নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Tanuj82

Tanuj

Tanuj 82

Tanuj › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুহাম্মদ নিজেই আসলে ইসলাম জানত না : মুহাম্মদ নিজেই ছিল ইসলাম বিদ্বেষী!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৪


মুহাম্মদ নিজেই আসলে ইসলাম জানত না : মুহাম্মদ নিজেই ছিল ইসলাম বিদ্বেষী!
আমরা বিশ্বাস করি ইসলাম শান্তির ধর্ম। দুনিয়ার সকল মুসলমানও সেটা বিশ্বাস করে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি ইসলাম কাউকে হত্যা করার কথা বলে না। কিন্তু হাদিসে মুহাম্মদের কথা দেখলে আমরা জানতে পারি , সেখানে মুহাম্মদ আমাদের বিশ্বাস বিরোধী কথা বার্তা বলেছে। যেমন আমরা বিশ্বাস করি , কেউ যদি ইসলাম ত্যাগ করে , তাহলে তার শাস্তি আল্লাহ নিজেই দেবে কেয়ামতের মাঠে , আমরা তাকে কেউ সাজা দিতে যাব না। কিন্তু হাদিসে মুহাম্মদ বলেছে ভিন্ন কথা। বলেছে , তার কল্লা ফেলে দিতে হবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে , মুহাম্মদ নিজেই আসলে ইসলাম জানত না , একই সাথে ছিল প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী।
আপনি যে কোন সাধারন ধর্মপ্রান মুসলমানকে জিজ্ঞেস করুন - যদি কেউ ইসলাম ত্যাগ করে , তাহলে তাকে কি হত্যা করতে হবে ? সাথে সাথেই সে বলে উঠবে- না না , তা কেন । ইসলাম কাউকে হত্যা করতে বলে না। যদি কেউ ইসলাম ত্যাগ করে , তাহলে তার শাস্তি আল্লাহ কিয়ামতের মাঠেই দেবে। আমরা কেন তাকে হত্যা করতে যাব? ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। কিন্তু হাদিসে পরিস্কারভাবে নবী মুহাম্মদ বলেছেন- যে কেউ ইসলাম ত্যাগ করবে , তাকে হত্যা করতে হবে । তার মানে আমরা মুমিন মুসলমানরা যে ইসলাম বিশ্বাস করি করি বা ইসলামের নামে যে বিধি বিধান আমরা মান্য করি , তার সাথে মুহাম্মদের দেয়া বিধানের কোন মিল তো নেইই , বরং সম্পূর্ন বিপরীত কথা মুহাম্মদ বলেছে। তার মানে মুহাম্মদ ইসলামের নামে খুন খারাবির কথা বলেছে যাকে ইসলাম বিদ্বেষী বলা যায়। সুতরাং পরিশেষে বিষয়টা কি দাড়াল ?
বিষয়টা এটাই দাড়াল যে , মুহাম্মদ নিজেই আসলে ইসলাম জানত না বা মুহাম্মদের কথাবার্তা ছিল সব ইসলাম বিরোধী। এবার সেই হাদিসগুলো দেখা যাক----
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ২৬০
আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (র).................ইকরামা (রা) থেকে বর্ণিত, আলী ( রা) এক সম্প্রদায়কে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন। এ সংবাদ আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রা)-এর নিকট পৌছলে তিনি বলেন, ‘যদি হতাম, তবে আমি তাদেরকে জ্বালিয়ে ফেলতাম না। কেননা, নবী নবী (সাঃ) বলেছেন, তোমরাল্লাহ নির্ধারিত শাস্তি দ্বারা কাউকে শাস্তি দিবে না। বরং আমি তাদেরকে হত্যা করতাম। যেমন নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার দীন পরিবর্তন করে, তাকে হত্যা করে ফেল।’
রক্তপন অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৯ :: অধ্যায় ৮৩ :: হাদিস ১৭
উমর ইবন হাফস (র)... আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, কোন মুসলিম ব্যক্তি যিনি সাক্ষ্য দেন যে আল্লাহ্ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। তিন-তিনটি কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করা বৈধ নয়। (যথা) প্রাণের বদলে প্রাণ। বিবাহিত ব্যভিচারী। আর আপন দীন পরিত্যাগকারী মুসলিম জামাআত থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি।
কাসামা, (খুনের ব্যা পারে হলফ করা ), “মুহারেবীন” (শক্র সৈন্য), কিসাস, (খুনের বদলা) এবং দিয়াত, (খুনের শাস্তি স্বরুপ জরিমানা) অধ্যায় ::সহিহ মুসলিম :: বই ১৬ :: হাদিস ৪১৫২
আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (র)......আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ, রাসুলুল্লাহ (সা) (সা) বলেছেনঃ এমন মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ নয়, যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল । কিন্তু তিনটি কাজের যে কোন একটি করলে (তা বৈধ) । ১। বিবাহিত ব্যক্তি ব্যাভিচারে লিপ্ত হলে; ২। জীবনের বিনিময়ে জীবন, অর্থাৎ কাউকে খুন করলে; ৩। এবং স্বীয় ধর্ম পরিত্যাগ কারী যে (মুসলমানদের) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.