নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সদা সত্য বলিব

আমি আমাকে ভালবাসি, আমার পছন্দ মতই চলি।

স্পাইক্র্যাফট

নিজে যারে বড় বলে বড় সে নয়,লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়।নিজের সম্পর্কে আলাদা করে তাই কিছুই বলব না, আমি কিরকম মানুষ তা আমার লেখা পড়েই বিবেচনা করতে পারবেন। তবে কিছু কথা না বললেই নয়, আমি খুবি শান্ত একজন মানুষ যে সবসময় একে থাকতে পছন্দ করি। লেখা-লেখি করার অভ্যাস খুব ছোট থেকেই ছিল, এখনো আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতেই আমি বিশি পছন্দ করি। মাঝে মাঝে ছোট খাটো কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আর কিছু মাথায় নেই, আশা করি ভবিৎষতে আরো কিছু অ্যাড করতে পারব :D

স্পাইক্র্যাফট › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে হিজড়ারাও রাষ্ট্রের সুবিধা পেতে যাচ্ছে।

২১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

“হিজড়া” -শব্দটা শুনলেই কেমন জানি লাগে, তাই না? অস্বীকার করব না, ছোটবেলায় এদের দেখলে চরম ভয় পেতাম, দৌড়িয়ে বাসায় চলে যেতাম। লেখা পড়ে ভাববেন না যেন আবার যে আমি হিজড়াদের অসম্মান করছি। আসলে ছোট থেকেই আমাদের মনে তাদের সম্পর্কে ভয়ংকর কিছু ধারনা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। ওদের সম্পর্কে সত্য-মিথ্যা অসংখ্য ঘটনা প্রায় শুনতাম, যার ফলে ওদের নিয়ে মনে একটা ভীতির সৃষ্টি হয়েছিল, এবং এখনও কিছুটা আছে।

যায় হোক, এখন ওদের সম্পর্কে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করছি। কিছুদিন আগে ট্রেইনে ওদের মুখোমুখি হয়েছিলাম, একজনের সাথে টুকটাক কথাও বলেছি, চেহারাটা মায়াবি ছিল। চাদা তোলার জন্যে ট্রেনে উঠেছিল ওরা, আমার কাছে টাকা চাওয়ামাত্রই দিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার পাশের ভদ্রলোকটাকে অনেক খোচাতে হয়েছিল টাকার জন্যে...

হিজড়াদের সাধারনত আমাদের মত সাধারন মানুষদের মত জীবন চালাতে হয় না। তারা মানুষের দয়া-মায়ার (ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা চাদাবাজ যায় বলেন না কেন) উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। এপাড়া-ওপাড়া, এবাড়ি-ওবাড়ি, এই দোকান-ঐ দোকান, এই গাড়ি-ঐ গাড়ি থেকে তারা দল বেধে ঘুরে ঘুরে চাল-ডাল টাকা পয়সা সংগ্রহ করে। আর আমার জানামতে প্রত্যেকে একপ্রকার বাধ্যই থাকে তাদের সাহায্য (এটাই আইন কিনা জানি না) করার জন্যে। সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার তারা বের হয়ে এই কাজটা করে। তবে আমাদের এলাকায় কিছুটা ব্যাতিক্রমতা আছে, (অন্য এলাকার খবর জানি না) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে কিছু হিজড়া পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করে। ব্যাপারটা অবশ্যই পজিটিভ কিছু।

তবে সবচেয়ে বড় পজিটিভ নিউজ হচ্ছে সরকার এদের ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে নিয়োগ করা সহ তাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্যে বেশকিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এই বিষয়টা অবশ্যই সময়ের সেরা সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম। এতদিন মানুষ হয়েও তারা রাষ্ট্রীয় অনেক সুবিধায় ভোগ করতে পারত না, আশা করি খুব শীঘ্রই তারা এই অবস্থানটা থেকে মুক্তি পাবে। আর চারজন সাধারন মানুষের মত তারাও নিজে কাজ করে নিজেই নিজের ভরন-পোষন চালাতে পারবে...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

আলম৪৩৪ বলেছেন: রাজশাহীতে একটা কোম্পানি (সম্ভবত রাজশাহী সিল্ক মিল ) হিজরাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, তাদের পৃথক ভাবে কাজ করার ব্যবস্থা করেছে। কিচুদিন আগে চেন্নাইয়ে এক হোটেল থেকে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এদের ব্যবহার করেছিল এবং সাফল্য ও পেয়েছিল, যদিও বা মানবাধিকার কর্মিরা আপত্তি করেছিল পরে।
ট্রাফিকে নিয়োগ দেয়ার পরে যদি তাদের আগের কাজের কথা মনে পরে যায় তবে চাদার জ্বালায় কেউ রাস্তায় গাড়ি বের করবেনা।

২| ২১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

ইলা বলেছেন: আগে সুযোগ দিতে হবে।

৩| ২১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.