নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনাভাইরাস ঠেকাতে বিদেশফেরতদের কঠোরহস্তে নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতে হবে

২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫



করোনাভাইরাস ঠেকাতে বিদেশফেরতদের কঠোরহস্তে নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতে হবে
সাইয়িদ রফিকুল হক

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ‘করোনা-ভাইরাস’ ধরা পড়েছে ইতালিফেরত দুই প্রবাসীর দেহে। এরপর তাদের সংস্পর্শে তাদের এক আত্মীয়’র দেহে তা ধরা পড়েছে। সকলেই ব্যাপারটি বুঝতে পারছেন, বিষয়টি কতটা ভয়াবহ। এই ভাইরাস মারাত্মক ছোঁয়াচে। অথচ, আমাদের দেশের কিছু মানুষের আচরণ দেখলে মনে হয়, এটি যেন খুব মামুলি বিষয়। দেশ, জাতি আর মানবতার স্বার্থে এদের এখনই প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে হবে।

বিদেশফেরত অনেকেই বাংলাদেশে এসে নিজেকে খুব একটা নবাবজাদা ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। এরা দেশের আইনকানুন মানতে চাচ্ছে না। বিমানবন্দরে নেমেই এরা নিজের বাড়িতে ফিরতে চাইছে। এদের মতো এতোটা অসভ্য কোনো প্রাণি পৃথিবীতে আর নাই। এই প্রাণিগুলো শুধু অসভ্যই নয় এরা ভয়ংকর বেআদবও বটে। কয়েকদিন আগে ইতালিফেরত এক বেআদব যুবকের অপকাণ্ড ও বেআদবি দেশবাসীর সামনে প্রকাশিত হয়েছে। এই বেআদবের নাম মশিউর রহমান। বাড়ি কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড। তার বাবা জেল-পুলিশের একজন কনস্টেবল। এরা সাত ভাইবোন ও পিতামাতাসহ পরিবারের সদস্যসংখ্যা মোট ৯। এই ৯জনের ভরণপোষণ তার পিতাকে একাই করতে হয়েছে। পরিবারের অভাব মোচন করার জন্য এই মশিউর রহমান ইতালিতে কামলা খাটতে যায়। সে কামলা খেটে কিছু উপার্জনও করছে। এইজন্য তাদের শনের ঘর থেকে বাড়িতে পাকা ঘরবাড়িও তৈরি হয়েছে। ইতালিতে করোনা আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি। তাই, সে দেশে ফিরেছে। কিন্তু দেশে ফিরেই বিমানবন্দরে সে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে কোনোরকম সহযোগিতা না করে কিংবা কোয়ারেন্টাইনে না-গিয়ে উল্টা সবাইকে গালিগালাজ করেছে, এবং সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বলেছে: 

❝I fuck you this country system❞!!!!!!! 

এই শুয়োরটাকে তারপরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এইজাতীয় শুয়োরগুলোকে আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরা কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক কিংবা মানবপ্রেমিকও নয়। এদের মনুষ্যত্ব একেবারে শূন্যের কোঠায়। তাই, এদের কঠোরহস্তে দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্রে ‘হোম-কোয়ারেন্টাইন-ব্যবস্থা’ রাখাটাই একটা বোকামি।   এগুলো অনতিবিলম্বে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। উন্নতদেশের জন্য এগুলো প্রযোজ্য। আমাদের দেশের অবিবেচক মানুষগুলোর জন্য কোনোভাবেই ‘হোম-কোয়ারেন্টাইন’ রাখা সমীচীন নয়। এতে হিতে বিপরীত হবে। তাই, জনস্বার্থে আমাদের দেশের ‘হোম-কোয়ারেন্টাইন’ ব্যবস্থা এক্ষুনি বাতিল করা প্রয়োজন। তৎপরিবর্তে শুধু রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কোয়ারেন্টাইন-ব্যবস্থা রাখতে হবে (তবে কবি, লেখক, সাহিত্যিক বা মননশীল পর্যায়ের লোক হলে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ‘হোম-কোয়ারেন্টাইন-ব্যবস্থা’ রাখা যেতে পারে)।

বিদেশফেরতদের নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে এখনই যা-যা করতে হবে:

১. দেশের সকল বিমানবন্দরে ‘জরুরিভিত্তিতে রেড-অ্যালার্ট’ জারী করতে হবে। বিমানবন্দর থেকে কাউকে বাইরে যাওয়ার কোনোপ্রকার সুযোগ দেওয়া যাবে না। যেকেউই  করোনা-ভাইরাস-দ্বারা আক্রান্ত হোক বা না হোক তাকে সরাসরি কমপক্ষে ১৪-১৫ দিনের জন্য সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রিত ‘কোয়ারেন্টাইনে’ নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে কারও কোনো ওজর-আপত্তি কোনোভাবেই গ্রাহ্য করা চলবে না।

২. বিদেশফেরতদের কেউ যদি কোয়ারেন্টাইনে যেতে রাজী না হয় তবে সরকার বা রাষ্ট্র তাদের ওপর সর্বোচ্চ বলপ্রেয়োগ করতে বাধ্য হবে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রবিরোধী-অপতৎপরতার কারণে রাষ্ট্র এদের ক্রসফায়ারে দিতে বাধ্য হবে।

৩. বিদেশফেরতদের কাউকেই ‘হোম-কোয়ারেন্টাইনে’র নাটক করতে দেওয়া যাবে না। কাউকেই ‘হোম-কোয়ারেন্টাইনে’ রাখাও যাবে না। কারণ, এরা খুবই অবিবেচক ও নৃশংস। ইতোমধ্যে এরা বিদেশ থেকে ফিরে হোম-কোয়ারেন্টাইনের নামে বাজারে মাছবিক্রয় করছে, বিয়েশাদী করছে, দোকানপাটে বসছে, ব্যবসা করছে, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নিয়মিত আড্ডাবাজি করছে, শপিংমলে যাচ্ছে ও করোনা-ভাইরাস-বিস্তারে যত্রতত্র ঘোরাফেরা করছে। এদের একমাত্র ব্যবস্থা হচ্ছে ‘সরকারি-কোয়ারেন্টাইন’।

৪. যেসব বিদেশফেরত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী দেশে ফিরে ‘কোয়ারেন্টাইন’ মানছে না তাদের কঠোরহস্তে দমন করতে হবে। এরা ‘কোয়ারেন্টাইন’ না মানলে এদের চাকরি থেকে সাসপেন্ড করতে হবে।

৫. কোয়ারেন্টাইনের সমস্ত দায়দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত করতে হবে।

৬. যেকেউ কোয়ারেন্টাইন না মানলে তাকে প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তিপ্রদান করতে হবে।

৭. এই দুর্যোগের মুহূর্তে প্রতিটি বিদেশফেরত যাত্রীকে দেশের যেকোনো বিমানবন্দরে বা স্থলবন্দরে অতিসতর্কতার সঙ্গে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে বা অন্যান্য উপায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই কাজটি ভালোভাবে করেনি।

৮. বিদেশফেরতদের আত্মীয়স্বজনকেও কঠোরহস্তে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এদের অনেকেরই লজ্জাশরম একেবারেই নাই। তার প্রমাণ, বিদেশফেরত অনেকেই বিয়েশাদী করতে শুরু করে দিয়েছে।

৯. বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আপদকালীনসময় পর্যন্ত সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। যাতে এরা কাজেকর্মে কোনোভাবেই ফাঁকি দিতে না পারে।

১০. বিদেশফেরতদের আত্মীয়স্বজনকেও একইসঙ্গে ‘সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে’ রাখতে হবে। এদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না।

এছাড়াও, সরকারকে কঠোরভাবে বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কাউকে মওজুদদারি বা কালোবাজারির সুযোগ দেওয়া যাবে না।  দেশের সর্বত্র একইভাবে যেকোনো সভা-সমাবেশ-ওয়াজনসিহত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। কেউ মানতে না চাইলে তাকে সরাসরি ক্রসফায়ারে দিতে হবে। কারণ, এদের মতো অমানুষের বিবেকহীন আচরণের জন্য দেশের সিংহভাগ মানুষকে তো আর প্রবল মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে রাখা যায় না।


সাইয়িদ রফিকুল হক
২০/০৩/২০২০

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ওরা এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে যায় কেমনে? আগেরটা আগে ঠিক করতে হবে।

২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: কথা সত্য।
বিমানবন্দরে অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অভাব নাই।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২| ২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


চা-পানি খেয়ে, রেষ্ট নিয়ে ঠান্ডা হোন, আপনার মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে, আপনি ক্রস-ফায়ার করে দিতে পারেন লোকজনকে।

২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমি পানিপান করছি।
প্রয়োজনে আরও করবো।
কিন্তু দেশের কথাও তো ভাবতে হবে।

আপনি সাবধানে থাকবেন। আমেরিকার অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে না।
ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে শাসন ব্যবস্থা দুর্বল।

২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমরাও কম দুর্বল নই।
আমাদের আরও ভালো আরও মানুষ হতে হবে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান, এখন দেশে যা শুরু হয়েছে তা মাত্র কয়েকজনের লোভের কারণ হয়েছে।

তবে এখনও সময় আছে সকলকে সতর্ক হতে হবে।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

আমিনভাই বলেছেন: সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ছবি দেনতো দেখি। অসৎ রাজনীতিবিদদের মতো ভাষণ দিলেন মনে হলো।

২০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আগে নিজে সৎ হ’ন।
আপনি মনে হয় ইতালিফেরত কিংবা ওদের স্বজন?
এখানে বলা হয়েছে সরকারনিয়ন্ত্রিত বা সরকারি কোয়ারেন্টাইন। কেন আপনার হাজীক্যাম্প চোখে পড়ে না?
দেশে থেকে দেশের বদনাম করতে আপনাদের বিবেকে বাধে না।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.