নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী করে বুঝবেন আপনার পরিচিত-লোকটি জঙ্গী হয়ে উঠছে (কতিপয় নির্ভরযোগ্য লক্ষণের ভিত্তিতে জঙ্গী-শনাক্তের উপায়):

১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪


কী করে বুঝবেন আপনার পরিচিত-লোকটি জঙ্গী হয়ে উঠছে (কতিপয় নির্ভরযোগ্য লক্ষণের ভিত্তিতে জঙ্গী-শনাক্তের উপায়):
সাইয়িদ রফিকুল হক

একদিনে কেউ জঙ্গী হয়ে ওঠে না। মাসের-পর-মাস কিংবা বছরের-পর-বছর বিকৃত-মানসিকতা ধারণ ও লালন করার পরই কেবল একজন জঙ্গী হয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে কারও-কারও একমাস, দুইমাস কিংবা তিন-চার-মাসও লেগে যেতে পারে। আবার কারও-কারও ক্ষেত্রে এক-দুই বছর সময়ও লাগতে পারে। তবে মনে রাখবেন: হুট করে কেউ জঙ্গী হয়ে ওঠে না।
এক্ষেত্রে আপনাকে কতিপয় লক্ষণ শনাক্ত করা শিখতে হবে—যদ্দদ্বারা আপনি বুঝতে পারবেন—আপনার পরিচিত-লোকটি কিংবা আশেপাশের কেউ-একজন জঙ্গী হয়ে উঠছে।

কতিপয় সুনির্দিষ্ট লক্ষণের ভিত্তিতে জঙ্গী-শনাক্তের উপায়সমূহ:

১. যখন দেখবেন: কেউ-একজন হঠাৎ কথিত-ধার্মিক হয়ে উঠেছে—আর তার কথাবার্তায়, চালচলনে ও হাবভাবে প্রকৃত-ধার্মিকের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এবং সে আমাদের প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের বাইরে মনগড়া, আবোলতাবোল, আজেবাজে, আলতুফালতু ও উদ্ভট নিয়মরীতি কিংবা রীতিনীতির প্রচলন ঘটাতে চাইছে। যেমন, সে সকল ধর্মের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকাটা পছন্দ করছে না। সে চায় পৃথিবীতে শুধু ইসলাম আর মুসলমানই টিকে থাকুক। আর তার কথাবার্তায় সবসময় একটা উগ্রভাব পরিলক্ষিত হবে। সে বাইরে শান্তভাব দেখাবে কিন্তু ভিতরে-ভিতরে একজন নেকড়ে কিংবা পুরাদস্তুর হায়েনা হয়ে উঠবে।
২. নব্য-জঙ্গী বা জঙ্গী যে-কোনো কারণে ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধ-ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সবসময় বিরূপ মনোভাব ও ঘৃণাপ্রকাশ করবে। আর সুযোগ পেলেই সে অন্য-ধর্মাবলম্বীদের আক্রমণ করে কথা বলবে। তাদের প্রতি নির্দয় আচরণপ্রকাশ করবে। আর সে একমাত্র মুসলমান ছাড়া আর-কাউকে মানুষ ভাববে না।
৩. যখন দেখবেন: কেউ-একজন ইসলাম ছাড়া পৃথিবীতে আর-কোনো ধর্ম মানছে না, সহ্য করছে না—তখন বুঝবেন, সে জঙ্গী হয়ে উঠছে। সে আর মানুষ নেই।
৪. জঙ্গীরা ইসলামের প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের বাইরে মনগড়াভাবে শয়তানীযুক্তি উত্থাপন করবে। যেমন, মুসলমান ছাড়া আর সবাই কাফের। সুতরাং, এদের হত্যা করা জায়েজ। আবার বলবে, যারা ইসলামীহুকুমাত-কায়েম করতে চায় না—তারাও কাফের। আসলে, এসবই তাদের শয়তানীকথাবার্তা।
৫. জঙ্গীরা ইসলামের নামে মানুষহত্যাকে সবসময় জায়েজ ও হালাল মনে করবে।
৬. জঙ্গীরা মনে করে: ইসলামের নামে যেকোনো অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ জায়েজ। আর ইসলামের নামে যেকোনো মানুষকে হত্যা করলে তাদের কোনো পাপ হবে না।
৭. নব্য-জঙ্গী বা জঙ্গী যে-কাউকে হঠাৎ করে নাস্তিক বলে অভিহিত করবে। এরা নিজেদের বিপরীত চিন্তার মানুষকে সরাসরি নাস্তিক বা কাফের বা বিধর্মী বলে মনে করবে। এদের চিন্তাচেতনার সঙ্গে কারও চিন্তাভাবনার বৈপরিত্য দেখা দিলে তাকে এরা কাফের বা নাস্তিক বলে অভিহিত করে থাকে।
৮. নব্য-জঙ্গী বা জঙ্গী কিন্তু ধার্মিক নয়। এরা ধার্মিক-সাজার চেষ্টা করে মাত্র। আবার দেখা যায়: এরা পূর্বে মদ্যপ কিংবা পাপকার্যে সদাসর্বদা লিপ্ত ছিল। আর হঠাৎ করেই সে লোকদেখানো ধার্মিক হয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
৯. জঙ্গীরা সবসময় আল্লাহর আইন বা ইসলামীহুকুমাত কায়েমের কথা বলবে। আর এজন্য তাদের কাজে বাধাদানকারীরা কাফের বা নাস্তিক। তাই, এদের দৃষ্টিতে মুসলমানসহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের হত্যা করা জায়েজ।
১০. জঙ্গীরা কখনও আমাদের প্রতিবেশীরাষ্ট্র ভারতের গঠনমূলক সমালোচনা করবে না। আর তারা একটু সুযোগ পেলে অমনি ভারতের বিরুদ্ধে যারপরনাই বিষোদগার শুরু করে দিবে। প্রতিটি জঙ্গী ভারতবিরোধী এবং ভারতের হিন্দুদের প্রতি রূঢ় ও নির্মম আচরণে বিশ্বাসী। এরা ভারতের ধ্বংস কামনা করে থাকে। আর কথায়-কথায় ভারতের বিরুদ্ধে যা নয় তা-ই বলে ভারতবিরোধিতা করে থাকে। কিন্তু বিপদে পড়লে এরাই ভারতে গিয়ে আশ্রয়গ্রহণ করে থাকে।
১১. নব্য-জঙ্গীরা ইসরাইলবিরোধী মনোভাব ব্যক্ত করবে। এবং ইসরাইল ধ্বংস করাটাকে জীবনের সবেচয়ে বড় কাজ বলে মনে করবে। কিন্তু তারা নিজেদের প্রয়োজনে ইসরাইলের বা ইসরাইলের গোয়েন্দাসংস্থা-মোশাদের সাহায্য-সহযোগিতা নিতে কোনোপ্রকার কুণ্ঠাবোধ করবে না।
১২. নব্য-জঙ্গী বা জঙ্গীরা সাহিত্যপাঠ করবে না। এরা কথিত-ইসলামীসাহিত্যের নামে মনগড়া বিভিন্ন জিহাদী-বইপত্র ও আজেবাজে ফতোয়াবাজির বই পড়বে। মনে রাখবেন: এরা আগে সাহিত্যপাঠ করতে পারে। কিন্তু জঙ্গী হওয়ার পরে এসব পাঠকে কুফরী মনে করে থাকে।
১৩. এরা লুকিয়ে বা অন্যের অগোচরে জিহাদী-বইপত্র পড়বে।
১৪. এরা মহান আল্লাহ ও তাঁর নবী-রাসুলের কথার চেয়ে এদের কথিত-নেতার কথাকে বেশি গুরুত্ব দিবে। আর এরা এইসব নেতার কথা মতো সবসময় চলবে।
১৫. এরা জিহাদকে সবসময় ফরজ বলে মনে করে। আর মনে করে থাকে: ভিন্নধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রপ্রয়োগ বা যেকোনো বোমাবাজিই হচ্ছে জিহাদের অংশ। তাই, এরা বোমফাটিয়ে কিংবা গুলি করে যেকোনো মানুষকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করে না।
১৬. এরা সবসময়, আর কথায়-কথায় জিহাদ-জিহাদ করবে। আর এদের কাছে কথিত-জিহাদই একমাত্র ধর্ম।
১৭. এরা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের তালেবানদের মহান আল্লাহর ফেরেশতাদের থেকেও বেশি ভক্তি করবে। আর তারা সবসময় তালেবানদের পক্ষ নিয়ে কথা বলবে।
১৮. এরা লাদেন ও মোল্লা ওমরকে নবী-রাসুলের চেয়ে বেশি ভক্তি করবে।
১৯. এরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগ ও বামপন্থী-কমিউনিস্টদের নাস্তিক মনে করবে। আর একটু সুযোগ পেলেই এদের বিরুদ্ধে নানারকম আজেবাজে মন্তব্য করবে। কিন্তু কখনও এদের গঠনমূলক সমালোচনা করবে না।
২০. এরা সবসময় ‘হামাস’, ‘ব্রাদার-হুড’ ও ‘লস্কর-ই তৈয়্যেবা’র পক্ষে কথা বলবে।
২১. বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও তুরস্কের প্রতি এদের আনুগত্য থাকবে বেশি।

উপর্যুক্ত বিকৃত-মানসিকতা কারও মধ্যে ঘটতে দেখলে বুঝবেন সে জঙ্গী হয়ে গেছে কিংবা জঙ্গী হওয়ার পথেই হাঁটছে। সুতরাং সময় থাকতে এখনই সাবধান হন। আর জঙ্গীপ্রতিরোধে এখনই এগিয়ে আসুন।


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৫/০৬/২০১৬

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

শিশিরসিক্ত বলেছেন: সব তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন ভাই।চরমপন্থি সব ধর্মেই আছে।শুধু ইসলামেই জঙ্গি পয়দা হয়না।অন্য ধর্মেও হয়।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জঙ্গী তো এখন চারপাশে! কে কোন জঙ্গী তা বোঝা বড় মুশকিল!
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

বিজন রয় বলেছেন: অনেক পয়েন্টস বলেছেন।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার দেখা পেলাম। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদসহ শুভেচ্ছা।
আর সঙ্গে রইলো শুভকামনা।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

মূল-উপদল বলেছেন: জংগি খালি ইসলামে খোজেন ক্যান, হিন্দু জংগীদের দু একটা বৈশিষ্ট্য বলেন

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জঙ্গীদের কোনো ধর্ম নাই। এখানে, ইসলামের প্রসঙ্গ কেন আনছেন? আমাদের দেশে হামলা করেছে কারা? হিন্দু না মুসলমান? আপনি অহেতুক উত্তেজিত হচ্ছেন কেন?
ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সিগনেচার নসিব বলেছেন: যদিও আমার কাছে হাস্যকর মনে হল !! তবুও ধন্যবাদ আপনাকে

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দেশে বাকস্বাধীনতা আছে।
ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

রহমান ৭ বলেছেন: আছে নাকি বাক স্বাধীনতা? প্রথম শুনলাম মনে হচ্ছে কথাটা। আপনার নামটা মুসলিম হলেও কথা বলছেন হিন্দু জঙ্গীদের মতো। হাস্যকর মনে হচ্ছে। জঙ্গী খালি মুসলিম ধর্মে নয় হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ এবং ইহুদিদের ভিতরও আছে। দুনিয়ার সব চেয়ে বড় জঙ্গী হচ্ছে ইহুদিরা, ইসরাঈল কি কি করছে ফিলিস্তিনিদের সাথে জানা নাই নাকি? এ তো গেলো ইহুদি জঙ্গীদের কথা, এবার বলি বৌদ্ধ জঙ্গীদের কথা, মায়ানমারে কি করছে বৌদ্ধরা মুসলিমদের সাথে জানা আছে নাকি নাই? ওরা কি বৌদ্ধ জঙ্গী না? এবার আসা যাক হিন্দু জঙ্গীদের প্রসঙ্গে, ভারতে কি কি হয় মুসলিমদের সাথে সে কথা আশা করি সবাই জানে খালি আপনি ছাড়া। শেষে জাকির নায়েক এর মতো বলতে হচ্ছে , "আশা করি আপনার উত্তর টা পেয়ে গেছেন"।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি জঙ্গীদের পক্ষ নিয়ে ফেলেছেন। আর ইসলামধর্ম বোঝার কোনো যোগ্যতাই আপনার নেই।
ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

দুখু বাঙাল বলেছেন: আমি যেখানে সন্দেহে ছিলাম, আপনে সে দুটা দেশই উল্লেখ করলেন। দেখুন, ইসলাম পন্থি জঙ্গিরা যদি ইসলামের উপকার করবে তবে তারা ইসরাইলে কেন হামলা করছেনা। ইন্ডিয়তে কেন করছে না। শুধু মুসলিম দেশ গুলোই ঝামেলা সৃষ্টি করছে।

সত্যি কথা হলো, জঙ্গি নাটক দিয়ে ইসলামের কোন উপকার হবে না। ইসলাম তলোয়ার দিয়ে বিজয় হয় নি ইসলাম বিজয় হয়েছে আদৰ্শ দিয়ে। হ্যাঁ! ইসলাম কে শত্ৰুর হাত থেকে রক্ষা করা হয়ে ছিল তলোয়ার দিয়ে!

১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার যুক্তি হেফাজতের শফীর মতো।
ইসলাম আমাদের ধর্ম। আমরা ধর্মের পক্ষে। কিন্তু ধর্মের অপব্যবহারকারী একশ্রেণীর ভণ্ডদের বিরুদ্ধে।
আর জঙ্গীদের পক্ষ নিয়ে আপনারা জিততে পারবেন না।
ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩০

মহা সমন্বয় বলেছেন: কিন্তু অধিকাংশ প্র্যাকটিসিস মুসলিমের মনোভাব তো এটাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.