![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজে যারে বড় বলে বড় সে নয়,লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়।নিজের সম্পর্কে আলাদা করে তাই কিছুই বলব না, আমি কিরকম মানুষ তা আমার লেখা পড়েই বিবেচনা করতে পারবেন। তবে কিছু কথা না বললেই নয়, আমি খুবি শান্ত একজন মানুষ যে সবসময় একে থাকতে পছন্দ করি। লেখা-লেখি করার অভ্যাস খুব ছোট থেকেই ছিল, এখনো আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতেই আমি বিশি পছন্দ করি। মাঝে মাঝে ছোট খাটো কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আর কিছু মাথায় নেই, আশা করি ভবিৎষতে আরো কিছু অ্যাড করতে পারব :D
একদল লোক আছে, যাদের কথা-বার্তার ধরন শুইনা মন হয় ইনারা কথার মাঝে খিস্তি-খেউর, গালি-গালাজ যুক্ত কইরা নিজেদের শেঠ হিসেবে প্রমান করতে চান। অনেকে আবার এমন ভাবে স্ট্যাটাস দেয় যে দেইখা মনে হয় যে কিবোর্ডের চিপায় চাপায় আঙ্গুল চালাইয়া কয়েকটা নরম গরম খিস্তি মার্কা শব্দ ইউজ করতে পারলেই হল, যুদ্ধ করার জন্যে আর গোলা বারুদের দরকার নাই, খিস্তি-খেউরই এনাফ।
ওযাক আপ গাইজ, কাইন্দা সবকিছু জেতা যায় না। বি অ্যা রেশনালিস্ট। যুক্তির মধ্যে আস, তর্ক কর, হারলে মেনে নাও। গালি-গালাজ করাটা একেবারেই হাস্যকর।
গালি-গালাজ করে নিজের পাশাপাশি নিজের পরিবারকেও অন্যের কাছে ছোট করে উপস্থাপন করা হয়। গালি-গালাজ করাটা মূলত রাস্তার পাশের বস্তি এলাকার বেড়ে উঠা শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। একজন ভদ্র পিতা নিশ্চয় তার সন্তানকে কখনো কোন খারাপ বাক্য শেখাবেন না বা শেখাতে চাইবেন না। একটা প্রবাদ আছে, ব্যাবহারেই বংশের পরিচয়, কথাটা একশত ভাগ সত্য। যায় হোক, আমার জানামতে বর্তমান সময়ে গালি-গালাজটা রাস্তার বস্তির চেয়ে অনলাইন জগতেই বেশি হয়। কিছুদিন আগে একটা লেখা পড়লাম, যেখানে বলা হয়েছে যে ফেসবুকে অনেক সালমান খান আছে কিন্তু বাস্তব জগতে তার বেশীরভাগই পাতলা খান। আসলে যাদের বাস্তব জগতে কিছুই করার ক্ষমতা নাই, মূলত তারাই ফেসবুকে বা ব্লগে ঢুকে গালি-গালাজ করে নিজেদের শেঠ হিসেবে প্রমান করতে চান, কিন্তু আফসোস! তারা নিজেদের শেঠ হিসেবে প্রমান করতে গিয়ে উল্টা জোকার হিসেবে উপস্থাপন করে।
অবশেষে একটাই শুধু চাওয়া, আসুন খারাপ ভাষা ব্যাবহার বন্ধ করি, গালি-গালাজ বন্ধ করি, একটা সুন্দর অনলাইন জগৎ তৈরি করি।
©somewhere in net ltd.