![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজে যারে বড় বলে বড় সে নয়,লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়।নিজের সম্পর্কে আলাদা করে তাই কিছুই বলব না, আমি কিরকম মানুষ তা আমার লেখা পড়েই বিবেচনা করতে পারবেন। তবে কিছু কথা না বললেই নয়, আমি খুবি শান্ত একজন মানুষ যে সবসময় একে থাকতে পছন্দ করি। লেখা-লেখি করার অভ্যাস খুব ছোট থেকেই ছিল, এখনো আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতেই আমি বিশি পছন্দ করি। মাঝে মাঝে ছোট খাটো কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আর কিছু মাথায় নেই, আশা করি ভবিৎষতে আরো কিছু অ্যাড করতে পারব :D
এমুহুর্তে রাজনৈতিক ট্রামকার্ড আওয়ামিলীগের হাতে। আওয়ামিলীগ যদি চায়, তাহলে খুব সহজেই বাংলাদেশটাকে খুব সহজেই বদলে একটা গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিনত করতে পারবে। এইজন্যে কিছুটা সৎসাহস শুধু প্রয়োজন।
আমরা সবাই জানি দেশে এখন একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। শুশীল সমাজ এই পরিস্থিতির জন্যে উভয়পক্ষকে দায়ি করে একটি সংলাপের কথা নিয়মিত বলে যাচ্ছেন। অপরদিকে বিএনপির দাবি, তাদের সাথে সংলাপে বসলেই চলমান সহিংসতা বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামিলীগ এমুহুর্তে এসুযোগটিই লুফে নিতে পারে। সংলাপের আহবান একেবারেই উড়িয়ে না দিয়ে বিএনপিকে কিছু শর্ত দিয়ে সংলাপে বসার প্রস্তাব দিতে পারে, যেমন ঃ
১) বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মেনে নিতে হবে, এনিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা যাবে না।
২) ১৫ই আগস্ট পরবর্তী ঘটনা ও ২১শে আগস্টের ঘটনার জন্যে বিএনপিকে অফিশিয়ালি ক্ষমা চাইতে হবে।
৩) জামায়াতকে জোট থেকে বের করে দিয়ে রাজাকারের বিচার নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তবে কোন অবস্থাতেই বিচারের বিরোধীতা করা যাবে না।
তারা যদি এই শর্তগুলো মেনে নিতে পারে, তাহলেই সরকার সংলাপের ব্যাবস্থা করবে, নতুবা কোন সংলাপ না। গতবছর খালেদা জিয়া ৭দফা দিয়েছিল, আওয়ামিলীগের দেয়া উচিত শুধু উপরের তিনটি শর্ত।
বিএনপি এখন পর্যন্ত আড়াইবার ক্ষমতায় এসেছে, অথচ বাংলাদেশের প্রশ্নে তারা সবসময় জনগনকে ধোয়াশায় আচ্ছন্ন করে বোকা বানিয়ে রেখেছে। এখনই উপযুক্ত সময়, তাদের এই ধোয়াকে সরিয়ে তাদের মূলমন্ত্র ও উদ্দেশ্য সকলের সামনে তুলে ধরা। আর তারা যদি উপরের শর্তগুলো মানতে রাজী না হয়, তাহলে শুধু একটাই কথা, “নো সংলাপ!” এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকারই তাদের থাকবে না তখন আর।
বিএনপির নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যে যেমন করেই হোক, সংলাপের মাধ্যমে একটি নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে হবে। আর সেজন্যে তাদের আওয়ামিলীগের শর্ত মেনে নেয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ থাকবে না। আর সুশীল সমাজের লোকেরাও কোন ভাবে বিএনপিকে সমর্থন করে কোন বিবৃতি দিতে পারবে না।
আমার শুধু একটাই আশা, এই বিষয়টা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কারো মাথায় আসুক। তাহলেই একমাত্র সমাধান সম্ভব। একদিকে যেমন বাংলাদেশের বর্তমান নাশকতাগুলো থামানো সম্ভব, তেমনি ভবিৎষতের ইতিহাস বিকৃকতাও থামানো সম্ভব।
বিঃদ্রঃ- উপরের কথাগুলো নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত চিন্তা ভাবনার ফলাফল। আওয়ামিপন্থি কেউ থাকলে আমার ভুল ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন। আর যদি বিএনপিপন্থি কেউ থাকেন, তাহলে প্লিজ একটু জানাবেন, আপনারা কি এই তিনটি শর্ত মানতে প্রস্তুত?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: আওয়ামিলীগের কিছু নেতা আছে, যাদের কাজ এসব আউল-ফাউল বক্তব্য দেয়া।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০০
নিলু বলেছেন: আপনার প্রস্তাব ভেবে দেখা যায় বলে মনে করি , লিখে যান
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
আনিসুর র বলেছেন: আমি এক মত না।
দুইটি দলীয় দাবী
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: বঙ্গবন্ধু কোন দলীয় নেতা না, পঁচাত্তরও কোন দলীয় বিষয় না।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
মদন বলেছেন: কোথাকার কোন জিয়া??? মুক্তিযুদ্ধে একটি গুলি ফুটিয়েছে কিনা সন্দেহ। এটি যেনো কার বক্তব্য? নামটা মনে করতে পারছি না।