![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।
কুষ্টিয়া আমার প্রানের শহর, ভালবাসার শহর। এখানে আমার শৈশবে কৈশরের অনেক মধুর সময় কেটেছে। আমার স্মৃতিতে কুষ্টিয়ার রুপ এতো সুন্দর, এতো মধুর যা আমি সযতনে বুকের ভিতরে লালন করে চলেছি।
দাদাবাড়ি দেশের বাইরে হওয়ায় প্রতিবছর গরমের ছুটি আমরা নানাবাড়িতেই কাটাতাম। আহা! ছুটির অনেক আগে থেকেই চলতো আমাদের দু’ভাই-বোনের গোছগাছ, প্রস্ততি। বড় মামার বিয়ের সময় দোতলা ষ্টিমারে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত গিয়েছিলাম। তাও সে ষ্টিমার নষ্ট হয়ে নদীর বুকে তিনদিন ভেসে ছিলো। সে কাহিনী অন্য সময় বলবো। আমরা সচারচর ঢাকা থেকে ট্রেনে গোয়ালন্দ পর্যন্ত যেতাম। প্রমত্ত পদ্মা পাড়ি দিয়ে আবার ট্রেনে চড়তাম। তখনো কয়লার ইঞ্জিনে ট্রেন চলতো। জানালা দিয়ে মুখ বের না করলে আমার হতোনা। আব্বা সবসময় হুশিয়ার করতেন, চোখে কয়লার গুড়ো পড়বে। পড়তোনা যে তা নয়। কিন্তু সেসব কিছুই আমাকে জানালার সামনে বসা থেকে নিবৃত করতে পারতো না। ট্রেনটা যখন গড়াই নদীর উপর হাডির্জ সেতুতে উঠতো তখন আমাদের খুশী দেখে কে! এই তো আর কিছুখন পরই আমরা পৌছে যাবো স্বপ্নের শহর কুষ্টিয়াতে।
ট্রেনটা যত কুষ্টিয়ার নিকটবর্তী হতো, আমাদের ভাইবোনের মাথাও ততটাই বের হতে চাইতো। আম্মার চিমটি, বা আব্বার রক্তচক্ষুকে তখন আর ভয় পেতাম না। কারন এতো মানুষের ভিড়ে তো আর মারতে পারবেন না। আর নানাবাড়ী গেলে তো আমাদের নাগালই পাবেননা। আমরা কেমন করে যানি বুঝে যেতাম, কোন দিকের জানালায় বসলে নানাবাড়ী দেখা যাবে। কুউউউউউউ
ঝিকঝিক করতে করতে ট্রেনটা যখন নানাবাড়ীর সামনে আসতো, আমরা চিৎকার দিয়ে উঠতাম, “ঐযে ঐযে উনারা দাঁড়িয়ে আছেন। বারান্দায় দাঁড়ানো নানা, মামাদের দেখা যেতো। নানীকে দেখতে পেতামনা। কিন্তু জানতাম, উনি আছেন জানালার খড়খড়ির আড়ালে। আমরা হাত নাড়তাম। মামারাও হাত নাড়তো। ষ্টেশনে নেমে ঠিক দেখতাম মামারা হাজির। ষ্টেশন থেকে বাসা বেশী দূর ছিলো না। কুষ্টিয়ার মাটিতে পা দিয়েই আমার এক অন্য রকম অনুভুতি হতো। আমি ভাষায় সে সুখানুভুতির বর্ননা দিতে পারবোনা। দেশে বা দেশের বাইরে অনেক জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু অন্য কোথাও সে অনুভুতি হয়নি।
রিক্সা যখন মিলপাড়ায় ঢুকতো, আমার মাথার মধ্যে সেই চেনা গন্ধটা ঘুরপাক খেতো। যেটা সবসময় আমায় স্মৃতিতাড়িত করতো। আজও করে। কুষ্টিয়া ছাড়া এ গন্ধ আমি আর পাইনি।
তখন কুষ্টিয়ার বেশীর ভাগ বাড়ী ছিলো চুনসুড়কির। হয় লাল রঙের না হলে বাইরে চুনকাম ছাড়া। নানাবাড়ীরও ছিলো অমনি একটি একতলা বিল্ডিং। জানালাগুলো দরজার সমান বড় বড়। সবুজ খড়খড়িযুক্ত। চুনসুড়কির দেয়াল এতো পুরু ছিলো যে আমরা অনায়াসে জানালার নিচে বসে রাস্তা দেখতাম, বা ওখানে জিনিসপত্র রাখা যেত। বাসার সামনে একটা ছোট্ট পুকুর, তার পাশে দু’একটা টিনের ঘর। পুকুরের উপর একটা নারিকেল গাছ ঝুকে ছিলো। পুকুরের পাশেই একটি মাঠে অনেক বড় বড় কাঠের গুড়ি পরে ছিলো। আমরা ওটাকে বলতাম কাঠের মাঠ। পুকুরের পিছনে ছিলো বাজার। সকাল সন্ধ্যা মানুষজনে গমগম করতো। মাঠের পিছনে ছিলো রেল লাইন। তার ওপারে গড়াই নদী। নদীর পাড়ে শ্বশান। ট্রেনের শব্দ শুনে আমরা বলতাম এখন কোন মেল আসছে। সকাল এগারটার দিকে একটা ট্রেন আসতো মানুষে টইটুম্বুর। ছাদে পা-দানীতে মানুষ ঝুলে থাকতো। জানালায় থাকতো লাকড়ির স্তুপ। ওখানে বলতো খড়ি। আর থাকতো আখের বোঝা। আমরা ঐ ট্রেন দেখলেই বাজারে ছুটতাম আখ কিনতে। তখন বলতাম “কুশোর’।
বাসার পাশেই ছিলো একটা কাপড়ের মিল। ‘পিয়ার টেক্সটাইল’। সকাল থেকে শুরু হতো মেসিনের ঘটরঘটর। ওটার মালিক সামসুদ্দীন সাহেব ও তার ভগ্নীপতিকে একাত্তুরে পাক-বাহিনী গুলি করে মারে। সামসুদ্দীন সাহেবের ছেলে আমার মামার বন্ধু ছিলেন। পরবর্তিতে উনি আমার দুলাভাই হন।
মহিনীমিলের ভো বাজতো দুইবার। ভোরবেলা, অন্ধকার থাকতে আর দুপুর দুটোয়। ঐ ভো শব্দেই নানী উঠে যেতেন। উনার কাজ শুরু হতো। এক মুহুর্ত উনাকে বসে বিশ্রাম নিতে দেখিনি। ছোট বেলা থেকেই নানীর কষ্ট আমাকে কষ্ট দিতো। আমি নানীর পায়ে-পায়ে ঘুরতাম। কাজে সাহায্য করতে যেয়ে হয়তো কাজ বাড়িয়ে দিতাম। কিন্তু কখনোই নানী কিছু বলতেন না। ভিতরের বারান্দার পাশে একটা ছোট ঘর বোঝাই কয়লা থাকত। ঐ কয়লা আবার হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে টুকরা করে নিতে হতো। কয়লা দিয়ে কয়লার চুলো জ্বালানো হতো। সেই কয়লার চুলোয় ফুকনি দিয়ে ফু দিয়ে তাল-পাখার বাতাস করে, রুটি সেকে, চামচ দিয়ে ইলিশের আঁশ ছাড়িয়ে নানীকে সাহায্য করতাম। উঠোনে মাচায় পুঁই, লাউ, ঝিঙ্গে লকলক করে বেড়ে উঠতো। আম্মা মেরেধরে সবজি খাওয়াতে পারতেননা। কিন্তু নানীর মাচার ওসব পুঁই, লাউ, ঝিঙ্গে, শাক-পাতা অনায়াসে সোনামুখ করে খেয়ে নিতাম।
চলবে......কুষ্টিয়া আমার ভালবাসার শহর (শেষ পর্ব)
এই পোস্টটি আমার পুচকু সোহামনি রাজসহানকে উৎসর্গ করলাম।
*** ছবি নেট থেকে সংগ্রহ করা।
২| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:২৫
ফাহিম আহমদ বলেছেন: পুপি
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: ক্যাডায় যে পুপি দিলো বুঝতারিনা। তয় যাই হউক। ধইন্যা।
@ সুহামনি অফলাইনে তুমার কমেন্ট দেখি, অনলাইনে দেখিনা। আমার কুনু পুস্টতেই ১ম কমেন্ট দেখন যায়না। ঘটনাটা কি???
৩| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩১
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: আসলে আমি প্রথম প্লাস দিলাম।
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২০
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমি রিতিমত কনফু।
৪| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩১
জিয়াউল হক বলেছেন: আপনার মত আমিও কুষ্টিয়ার সন্তান। কৃষ্টি আর কুষ্টি (পাট) এর জন্য বিখ্যাত কুষ্টিয়া। বাংলাদেশের কালচারাল রাজধানী কুষ্টিয়া। মির মোশাররফ হোসেন, আকবর হোসেন দের মত গূণীজন দের কুষ্টিয়া, দেশ থেকে প্রায় বারো হাজার কিলোমিটার দূরে বসে প্রতি মহুর্তে কুষ্টিয়াকে স্মরণ করি। ধন্যবাদ একটা সুন্দর পোষ্টর এর জন্য
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২১
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কুষ্টিয়া আমার নানুবাড়ি। আমার সবচাইতে প্রিয় শহর।
৫| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩৫
আহমেদ চঞ্চল বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো। সাবলীল ভাষায় ফিকে হয়ে যাওয়া স্মুতি গুলো যেন এক রত্তি মুক্তোর মালা।
--
রিক্সা যখন মিলপাড়ায় ঢুকতো, আমার মাথার মধ্যে সেই চেনা গন্ধটা ঘুরপাক খেতো। যেটা সবসময় আমায় স্মৃতিতাড়িত করতো। আজও করে। কুষ্টিয়া ছাড়া এ গন্ধ আমি আর পাইনি।
---
এ গন্ধটা আমার-ও খুব আপন লাগে। আমার বাড়ী-ও বৃহত্তর কুষ্টিয়ায় ।
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমদ চঞ্চল। সত্যি এ এক অন্যরকম অনুভুতি। অনেক ভেবেও আমি বুঝে উঠতে পারিনা। কুষ্টিয়া নামটি শুনলেই আমি সে সুগন্ধটা অনুভব করি।
৬| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪২
আসাদ ইসলাম বলেছেন: কুষ্টিয়া কত যে আপন .....................................
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছেন আসাদ ইসলাম।
৭| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩
অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: কয়লার ট্রেন আর কয়লার চুলা এ দুটো জিনিস আমি দেখিনি আপি... খুব ইচ্ছে করে এ দুটো দেখতে ... ছোটবেলার এ জিনিগুলোর কোন ছবি আছে ?
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: অন্তু তখন কি আর জানতাম যে একদিন এগুলো হারিয়ে যাবে? জানলে তো ছবি তুলে রাখা যেতো। আর এখনকার মত তো ক্যামেরা সহজলভ্য ছিলোনা। তবে নেটে খুজে দেখবো।
৮| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩
জিয়াউল হক বলেছেন:
আহমেদ চঞ্চল কে বলছি
হে কুষ্টিয়া তনয়, একটু যোগাযোগ করবেন কি? মেইল এ্যড্রেসটা দেয়া যাবে? আমিই না হয় যোগাযোগ করতাম। ধন্যবাদ
৯| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫
মোঃ নূর-উস-সালাম চপল বলেছেন: আমার নিজের শহরটিকে নিয়ে যখন কেউ এতো সুন্দর করে লেখে , তখন তাকে প্লাস না দিলে অবিচার করা হবে ।
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ নুর-উস-সালাম চপল। সেটা যে আমারও ভালবাসার শহর।
১০| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৮
আহমেদ চঞ্চল বলেছেন: @জিয়াউল হক---
দয়া করে আমার ব্লগে গেলেই আমার সব এড্রেস পেয়ে যাবেন।।
তারপরেও আমার ই-মেইল [email protected]
আমার ফেসবুক এড্রেস--http://www.facebook.com/chanchal1?v=info
ধন্যবাদ ।।।
১১| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৯
সোমহেপি বলেছেন: রিক্সা যখন মিলপাড়ায় ঢুকতো, আমার মাথার মধ্যে সেই চেনা গন্ধটা ঘুরপাক খেতো। যেটা সবসময় আমায় স্মৃতিতাড়িত করতো। আজও করে। কুষ্টিয়া ছাড়া এ গন্ধ আমি আর পাইনি
গন্ধটা কি গাজার গন্ধের কথা কইতাছেন?আমি আবার আখড়ায় গেলে এইডা না টাইনা পারিনা।এইডার নিশা বড় নিশা ।হোক মাওলা!!
আম্মা মেরেধরে সবজি খাওয়াতে পারতেননা। কিন্তু নানীর মাচার ওসব পুঁই, লাউ, ঝিঙ্গে, শাক-পাতা অনায়াসে সোনামুখ করে খেয়ে নিতাম
আহারে নানি বুঝি এমনই আদর করতো?লতাপাতা পর্যন্তই।মামা বাড়ির দুধভাত কপালে জুটে নাই?আহারে বেচারা!এমুন ভাবে মামার বাড়ির বদনাম প্রকাশ ছি!
দিদি তোমার বাপ সিলেট ছাইড়া এত দূর গেছিল কেনে?কিসের টানে ?মানে নিশার টানে না মাসির টানে?
এই জন্যইতো কই এই মাল(মোর এটাক্টিভ লেডি) সিলেটের না।সংকর বইলাই সেরা।
যাক বালা লাইগলো।
কুউউউউউউ
শুনিনা
কুউউউউউউ
শুনিনা
কুউউউউউউ
শুনিনা।
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩২
সুরঞ্জনা বলেছেন: সোমহেপি, গন্ধটা ছিলো ভাললাগা ভালবাসার। আর লালনের আখড়াতেও এতো গাজার ছরাছড়ি ছিলোনা। চারিদিকের পরিবেশ ছিলো নির্মল আর পরিস্কার।
আর আমার আব্বা সিলেট থেকে কুষ্টিয়া যেতেন শশুরবাড়ীর টানে। আমরা যেতাম নানী আর কুষ্টিয়ার টানে। আমার বাবার বাড়ি তো আর সিলেট না।
১২| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩
কথক পলাশ বলেছেন: কুষ্টিয়া যাব কিনা জানিনা, তবে সিলেট গেলে আপনার বাসায় নির্ঘাত দাওয়াত খেতে যাব। এবছর দ্বিতীয়বারের মত যাবার সময় হয়ে এসেছে।
২৪ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২২
সুরঞ্জনা বলেছেন: আসলে কুষ্টিয়া আমার স্মৃতিতে যতোটা প্রিয় বাস্তবে অন্য কেউ তেমনটি পাবেনা। হয়তো আমি গেলেও পাবোনা। তাই এখন যেতেও চাইনা। বেঁচে থাক এ মধুর শহর আমার স্মৃতিতে। সিলেট এলে আমার বাসায় এলে খুশীই হবো।
১৩| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬
বড় বিলাই বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে তো এখন কয়লার ট্রেনে করে কুষ্টিয়া যেতে ইচ্ছা করছে। আর আপনার নানীর মাচার সব্জী খেতে ইচ্ছা করছে।
২৪ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: বাব্বাহ! তুমি ঠিকই চলে যাবে। একদিন পোস্ট দিবে যে তুমি গড়াই নদীর শুখনা চর দিয়ে কুউউউ ঝিকঝিক করতে করতে মিলপাড়ায় গিয় হাজির। আর নানী তার হাতের যাদুমাখা ইলিশমাছ আর পুঁই চচ্চড়ি তোমায় বেড়ে দিচ্ছেন আর তুমি আয়েশ করে চোখ বন্ধ করে তা চিবাচ্ছো।
১৪| ২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০১
সোমহেপি বলেছেন: সরি আমি ভুইলাই গেছিলাম আপনার বিয়ে হইছে।সিলেট আপনার শ্বশুর বাড়ি।আচ্ছা আপনার বাবার বাড়ি আই মিন আপনার বাড়ি কই?
রাগ করছইননি?
২৪ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমার বাড়ি আমার বাড়ি। আমার বাড়ি নেই। আর আমি পোলাপাইনের কথায় রাগ করিনা।
১৫| ২৪ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
রাজসোহান বলেছেন: এইটা কি হইলো
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: কি হয়েছে সোহামুনি????
১৬| ২৪ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সায়েম মুন বলেছেন: কত জেলায় গেছি কিন্তু আপনার পিরিয় এই জেলাটাতে যাওয়া হয় নাই। কাহিনী ভাল লেগেছে আপু! চলুক তবে-----
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম। হয়তো এখন গেলে আমার সে মুগ্ধতা নষ্ট হতে পারে। সব কিছু বদলে গেছে। তাই আমার স্মৃতিতেই থাকুক আমার প্রিয় শহর।
১৭| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:১৭
নীল ভোমরা বলেছেন:
ক্লাশ থ্রি থেকে এইট পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে পড়েছি... গড়াই নদীর পাড়ে কেটেছে কৈশরের আনন্দময় অনেকটা সময়!
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ নীল ভোমরা। তাহলে তো আপনি কুষ্টীয়ার কুলপি আর আম সন্দেসের সাথে পরিচিত। তাইনা?
১৮| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:০০
নীল ভোমরা বলেছেন: কুলফি মালাই আর অবাক সন্দেশ!
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমাদের ছোটবেলায় পাওয়া যেত আম সন্দেস। আমের গন্ধ মাখা।
১৯| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৪৮
শায়মা বলেছেন: হুম হুম গড়াই নদী,হার্ডিজ ব্রীজ, ছেউড়িয়া, মোহিনীমিল, রেনউইক, মিলপাড়া, থানা পাড়া সব চিনি সব চিনি।
আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো .....স্বদেশিনী/বিদেশিনী?
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: হা হা হা হা... কি আশ্চর্য!!! তুমি তো দেখি সবই চেনো।
আমি বিদেশিনী হতে পারি? ভেবে বলো।
২০| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:১৭
মেহবুবা বলেছেন: এটা কি হল ?
এ লেখাটা আমাকে উৎসর্গ না করে সোহান কে কেন ? তোমার সাথে আড়ি নিলাম সে কথা মনে রাখতে প্রিয়তে নিয়ে যাই ।
খুব করে রাগ করতে যেয়ে পোষ্ট পড়ে সব গোলমাল হয়ে গেল ।
আমারও ছোটবেলায় নানীবাড়ি বেড়ানোর স্মৃতি আছে আনন্দময় । আর ফিরে পাবো না জানি সেসবদিন , তবে তোমার মত এমনি করে গেঁথে আছে মনে -মস্তিষ্কে ।
খুব ভাল লেগেছে এই পোষ্ট , খুব ।
কুষ্টিয়া সুগার মিল কুষ্টিয়ার কোথায় জানো তুমি ? এখনো আছে কি সেটা ?
হার্ডিঞ্জ ব্রীজ আর লালন শাহ্ সেতু পাশাপাশি । দেখে পুলকিত হয়েছিলাম ।
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৩৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: ওহ! মেহবুবা! আমি জানি তুমি আমার উপর রাগ করে থাকতেই পারবেনা।
সোহান কে উৎসর্গ করেছি সেও কুষ্টিয়ার ছানা। যখন শুনেছে আমার নানাবাড়ী কুষ্টিয়া তখনই বলেছে কুষ্টিয়া নিয়ে তারাতাড়ি লেখা দিন।
দর্শনাতে একটা সুগার মিল ছিলো। অনেকদিন কুষ্টিয়া যাওয়া হয়না। সেই ১৯৮৭/৮৮ তে শেষ গিয়েছিলাম। তখনই অনেক পরিবর্তন দেখেছি। কষ্ট হয়েছে দেখে। মিলপাড়ার সেই কয়লার কুচি বিছানো রাস্তাটা পিচের আস্তরনে ঢাকা পড়েছে। ঢাকা পড়েছে আমার শৈশবের অনেক ভালো লাগা। আগামীতে লালনের মাজার, আর কুঠিলজের কথা বলবো।
তোমার নানাবাড়ীর স্মৃতি আমাদের ভাগ দাও। তোমার একটা লেখাতে কিছুটা বর্ননা পেয়েছিলাম। আরও চাই। অনেক ভালো থেকো।
২১| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২৪
চাঙ্কু বলেছেন: জীবনে কুষ্টিয়া গেলাম না । আফসুস
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪১
সুরঞ্জনা বলেছেন: আফসুস! আফসুস!
২২| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২২
শাহ্রিয়ার খান বলেছেন: আপু
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪২
সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমার আবার কি হলো???
২৩| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২৪
শোশমিতা বলেছেন: কুষ্টিয়া যাইনি কখন ও আপনার লিখা পড়ে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে আপনার ভালবাসার শহরে । সময় পেলে গুরেতে যাবো ।
চমৎকার লিখেছেন +
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ শোশমিতা। জানিনা কুষ্টিয়া এখন কেমন। তবে খারাপ লাগবেনা আশা করি।
২৪| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২৮
বন্ধন ১৯৮৩ বলেছেন: কয়েক মাস আগে কুষ্টিয়ায় যাই যাই করেও যাওয়া হলো না।
কোনো এক সময় যাবো, ইনশাল্লাহ (যাওয়া ও হবে সে বিশ্বাস আছে!) !
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধন। দোয়া করি আপনার কুষ্টিয়া ভ্রমন যেন সফল হয়।
২৫| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৪৫
কোয়ানটাম সায়েনস বলেছেন: আমি কুষ্টিয়ার সন্তান।বাড়ি মজমপুর গেট, কুষ্টিয়া। স্কুল,কলেজের টগবগে সোনালী দিনগুলো কেটেছে কুষ্টিয়ায়।আতিয়ার স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ে সাইকেলে চড়ে চলে যেতাম রেণউইক বাধে বন্ধুরা মিলে দল বেধে।গড়াই এর শান্ত বাতাস আর পড়ন্ত বিকেলের আকাশ দেখতার আর চুটিয়ে আড্ডা মারতাম।মিল পাড়ায় যেতাম পুজ়োর সময়।পুজো দেখে বন্ধুদের বাসায় পেট পুরে খেয়ে আড্ডা মেরে রাত করে বাসায় ফিরে কতদিন যে আম্মার বকুনি খেয়েছি!!... “দিনগুলো মোর সোনার খাচায় রইল না...”
আমার বাড়ি মজমপুর।আব্বু আম্মু এখনও ওখানেই আছেন। আমিও ব্যাচেলর। তাই প্রায়ই কুষ্টিয়ায় যেতে হয়।বাড়ী গেলে আর যেখানেই যায় আর না যায়, রেনউইক বাধে দাড়িয়ে একবার বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবই। ভালবাসি কুষ্টিয়াকে, ভালবাসি কুষ্টিয়ার মানুষগুলোকে। সবাইকে কুষ্টিয়ার আসার আমন্ত্রন রইল। লেখাটা চমতকার হয়ছে। চালিয়ে যান।
২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ। কুষ্টিয়ার মানুষ বলতেই আমার কাছে খুব আপনজন মনে হয়। আমার ছেলেবেলার গড়াই আজ মৃত, অনেক কিছুই বদলের জোয়ারে ভেসে গেছে। শুধু বদলে নি আমার ভালবাসা। তা আগের মতই কুষ্টিয়াকে ভালবাসে। খুব ছোটবেলায় মজমপুর গিয়েছিলাম। নানীর বাবার বাড়ী। বারুইপাড়া না এ ধরনের কি যেন নাম। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।
২৬| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১:১৬
শত রুপা বলেছেন:
পুচকু সোহামনি রাজসহানকে আমার শুভেচ্ছা।
২৭| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ২:৪৮
ইসতিয়াক আহমদ আদনান বলেছেন: লিখাটা পড়ে ভাল লাগল।
২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৪৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ আদনান।
২৮| ২৫ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:৫৯
মেহবুবা বলেছেন: আরো আরো লেখা চাই এমন কুষ্টিয়া নিয়ে ।
আগেই পুরষ্কার গত ২৬শে মে/২০১০ তারিখ তোলা ---
এখানে লালন শাহ ব্রীজে দাড়িয়ে দেখা যাচ্ছে অদূরে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ১০০ বছরের পুরোন । আমার মেয়ে শুনে এবং দেখে অবাক হয়েছে ।
এখানে কত কত কুষ্টিয়ার ব্লগার , কেউ কি বলতে পারবে কুষ্টিয়া সুগার মিল কোথায় ?
২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫২
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক সুন্দর তো ছবিটি। এটা আমার দেখা হয়নি। অনেক ধন্যবাদ মেহবুবা। কুষ্টিয়ার ভাইরা জানিয়ে দিন কোথায় সুগার মিলটি।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: মেহবুবা, এই মাত্র মামা কে জিজ্ঞেস করে জানলাম কুষ্টিয়া সুগার মিল জগতি মিনা পাড়ায়। মিলপাড়া থেকে ১৪/১৫ কিলো দূরে।
২৯| ২৫ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:০৭
চতুষ্কোণ বলেছেন: যাইনি কখনো। লেখাটা ভালো লাগলো। চলুক....
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:২১
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ চতুস্কোন। সাথে থাকুন।
৩০| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৩৯
শায়মা বলেছেন: @কোয়ানটাম সায়েনস ভাইজান রেনউইক বাধে যাইতেন?
আপনার নাম জানতে মন চায়।
৩১| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৪১
শায়মা বলেছেন: @ মেহবুবা আপ. একশোবার পারবো দুইশোবার পারবো।
কুষ্টিয়া সুগারমিল জগতি সুগারমিল নামেই পরিচিত। যেটাকে সুরন্জনা আপু মিলপাড়া বলেছে।
২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: ও মনি তুমি কি আমাগের কুষ্টের মিয়ে??? মিলপাড়ায় তো সুগার মিল নেই সোনা। ওখানে আগে ছিলো মোহিনী মিল। সেটা ছিলো কাপড়ের। ওটার ছবি এখানে দিয়েছি। দর্শনায় সুগার মিল আছে। ওটা ছোটবেলায় দেখেছিলাম।
৩২| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫০
শায়মা বলেছেন: আপু শাহরিয়ার খানের বাড়ি কুষ্টিয়ায় না হওয়ার দুঃখে সে কাঁদতেছে।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:২৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: আহার! ওকে বল কুষ্টিয়াতে বিয়ে করে ফেলতে তাহলে আফসোস থাকবেনা।
৩৩| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫১
রাজসোহান বলেছেন:
সুগার মিল দর্শনাতে
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:২৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: এই ছাওয়াল পাওয়ালগেরে নিয়ে আর পারিনে। সুগার মিল জগতি মিনা পাড়ায়। বুঝিছো?
৩৪| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৮
শায়মা বলেছেন: @কোয়ানটাম সায়েনস ভাই। আরেকটা কথা বলতে মন চাইলো আপনার আতিয়ার স্যারের কথা শুনে।
কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের কেমিস্ট্রীর জনপ্রিয় দীর্ঘাঙ্গী ছিপছিপে সাবলীল ভাষ্যের সেই আতিয়ার স্যার। তার ক্লাসে ওমন বিদঘুটে সাবজেক্টটাও যেন কবিতা হয়ে যেত।
আর তার বাড়ীটাও গাছগাছালী ঘেরা ছোট্ট এক রুপকথা রুপকথা বাড়ি। একদিন যাবো দেখতে উনাকে। কেমন আছেন উনি জানিনা।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:২৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: পরিচিত মুখগলো কে মনে পড়িয়ে দেবার জন্য অবশ্যই সুরন্জনাকে একটা পোস্ট উত্সর্গ করা উচিত।
৩৫| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৮
মেহবুবা বলেছেন: @ শায়মা , কথাটা কি মিলপাড়া না মিনাপাড়া ?
কে এস এম ঢাকা ইউনাইটেড মিনাপাড়া স্কুলটা কোথায় বলতো ? ঠিক ঠিক বলবে কিন্তু ।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩০
সুরঞ্জনা বলেছেন: সুগার মিল জগতি মিনাপাড়ায়। কুষ্টিয়া শহর থেকে ১৪/১৫ কিলোমিটার দুরে।
৩৬| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:০০
শায়মা বলেছেন: ওপস স্যরি। কুষ্টিয়া স্যুগারমিল মানে জগতি স্যুগারমিল। জায়গাটার নামই জগতি। ভুল হয়ে গেছে আপুনি। আমি ভেবেছিলাম স্যুগারমিলকেই মিলপাড়া বলেছো।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩২
সুরঞ্জনা বলেছেন: খুব খ্রাপ। কুষ্টের মিয়ে হইয়ে এমুন ভুল কইরলে?
৩৭| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:০২
শায়মা বলেছেন: মিনাপাড়া সম্ভবত রেনউইকের পাশের গলিটা দিয়েই যেতে হয়। অনেকদিন হলো সব ভুলেছি আপুনি। কতদিন যাইনা। দাদু দিদা কেউ বেঁচে নেই।
হঠাৎ সব মনে পড়ে গেলো। খুব মন খারাপ হলো কেনো যেন। পুরোনোদিন মানে মন খারাপ খারাপ ভালো লাগা।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছো। পুরনো দিন মানেই মন খারাপ মন খারাপ ভালো লাগা। আর আমার এই মন খারাপ মন খারাপ ভালো লাগাটাই ভালো লাগে তাইতো শুধু স্মৃতির নদীতে ডুব দেই। ৮৭/৮৮ তে শেষ গিয়ছিলাম। ইচ্ছে আছে এবার শীতে একবার যাওয়ার।
৩৮| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:০৩
শায়মা বলেছেন: মিনাপাড়া সম্ভবত রেনউইকের পাশের গলিটা দিয়েই যেতে হয়। অনেকদিন হলো সব ভুলেছি আপুনি। কতদিন যাইনা। দাদু দিদা কেউ বেঁচে নেই।
হঠাৎ সব মনে পড়ে গেলো। খুব মন খারাপ হলো কেনো যেন। পুরোনোদিন মানে মন খারাপ খারাপ ভালো লাগা।
৩৯| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:১৩
শায়মা বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ও মনি তুমি কি আমাগের কুষ্টের মিয়ে??? মিলপাড়ায় তো সুগার মিল নেই সোনা। ওখানে আগে ছিলো মোহিনী মিল। সেটা ছিলো কাপড়ের। ওটার ছবি এখানে দিয়েছি। দর্শনায় সুগার মিল আছে। ওটা ছোটবেলায় দেখেছিলাম।
হি
হি
হি
মিলপাড়া মানে মোহিনীমিল একদিকে আর স্যুগারমিল মানে জগতি অন্যদিকে, ওটাকেই কুষটিয়া স্যুগারমিল বলেরে আপুনি। ছি ছি নানাবাড়ির দেশ চেনোনা?
আর কাপড়ের মোহিনীমিল তো জগৎবিখ্যাত। বন্ধ হবার পরেও। ইতিহারের বই এ পাওয়া যায়।
দর্শনায় শুধু স্যুগারমিলই নয় কেরু কোম্পানী আছে। সেটা মনে হয় আমাদের কুম্ভকর্ণ দুলাভাই ভালো চিনবে।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: আসলেই ওটার কথা মনে নেই। একটু আগে ন'মামাকে ফনে জিজ্ঞেস করে জানলাম।
দুলাভাই শুধু ধোয়া টানতেই পারেন। কিচ্ছু চিনেননা। বিয়ের পর অবশ্য কুষ্টিয়া গিয়েছে ৩/৪ বার।
৪০| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:১৫
আরিয়ানা বলেছেন: আমার ক'য়েকবার কুষ্টিয়া যাওয়া হয়েছে। চমৎকার ছোট্ট শহর। আমার জন্মের পরে ক'বছর ভেড়ামাড়া ছিলাম কারন আমার বাবা ওয়াপদার এন্জিনিয়ার ছিলেন ভারামারায়। পরে বড় হবার পরে ক'য়েকবার জায়গাটি দেখতে গেছি কারন ছোট বেলার কোন কথাই মনে পড়ে না...তখন ১/২ বছর বয়স ছিল । পরে গিয়ে ভাল লেগেছে।
ভাল লাগলো আপনার লেখা পড়তে। পাক্শি ব্রিজটি হেটে কয়েকবার এপার ওপার গেছি। ছবি দেখতে ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০১
সুরঞ্জনা বলেছেন: শুনে খুব ভালো লাগলো আরিয়ানা যে আমার ভালবাসার শহরে তুমি গিয়েছো।
ভেরামাড়ায় আমি ছোটবেলায় একবার গিয়েছিলাম।
আব্বা যখন পাবনা ছিলেন তখন আমরা প্রায়ই বেড়াতে যেতাম পাকশী। তখন এই ব্রিজের উপর দিয়ে অনেক হেটেছি। অনেক অনেক ভালো থেকো আপুটা।
৪১| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:২০
প্লাস_মাইনাস বলেছেন:
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে
পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি
দুই ধার উচু তার ঢালু তার পাড়ি
চিক চিক করে বালু কোথা নেই কাদা
একধারে কাঁশ বন ফুলে ফুলে সাদা
আমার প্রিয় গড়াই নদী
এখানে দেখি অনেক কুষ্টিয়ার মানুষ। আমিও কিন্তু আছি। লেখক কে ধন্যবাদ (সাথে প্লাস) এত সুন্দর একটা লেখার জন্য।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার প্রিয় গড়াইএর এত্তো সুন্দর ছবিগুলো দেয়ার জন্য।
৪২| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৫
মাহমুদ রহমান বলেছেন: হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কিন্তু গড়াইয়ের উপরে না, পদ্মার উপরে। আপনি যদি গোয়ালন্দ থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে উঠেন তাহলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজে উঠার কথা না। তবে গড়াই ব্রিজ পার হতে হবে।
কুষ্টিয়াকে বাংলাদেশের আর সব জেলা থেকে আমার কাছে আলাদা মনে হয়।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ রহমান। হয়তো স্মৃতি ভুল হতে পারে। বড় হয়ে যখন গিয়েছি তখন বাসেই গিয়েছি।
৪৩| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৮
কোয়ানটাম সায়েনস বলেছেন: @শায়মা, জী, এখনও যায়। এখন অবশ্য আর আগের মত প্রাকূতিক নেই বাধটা, বাধের চারপাশ দিয়ে বেঞ্চ বানিয়ে দিয়েছে বসার জন্যে। নদীতেও পানি কমেছে। তবুও কুষ্টিয়ার মানুষগুলো মনে হয় এই গড়াইটাকেই সবচেয়ে বেশি ভালবাসে, তার পাশে বসেই সবচেয়ে বেশি সূখ খূজ়ে পায়। আর তাইতো এখনো যেকোনো উতসবে, সেখাতে তিল ধরানোর ঠায় থাকে না। এখনো প্রতি দুমাসে একবার বাড়ী যাওয়া হয়, আর বাড়ী গেলে তো বাধে না যেয়ে আসাটা সম্ভব না।
জী শায়মা, আমার নাম মামুন।বাড়ী তো বলেছি। আর ঢাকাতে থাকি মতিঝিল এ। ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর এখন চাকরগিরি করছি।অন্যের চাকরগিরি করে করে যখন বোরিং লাগে তখন একটূ সামুতে আসি। বাচার প্রেরণা নিয়ে আবার ফিরে যায় কাজে।
কুষ্টিয়ার ভাইয়েরা আমাকে ফেসবুকে এড করলে খুশি হব।
ফেসবুকঃ Click This Link
ইমেইলঃ [email protected]
আমরা যারা সামুতে কুষ্টিয়ার ব্লগার আছি তারা ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুললে কেমন হয়? ছবি টবি শেয়ার করা যাবে।মতামত আশা করছি।
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: ঐ বাধ আমি দেখিনি। এই শীতে কুষ্টিয়া যাওয়ার ইচ্ছে আছে। তখন সব ঘুরে দেখবো ইনশাল্লাহ!
২৫ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫২
সুরঞ্জনা বলেছেন: ফেসবুকে তো কুষ্টিয়া গ্রুপ আছে। আমিও আছি ওটাতে। খোঁজ নিয়ে দেখুন।
৪৪| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫০
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: আমার প্রচন্ড রকমের ভালো লাগা এক জেলা,
কি নেই সেখানে...
শেষ পর্যন্ত সেখানে সুরঞ্জনাও আছে জেনে জেলাটির আর কোন কিছুর অভাব রইলোনা বলেই ভালো লাগছে।ঐ জেলাটি দেখেই মনে হয়েছিলো এটা সুরঞ্জনার দেশ না হয়ে পারনো
জিতে রাহো কুষ্টিয়া...
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: ওয়াও! তুমি ও কুষ্টিয়া গিয়েছো সম্রাট? সত্যি, আমার ভালবাসার শহরের কথা মনে হলেই উড়ে যেয়ে দেখতে ইচ্ছে করে।
জিতে রাহো কুষ্টিয়া......
৪৫| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫১
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ভাই দেহি আমার বাড়ির কাছের লোক......
ভালা পোস্ট দিছেন.......(+)
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১০
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন। খুশী হলাম জেনে।
৪৬| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫২
বাংলাদেশ-ফয়সাল বলেছেন: ওই আমিও কুষ্টিয়ার
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১১
সুরঞ্জনা বলেছেন: কুষ্টিয়া জিন্দাবাদ!!!!!!!!!
৪৭| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫৬
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: সুরঞ্জনা আপু মাইন্ড খাইয়েন না দেশি লোক দেইখা ভাই কইয়া ফালাইছি.....
আপনার পাশের জেলায় থাকি..... কুমার নদীর তীরে.......
২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১২
সুরঞ্জনা বলেছেন: কুনু ব্যাফার না। তয় কুমার কিন্তুক নদ, নদী না।
৪৮| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৪৬
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: আপু শুধু কুষ্টিয়া নয় বাংলাদেশের সব গুলো জেলাতে আমার যাওয়া হয়েছে, অনেক গুলো থানা শহরেও আমার থাকা হয়েছে।
কুষ্টিয়াতে আমি তিন দফায় বেশ কয়দিন থাকেছি,
লালন ঘরে একটা দিন কাটিয়েছি, ওখানে যারা গান করেন তাদের সাথে সুন্দর সময় কেটেছি,হেরে গলায় গান আর তবলায় উঠে নাচা নাচি,হারমোনিয়ামের নরম ডেবে যাওয়া বাটন গুলোতে আঙ্গুলের দোল খাওয়া ইত্যাদি বিষয় গুলো আমাকে আনন্দ দিয়েছিল খুব,
রবি ঠাকুরের সারা বাড়িতে হেটে বেরিয়েছি,তার বিশাল আকৃতির পালকি দেখে অবাক হয়েছি। সব মিলিয়ে কুষ্টিয়াকে খুব মিস করি।
আপু তোমাকে নিয়ে কুষ্টিয়া যেতে পারলে আরো ভালো লাগতো
২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৩৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: ছেউড়িয়া নানাবাড়ী থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরে। আগে একটা নদী ছিলো, কালীনদী ওটার ব্রীজ পার হলেই ছেউড়িয়া। নদীটি এখন নেই জানি। ব্রীজটি আছে কিনা জানা নেই।
আগামী পর্বে সেই ছেউড়িয়ার কথাও লিখবো। তবে আমার স্মৃতিগুলো অনেক অনেক আগের। তোমরা মিল খুজে নাও পেতে পারো। অনেক অনেক ভালো থেকো সম্রাট।
৪৯| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৮
দীপান্বিতা বলেছেন: ইস্! কত কথা যে মনে করিয়ে দিলেন!... আমরাও জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় আসতাম যখন, ফারাক্কা ব্রিজের উপর ট্রেন উঠলে একটা অদ্ভুত আনন্দ হত। আমিও জানলা ছেড়ে নড়তাম না! রাতে আবার চাঁদের সাথে দৌড়!
স্টেশনের কাছে বাড়ি হলে বেশ সব সময় কুউ-ঝিক্-ঝিক্ শুনলে, বেড়াচ্ছি বেড়াচ্ছি ভাব আসে, তাই না! পাপার এক বন্ধুর বাড়িও স্টেশনের কাছে- গেলেই খুব ভাল লাগে।
আমাদের জলপাইগুড়িতেও না সকাল ৯টায় চা বাগানের ভোঁ বাজতো! এখন কলকাতায় সে ভোঁ মনে হয় স্বপ্নের মত!
আরেকটা ঘটনা মনে পড়ছে। জলপাইগুড়িতে পাপা কিছুতেই রান্নার গ্যাস নেয় নি, একটা দুর্ঘটনা হওয়ার পর। তো, আমাদেরও উনুন জ্বালানো হত। সে এক মজার ব্যাপার! আমার কলকাতার ভাই-বোনরা বিশ্বাসই করে না আমিও উনুন জ্বালতে পারি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুরঞ্জনাদি, কত কথা মনে পড়ে গেল আপনার এত সুন্দর লেখা পড়ে!
[কুষ্টিয়ার একটা ম্যাপ ছোট করে জুড়ে দেবেন!]
২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দীপা। এই যে কয়লার ইঞ্জিন, কয়লার উনোন, এসব যেন রুপকথা হয়ে গেছে। এই যে বিমলানন্দ এটাও কি এখন আছে? কত ছোট ছোট বিষয়ে খুশী হতাম আমরা। আমাদের চাওয়াগুলো অনেক ছোট ছিলো, কিন্তু প্রাপ্তিটাকে অনেক বিশাল মনে করতাম। তাইতো আমরা এতো সুখি ছিলাম। আগামী পর্বে আমার কুষ্টিয়া নিয়ে আরও কথা হবে।
তোমার কথামত কুষ্টিয়ার ম্যাপ দিলাম।
৫০| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৪৫
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: এক যুগ পরে এবার কষ্টিয়া গেলাম। এবারের প্রথম ও দ্বিতীয় যাত্রায় ঘটেছিল সব রোহমহর্ষক ঘটনা। তবে এ বছরের তৃতীয় যাত্রা ছিল একেবারেই আনন্দ ভ্রমন। কুঠিবাড়ী, লালনের দরগা, মীর মোশাররফ হোসেনের জন্মভিটে (ভিটে নেই স্কুল আছে) দেখে এলাম।
তবে সবচেয়ে ভালো লাগছে কুঠিবাড়ী থেকে ফেরার পথে গড়াইয়ের উপর পাশাপাশি সড়ক ও রেলসেতু। দারুণ একটা জায়গা।
অবশ্য গড়াই আমার আজন্ম দূর্বলতার এক জায়গা।
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:১৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমার কথা শুনে হিংসে হচ্ছে দুরন্ত। ইসস! কত্তদিন যাওয়া হয়না। এই যে লালন সেতু তাও দেখা হয়নি। গরাইএর পাড়ে বাধ দেয়া হয়েছে শুনে ভালো লাগেনি। কোথায় হারিয়ে গেলো সেই উন্মাতাল প্রমত্বা পদ্মা? সেই গড়াই? এই বাংলাদেশে দুটি শহরের প্রতি আমার অনেক দুর্বলতা।
কুষ্টিয়া আমার ভালোবাসা। আর ময়ননসিং (এখানে হ টা দিতে পারিনা)।
৫১| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:১৭
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা আপু। প্রথম দিকটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। যেখানে আবেগের বিষয় এসেছে, মা-বাবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে হারিয়ে যাওয়ার বিষয় এসেছে, নানা-নানি ও মামাদের প্রতি আকুলতা ফুটে উঠেছে; এগুলো আমাকে পাগল করে, কোথায় যেন হারিয়ে যায় মন, কোথায় যেন হারিয়ে যায়... প্রকৃতি আমাকে অতোটা টানে না।
আপনি যখন ট্রেনে যাওয়ার বর্ণনা দিচ্ছেন, এটি আপনার অভিজ্ঞতা; এখানে আপনার যে বিশেষত্ত্ব, আপু, পড়ার সাথে সাথে আমদের প্রাণ নেচে উঠে, আমরা লেখার মধ্যে হারিয়ে যাই, আমাদের মনে পড়ে আমাদের নানা বাড়ির কথা, আমাদের শৈশবের কথা; এটি নিঃসন্দেহে আপনার লেখনি শক্তি; এবং আপনার ভাষা এমন সাবলিল যে, মনে হয় যেন আপনি বসলেন আর একটার পর একটা আস্তে আস্তে লিখলেন, এটি আমার আরো ভালো লাগে।
(আমার কাছে মেইল-রিপ্লাই পাওনা আছে আপনার, দ্রুত পাঠাবো।)
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:২২
সুরঞ্জনা বলেছেন: সেই ছোটবেলা থেকেই কুষ্টিয়ার প্রতি আমার প্রচন্ড ভালবাসা। কুষ্টিয়ার আকাসে বাতাসে আমি কি যেন খুঁজে পাই। কি এক অলৌ্কিক এক মায়া, এক অজানা সুগন্ধ যা আমি আর কোথাও পাইনি। হয়তো আমার কথা অনেকের কাছে অসংলগ্ন মনে হতে পারে। কিন্তু আমি ঠিক বুঝাতে পারবোনা সে অনুভুতি। কাল হয়তো বাকিটুকু দিবো। সাথে থেকো।
সময় করে মেইল দিও। ভালো থেকো অনেক করে।
৫২| ২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:০৬
টানজিমা বলেছেন: আমার বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরসরাই থানার চিথলিয়া গ্রামে.........
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:২৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: কুষ্টিয়ার জন্য ভালবাসা।
৫৩| ২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:০৭
চাঁপাবাজ বলেছেন: আমারও....
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:২৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: কুষ্টিয়ার জন্য ভালবাসা।
৫৪| ২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:০৮
বখাটে পুলা বলেছেন: আমারও....
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:২৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: কুষ্টিয়ার জন্য ভালবাসা।
৫৫| ২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৩০
শায়মা বলেছেন: গড়াই নদীর ওপার কুমারখালী। সেখানে বিছানার চাদরের ফাক্টরী ছিলো। দাদুবাড়ির বিছানায় সারে সারে পাতা হত সেসব ডোরাকাটা চাদর।
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: নানাবাড়ীর ঠিক পাশেই ছিলো পিয়ার টেক্সটাইল। ওরাও এরকম ডোরাকাটা বিছানার চাদর বানাতো। যা আমরা গাট্টি বেধে নিয়ে যেতাম। তোমার দাদুবাড়ি কুষ্টিয়ার কোথায়? শেষ কবে গিয়েছিলে?
৫৬| ২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১:০০
শায়মা বলেছেন: থানাপাড়া।
শেষ গিয়েছি ৯৯ এ।
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ১:১২
সুরঞ্জনা বলেছেন: থানাপাড়ায় অনেক গিয়েছি। ওখানে খালাতো বোন আর ছোটখালা থাকেন। দুজনের স্বামীই উকিল। খালু অবশ্য মারা গেছেন। হয়তো তোমার আব্বা চিনবেন। এবার তোমায় চিনেছি। ঐ যে বাসার সামনে দাড়িয়ে ফোকলা মুখে আইসক্রিম খাচ্ছিলে আর আমি নাম জিগ্গেশ করতেই হাত থেকে আইসক্রিম পড়ে গেলো আর তুমি ভ্যা করে কেঁদে দিয়েছিলে। মনে পড়ে?
৫৭| ২৬ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: কুস্টিয়া আমারো ভালোলাগার সৃতি বিজরিত শহর। আমি ঝিনেদাহ ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলাম। আমার বেশ কয়েজন সহপাঠীর বাড়ি ছিল ওই এলাকায়। যেমন-মজমপুর, মেহেরপুর, কুমারখামী, দর্শনা ইত্যাদি। কলেজ ছুটিতে আমার খুব বেশী নিজ বাড়িতে ফেরা হতোনা। আমার বন্ধুরা সবাই ছিল-আমি অন্ত প্রান। আমি ওদের সাথে স্বাচ্ছন্দে চলে যেতাম ওদের বাড়িতে। এখনো সময় সুযোগ পেলে আমার বাউন্ডুলে মন(স্বভাব) চলে যায় সেইসব সৃতিবিজ্রিত এলাকায়। আমি স্বশরিরে গিয়ে হাজির হই-কিন্তু ঐ জনপদ এখন নিরাপদ নয়। অন্দধকার জগতের আর্মস ক্যাডারদের হাত থেকে একবার "জীবন নিয়ে ফিরে এসেছিলাম-আল্লাহর অসীম রহমতে"।
+
২৬ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩০
সুরঞ্জনা বলেছেন: জানি ভাইয়া কুষ্টিয়া তার আগের নির্মল কমলতা হারিয়েছে। খুন জখম রাহাজানি অনেক বেড়েছে। নকশালের ঘটনা আগেও ছিলো। কিন্তু খুন জখম সন্ত্রাস ছিলোনা। আমার ভালোবাসার শহর আপনার পরিচিত যেনে ভালো লাগলো। ঝিনেদাহ আমি গিয়েছি। ওজায়গাও ভালো লেগেছে। ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, পাবনা এসব জায়গার ভাষা আমার কাছে এক রকম মনে হয়। আর ভাষাগত কারনেই এ জেলাগুলোর প্রতি আমার দুর্বলতা আছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
৫৮| ২৬ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:৩৮
রাজসোহান বলেছেন:
আমার বাড়ি থানাপাড়া
২৬ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩১
সুরঞ্জনা বলেছেন: ভাগিনা কিরাম আছো?
৫৯| ২৬ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:১১
শায়মা বলেছেন: আরে রাজুবেটা তো দেখি আমার মামাখালাদের কেউ হবে নিশ্চয়ই।
২৬ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: নিশ্চয় নিশ্চয়!
৬০| ২৬ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০৭
শারইফ বলেছেন: এখানে কুষ্টিয়ার আনেকেই আছে দেখছি!
@নীল ভোমরা: ক্লাশ থ্রি থেকে এইট পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে পড়েছি... গড়াই নদীর পাড়ে কেটেছে কৈশরের আনন্দময় অনেকটা সময়!
-- SSC পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে পড়েছি। বাবার চাকরির সুবাদে রেনউইকে ছিলাম তিন বছর। গড়াই নদী, নদীর পাশের মাঠ আর বড়ো বড়ো কড়ৈই গাছগুলোর নিচে কেটেছে আনেক সময়।
@মেহবুবা: কুষ্টিয়া সুগার মিল কুষ্টিয়ার কোথায় জানো তুমি?
@রাজসোহান: সুগার মিল দর্শনাতে
-- কুষ্টিয়া সুগার মিল কুষ্টিয়া শহর থেকে ১২/১৩ KM দুরে জগতিতে আব্স্থিত। আসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা।
দর্শনাতে আরেকটা সুগার মিল আছে। দুইটা আলাদা সুগার মিল।
@শায়মা: আরেকটা কথা বলতে মন চাইলো আপনার আতিয়ার স্যারের কথা শুনে।
-- আমিও আতিয়ার স্যারের সটুডেন্ট ছিলাম। তবে অন্য কলেজে। উনি আমার প্রিয় শিক্ষক ছিলেন (আমিও উনার প্রিয় সটুডেন্ট ছিলাম )
@শায়মা বলেছেন: মিনাপাড়া সম্ভবত রেনউইকের পাশের গলিটা দিয়েই যেতে হয়।
-- রেনউইকের পাশের গলিটা দিয়ে তো police line. মিনাপাড়া জগতিতে।
@শায়মা: দর্শনায় শুধু স্যুগারমিলই নয় কেরু কোম্পানী আছে সেটা মনে হয় আমাদের কুম্ভকর্ণ দুলাভাই ভালো চিনবে।
-- কুম্ভকর্ণ দুলাভাই চিনুক আর না চিনুক। আমি ঠিকই চিনেছি।
@জুল ভার্ন: কিন্তু ঐ জনপদ এখন নিরাপদ নয়।
-- হা ঐ জনপদ এখন মোটেই নিরাপদ নয়। সন্ত্রাস, চরমপন্থী এখন এখানকার মুল সমস্যা। (ইতিমধ্যে চরমপন্থীদের কাছ থেকে কতগুলো চিঠি আমরা পেয়ে গেছি )। এছাড়া বেকারত্ব, আর্সেনিক, জংগীবাদ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
@কোয়ানটাম সায়েনস: আমরা যারা সামুতে কুষ্টিয়ার ব্লগার আছি তারা ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুললে কেমন হয়? ছবি টবি শেয়ার করা যাবে. মতামত আশা করছ।
-- সবার কাছ থেকে মতামত আশা করছি।
২৬ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো যেনে। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
৬১| ২৬ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:১১
শারইফ বলেছেন: পোস্টে প্লুস।
২৬ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩৫
সুরঞ্জনা বলেছেন:
৬২| ২৬ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৫৭
তারার হাসি বলেছেন: আপনার নানা আর আমার নানার পেশায় দেখি অনেক মিল, তবে আমার নানা দেখতে অনেক হ্যান্ডসাম ছিলেন।
আপনার নানাকে আমার রীতিমত বীর পুরুষ মনে হচ্ছে, এমন সৎ নানা থাকাটাই গর্বের !
খুব ভাল লাগল !!
২৬ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০
সুরঞ্জনা বলেছেন: বীর পুরুষ তো বটেই। কিন্তু ঐ হিটলারি মেজাজের জন্যই তো.........
আমার নানী কিন্তু খুব সুন্দরী ও গুনী মহিলা ছিলেন।
ধন্যবাদ পোস্টটা পড়ার জন্য।
৬৩| ২৬ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: কুষ্টিয়াতে যে জায়গাটি সবচেয়ে সুন্দর লেগেছে আমার কাছে
গড়াইয়ের মৃত্যু কষ্ট দেয় ভীষন
সারি বেধে ছোট ছেলে মেয়ের দল হেটে গড়াই পার হচ্ছে- এটা অবশ্য কুষ্টিয়াতে নয়। কুষ্টিয়ায় তো পানিই চোখে পড়ল না
২৬ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: সত্যি কখনো ভাবিনি এমন দৃশ্য দেখতে হবে।
আচ্ছা, ছেউড়িয়া যেতে যে কালী নদী ছিলো ওটাও নাকি নেই?
৬৪| ২৬ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সকাল রয় বলেছেন:
আমি প্রতিবারই নতুন নতুন এলাকায় ঘোরাঘুরি করি
গতমাসে নাটোর গেছিলাম
একবার সময় করে কুষ্টিয়া যাবো।
আপনার পোষ্ট ভালো লাগলো
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫০
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। দেখা যায়না কেন? ব্যাস্ত?
৬৫| ২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৪
শায়মা বলেছেন: শারইফ আমি কিন্তু রেনউইকে অনেক গিয়েছিলাম।কারন থানাপাড়ার পাশেই তো।
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমিও অনেক গিয়েছি। তবে এই রেনউইক নাম হবার পর যাইনি।
৬৬| ২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১৪
জুন বলেছেন: সুরন্জনা তোমার চোখে আবার কুষ্টিয়াকে দেখলাম। আমি বহুবার গিয়েছি।সুন্দর শহর। আমার খুব ভাললেগেছে তোমার বর্ননা। ওখানে কাচাঁ কাঠালের তরকারী টা আমার খুব ভালোলেগেছে।
২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৫০
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমার প্রিয় শহরে গিয়েছো যেনে ভালো লাগলো জুন। আমি অবশ্য নানাবাড়ী বা আম্মার কাছে কোন দিনও কাঁচা কাঠালের তরকারী খাইনি। ওটা বিয়ের পর এক প্রতিবেশীর কাছে খেয়েছিলাম।
অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য। ভালো থেকো।
৬৭| ২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২৩
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: ঢাকার বাইরে আমার কোণই চেনা যায়গা নাই
২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৫৫
সুরঞ্জনা বলেছেন:
৬৮| ২৮ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫১
রাত্রি২০১০ বলেছেন: ওমা তুমি কবে লিখে ফেললা এটা? আমি কোথায় ছিলাম?
দারুন লাগল দিদি। মনে পরে গেল ট্রেনে করে নানা-দাদা বাড়ির সময় গুলো। মাঝে মাঝে আমার অবাক লাগে, তুমি কেমন করে আমার সব গল্প জান! তোমার বিয়ের পর পরই যদি তোমার পরির জন্ম হয়, তাইলে উনার কাছাকাছি বয়স আমার--কিন্তু মনে হয় তুমি আমার পরান সখা!
২৮ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:২১
সুরঞ্জনা বলেছেন: হা হা হা হা হা। আমি তোমার সঙ্গে বেধেছি আমার প্রান সুরের বাধনে.........
আমি তো আমার মেয়ের একমাত্র পরান সখী। তোমারো বটে।
৬৯| ৩০ শে জুন, ২০১০ সকাল ৮:২৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: ভীষন ভাল.......
৩০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:১৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ রেজোয়ানা।
৭০| ৩০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৮
সত্যবাদী মনোবট বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছে কবে যেতে পারবো জানি না। ভালো লাগলো পড়ে। আপনি কখনও চাঁদপুর গিয়েছেন? আপনার মত আমিও আমার এই ছোট্ট শহরটি কে অনেক মিস করি.......
আমার ব্লগালয়ে আপনাকে নিমন্ত্রণ......
৩০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২১
সুরঞ্জনা বলেছেন: না ভাইয়া চাঁদপুর যাওয়া হয়নি। তবে কুমিল্লা গিয়ছি। ছোট জেলা শহরগুলি আসলেই ভালো লাগে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৭১| ০১ লা জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৩৯
সত্যবাদী মনোবট বলেছেন: আপনার নিমন্ত্রণ রইলো। আশা করি ভালো লাগবে। আপনার পোষ্টগুলোতে আপনার মন্তব্য আশা করছি। ভালো থাকবেন,দোয়া করবেন
০৫ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪১
সুরঞ্জনা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৭২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯
জনৈক আরাফাত বলেছেন: কুষ্টিয়ার মাটিতে পা দিয়েই আমার এক অন্য রকম অনুভুতি হতো। আমি ভাষায় সে সুখানুভুতির বর্ননা দিতে পারবোনা।
একই অনুভূ্তি.
আমার বাড়ি জগতি .. যদিও কুষ্টিয়ার বাইরে মানুষ!
আবেগেক্রান্ত হলাম খুব পোস্ট টা পড়ে।
কারণ, প্রায় তিন বছর পর গেলাম ওখানে দুই সপ্তাহ আগে.।
০৬ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ জনৈক আরাফাত। আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুশী হলাম।
৭৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
সহেলী বলেছেন: এটায় মন্তব্য নেই আমার !
হতে পারে না !
"কুষ্টিয়ার মাটিতে পা দিয়েই আমার এক অন্য রকম অনুভুতি হতো। আমি ভাষায় সে সুখানুভুতির বর্ননা দিতে পারবোনা।" ...... এমন কথা আমারো বলতে ইচ্ছে করে ! যেতে চাই , কেউ নিয়ে যায় না । কুষ্টিয়ার মানুষ বড় স্বার্থপর ! যেমন জনৈক আরাফাত নামে একজন গেল সেদিন একটু বলেও গেল না । গেলে কি আর ওদের বাড়ীতে খেতাম ! না হয় না খেয়ে থাকতাম । যাওয়া তো হোত ।
জগতি কারো একার বাড়ী হয়কি ! জগত সবার , জগতিও সবার !
০৬ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: সহেলী এ ধরনের অনুভুতি সব মানুষেরই নিশ্চয়ই হয়। সব প্রিয় শহরের বেলাতেই এটা প্রযোজ্য বলে আমার মনে হয়।
৭৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩
জনৈক আরাফাত বলেছেন: সহেলী, আপনি যে কুষ্টিয়াতে থাকেন সেটা তো জানিইনা। জানতাম কুষ্টিয়ার প্রতি আপনার টান আছে। যোগাযোগ তো আপনিও করতে পারতেন! কবে দিচ্ছেন দাওয়াত!
জগতি মানে তো ছোট্ট জগত!
৭৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০২
সহেলী বলেছেন: @ জনৈক আরাফাত , আমি কুষ্টিয়ায় থাকি কে বলেছে ! কখনো ছিলাম হয়তো ! নয়তো ছিলাম না ! কুষ্টিয়ায় দাওয়াত ! পেতেও পারো ! আমার কুলখানি , চেহলামের । যদি কেউ আয়োজন করে ! দু:খিত , ওই দুটির সঠিক তারিখ আপাতত: জানাতে পারছি না ।
০৬ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:০০
সুরঞ্জনা বলেছেন: এ ধরনের দাওয়াতে আমি যেতে রাজি নই। অনেক ভালো থেকো সহেলী।
৭৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৫
জনৈক আরাফাত বলেছেন: @ সহেলী, অন্য দাওয়াত গুলো পেতে তো আপত্তি নেই আমার। সেগুলো তো আপনার হাতেই।
ছিলেন হয়তো কখনো! চমকে দিলো!
৭৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২১
সহেলী বলেছেন: সুরঞ্জনা তুমি ভালবাসার কাজল চোখে কুষ্টিয়াকে দেখছো ! ভালবাসার এই এক দোষ ! কোন খুঁত চোখে পড়ে না !
আর যেও না কুষ্টিয়া গেলে ফিরতে অসুবিধে হবে !
আর অমন দাওয়াত কে দেবে বল ! যখন আমি নিজে থাকব না !
@ আরাফাত , কেন চমকে যাওয়া ! কুষ্টিয়া থাকা কি এত অসম্ভব !
০৭ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:০২
সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছো সহেলী। ভালোবাসা তো অন্ধ। এখন গিয়ে সেই আবেগ সেই ভালোলাগা কি খুঁজে পাবো? ভালোবাসার অপমৃত্যু সইতে পারবোনা।
৭৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:২০
জনৈক আরাফাত বলেছেন: @ সহেলী হয়তো তে!
৭৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১০ রাত ২:২৩
মে ঘ দূ ত বলেছেন: দারুণ! আমার ছোট বেলায় বোটে চড়ে নানাবাড়ী যাবার স্মৃতি এবং অনুভূতিগুলো মনে করিয়ে দিলেন। নানা বাড়ীতে যাওয়া আর সেখানে আনন্দ উদযাপনের মজার সাথে বোধহয় আর কিছুর তুলনা চলেনা।
আমার নিজেরও ট্রেনে জানালার দ্বারে বসা অভ্যেস
হার্ডিঞ্জ ব্রীজ দেখতে কি সুন্দর!
০৭ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২২
সুরঞ্জনা বলেছেন: নানাবাড়ীর মধুর স্মৃতি বোধহয় সবারই আছে। দাদাবাড়ীরও থাকার কথা। আমি দাদাবাড়ী যাওয়ার সুযোগ পাইনি। তাই নানাবাড়ীতেই সব সুদে আসলে আদায় করে নিতাম। অনেক দিন পরে মেঘদুতের আগমন আমার বাড়ীতে। অনেক ধন্যবাদ মেঘদুত।
৮০| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩
যুধিষ্ঠির বলেছেন: খাড়ান আমিও লিখুম আমার যশোরের কথা! পিলাচ
১৭ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০০
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির। তাড়াতাড়ি লিখে ফেলুন।
৮১| ২৯ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৭
অগ্নিলা বলেছেন: ইসস!! আজন্ম ঢাকায় বড় হবার জন্য তো আমার আফসোসই হচ্ছে!
অনুভূতি সবসময়ই খুব সুন্দর জিনিশ আপু, আরো সুন্দর মানুষ। আমাকে/ আমাদের ঘিরে থাকা প্রতিটা মানুষ।
অ.ট.- সেমিস্টার ফাইনাল শেষ। প্রাক্টিক্যাল বাকি .....(কেন জানি emo আসছে না, এখানে একটা "ইয়াক" হবে)
২৯ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৩৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: বাবার চাকরীর সুত্রে দেশের বিভিন্ন জেলা শহর দেখা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ সাংস্কৃতি দেখতে পেরেছি। মানুষকে কাছ থেকে জানার সুযোগ পেয়েছি। আজ সে সময় পরিবেশই তো নেই। সময় করে ব্লগে এসে পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ অগ্নিলা। অনেক শুভ কামনা রইলো।
৮২| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৪০
মহাকালর্ষি বলেছেন: অদ্ভুত ভালো লাগার এক শহর!
আমার জীবনের খুবই ইমপের্টন্ট কয়েকটি ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে কুষ্টিয়া।
পোস্টে প্লাস! ধন্যবাদ।
০২ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: কুষ্টিয়াকে ভালোবাসার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
৮৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৩৮
জেসমিন মলি বলেছেন: হুমম ....আমি আর কি বলবো...সবাই তো সব বলেই ফেলেছে....আমি ও কুষ্টিয়ার...আমার প্রিয় কুমারখালির ...
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ জেসমিন মলি। সত্যি আমি দুঃখিত, এতো দিন পর কমেন্টের উত্তর দেয়ার জন্য।
৮৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৫০
ফেরারী... বলেছেন: গড়াইয়ের মৃত্যু কষ্ট দেয় ভীষন ..আমি যখন ঘুড়ে আসছি তখন এক ফোটাও পানি চোখে পরেনি এত বড় নদীতে
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: সে প্রমত্মা গড়াই আজ মৃত। আমি আজ সে মৃত গড়াইকে দেখতে চাইনা। আমার স্মৃতির মনিকোঠায় জমিয়ে রাখা সে অতীতের গড়াইএর রুপই দেখবো না হয় মন চাইলে।
৮৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:০৩
শুকনা মরিচ বলেছেন: কুষ্টিয়াতে আমার অনেক অনেক স্মৃতি আছে । অনেক সুন্দর সময় কেটেছে ওখানে আমার । বিশেষ করে নৌকা ভাড়া করে গড়াই নদীতে ঘোরা, ভ্যানে করে শিলাইদহ যাওয়া । রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে পুরী পেঁয়াজু খাওয়া । আহ কি দিন ছিল সেগুলো !!!
০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:১৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: ওরে আমার সোনা যাদু আপুটা!!! তুমিও কুষ্টিয়া গিয়েছ? যারা কুষ্টিয়াকে পছন্দ করে তাদের আমার একেবারে আপনের চাইতেও আপন মনে হয়।
অনেক অনেক ভালো থেকো লক্ষী আপুটা।
৮৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৮
শুকনা মরিচ বলেছেন: ফেরী পার হয়ে রাজবাড়ী ঢোকার সাথে সাথেই সব মানুষগুলোকে খুব আপন মনে হয় । কিন্ত প্লেনে গেলে এই মজাটা পাওয়া যায়না ।
এবার বাংলাদেশে গেলে বাই রোড যশোরে যাবো - সব কিছু দেখতে দেখতে যাবো
০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৫৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: যশোর রোডটার চারপাশে এখনো অনেক পুরনো গাছের সারি। এতো ভালো লাগে।
আমারো যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, বা এর আশেপাশের মানুষদের খুব আপন মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:২৫
রাজসোহান বলেছেন: পুত্তুম পিলাচ