![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।আমি খুব সাধারন একজন মানুষ।আমি কে?আমাকে কেন দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে?আমি কি করছি?আমার মূলত কি করা উচিত?আমি আবার কোথায় ফিরে যাবো?এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর নিয়ে ব্যস্ত আছি ।
সেই পিতা-মাতা কতই না ভাগ্যবান । যাদের সন্তান দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত । যাদের মৃত্যুর পর সন্তান তাদের জানাযা নামাজ পড়াবে ।
আমাদের সমাজে বর্তমানে অনেকেই মাদ্রাসায় পড়া/ দ্বীনি শিক্ষাটাকে অবহেলার চোখে দেখে । তারা তাদের সন্তান দের মাদ্রাসায় পড়াতে চান না । সবাই ই ব্যাস্ত সন্তান দের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য । লাখ লাখ টাকা খরচ করে জেনারেল লাইনে পড়ান বা ইংলিশ লাইনে পড়ান । কিন্তু মাদ্রাসা লাইনে কম খরচেও পড়াতে চান না । সবাই ভাবে মাদ্রাসা লাইনে পড়ে কি হবে ?
কিন্তু কেউ ই ভাবেনা কি না হবে ? মাদ্রাসা লাইনে পড়ে কি হতে পারবেনা ?? সবই হতে পারবে । একজন মাদ্রাসা লাইনে পড়ুয়া ছেলে যা করতে পারবে , তা আপনি আর আমি করতে পারবোনা । আপনাকে যদি কেউ বলে , আপনি কোন স্টেজে ঊঠে কিছুক্ষন দ্বীনের বানী শোনান । পারবেন না । যদিও পারেন , কিছুক্ষন বলার পর বন্ধ হয়ে যাবে । কারন , যদিও আমরা মুসলিম , কিন্তু দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের জ্ঞানের পরিধি খুবই কম ।
এই জীবনের সফলতাই সব কিছু না । পরকালের জীন্দেগীতে আপনি কতটুকু সফল । সেটা একটু চিন্তা করুন । আপনি কি মনে করেন , আপনার ছেলে /মেয়ে, ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, বড় অফিসার ,ব্যারিস্টার বানাতে পারলেই আপনি সফল ? আপনার সন্তান সফল ??? মোটেও নয় , আপনার সন্তান লাখ টাকা বেতন পায় । তারপর ও কি আছে কোন শোকরিয়া ??? নাই । সবসময় শুধু আরো পাওয়ার চিন্তা । কখনো কিছু পেয়ে বলেছেন কি "আল-হামদু-লিল্লাহ" ? বলার সময় ই পাননি । পাবেন ই বা কিভাবে ??? যা পেয়েছেন , পাওয়ার পর তো আপনার চাহিদা আরো বেড়ে গেছে । আরো বেশী কিছু পাওয়ার লোভ আপনাকে চেপে ধরেছে ।
কিন্তু একজন হুজুরের/আলেমের দিকে লক্ষ্য করে দেখুন । অধিকাংশ হুজুর/আলেমের ই কিন্তু আয় অনেক বেশী নয় । বরং খুবই কম । তাদের আয় দিয়ে সংসার চালানোটা খুবই কষ্টকর । তারপর ও তাদের রয়েছে শোকরানা । তারা এই সামান্য বেতন পেয়েও শোকরিয়া আদায় করেন । আপনি বেশী দূর যেতে হবেনা । এটার প্রমান পাবেন , আপনার ই বাড়ির পাশের মসজিদের ঈমাম সাহেব কে দেখলে ।
আপনার মৃত্যুর পর , আপনার জানাযা নামাজ পড়ানোর জন্য আপনার সন্তান , কোন উচ্চশিক্ষিত ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/পি এইচ ডি ডিগ্রীধারী কাউকে ডেকে আনবেনা । আর আপনার উচ্চ শিক্ষিত লাখ টাকা বেতন পাওয়া সন্তান ও আপনার জানাযা নামাজ পড়াতে আসবেনা । ডেকে আনবে বাড়ির পাশের মসজিদের ৫-৮ হাজার টাকা বেতন পাওয়া ঈমাম সাহেব কে ।
যদি পারেন , কখনো কোন মাদ্রাসা/এতিম খানা/ হাফেজীয়া মাদ্রাসা বা যেখানে দ্বীনের শিক্ষা দেওয়া হয় ,সেখানে গিয়ে দেখবেন । যেই ছোট ছোট বাচ্চা গুলো পড়ালেখা করছে । তারা কেউ ই উচ্চবিত্ত পরিবারের নয় । কেউ ই মর্ডান চলাফেরা করেনা । অধিকাংশই গরীব ঘরের সন্তান ।
আপনি দেশের বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে লক্ষ্য করে দেখবেন । সেখান কার অধিকাংশ পিতা-মাতার সন্তান ই ভালোই আয় করে , এবং জেনারেল লাইনে পড়ুয়া । কিন্তু বৃদ্ধ মা-বাবাকে দেখাশোনা করেনা । বৃদ্ধ মা-বাবার ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রম । কোন হুজুর/আলেমের মা-বাবা আশা করি পাবেন না । যদিও তাদের আয় কম । তারপর ও বৃদ্ধ মা-বাবাকে দেখাশোনার ভার নিজেই নেন ।
৩ টি কাজ সদকায়ে জারীয়াহঃ
১। ভালো কাজের জন্য দান/সদকা করা ।
২।রাস্তার পাশে ফল গাছ লাগানো (তা পথিক সহ সবাইকে ছায়া দান এবং ফল দানের আশায়) ।
৩।দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত/নেক সন্তান রেখে যাওয়া ।
#আমার লেখায় ভুল থাকতে পারে এবং আমি কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য লিখিনি । আর আমি সবাইকে একরকম ভেবে লিখিনি । সবার মাঝেই ভালো-খারাপ থাকতে পারে । তাই কেউ শুধু শুধু নিজের উপর টেনে নিয়ে আমাকে দোষারোপ করবেন না ।
সবশেষে , সেই পিতা-মাতা কতই না ভাগ্যবান , যাদের সন্তান তাদের জানাযা নামাজ পড়াতে পারলো/পারবে । এবং কবরের পাশে গিয়ে হাত তুলে মৃত পিতা-মাতার জন্য দোয়া করতে পারলো/পারবে ।
©somewhere in net ltd.