, এখনো আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতেই আমি বিশি পছন্দ করি। মাঝে মাঝে ছোট খাটো কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আর কিছু মাথায় নেই, আশা করি ভবিৎষতে আরো কিছু অ্যাড করতে পারব :D

স্পাইক্র্যাফট › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকার কর্তৃক একজন মুক্তিযুদ্ধার ফাঁসির রায় প্রদান।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৮

প্রহসনের এক বিচার শুরু হল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। মামলার নাম 'রাষ্ট্র বনাম মেজর জলিল গং '। কর্নেল তাহের সহ অভিযুক্ত সর্বমোট ৩৩ জন। এরমধ্যে রহস্যমানব হিসেবে খ্যাত সিরাজুল আলম খান পলাতক।

মামলার প্রধান বিচারকের নাম কর্নেল ইউসুফ হায়দার। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টা এই বাঙালি অফিসার বাংলাদেশেই ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে যোগ না দিয়ে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর খেদমত করে গেছেন।

মামলা চলাকালীন একপর্যায়ে কর্নেল তাহের প্রধান বিচারকের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, আমি আমার জীবনে অনেক ক্ষুদ্র মানুষ দেখেছি, আপনার মত ক্ষুদ্র মানুষ দেখি নি। কর্নেল তাহেরের কথা শুনে আদালতে হাসির হল্লা উঠে। কর্নেল তাহের আদালতে তার বিরুদ্ধে আনীত কিছু অভিযোগ অস্বীকার করেন নি। যেমন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সাথে তার সম্পৃক্ততা।

অভিযুক্ত আসামিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয় নি। ১৭ জুলাই তার মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়া হয়। (একজন রাজাকার একজন মুক্তিযুদ্ধার ফাসির রায় দিল!)

সবাই ধরে নিল এই আদেশ কখনো কার্যকর হবে না। কেননা বীরউত্তম খেতাবদারী একজন মুক্তিযুদ্ধা, যিনি যুদ্ধে তার পা হারিয়েছেন, তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো যায় না। রায় ঘোষনার পরদিনই ফাঁসির মঞ্চ ঠিকঠাক করা হয়। খবর শুনে হতভম্ব তাহেরপত্নী লুৎফা প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন। কর্নেল তাহের প্রাণভিক্ষার আবেদনে রাজী হবেন না, তা লুৎফা ভাল ভাবেই জানতেন। ২০ জুলাই ক্ষমার আবেদন নাকচ করা হয় এবং পরদিন তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

এরপর জিয়াউর রহমান তার শক্তি দেখাতে শুরু করেন। মাত্র দুই মাসে জিয়াউর রহমানের গঠিত সামরিক আদালতে (সরকারি নথিপত্রের হিসাবে) ১৯৭৭ সনের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১১৪৭ জন সৈনিক ও অফিসারকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয়েছে।

বাংলাদেশের কারাগারের বাতাস তরুন সব সৈনিকের দীর্ঘশ্বাস ও হতাশ ক্রন্দনে বিষাক্ত ছিল। (দেয়াল-হুমায়ুন আহমেদ)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.