![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেটের হজরত শাহজালাল মাজারকে কেন্দ্র করে বিশাল ব্যবসাজজ্ঞ রয়েছে। মাজারের উত্তরদিকের একটি পুকুরে বেশ কিছু গজার মাছ আছে। প্রচলিত আছে যে, দুষ্ট জ্বিনদেরকে হজরত শাহজালাল তার অলৌকিক ক্ষমতাবলে গজার মাছ বানিয়ে দেন। মাছগুলোকে তাই ভক্তরা বিশেষ চোখে দেখে। ভক্তরা ছোট ছোট মাছ কিনে গজার মাছকে খাবার হিসেবে আধার দেয়। অনেকে বিশ্বাস করে মাছকে খাওয়ালে ব্যবসায় বাণিজ্যে উন্নতি হয়, বৈষয়িক শান্তি আসে। এই খাবার হিসেবে ব্যবহৃত ছোট মাছ বিক্রি হয় মাজারের পাশেই। মাছ বিক্রির একটি সিন্ডিকেটও আছে সেখানে। মাজারের পশ্চিম দিকে আছে ঝরনা। এই ঝরনার পানিও বোতল হিসেবে বিক্রি হয়। পূর্বদিকে একতলা ঘরে আছে তিনটা ডেকচি। এখানে ভক্তরা মানতের টাকা ফেলে। মাজারের পবিত্রতা রক্ষায় জুতা খুলে যাওয়ার নিয়ম। এই জুতা জমা রাখার জন্যেও টাকা দিতে হয়। তবে, মাজারের পবিত্রতা নষ্ট করে নেশাগ্রস্থ কিছু লোক। তারা মাজার প্রাঙ্গণে গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশা গ্রহণ করে।
মাজারের সবচেয়ে বাজে দৃশ্য হচ্ছে, এখানে অনেকে আধ্যাত্মিক ভাব নেয়ার ভং ধরে গাঁজা সেবন করে ঢুলু ঢুলু হয়ে পড়ে থাকে। বিভিন্ন মাজারের সামনে গেলে গাঁজার উৎকট গন্ধে চারদিক ভরে থাকে। সাধারণ মানুষেরা পীর ফকিরদের পা ছুঁয়ে চুমু খায়। মাজারের সমাধিতে টাকা ছিটায়, মোমবাতি জ্বালায়। এই কাজগুলোর ধর্মীয় কিংবা সামাজিক অথবা বৈজ্ঞানিক কোনো বৈধতা নেই। মানুষের অন্ধ ভক্তি ও শিক্ষা সচেতনতা না থাকার ফলেই এক শ্রেণীর প্রতারক, ভন্ড তাদের বোকা বানাচ্ছে। স্বেচ্ছায় বোকা হওয়ার এমন নজির খুব কম দেশেই আছে!
©somewhere in net ltd.