![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
চোখ এবং ক্যামেরার গঠন প্রণালী মূলত একই। তবুও বলবো ক্যামেরা ও চোখের মাঝে রয়েছে বিস্তর ব্যবধান। যান্ত্রিক ও জৈব চোখ তুল্য হতে পারে না। ক্যামেরার চোখ তো অনুভূতিহীন পুরোটাই যান্ত্রিক -ক্যামেরার চোখে নেই মনের প্রচ্ছায়া। জৈব চোখ শুধু চোখ দিয়েই না মন দিয়েও দেখে। যে দেখায় মনের কোন ভূমিকা নেই তা তো কোন দেখা না, তাকানো মাত্র।
ধান ভানতে শিবের গীত তোলা থাক। কথা বলি তোমার আর আমার চোখ নিয়ে। তোমার ডাগর আঁখি আর আমার অনুল্লেখ্য চোখ কি দৃশ্যমান সবকিছু একইভাবে দেখে থাকে? আমি বলবো না। কারণ তুমি নারী আর আমি পুরুষ। উষ্মা করো না ... প্লীজ তোমার নারীবাদি চেতনাকে খুঁচিয়ো না আর। বলেই তো নিয়েছি জৈবচোখ মন দিয়েও দেখে । নারী আর পুরুষের মন কখোনো হয় কি এক! তোমাকে আমি যেভাবে দেখি আয়নায় সেভাবে কি দেখো তুমি তোমাকে? আমি পুরুষ, আমি দেখি পুরুষের চোখে। তুমি নারী, দেখো তুমি নারীর চোখে।
নারীবাদিরা প্লীজ, আমার বিরুদ্ধে আবার কোন মানববন্ধন করো না। ছাপোষা আমি, আছি বেঁচেবর্তে- ক্যাচাল চাই না আমি।
©somewhere in net ltd.