![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজে যারে বড় বলে বড় সে নয়,লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়।নিজের সম্পর্কে আলাদা করে তাই কিছুই বলব না, আমি কিরকম মানুষ তা আমার লেখা পড়েই বিবেচনা করতে পারবেন। তবে কিছু কথা না বললেই নয়, আমি খুবি শান্ত একজন মানুষ যে সবসময় একে থাকতে পছন্দ করি। লেখা-লেখি করার অভ্যাস খুব ছোট থেকেই ছিল, এখনো আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতেই আমি বিশি পছন্দ করি। মাঝে মাঝে ছোট খাটো কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আর কিছু মাথায় নেই, আশা করি ভবিৎষতে আরো কিছু অ্যাড করতে পারব :D
একের পর এক মিথ্যা বলে এখনো বহাল তবিয়তে বসে রাজনীতি করে যাচ্ছে আমাদের বিখ্যাত সেই ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। একটা দলের আর কত অধঃপতন হলে তারা রাজনীতিতে দেওলিয়া বলে ঘোষিত হবে? আর কত হত্যা করলে তারা অপরাধীর কাতারে দাড়াবে? নাকি জাতীয়তাবাদী দল হিসেবে তাদের সব খুন মাফ করে দিব আমরা? আমাদের বিবেক বুদ্ধি কোথায় হারিয়ে গিয়েছে? নাকি শুধুমাত্র আওয়ামিলীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে আমরা দেশ ও মানুষের বিরোধিতা করতে শুরু করেছি?
কিছুদিন আগে যুক্ত্ররাষ্ট্রে বিএনপির জনৈক নেতার ছেলেকে আদালত কর্তৃক তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। অপরাধ কি জানেন? অপরাধ হল প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরনের চেষ্টা! বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না তো? হবেও না। বিশ্বাস করবেন কিভাবে? জানি, চাক্ষুস প্রমাণ দেয়ার পরেও অনেকে ইনিয়ে বিনিয়ে এটাকে মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করবেন। করলে করেন, কেউ জেগে চোখ বন্ধ করে রাখলে তো আআর তাকে জাগানো সম্ভব না। কিছুদিন আগে যখন একের পর এক পেট্রোল বোমা হামলায় সাধারন জীবন্ত পোড়ে কয়লা হচ্ছিল, তখনও আপনারা চোখ বন্ধ করে বলেছিলেন এসব দূর্বৃত্তের কাজ। হাতে নাতে ধরা খাওয়ার পর, জনতার হাতে বিএনপি শিবিরের কর্মীরা গনধোলাই খাওয়ার পরেও আপনারা চোখ বন্ধ করে ছিলেন।
গনতন্ত্রের ধুয়ো তুলে আজ প্রায় দুই মাসের উপর তারা হরতাল ও অবরোধের মত কর্মসূচি দিয়ে নিজেদের হাস্যকর বানিয়ে রেখেছে। ইদুল মিলাদুন্নবী, বিশ্ব ইজতেমা, এসএসসি পরীক্ষা, ২১শে ফেব্রুয়ারির মত সময়গুলোতেও তারা তাদের এই হাস্যকর কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে। এই অবরোধে মানুষের ক্ষতি হলেও এর পক্ষে সাফাই খাওয়ার মত লোকের অভাব নেই। অবশ্য এর জন্যে এরা প্রতিমাসে হয়তো হলুদ খামে করে টাকার বান্ডিল পেয়ে থাকে। ফলে তাদের হয়তো কোন সমস্যা হয় না, কিন্তু যারা সাধারন মানুষ, তাদের কি হবে? তাদের কে টাকার বান্ডিল দিবে?
কিছুদিন আগে এক টকশোতে দেখলাম একজন অধ্যাপক বলছিলেন, কোন রাজিনৈতিক দলকে যদি সংসদে রবাইরে রাখা হয়, তাহলে নাকি এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এমনটা যদি আওয়ামিলীগ সাথে হত, তাহলে তারাও একাজটা করত। আচ্ছা সিম্পল একটা প্রশ্ন, আওয়ামিলীগকে তো পচাত্তরের পর থেকে দীর্ঘ ২৩ বছর শুধু সংসদ না, একদম রাজনীতির বাইরেই বের করে দেয়া হয়েছিল। তখন কি আওয়ামিলীগের হাতে এরকম করে কোন সাধারন মানুষ খুন হয়েছিল? উত্তর হল না। তাহলে কেন ঐ অধ্যাপক একথা বলেছিলেন?
আরেক সাংবাদিকের কথা না বললে নাই হবে। খালেদা জিয়ার বিপক্ষে মামলার সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলে উঠেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধেও তো করাপশনের মামলা হয়েছিল। সাথে উপস্থাপক জিজ্ঞেস করেন, কখন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে করাপশনের মামলা করা হয়েছে? তখন ঐ ভদ্রলোক মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলেন, ''আরে আমি তো এমনিতেই বলছি, আমার কথা সিরিয়াসলি নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।' -এই হল গিয়ে তাদের অবস্থা।
এখন আরেক আজব প্রজাতির জীবের কথা বলব, যারা নিজের সুশীল (নিরপেক্ষ) হিসেবে পরিচয় দেয়। এদের কাজ হল খুব সুক্ষভাবে বিএনপি ও আওয়ামিলীগের সমালোচনা করা। করতে করতে যখন দুই দলের মধ্যে সামানুপাতিকহারে ব্যালেন্স করা অর্থাত দুই পক্ষকেই সমান করা হয়ে যাবে, তখন খুব সুচতুর ভাবে অত্যন্ত যত্নসহকারে নিজেদের ল্যাঞ্জা বের করে দিবে। এরকম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত একজন হলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি একসময় আওয়ামিলীগের নেতা থাকলেও পরবর্তীতে কোনধরনের পদ না পাওয়ায় (পদবঞ্চিত) রাগে দুঃখে ক্ষোভে আওয়ামিলীগ থেকে বের হয়ে নাগরিক ঐক্য নামে একটা দল গঠন করে রাজনীতিতে টিকে থাকার চেষ্টা করেন। কিন্ত এতে সফল না হওয়ায় গোপনে গোপনে বিএনপির সাথে আতাত করে বড় কোন নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন। কিন্তু বিধি বাম! ভাইবার নামক এক সফটওয়ার এর খপ্পরে পরে নিজের মান সম্মান ইজ্জত সব খুইয়ে এখন জেলের ভেতর বসে আছেন।
যায় হোক, এসব ছোট খাটো ছ্যাচরা চোরদের সম্পর্কে লিখে আর টাইম ওয়েস্ট করব না। এবার একজন বড় চোরের কাহিনী লিখব, নাম তার তারেক জিয়া। অবশ্য নিন্দুকেরা তার নামের পূর্বে বিভিন্ন বিশেষন যুক্ত করে তার চরিত্র হরনের চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা ভুলে যায়, তারেক জিয়া হলেন সেই বিখ্যাত পরিবারের সন্তান, যে পরিবারের সদস্যরা শত অপরাধ করলেও জাতি নির্বিশেষে সবসময় তা ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে। ২০০১-২০০৫ পর্যন্ত টানা ৫ বছর ক্ষমতার মধ্যে থেকেও বিশ্বের সেরা দশ জন ধনীর তালিকায় কেন তার নাম নাই, সেটা চিন্তার বিষয়। যারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনীর তালিকা প্রস্তুত করে, তারা যদি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মনের অধিকারি হতেন, তাহলে নিশ্চয় তারেক জিয়া আজ শ্রেষ্ঠ ধনীর তালিকায় থেকে এদেশের মুখ উজ্বল করতেন।
আজ এতটুকুই থাক, বাকিদের লেখাও লিখব ধীরে ধীরে। আপাতত বিদায়।
১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: সবাই যে একরকম ভাবে না, তা তো জানি। তাই তো নিজের মতামত তুলে ধরলাম, যাতে করে কেউ আমার মনোভাব বুঝতে পারে।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশ চালনার দিক থেকে বিএনপি ও আলীগ একই তত্ব অনুসরণ করে; পার্থক্য হলো, কেহ স্বাধীনতার সময় মুক্তিযু্ধের পক্ষের, বাকীগুলো জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে।
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:১২
স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: আওয়ামিলীগ বিএনপি একই তত্ব অনুসরন করে বললে মারাত্মক ভুল হবে। দেশ পরিচালনায় দুই দলের নীতির স্পষ্টতা থাকার পরেও এরকম ব্যালেন্সসূচক চিন্তাভাবনা কাম্য নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
আনিসুর র বলেছেন: সমেস্যা হল আপনি যা ভাবেন অন্যে তা ভাবেনা।