বাঙালি মুসলমানের মানবতা সন্দেহজনক !

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

বাঙালি মুসলমানের মানবতা সন্দেহজনক

বাঙালি যখন নীতি আদর্শ নিয়ে উচ্চবাচ্য করে এবং মুসলমান যখন মানবতা নিয়ে অশ্রু বিসর্জন দেয় তখন বুঝতে হবে এর পেছনে স্বার্থ জড়িত। স্বার্থ ছাড়া বাঙাল ও মুসলমান এক পা এগোয় না। বাঙালি মুসলমানের উপর বিশ্বাস রাখা নিজ পায়ে কুড়াল মারার মতোই

মানবতা শব্দটি শুধুমাত্র মুসলমানের জন্য একমুখী অর্থবহ। যখন কোন জাতিগোষ্ঠী, সম্প্রদায়, বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ মুসলমানের দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন কারো মুখে মানবতা উচ্চারিত হয় না। খুঁজেও পাওয়া যায় না। গত দুই সপ্তাহ ধরে বাঙাল মুসলমান রোহিঙ্গাদের জন্য মানবতা শব্দটি উচ্চারণ করে মায়াকান্নায় ভেসে যাচ্ছিল। এবং বর্তমানে সেই মানবতা দেশীয় বৌদ্ধদের উপর আক্রমণের মধ্যে দিয়ে শোধ হচ্ছে।
বাঙালি হল হিপোক্রিট জাতি; তার সাথে যখন যুক্ত হয় মুসলমান, তখন হিপোক্রিসিতে যে কাউকে ছাড়িয়ে যেতে কুণ্ঠাবোধ করে না। বাঙালি জাতীয়তাবাদ পাকিস্তানকে গালমন্দ করে। রাজাকার বা উগ্র ধর্মীয়গোষ্ঠী পাকিস্তানের সমর্থন করে। কিন্তু এরা কেউই পাকিস্তানী না। সবাই বাঙালি, যদিও তারা বাঙালি পরিচয়কে গ্রহণ করে না, পরিবর্তে সবার মুসলমান পরিচয়টি অগ্রাধিকার পায়।
সৌদি এক্ষেত্রে ভিন্ন। দুনিয়ার সব মুসলিম সেখানে লক্ষ লক্ষ অর্থ খরচ করে হজ্জ করতে যায়। এবং তারা সেই অর্থ দিয়ে আমেরিকান, বিভিন্ন দেশীয় সুন্দরী নারীর সাথে সেক্স করা ও অস্ত্রের পেছনে ব্যয় করে। সৌদি আল্লাহ্‌র নাম ব্যবহার করে ইসলামবিরোধী কাজ করলেও বাঙালি মুসলমান সারাশব্দ করে না। মূলত, পৃথিবীর সব মুসলমানই হিপোক্রিট। হিপোক্রিট ছাড়া মুসলমান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

গত ৪/৫ বছর ধরে সৌদি আরব ইয়েমেনের মুসলমান হত্যা করেই যাচ্ছে কিন্তু তাতে দেশীয় বাঙালি মুসলমানের কোন মানবতা জাগ্রত হচ্ছে না। কারণ এখানে স্বার্থ জড়িত নেই। সৌদি আরব ক্বাবায় পায়খানা করলেও বাঙালি মুসলমানের কাছে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু নিজ দেশের ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, সম্প্রদায়ের উপর যে অমানবিক নির্যাতন করেই চলেছে তাতে তারা বিচলিত নয়।
সারাদিন যারা ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া ধ্বংস হওয়ার জন্য মোনাজাত করে তারাই আবার তাদের কাছ থেকে মানবতা পাওয়ার আশা রাখে। ব্যাপারটা হাস্যকর। কোন মুসলমান রাষ্ট্রই অন্য মুসলমানদের গ্রহণে আগ্রহী নয়।কারণ তারা জানে মুসলমান যেখানে আসবে, সেখানে নিত্যনতুন হিপোক্রিসির আবির্ভাব হবে। এই কারণেই সৌদি কোন মুসলমানকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করে না, তাদের বিপদে অর্থ দিয়ে সাহায্য করে না। কিন্তু আল্লাহ্‌র নাম ব্যবহার করে দোয়া মোনাজাত করে। হিপোক্রেসিতে মুসলমান অদ্বিতীয়।
বিভাগ:
ধর্ম-অধর্ম

২ টি +০/-০