নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সদা সত্য বলিব

আমি আমাকে ভালবাসি, আমার পছন্দ মতই চলি।

স্পাইক্র্যাফট

নিজে যারে বড় বলে বড় সে নয়,লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়।নিজের সম্পর্কে আলাদা করে তাই কিছুই বলব না, আমি কিরকম মানুষ তা আমার লেখা পড়েই বিবেচনা করতে পারবেন। তবে কিছু কথা না বললেই নয়, আমি খুবি শান্ত একজন মানুষ যে সবসময় একে থাকতে পছন্দ করি। লেখা-লেখি করার অভ্যাস খুব ছোট থেকেই ছিল, এখনো আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতেই আমি বিশি পছন্দ করি। মাঝে মাঝে ছোট খাটো কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আর কিছু মাথায় নেই, আশা করি ভবিৎষতে আরো কিছু অ্যাড করতে পারব :D

স্পাইক্র্যাফট › বিস্তারিত পোস্টঃ

গনতন্ত্রের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে ভাগ্যবান সৈরাচারী প্রেসিডেন্ট

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

জিয়াউর রহমান পৃথিবীর ভাগ্যবান মানুষগুলোর মধ্যে একজন ছিলেন, যিনি মাত্র ৪৭ বছর বয়সে একটি স্বাধীন দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছেন। ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাদাত মোহাম্মদ সায়েম থেকে কৌশলে/জোরপুর্বক ক্ষমতা দখল করে বসেন। রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা নিজের হাতের মুঠোই নিয়ে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেও এদেশের মানুষ তা একমুহুর্তের জন্যেও বুঝতে পারে নি। নিজের ক্ষমতা যাতে হারিয়ে না যায়, সে কারনে তৎকালীন সময় সামরিক আদালত তৈরি করে মেধাবী ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলার সাথে জড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। নথিপত্রের হিসাবমতে জিয়ার সামরিক আদালতে প্রায় ১,১৪৭ জন মেজর, কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার এবং সাধারন সৈনিককে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে কখনো কোন আলোচনা হয় নি, হতে দেয়া হয় নি। এসব তথ্য এখন পর্যন্ত অনেক বুদ্ধাদের কাছেই হয়তো অজানা রয়ে গেছে।



জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এদেশে আসলেই শান্তি ফিরে আসতে পেরেছিল, এদেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে শুরু করল। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের পেছনে অমঙ্গল ছায়ার মত লেগে ছিল। যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটা দেশকে শেখ মুজিব বিশেষ কোন বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই পুনর্গঠন করতে শুরু করলেন। চারিদিকে তখন শুধু ক্ষুধার্ত আর বাস্তুহারা মানুষদের মিছিল।তার উপর প্রকৃতিও এদেশের শত্রু হিসেবে নিজের রূপ প্রকাশ করতে শুরু করল। খরা, বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ নানা ভাবে এদেশের উপর হামলা করতে শুরু করল। শেখ মুজিব তার সীমাদ্ধ ক্ষমতার মধ্য দিয়ে দক্ষ হাতে সব কিছু সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন। অপ্রতুল ক্ষমতা দ্বারা হয়তো সব সমস্যার সমাধান করা যায় না, সেখ মুজিবের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যে দেশের জন্যে তিনি তার জীবনের বেশীরভাগ মুহুর্ত নষ্ট করেছেন, দিনের পর দিন জেল খেটেছেন, অত্যাচার সহ্য করেছেন, সেই দেশটা স্বাধীন হওয়ার পর সেই দেশেরই কিছু কুলাঙ্গারের হাতে নিজে সপরিবারে নিহত হলেন! শেখ মুজিবের পর দেশে বেশ কয়েকটি অভ্যুথ্থান-পাল্টা অভ্যুথ্থানের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। শেখ মুজিব এদেশটা পুনর্গঠনের জন্য যেসকল কার্যক্রম হাতে নিয়ে ছিল, জিয়ার আমলে এসে সেসব কাজ শেষ হতে শুরু করল। ততদিনে বিশ্বের আরো অনেক দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিভিন্ন ভাবে সাহায্য পাঠানো শুরু করল। আমার জানা মতে সে সময় তেমন কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে নি, যার ফলে দেশ পরিচালনায় তেমন কোন বাধার সম্মুখিন হতে হয় নি জিয়াকে। মোট কথা ক্ষমতায় বসার পর জিয়াকে তেমন কোন সমস্যার মধ্যেই পড়তে হয় নি। প্রকৃতির পাশাপাশি এদেশের মানুষ ও জিয়াকে সাহায্য করতে শুরু করল। একারনেই ইতিহাস বলে, জিয়ার ভাগ্য আসলেই অনক ভাল ছিল। আর ভাগ্য ভাল ছিল বলেই গনতন্ত্রের সাইনবোর্ড তাঙ্গিয়ে খুব সহজেই সৈরতান্তৃক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা দখল করে থাকতে পেরেছিলেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.