![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আভিজাত্য আকাশের মত, ওটা কখনোই পুরনো হয় না। মানুষ তাই পেছনে ছোটে, আভিজাত্যের মোড়ক গায়ে জড়িয়ে "অভিজাত" হতে চায়। জন্মের পরপরই বাবা-মা স্বপ্ন দেখে, তাদের সন্তান অনেক বড় হয়ে সকলের মুখ উজ্জ্বল করবে। সেটা চারমিনারে অভ্যস্ত শিল্পপতি পিতা হোক কিংবা বিড়ির ধোঁয়া নাক-মুখ দিয়ে নির্গমনকারী দিনমজুর বাবা হোক, তাদের চেয়ে অভিজাত তাদের সন্তান হবে, এ আশাকে কেউই দুরাশা বলতে নারাজ। সে হিসেবে আশা আর আভিজাত্য একই সূত্রে ভিন্ন সেলাই দিয়ে গাঁথা। তবে সুখেরও বিপর্যয় হয়। আর বিপর্যয় পরবর্তী অবস্থাকে দূর্যোগ বলে, এটাতো সবারই জানা। আর এ দূর্যোগ যেন সন্তানের অনাগত সুন্দর ভবিষ্যৎকে নষ্ট করে দিতে না পারে, তাই সন্তানের নামে ব্যাংকে ২-১ টা ডিপিএস থাকে। গৃহবাসী মায়েরা সমিতিতে টাকা রাখে। কাকবন্ধ্যা মায়েরা তো তাদের একমাত্র সন্তানের পেছনে "ড্রোন" এর মত লেগে থাকে। নজরচ্যুতি হবার কোন সম্ভাবনাই হতে দেয় না। তবুও সন্তান খেলে যায়। হাটে-ঘাটে-মাঠে-খাটে। খেলতে গিয়ে কখনো বাজেভাবে ফাউলের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে থাকে। আরাধ্য আভিজাত্যের পোশাকটি গায়ে জড়ানো না। তাই সেও স্বপ্ন দেখে, সে না পারলেও তার সন্তানকে ঐ পোশাকটি পরাবেই। খেলা চলতে থাকে। বিশাল "খেলাঘর" পৃথিবীতে কেউ কেউ "অভিজাত" শিরোপা জিতে, কেউ ওটার দিকে তাকিয়ে নিভৃতে কাঁদে।
©somewhere in net ltd.