নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।লিখুন শীরোনাম সুন্দর একটি ব্লগের আপনার

সৈয়দ ইসলাম

আগত প্রজন্মের সাক্ষী!

সৈয়দ ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ইতিহাস, আমাদের গর্ব ১

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭



দিবস বা উপলক্ষ ছাড়াই কিছু মানুষের কথা স্মৃতিপটে আটকে থাকে। তেমনই একজন মহান ব্যক্তি হচ্ছে আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। উনার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেকের ভিন্নমত রয়েছে, কিন্তু কৃষকের স্বার্থই ছিল উনার এই রাজনৈতিক দৌড়ঝাঁপের মূল উদ্দেশ্য। বলা যায়, যারা কৃষকের স্বার্থ নিয়ে ভাবার সময় পান না, তারাই কেবল এই মহান ব্যক্তির প্রতি ভিন্নমত পোষণ করেন। উনার মতো কোন ব্যক্তিত্ব যেমন আলেমদের মধ্যে সৃষ্টি হয় নি, তেমনই সৃষ্টি হয় নি কোন রাজনৈতিক দলে। মহান এই নেতাসহ সকল জন-দরদী নেতাদের প্রপ্তি সম্মান প্রদান করত উনার একটি ঘটনা বর্নণা করছি। কোন কারণ ছাড়াই আজ হঠাৎ এই মানুষটার কথা মনে পরলো। তাই বলা।
মাওলানা ভাসানী যেহেতু সরাসরি কমিউনিস্ট মুভমেন্টের সাথে যুক্ত ছিলেন বা কমিউনিস্টদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিতেন; সে জন্য মাওলানা ভাসানীকে আমাদের তৎকালীন মুল্লারা এভয়েড করতো। কিন্তু সমাজ সেবায় তাতে কোন অসুবিধা হয়নি। কারণ মাওলানা ভাসানী এত পপুলার লিডার ছিলেন যে, কোন হুজুর কী বলেছেন না বলেছেন এসব কোন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেনি। মাওলানা ভাসানী ছিলেন খুবই বাস্তববাদী মানুষ। যিনি ফিল করেছিলেন - ইসলামকে বাদ দিয়ে কোন কিছু করা সম্ভব নয়। মানুষও তা মেনে নেবে না, আমাদেরও সেটা ঠিক হবে না। 
এই কারণে চীনা কমিউনিস্ট নেতা মাওসেতুং এর সাথে মাওলানা ভাসানীর যখন দেখা হয়, মাওসেতুংকে মাওলানা ভাসানী বলেছিলেন- আপনার এখানে এসে আমার সব ভাল লেগেছে। মাওলানা ভাসানী ভাসানীর একটা বই আছে "মাও সেতুং-এর দেশে"। ভ্রমণ কাহিনী। সেই বইতে তিনি লিখেছিলেন- "চীনে আসিয়া দেখিলাম। দেখিলাম, মানুষ হাসিতে পারে। সেই হাসি ক্ষুধাতুর কোন অসহায় মানুষের দাঁত ভেঙচির মতো নয়। আমাদের কৃষকের যেমন কষ্ট করে হাসতে হয় সেরকম নয়, আবলীলায় তারা হাসতে পারে। এই হাসিটা আমি আমার পূর্বপাকিস্তানে নিয়ে যাবো। মানুষকে হাসতে দিতে হবে, তাকে প্রাণবন্ত করতে হবে।"
মাওসেতুংকে তিনি বলেছিলেন- আপনার দেশের ভেদাভেদহীন জীবন আমার পছন্দ হয়েছে। এই জীবন ব্যবস্থা আমি পাকিস্তানে নিয়ে যাব। কিন্তু আপনি শুধু আমার একটা জিনিষ কবুল করেন। কিছু একটা তো লেনদেন করতে হবে। 
মাও জিজ্ঞেস করলেন- কী? 
মাওলানা বললেন, আপনি আমার আল্লাহ আর রাসুলকে কবুল করেন। আর কিচ্ছু করতে হবে না। আপনি আমার আল্লাহ আর রাসুলকে কবুল করবেন আমি আপনার সমাজব্যবস্থা নিয়ে যাবো পাকিস্তানে। 
মাও বললেন, এটা তো হবে না। 
মাওলানা বললেন- তাহলে আমিও আপনার মতবাদ পুরোপুরি নিতে পারবো না। তারপরেও চীনের সাথে মাওলানা ভাসানীর আমৃত্যু গভীর বন্ধুত্ব ছিল। 

চিরন্তন শ্রদ্ধা থাকলো এই মহান মানুষগুলোর প্রতি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

প্রামানিক বলেছেন: মওলানা ভাসানীর অনেক কাহিনীই আমাদের জন্য শিক্ষনীয়। তার সম্পর্কে অনেক কিছু লিখতে মন চায় কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভালো না তাই লেখা হয় না। ধন্যবাদ মওলানা ভাসানীর কাহিনী তুলে ধরার জন্য।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৭

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: সেটাই, প্রেক্ষাপটের জ্বরেরধাক্কায় বাঙালি আজ জ্বরাক্রান্ত।

আপনাকে ধন্যবাদ, শুভকামনা থাকলো।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৭/১৮ বছরে, চীনের বিশাল উন্নয়ন মওলানাকে অভিভূত করেছিল।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: আর তাই তো তিনি এ দেশের মানুষের জন্য অখানকার মার্কসবাদ বাঙলায় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।

ধন্যবাদ আপনার সুমন্তব্যের জন্য।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কথায় আছে প্রচারে প্রসার ঘটে ; আজকাল নানান বিজ্ঞাপণের ভিড়ে।
মহান নেতা মওলানা ভাসানীকে আর কেউ মনে রাখবে না। থাক আর কিছু বলে লাভ নেই। :(

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: তারপরও, প্রচারের ক্ষেত্রে সামুর অবদান বর্ণনাতীত। শুভকামনা ও সুস্বাগতম।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: নীচের ছবিটার ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে।
মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে এখন আর কোন আলোচনা হয় না। হয়তো আবার একদিন হবে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
হ্যা ভাই, এটা কষ্টের বটে। তবে এই মহান নেতাদের নিয়ে একদিন আলোচনার মিছিল চলবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.