![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোথা যাও ভদ্রা তুমি বয়ে এঁকে বেঁকে
কেন যাও পিছনের স্মৃতি ফেলে রেখে?
আমাকে সাথে করে নিয়ে যাও সেথা
রোজ রোজ বয়ে তুমি যাও ওগো যেথা।
পারিনা সইতে আমি এ যাতনা ভার
কেমনে হবো বলো এ ভবসিন্ধু পার।
হৃদয়ে জাগে আজ সুধুই পরিতাপ
জানিনা জনমে কভু পাবো কিনা মাপ।
ছেলেবেলা খেলেছি খেলা তোমার সাথে
স্মৃতি ভাসে আজ শুধু চোখের পাতে।
সুখে-দুখে সাথী ছলে, ছিলে বন্ধু তুমি
বিরলে বসে আজও তোমাকেই চুমি।
তোমা ভালোবেসে দূর দেশে যাবো ভেসে
মরণও করবো বরণ হেসে হেসে।
১৮ আগস্ট ২০১৭
সময় বিকেল ৫.০৩
আমার শৈশব স্মৃতি-বিজড়িত নদী ভদ্রা।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩
শাহানাজ সুলতানা অধরা বলেছেন: নিমন্ত্রণ
শাহানাজ সুলতানা
এসো,এসো হে কবি, এসো আমার শ্যামল গায়
আমার মায়ের স্নেহের আঁচল বিছানো রয়েছে যেথায়
এসো হে কবি এসো আমার শ্যামল গায়।
জোছনা রাতে চাঁদের কিরণে
হারিয়ে যাব নদীর বায়, বাধিয়া পরান পরানে।
টোপর ভিরায়া তুলিয়া আনিব শাপলা শালুক কলমিকায়
এসো,এসো হে কবি, এসো আমার শ্যামল গায়।
এখানে তোমায় গান শোনাইবে বেনে বৌয়ের জুটি
মাঠ হতে মাঠে ছুটিয়া ফিরিবো যখন সুর্য্যিটা যাবে টুটি,
এসো,এসো হে কবি, এসো আমার শ্যামল গায়
আম-কাঁঠালের ছায়ায় ছায়ায় বনের সবুজ ঘন মায়ায়
খালিবো আমরা কানামাছি খেলা মনের সুখে কাটিবে বেলা।
জোনাকি আলো ঘুরিয়া বেড়াইব বন হতে বনময়।
এসো,এসো হে কবি, এসো আমার শ্যামল গায়
আমার বোনের মমতায় তুমি লুফিয়া লইও সুখ
বাউরা পবনে চুল উড়াইয়া নিশ্বাসে ভরিও বুক।
ষরিশা ফুলের মধু খাইয়া তুমি হলুদ করিও মুখ
পাকা জামের মধুর রসেতে মন হইবে চুকচুক।
ভাইএর আদরে বেড়াইবো আমরা এপাড়া হইতে ওপাড়া
তোমার আমার দস্যিপনায় গ্রামে পড়িবে সাড়া
এসো,এসো হে কবি, এসো আমার শ্যামল গায়
তোমায় বাধিবো বাহুডোরে আমার মায়ের স্নেহ ও মায়ায়।।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: আপনার কবিতা পাঠে নতুন করে কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা পেলাম।
অশেষ ধন্যবাদ প্রিয়কবি!
জোছনা ঝরানো রাতে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আকাশের মাঝখানে চাঁদখানা জ্বলে ওই,
তারাদের ঝিকিমিকি দেখে শুধু চেয়ে রই।
জোছনায় নদীজল বয়ে চলে কলকল,
শাল পিয়ালের বনে কাঁদে শেয়ালের দল।
তারাগুলি জ্বলে রাতে ফুটফুটে জোছনায়,
পথভোলা জোনাকিরা পথ খুঁজে নাহি পায়।
নবান্নের ধানখেতে লক্ষ্মী-পেঁচা আসে যায়,
ঝোপেঝাড়ে বাদুড়েরা পাখাগুলো ঝাপটায়।
তন্দ্রাহারা পৃথিবীর চোখে ঘুম নেই তার,
ফুটফুটে জোছনায় আলোময় চারিধার।
সরোবরে শতদল আধোঘুমে জেগে রয়,
পুলকিত জোছনায় ফিসফিস কথা কয়।
রাতি শেষে ডুবে চাঁদ তারাদল নিভে যায়,
লাল রবি দেয় উঁকি পূব আকাশের গায়।
আপনাকে জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
শুভকামনা রইল নিরন্তর ও প্রতিনিয়ত।
জয়গুরু!জয়গুরু!জয়গুরু!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩
শাহানাজ সুলতানা অধরা বলেছেন: বলেছেন: জানিনা এগুলো কবিতা হয় কিনা তবু লিখি আমি আমার তৃষ্ণার্থ মনের কিছু কথা
স্বদেশ তোমার জন্য
শাহানাজ সুলতানা
ক’জন নারী মদ গেলে জানিনা কিন্তু আমি গিলি,
আজ সন্ধ্যায় ফের খেয়েছি মদ,
ভীষণ ভাবে তোমায় আজ ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে,
তোমার সাথে কাটানো সেই প্রথম বর্ষার সকাল
আজ বার বার মনে পড়ছে।
রক্ত চোখের আগুনে লাল খামে মোড়া মৃত্যুর চিঠি
ছেড়া ওড়নায় লুকিয়ে,
অনবরত শান্তনা দিয়ে চলছিলে নিজেকে নিজেই
স্নেহের কোমল বুকে জড়িয়ে।
আমি দেখেছি সভ্যতার পদচিহ্নে লাল রক্তের ছাপ,
দেখেছি কালো বিষাক্ত নিশ্বাস,
যুদ্ধের দামামায় হতবম্ভ করে দিয়ে গেছে আমাকে,
দেখেছি মরণ হাতে বসে আমাকে দিচ্ছ জীবনের আশ্বাস।
যুদ্ধ থেমে গেছে, আবার ফিরে এলো পৈশাচিক রাজত্ব,
এখন আগের মতই চলছে নাবালিকার রক্তক্ষরণ,
পথে পথে যখন তখন ঘন ঘন ধর্মঘটের ডাক,
জ্বালাও পোড়াও হরতাল
প্রতিদিন হচ্ছে মনুষ্যত্বের মরণ।
ক্ষুধার রঙে খচিত বাস্তবের ছবি,
অশ্লীলতা নিয়ে এখন সাহিত্য চর্চায় ব্যাস্ত কবি।
আমি এখন ওই নাস্তিক দলের একজন,
লোকে বলে কুড়িতে নারী বুড়ি
তবু আমি পঞ্চাশের পরের কথা মনে করে যৌবন দেখি,
কম্পিত এ বৃদ্ধা ঠোঁট একবার তোমার ছোঁয়া পেতে চায়,
সারাদিনের টুংটাং পাথর ভাঙা আর মড়মড় কুড়ানো পাখির পালকে
আমার মৃত্তিকা বুকে দাউ দাউ জ্বলে ,
মা হারানো,ভাই হারানো, বোন হারাবো প্রিয়তম পিতা হারানো
প্রাণের স্বজন হারানো অনল।
তবু কম্পিত বৃদ্ধ ঠোঁট একবার তোমার ছোঁয়া পেতে ব্যাকুল সে স্বদেশ।,
১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
সময় রাত ১২. ৫০
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: কবিতা হলো খেয়ালী মনের চিন্তাধারার ফসল।
যাই লিখুন না কেন তার মাঝে পাওয়া যায়
তৃষিত মনের মাঝে সান্ত্বনা। বেঁচে থাকার প্রেরণা।
মদ খাওয়া আজকের দিনে অপরাধ নয়।
ওটা একটা স্ট্যাটাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুকরণ করতে গিয়ে
আজকের সুসভ্য সমাজে মদ-খাওয়াটা একটা
প্রচলিত বীতি রেওয়াজ হয়ে পড়েছে।
স্বদেশপ্রেমী কবির জন্য আমার লেখা আর একটি কবিতা
রক্ত ঝরানো একুশে ফেব্রুয়ারী
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
নামল সারাদেশে শোকের ছায়া একুশে ফেব্রুয়ারী,
মাতৃভাষা শহীদ দিবসকে ভুলতে কভু কি পারি?
শত তাজা প্রাণ হল বলিদান এই মাতৃভাষার তরে,
সন্তানহারা মায়ের দুচোখে তাই আজিও অশ্রু ঝরে।
একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়েছে কেড়ে কত শহীদের প্রাণ,
বাংলার মাটিতে তাজা রক্তে লেখা আছে যাদের নাম।
প্রাণ দিল যারা দেশের মাটিতে রাখতে ভাষার মান,
রক্তের বিনিময়ে গেল তারা গেয়ে জীবনের জয়গান।
পদ্মার জল লাল কেন? কেন মেঘনার দুচোখে জল?
কেন সন্তানহারা মায়ের দুচোখে জল ঝরে অবিরল?
কেন লাল হল বাংলার মাটি শত শহীদের তাজাখুনে?
রক্তাক্ত কালো অক্ষর আজ বাংলায় কাব্যের জাল বুনে।
কত শত শহীদের রক্তে রাঙানো এই একুশে ফেব্রুয়ারী,
মাতৃভাষা শহীদ দিবসে মোরা তাঁদেরকেই স্মরণ করি।
সুন্দর মন্তব্যে বিমুগ্ধ ও নতুন করে লেখার অনুপ্রেরণা পেলাম।
আপনাকে জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
শুভকামনা রইল নিরন্তর ও প্রতিনিয়ত।
জয়গুরু!জয়গুরু!জয়গুরু!
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৫
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এই কবিতা টা খুব সুন্দর । দারুন লাগলো
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯
লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: কবিতা পাঠে মুগ্ধ হলাম।
প্রিয় কবির জন্য আমার লেখা
একটি ছোট নদীর কবিতা।
গাঁয়ের অজয় নদী চলে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের অজয় নদী চলে আঁকে বাঁকে,
হিমেল হাওয়া বয় গাছে পাখি ডাকে।
দুই ধারে উঁচু নীচু অজয়ের পাড়।
মাঝিভাই খেয়া বায় টেনে চলে দাঁড়,
খেয়া পারাপার করে সারাদিন ধরে,
মাছরাঙা মাছ খায় বসে বালুচরে।
নদী ধারে ধান মাঠে আসে বনটিয়া,
শিস দেয় বারে বারে হরষিত হিয়া।
মাঠেমাঠে পাকে ধান চাষী যায় মাঠে,
গান গেয়ে সারাদিন মাঠে ধান কাটে।
এপারেতে তালবন খেজুরের সারি,
ওপারে সবুজ গাছ, ছোট ছোট বাড়ি।
গাঁয়ের বধূরা সব নদী ঘাট হতে,
কলসীতে জল নিয়ে চলে রাঙাপথে।
অজয়ের নদীঘাটে পড়ে আসে বেলা,
নামে সন্ধ্যা শেষ হয় দিবসের খেলা।
শুভকামনা রইল নিরন্তর।
জয়গুরু জয়গুরু জয়গুরু।