নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Rahul

রাউল।।

রাউল।। › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে নারী-পুরুষের বিবাহের সর্বনিম্ণ বয়স কত?শুধুমাত্র শরীয়া আইনের expert-রা জানান

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৩

ইসলামে নারী-পুরুষের বিবাহের সর্বনিম্ণ বয়স কত?শুধুমাত্র শরীয়া আইনের expert-রা জানান । বিবাহের আর সংসারের বয়স সময় কি আলাদা ?যদি মেয়ে তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করে ,তবে কি বৈধ হবে ? বিধর্মী পুরুষের সাথে মুসলিম রমণীর বিয়ে কি অবৈধ হবে ? দেণমোহর ছাড়াই যদি বিয়ে-সংসার করে সন্তান উৎপাদন করে তবে কি বৈধ হবে ?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩২

অখাদ্য বলেছেন: ভাই, আমি শরীয়তের বিজ্ঞ না কিন্তু কয়েক দিন আগে মুসলিম পরিবারিক আইন পড়েছি আইনের ছাত্র হিসেবে....মুসলিম শরীয়ত মতে, যখন কোনো ছেলে বা মেয়ে বয়সন্ধিতে উপনীত হয় তখনি তারা বিবাহের উপযুক্ত হয়....একজন মুসলিম পুরুষ একজন অমুসলিম নারী কে( ইহুদি, ক্রিস্টান কিন্তু কোনো অগ্নি উপাসক বা মূর্তি পুজাকারীকে নয়) বিবাহ করতে পারবেন কিন্তু একজন মুসলিম নারী কখনো তার ধর্মের বাহিরে বিবাহ করতে পারবে না.....দেন-মোহর অবশ্যই স্বামী কে দিতে হবে এমন কি সে যদি মারা যাই তাহলে তার সম্পত্তি থেকে তার মোহরের হিসেব আলাদা করে রাখতে হবে......দেন-মোহরের ব্যপারে বিন্ধুমাত্র ছাড় নেই....

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪২

অখাদ্য বলেছেন: একজন মুসলিম পুরুষ একজন অমুসলিম নারী কে বিবাহ করতে পারবেন কিন্তু একজন মুসলিম নারী কখনো তার ধর্মের বাহিরে বিবাহ করতে পারবে না.....

এই কথাটি শুনা মাত্র নারীবাদীদের রেগে উঠের কোনো কারণ নেই...মুসলিম নারীদের কে অমুসলিম পুরুষদের কে বিবাহ করতে নিষেদ করা হয়েছে, তার সাধারণের বোধগম্য একটি কারণ হচ্ছে, বিবাহ পরবর্তী সন্তানদের ধর্ম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সন্তানের পিতা প্রভাব বিস্তার করে, তাই, মুসলিম নারী কখনো তার ধর্মের বাহিরে বিবাহ করতে পারবে না...

এরপর ও কারো অমত থাকলে তাহলে আল্লাহর ওই বানীটি স্মরণ করুন,
"নিশ্চয় আমি যা জানি, তা তোমরা জানো না"...

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৯

দারাশিকো বলেছেন: ব্লগে শরীয়াহ এক্সপার্টরা আসেন না।
আপনি বেটার কাউকে মেইল করেন।
অনেক এক্সপার্টই এখন মেইলের রিপ্লাই করেন।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৬

জননেতা বলেছেন: অখাদ্য বলেছেন: একজন মুসলিম পুরুষ একজন অমুসলিম নারী কে( ইহুদি, ক্রিস্টান কিন্তু কোনো অগ্নি উপাসক বা মূর্তি পুজাকারীকে নয়) বিবাহ করতে পারবেন.. ভাই আমি কিছুটা পড়াশুনা করেছি । কথাও এইটা পাই নাই । পবিত্র কুরআন শারিফে যা পাই তা হল...

আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। (Surah Al-Baqarah-Ayat 221)

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭

অরিন্দম007 বলেছেন: প্রশ্ন : ইসলামে নারী-পুরুষের বিবাহের সর্বনিম্ণ বয়স কত?

উত্তর : বিয়ের বয়স হলেই বিয়ে করতে হবে । এজন্য ইসলামী আইনবিদরা চাইলে এলাকা ভিত্তিত্বে ছেলে-মেয়েদের জন্য বিয়ের বয়স স্হির করতে পারেন । বাংলাদেশে ছেলেদের জন্য ২০ মেয়েদের জন্য ১৮ নির্ধারিত হয়েছে । এবং এব্যাপারটি ইসলামী আইন দ্বারা সমর্থিত ।


প্রশ্ন : বিবাহের আর সংসারের বয়স সময় কি আলাদা ?

উত্তর : ইসলাম বিয়ে করার পর সংসার করাকে উৎসাহিত করে ।


প্রশ্ন : যদি মেয়ে তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করে ,তবে কি বৈধ হবে ?

উত্তর : যদি মেয়ে তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করে ,তবে বিয়ে অবৈধ হবে ।

আবূ মূসা আশ'আরী (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "ওয়ালী ছাড়া বিয়ে হয় না।" (আহমাদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, দারেমী, মিশকাত হা/৩১৩০, বাংলা মিশকাত হা/২৯৯৬ )

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "যদি কোন নারী তার ওয়ালীর(অভিভাবক) অনুমতি ছাড়া বিয়ে করে, তবে তার বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল।" (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, ইবনু হিব্বান, হাকিম, মিশকাত হা/৩১৩১, বাংলা মিশকাত হা/২৯৯৭)

সুতরাং উপরক্ত হাদিসগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই মেয়ের অভিভাবক লাগবে। আর অভিভাবক হচ্ছে মেয়ের বাবা, মা অথবা তাদের সম্মতিক্রমে অন্য কেউ হতে পারে। তবে এখানে খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই বাবার অনুমতি থাকতে হবে। অভিভাবকহীন বিয়ে বাতিল। এই অবস্থায় ছেলে-মেয়ের দৈহিক মিলন অবৈধ হবে। অর্থাৎ যিনার অপরাধে অপরাধী হবে। সুতরাং যারা ভুল করেছেন, তাদের এক্ষুনি তাওবা করে নতুন করে বিয়ে করতে হবে।

আমাদের সমাজে প্রায়ই দেখা যায় মা-বাবার বিনা অনুমতিতেই প্রেমিক-প্রেমিকারা নিজেরা বিয়ে করছে। সাক্ষী থাকছে অপরিচিত অথবা বন্ধুরা। কিন্তু ইসলামের বিধান হচ্ছে, কোন বিয়ে বৈধ হতে হলে নারীর পিতা বা অভিভাবক আবশ্যক। অভিভাবক বিহীন বিয়ে হলে সে বিয়ে বাতিল হবে এবং তাদের মিলন অবৈধ হবে।



প্রশ্ন : বিধর্মী পুরুষের সাথে মুসলিম রমণীর বিয়ে কি অবৈধ হবে ?

উত্তর : বিধর্মীকে কোন মুসলিম বিয়ে করতে পারে না । বিয়ে করলে অবৈধ হবে ।
বিধর্মীকে তখনই মুসলিমরা বিয়ে করতে পারবে, যখন বিধর্মী প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হয়ে যায় ।
ইসলামে বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে উভয়কেই মুসলিম হতে হবে ।ইসলামে বিয়ে করার প্রধান কারণ আল্লাহ ভীতি অর্জন করা । আল্লাহ ভীতি অর্জন করতে হলে ছেলে মেয়ে উভয়কেই পরিপূর্ণ মুসলিম হতে হবে । এর জন্য দেখুন : সুরা ফুরকান


প্রশ্ন : দেণমোহর ছাড়াই যদি বিয়ে-সংসার করে সন্তান উৎপাদন করে তবে কি বৈধ হবে ?


উত্তর : এক হাজার টাকা হলেও দেন মোহর নির্ধারণ করতে হবে । এবং বিয়ের আগেই নির্ধারিত দেন মোহর দিয়ে দিতে হবে । পুরোটা না দিতে পারলে আংশিক দিয়ে বিয়ের পর বাকীটা দিয়ে দিতে হবে ।

দেণমোহর দেওয়া ছাড়াই যদি বিয়ে-সংসার করে সন্তান উৎপাদন করে তবে বৈধ হবে, যদি দেন মোহর স্ত্রীকে দেওয়া হয় এবং দেন মোহরের টাকা স্ত্রী তার নিজের ইচ্ছা অনুসারে খরচ করে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.