![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোহাম্মদের অপমানজনক মৃত্যু- ১
মোহাম্মদ ভিন্ন ধর্মের মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার জুলুম করেছে, তাদের ঘর বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, সম্পত্তি দখল করেছে, খুন করেছে এবং তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। তেমনি তার নিজের মৃত্যুটিও ছিল নির্যাতনের মতই ভীষণ কষ্টকর। বিষ প্রয়োগের ফলে সে প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক মাথাব্যথায় ইহ-ধাম ত্যাগ করেছে। আল্লাহ্ তখন তার কোন কাকুতি মিনতিতে কান দেয়নি, কোন দোয়া-দাওয়া তার মাথাব্যথার উপশম করেনি। তার মৃত্যুর সময় কেও সেবার হাতও বাড়ায় নি এমনকি আয়েশাও নয়। তারা যেন সবাই তার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিল। সহিহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, মোহাম্মদের খায়বার বিজয় ও সাফিয়ার সাথে বিবাহ উপলক্ষে জনৈক ইহুদী মহিলা মোহাম্মদকে একটি ভুনা বকরী উপহার দেন যার মধ্যে বিষ মিশ্রণ করা হয়েছিল। মোহাম্মদ সেখান থেকে কিছু অংশ খেয়ে বিষক্রিয়া টের পেল। সে খাওয়া বন্দ করে ঐ মহিলাকে প্রশ্ন করেছিলো, কেন সে বকরীর মধ্যে বিষ মিশ্রিত করেছ? উত্তরে মহিলা বলেছিল- হে মোহাম্মদ তুমি যদি নবুয়তের দাবীতে মিথ্যাবাদী হও, তবে আমরা তোমার আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেয়ে যাব। আর যদি সত্যই নবী হও, তবে এ বিষ তোমার কোন ক্ষতি করবে না- আমি এটাই পরীক্ষা করতে চেয়েছি।
নবীদের সম্রাট, আল্লাহর প্রিয় দোস্তের দুর্দশা আমাদের হৃদয়কে ব্যথিত করে। তার চাইতে বেশী ব্যথিত করে আল্লাহ তাকে বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা করেননি। বরং দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘকাল ধরে ধীরে ধীরে কঠিন যন্ত্রণা দিয়ে মেরেছে যা রীতিমত অপমানজনক ও গ্লানিকর মৃত্যু। কি এমন অপরাধ মোহাম্মদ করেছিল যে মাত্র তেষট্টি বছর বয়সে তাকে আল্লাহ এমন কঠিন যন্ত্রণা দিয়ে মারলেন? যন্ত্রণা ভোগের সময় মোহাম্মদ কি অনুভব করত? সে কথা বুখারীতে আয়েশা বর্ণনা করেছে- "যখন নবী কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হলেন, তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠল। তিনি দুইজন লোকের সাহায্যে যখন ঘর থেকে বের হলেন তখন তার পা দুটা মাটিতে ছেচড়াচ্ছিল। রসূল তার মৃত্যুশয্যায় অশ্রুসিক্ত নয়নে বলতেন- ও আয়েশা, আমি বিষক্রিয়ায় ভীষণ কষ্ট অনুভব করছি এবং আমার মনে হচ্ছে ঘাড়ের শিরা-ধমনী সব ছিঁড়ে যাচ্ছে..."।
উটের মুত আর কালো জিরা মোহাম্মদের শরীরের বিষক্রিয়া উপশমে কোন কাজ করেনি এবং আল্লাহ কেন তার হাবিবের শরীর থেকে বিষক্রিয়া নষ্ট করেননি, কোরানের ৬৯: ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ আয়াতে পরিষ্কার ভাবে তা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন- "যদি কোন মিথ্যাবাদী আমার নামে কোন আয়াত রচনা করত, তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম অতঃপর কেটে দিতাম তার ঘাড়ের ধমনী"। অর্থাৎ কেও যদি তার নিজের বানীকে আল্লাহর বানী বলে চালায়, তাহলে শাস্তি স্বরূপ কেটে দেওয়া হবে তার ঘাড়ের ধমনী। তবে কি আল্লাহ্ মোহাম্মদের ঘাড়ের ধমনী কেটে দিয়েছিলেন? দ্বীন দুনিয়ার নবীদের নবী, সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সা) এর মৃত্যু হবে অত্যন্ত গৌরবজনক, সেটাই কাম্য। কিন্তু আল্লাহ তাকে নিজের বানীকে আল্লাহর বানী বলে চালানোর শাস্তি নিরূপণ করে দিচ্ছেন।
- এখন আমরা কিভাবে নিশ্চিত হবো যে, কোরানের বানীর নামে যে বানী মোহাম্মদ বর্বর আরবদের কাছে প্রচার করেছিল, তা সত্যিই আল্লাহর বানী কি না ?
মোহাম্মদের অপমানজনক মৃত্যু- ২
হাদিসে কেরতাস সাক্ষ্য দেয় যে, মোহাম্মদ যখন তীব্র মাথার যন্ত্রণায় চিৎকার আর ছটফট করছিল তখন আবু বকর, ওমর আর ওসমান খেলাফতের অসিয়ৎ নামায় মোহাম্মদের টিপসই নেওয়ার জন্য একে অপরের সাথে প্রচণ্ড বাক বিতণ্ডায় লিপ্ত ছিল। আবু বকর অসিয়ৎ নামার কাগজটি নিয়ে মোহাম্মদের ঘরের দিকে অগ্রসর হলে ওমর তাকে বাধা দিয়ে বলেছিল- মোহাম্মদ এখন আর কোন পয়গম্বর নয়, সে মাথাব্যথায় বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে অতএব তার টিপসই আর কাজের নয়। অন্তিমশয্যায় থাকাকালীনই বিশিষ্ট সাহাবিসহ মুসলমানের মধ্যে মত-পার্থক্য সৃষ্টি হয় এবং উম্মতগণ নবীর মুখের উপর নির্দেশ অমান্য করে এবং তাকে প্রত্যাখ্যান করে। তাই অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে নবী এন্তেকাল করলেন। ঘরের বাইরে এই সব বিষয় নিয়ে যখন তুমুল হট্টগোল চলছিল। তখন হযরত আলী ও রসূলের চাচা আব্বাস ছাড়া বিছানার উপর যন্ত্রণা কাতর মোহাম্মদের পাশে কেও ছিল না। হযরত আয়েশাও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না এবং রসূলের গোসল ও কাফন-দাফনের কোন খোজ খবর নেননি। অতএব, বলা যেতে পারে যে, রসূলের সাহাবিরা তার জানাজাকে পরিবারের সদস্যদের মাঝখানে ছেড়ে চলে গেছেন এবং হাতে এই গোনা কয়েকজন ব্যক্তিবর্গ রসূলের গোসল ও কাফন-দাফনের দায়িত্ব পালন করে। তারা আয়েশার ঘরের ভিতরেই কবর খুঁড়ে মোহাম্মদের লাশ দাফন করেছিল।
মোহাম্মদের মৃত্যুর পর গণেশ উল্টে যায়। আলী বিরোধীরা খিলাফতের অন্যতম উত্তরসূরি আলীকে বাদ দিয়ে, বয়োজ্যেষ্ঠ যুক্তি দেখিয়ে আবু বকরকে খলিফা নিযুক্ত করে। এটি ছিল ফাতেমা ও আলীর জন্য চরম হতাশা। এমনকি নবীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি ‘ফদক’ (ফলের বাগান) কেড়ে নেয়া হয় ফাতেমা কাছ থেকে। এই বাগানটি ছিল দুর্গ দ্বারা সংরক্ষিত ইহুদীদের যা মোহাম্মদ গণিমতের মাল হিসেবে দখল করে। এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে পরে এটি কন্যা ফাতেমাকে দান করে। কিন্তু সদ্য খলিফা নিযুক্ত হওয়া আবু বকর বলেন, নবীদের কোন উত্তোরাধিকার থাকে না। এই যুক্তিতে বাগানটি রাষ্ট্রয়ত্ব করে নেন আবু বকর। যে মক্কা-মদিনার অলি-গলিতে কাফের-মুশরিকদের আর্তনাদ তখনো বাতাসে ভেসে বেড়াতো, সেদিন বুঝি তারা সকলেই অট্টহাসি দিয়েছিল! ফদক নামের ইহুদীদের ফলের বাগানটি বার বার নবী বংশধরদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। জবরদখল করে নিয়েছে খোদ মুসলিমরাই! ইসলামের ইতিহাসে শান্তি শব্দটিই অনুপস্থিত। খিলাফত নিয়ে দুই মিত্র আবু বকর-ওমর বনাম আলী অনুসারীদের মধ্যে চলছিল পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ, ষড়যন্ত্র ও শত্রুতা। খলিফার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গোপন বৈঠকের অভিযোগ তুলে এক রাতে হযরত ফাতেমার ঘরে ওমরের নেতৃত্বে আবু বকরের অনুসারীরা হামলা চালালে- ফাতেমা তার স্বামী আলীকে রক্ষা করতে দুই পক্ষের মাঝখানে এসে দাঁড়ান। তখন ওমরের নির্দেশে তলোয়ারের বাট দিয়ে ফাতেমার তলপেটে আঘাত করলে তার গর্ভপাত হয়ে যায়। এই অসুস্থতাতেই দীর্ঘ শয্যাশায়ী থেকে মাত্র ২২ বছর বয়েসে ফাতেমা মারা যান। সুন্নি আলেমরা হযরত ফাতেমার মৃত্যু বিষয়টি এড়িয়ে যান সব সময়।
আয়েশা কখনই হযরত আলীকে পছন্দ করতো না। কারণ আয়েশার গোপন যৌনাচারের অভিযোগ প্রমাণসহ উপস্থাপন করেছিল এই আলী। সেই কারণে হয়তো হযরত আলীর খেলাফত সে মেনে নিতে পারেনি। হযরত আলী খলিফা মনোনীত হলে, আয়েশা তার সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সেই যুদ্ধে দুই তরুণ ব্যবসায়ী তালহা এবং যুবায়েরকে আয়েশা উটের পাশে দাঁড়িয়ে তার সহযোগী হিসাবে দেখা গিয়েছিল। যুদ্ধটি উটের যুদ্ধ নামে খ্যাত। মুসলমানের সাথে মুসলমানের প্রথম যুদ্ধ ও রক্তপাত। যদিও এর আগেও খলিফা ওমরের পিঠে ছোরা গেঁথেছিল তারই দেহরক্ষী আর খলিফা ওসমানকে কোরান পাঠরত অবস্থায় হত্যা করেছিল আবু বকরের পুত্র মোহাম্মদ।
সমালোচকরা বলে মোহাম্মদের জন্ম না হলে এই পৃথিবীতে এতো হিংসা বিদ্বেষ ছড়াত না, এতো রক্তপাত ঘটতো না। আমরা যখন ইরাক সিরিয়া ফিলিস্তিন পাকিস্তান আফগানিস্তানে দিক তাকায় তখন সমালোচকদের কথা অস্বীকার করতে পারিনা। স্থানগুলি যেন পৃথিবীর বুকে গদগদে ঘা, মহামারি। ইসলাম ধর্ম নয়, সন্ত্রাসবাদ। তারা মানসিক ভাবে আজও অসুস্থ। অসুস্থতার ভয়াবহতার পরিণাম তাদের মধ্যযুগীয় আচরণ, মূর্খতা ও কথায় প্রকাশিত হচ্ছে। পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির প্রধান কারণ ইসলাম। পৃথিবীতে ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া মানে সভ্যতাকে বিপদের মধ্যে ফেলা।
©somewhere in net ltd.