নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Tanuj82

Tanuj

Tanuj 82

Tanuj › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজতন্ত্রের সৌদিআরব কেন সারাবিশ্বে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের মূলনায়ক !

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪৫


রাজতন্ত্রের সৌদিআরব কেন সারাবিশ্বে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের মূলনায়ক !

অনেকে মনে করে থাকে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড়সড় ঘাঁটি। আসলে, তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বর্তমানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড়সড় ঘাঁটি হলো সৌদিআরব। আর বহু আগে থেকেই বিশ্বে সন্ত্রাস ও শয়তানীর সবচেয়ে বড় ঘাঁটি সৌদিআরব। তারা একটা সময় সরাসরি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত হতো না—কথাটা আংশিক সঠিক ছিল। কিন্তু তারা সবসময় বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের বীজবপনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদেশকে সর্বপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, আর এখনও করছে, আর এখন তারা নিজেরাই সরাসরি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ লালনপালন করে পৃথিবীকে বিভীষিকাময় করে তুলেছে। আর এরা এসব করছে ইসলামধর্মের দোহাই দিয়ে। এরা সবসময় নিজেদেরকে ইসলামধর্মের মা-বাপ মনে করে থাকে। আর তাই, এরা নিজেদের সকল অপকর্মকে বৈধ মনে করে—আর অন্যান্য দেশের মুসলমানদের সকল বৈধ কর্মকে অবৈধ মনে করে থাকে। আর সৌদিরাজপরিবারের সদস্যরা মনে করে থাকে: তাদের কোনো পাপ নাই।

সৌদিরাজপরিবারের সদস্যরা মুসলমান নয়। এরা ওহাবীশয়তানবংশের প্রকৃত উত্তরাধিকারী। কিন্তু সৌদিআরবের মতো রাষ্ট্রে তাদের রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা মুসলমান সেজেছে। কিন্তু কখনও মুসলমান হয়নি। তারা কখনও মুসলমান নয়। সৌদিরাজপরিবারের সদস্যগণ তথা সম্পূর্ণ রাজবংশ ইসলামের প্রধান ও একমাত্র শত্রু শয়তানের জারজপুত্র এজিদের বংশধর। এরা কীভাবে মুসলমান হয়? এদেরই পূর্বপুরুষ কারবালাময়দানে হজরত ইমাম হোসেনকে হত্যা করেছে। তার আগে ইমামবংশের আরেক পুত্র হজরত ইমাম হাসানকেও হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, এদেরই পূর্বপুরুষগণ খলিফা ওমর, খলিফা ওসমান ও সর্বশেষ খলিফা আলীকে হত্যা করেছে। এরাই হজরত আলীর বিরুদ্ধে সিফফিনের যুদ্ধ করেছে, এরাই জঙ্গে জামালের যুদ্ধ করেছে, এরাই সিফফিনের যুদ্ধে পরাজয় অত্যাসন্ন জেনে তা থেকে বাঁচার জন্য বর্শার অগ্রভাগে কুরআনশরীফ ঝুলিয়েছিলো, এরাই কূটকৌশলে রাসুলের বংশধরদের পরাজিত করে তাদের ‘শিয়া’নামে অভিহিত করেছে। আর নিজেরা এখনও পর্যন্ত ইসলামের প্রধান শত্রু হয়েও নিজেদের ‘সুন্নী’নামে অভিহিত করে রাজতন্ত্রের ব্যবসা চালাচ্ছে।

সৌদিআরবের রাজতন্ত্রের ধারক-বাহকরা মুসলমান না হয়েও ইসলামের নামে রাজতন্ত্রব্যবসা চালাচ্ছে শুধু নিজেদের সীমাহীন ভোগ-বিলাসিতার সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। সৌদিআরবের অঢেল ধনসম্পদ নিজেদের ভোগদখলে রাখার জন্য এরা সেই আবু সুফিয়ানদের আমল থেকে ‘মুসলমানপদে’ অভিনয় করে যাচ্ছে। কারণ, আবু সুফিয়ান, মুআবিয়া, এজিদ, মারওয়ান কিংবা ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীরা কেউই মুসলমান ছিল না। এরা নামমাত্র ইসলামগ্রহণ-নাটকের আড়ালে ইসলামের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগদখলের জন্যই এমনটি করেছিলো। এখনকার সৌদিরাজপরিবার এজিদ ও ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর বংশধর। এরা নিজে মুসলমান না হয়েও ইসলামের নামে আর তথাকথিত মুসলমানিত্বের জোরে আরবের কতিপয় রাষ্ট্রসহ এশিয়ার মুসলিমদেশগুলোতে নিজেদের সন্ত্রাসপরিচালনা করছে।
সৌদিআরব যে সন্ত্রাস ভালোবাসে আর তা লালনপালন করে তা বোঝা যাবে একটিমাত্র উদাহরণ থেকে। আমাদের ফ্লাশব্যাকে ফিরে যেতে হবে ১৯৭১ সালে। সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামীমানুষকে নির্বিচারে হত্যা করার জন্য পৃথিবীর সর্বকালের কুখ্যাত জারজরাষ্ট্র-পাকিস্তানের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলো কুখ্যাত আমেরিকা ও চীন। আর এদেরই ঘোরসমর্থক হিসাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার অর্থসহায়তা দিয়েছিলো আজকের সৌদিআরব। আমাদের দেশের এককোটিরও বেশি মানুষ সেদিন জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশীরাষ্ট্র ভারতে আশ্রয়গ্রহণ করেছিলো। সেই সময় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবারসংকট ছিল। গরিবরাষ্ট্র ভারত সাধ্যমত চেষ্টা করছিলো। আর তা-ই দেখে পৃথিবীর অন্যান্য মানবতাবাদীরাষ্ট্রের মানুষও সেদিন আমাদের শরণার্থীকেন্দ্রগুলোর মানুষবাঁচাতে যে যার মতো সাহায্য করছিলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য—ভারতের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ মানুষ ছিল মুসলমান (কারণ, বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দু ১৯৪৭ সালে মুসলমানদের অত্যাচারে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিলো)। তবুও ভারত-সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-নির্বিশেষে সকল মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিলো। এই হলো মানুষ আর মানবতার কাজ। কিন্তু ১৯৭১ সালে, ভারতের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর কাউকে বাঁচাতে সৌদিআরব একটি টাকাও দান করেনি—বরং তারা বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করেছিলো। আর তারা এই শয়তানীঅপকর্ম করতে সেদিন একপা সরে দাঁড়ায়নি। এই হলো আজকের ‘ইসলামের দেশ’ বলে পরিচিত সৌদিআরবের আসল চরিত্র।

বর্তমানে সন্ত্রাসীরাষ্ট্র সৌদিআরবের সন্ত্রাসের কতিপয় উদাহরণ:

১. সৌদিআরব ইয়েমেনে মুসলমাননিধনে ব্যস্ত। এরা ইয়েমেনের মুসলমানহত্যা করে তাদের ‘শিয়া’ বলে গালি দিচ্ছে—আবার তাদের ‘কাফের’ বলেও তিরস্কার করছে। সৌদিজঙ্গিরা ইসলামের নামে আজ ইয়েমেনে হুতু-বিদ্রোহীদমনের নামে আসল মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করছে। আরও দুঃখজনক হলো—তাদের (সৌদির) বেপরোয়া ও অমানুষিক হামলায় ইয়েমেনের নারী ও শিশুরা ভীষণভাবে বিপর্যস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখানে, সৌদি-হামলার শিকার ‘নারী ও শিশুরা’ ভয়ানকভাবে নানারকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এরজন্য একমাত্র দায়ী সৌদিসরকার, আর তাদের অনুগত সামরিকজোট।

ইয়েমেনে সৌদি-বিমান-হামলায় বিধ্বস্ত জনপদ !

সিরিয়ায় সৌদিআরবের মিত্র মার্কিন-বিমান-হামলায় বিধ্বস্ত শহর।

হুতুরা মুসলমান। আর তারাও মানুষ। তাদেরও বেঁচে থাকার সমান-অধিকার রয়েছে। কিন্তু ইয়েমেনের বর্তমান সৌদিপন্থীসরকার ও সৌদিআরব তাদের কোনো ন্যায্য দাবিদাওয়া মানতে নারাজ। তাই, সৌদিরাজশক্তি অস্ত্রের জোরে হুতুদের নির্বিচারে হত্যা করে তাদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। আর যারা হুতুদের অন্যায্যভাবে দমন করতে চাইছে—তারা সৌদিপন্থী-নামধারীমুসলমান। আর এই নরপশুদের আক্রমণেই ইয়েমেনে প্রতিনিয়ত হাজার-হাজার নিরীহ মুসলমান নিহত হয়েছে।


ইয়েমেনে সৌদি-বিমান-হামলায় বিধ্বস্ত-জনপদে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি শিশু।

সৌদিরা এমনই পাশবিক, নৃশংস ও নরপশু যে, মুসলমানদের পবিত্র উৎসব—ঈদের দিনও এরা মুসলমানদের উপর হামলা চালাতে কোনোপ্রকার দ্বিধা করেনি, আর এখনও করছে না। তাই, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের পবিত্র রমজান-মাসসহ ঈদুল ফিতরের দিনও সৌদিরা ইয়েমেনে বিমান-হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে হাজার-হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। বর্তমানেও তাদের সেই নৃশংসতা একইভাবে অব্যাহত রয়েছে। আজকের ইয়েমেনে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের মূলহোতা সৌদিআরব। এপর্যন্ত ইয়েমেনে নৃশংস হামলা চালিয়ে সৌদিসরকার ও সৌদিসামরিকজোট কয়েক লক্ষ মুসলমানকে হত্যা করেছে।

২. সিরিয়ার মুসলমানদের উপরও হামলা করছে সৌদিআরব। সেখানেও তারা নির্বিচারে মুসলমানহত্যা করছে। আর প্রতিনিয়ত ইসলামের দোহাই দিয়ে নিজেদের মুসলমানিত্ব-জাহির করছে! ইয়েমেনের মতো সিরিয়ায়ও তারা হামলার ক্ষেত্রে রমজান-মাস কিংবা ঈদের দিনের কোনো বাছবিচার করছে না। আর এখানেও তারা নির্বিচারে ‘নারী ও শিশুদের’ হত্যা করছে। এপর্যন্ত এখানেও তারা কয়েক লক্ষ নিরীহ মুসলমানকে হত্যা করেছে।

ইয়েমেনে ও সিরিয়ায় যুদ্ধের ক্ষেত্রে সৌদিআরব ভয়ানক শয়তানীনিয়মরীতি মেনে চলছে। এরা নিজেদের স্বার্থের আধিপত্যবিস্তারের জন্য এই দুটি দেশের আত্মরক্ষার্থে নিয়োজিত মুসলমানদের ‘শিয়া’ ও ‘কাফের’ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আসলে, তারা নিজেরাই কাফেরের চেয়েও অধম।
বর্তমানে সৌদিআরব ইরাকেও আইএসের সহায়তায় তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। তারা আইএসকে অর্থসহায়তা দিয়ে তাদের ভাষায় সেখানকার কথিত শিয়া-মুসলমানদের নির্বিচারে নিধন করছে। এই হলো আজকের সৌদিআরবের মুসলমানিত্ব!

৩. ইরাক ও সিরিয়ার আইএস (ইসলামিক স্টেট) জঙ্গিগোষ্ঠীকে সর্বপ্রকার অর্থসহায়তাপ্রদান করছে আজকের সৌদিআরব। বিশ্বসন্ত্রাসের মূল উৎস: আইএস সৌদিআরবের মদদপুষ্ট একটি ঘাতকসংগঠন। আর এতে সৌদিপন্থীদেশগুলোই সরাসরি জড়িত।

৪. বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের মূলহোতা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠী ‘জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান’ তথা জামায়াত-শিবিরকে সর্বপ্রকার অর্থসহায়তা দিচ্ছে বর্তমান সৌদিসরকার। এরা দীর্ঘকাল যাবৎ তাদের দাতাসংস্থা ‘রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামী’র মাধ্যমে বাংলাদেশের চিরশত্রু ও দেশবিরোধী অপরাজনীতির ধারক-বাহক জামায়াত-শিবিরকে এই অর্থসহায়তা দিচ্ছে। তাছাড়া, বর্তমানে জামায়াত-শিবির নিজেদের ইসলামীব্যাংকের মাধ্যমেও অর্থলাভ করে তা জঙ্গিবাদের অপকর্মে ব্যয় ও ব্যবহার করছে।

৫. সৌদিআরবের নরপশু-সরকার খোদ সৌদিআরবের পূর্বাঞ্চলীয় শিয়ামুসলমান-অধ্যুষিত আওয়ামিয়া-শহর থেকে শুরু করে শিয়ামুসলমানদের বিভিন্নস্থানে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। তারা এভাবে নিজদেশেই নির্বিচারে মানুষহত্যা করছে। তবুও আন্তর্জাতিক বিশ্ব-নামের পশুগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকাপালন করছে। জন্মগতভাবে সৌদিরাজপরিবারের সদস্যরা একেকটি ভয়ানক সন্ত্রাসী আর নির্লজ্জ স্বার্থপর। এদের কাছে মানুষ আর মানবতার বাণী কখনওই পৌঁছেনি আর পৌঁছুবে না কখনও। এরা আজ সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভিন্নমতালম্বীদের হত্যা করে দমন করতে চাইছে। আর সবখানে এরা নিজেরা বাঁচার জন্য ঢাল হিসাবে সবসময় ব্যবহার করছে ইসলামধর্মকে। সৌদিআরবেও এপর্যন্ত লক্ষাধিক শিয়ামুসলমান নিহত হয়েছে। আর দীর্ঘদিন যাবৎ এই হত্যাকাণ্ড চলছে পরিকল্পিতভাবে—আর প্রকাশ্যে ও গুপ্তভাবে।

৬. সৌদিআরবের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াসহ কতিপয় আরবরাষ্ট্রে বোমাবাজি ও সন্ত্রাসতাণ্ডব পরিচালনার সুযোগ খুঁজে পেয়েছে। আজকে সৌদিআরবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, জোটভুক্ত হয়ে, আমেরিকা অনৈতিকভাবে সিরিয়া-ইয়েমেনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হামলা চালাচ্ছে। এতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু এতে বিচলিত নয় ইসলামের ধ্বজাধারী সৌদিআরব।

৭. ১৯৭১ সালে, শয়তানের জারজরাষ্ট্র পাকিস্তান (আমেরিকা ও চীনের সহায়তায়) বাংলাদেশরাষ্ট্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। আর সেদিন মানবতাবিরোধী এই শয়তানীঅপকর্মেও সরাসরি শামিল হয়ে পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার অর্থসহায়তা দিয়েছিলো এই সৌদিআরব। একবার ভেবে দেখুন, এই সৌদিআরব কখনও ভালো ছিল? এখনও না আর তখনও না। আর বর্তমানে সৌদিআরব অর্থক্ষমতার জোরে নিজেদের বিরাটকিছু ভাবছে।

সৌদিআরবের অর্থের উৎস:

অনেকে মনে করে থাকে: সৌদিআরব তেলসম্পদের কারণেই বিশ্বে একটি ধনীরাষ্ট্র। কথাটি পুরাপুরি সত্য নয়। কারণ, সৌদিআরবের ‘জাতীয় আয়ের’ সিংহভাগ অর্জিত হচ্ছে হজ্জ-ব্যবসা থেকে। এখন এটিই তাদের ‘জাতীয় আয়ের’ সবচেয়ে বড় উৎস। তারপর তেলটেল যাই বলা হোক না কেন—সেগুলো আসবে। আর যারা এখনও তেলক্ষেত্রকে সৌদিআরবের জাতীয় আয়ের প্রধান উৎস মনে করে থাকে—তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। আসলে, এটি তাদের সম্পূর্ণ ভ্রান্তধারণা। আর তাই, প্রতিবছর হজ্জ-ব্যবসা থেকে সৌদিআরবের যে কী পরিমাণ আয় হচ্ছে—তা একজন সাধারণ মানুষের কল্পনা ও ধারণার বাইরে। একথা আজ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত যে, সৌদিআরবের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ এখন অর্জিত হচ্ছে প্রতিবছরের এই হজ্জ-ব্যবসা থেকে। সেজন্য সৌদিরা সারাবিশ্বে হজ্জের মওসুমে লোকসমাগমবৃদ্ধি করতে তাদের বিভিন্ন এজেন্সীর মাধ্যমে নিজস্ব-এজেন্ট নিয়োগ করেছে। এরা এখন দেশে-দেশে বিনামূল্যে বিভিন্নপ্রকার পুস্তিকা ছাপিয়ে হজ্জের মাহাত্ম্য বর্ণনা করছে। এতে সাধারণ মানুষগুলো সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে। আর তারা মনে করছে: একবার হজ্জ করলেই তাদের সাতখুন মাফ! এই প্রসঙ্গে আমাদের মনে রাখতে হবে: আমাদের দেশের নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাতখুনের প্রধান আসামী নুর হোসেনও একটা হাজী (আলহাজ্জ)। আর সে এভাবেই দিনের-পর-দিন নিজের পাপসমূহ এই হজ্জের মাধ্যমে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলো। এরা খুনের আগেও হজ্জ করে আবার খুনের পরেও হজ্জ করে থাকে! হায়রে ধর্ম!

এখন কথা হচ্ছে, এই সৌদিআরব হজ্জের ব্যবসা করে মুসলিমবিশ্বের মানুষের হক (হজ্জের টাকায় সকল দেশের মুসলমানদের ভাগ) বিনষ্ট করে মুসলমানদের হজ্জের টাকায় অস্ত্র কিনে তা আবার মুসলমানদেরই উপর ব্যবহার করছে! এর চেয়ে জঘন্য আর কী হতে পারে? এর চেয়ে মানবতাবিরোধী আর কী হতে পারে? আর এর চেয়ে লজ্জার আর কী আছে? আছে আরও আছে!
সারাবিশ্বে মুসলমানসম্প্রদায়ের বর্তমানে একমাত্র কিবলা হলো মক্কায় অবস্থিত কাবাঘর। আর এই কাবাঘর নিয়েই সৌদিবাদশাহদের যত রাজত্ব। এই কাবাঘরকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর মুসলমানদের হ্জ্জ পালিত হয়। আর এই হজ্জে আয় কত? এই আয়ের পরিমাণ এতো বেশি যে, পৃথিবীর কোনো ক্যালকুলেটরে এই আয়ের হিসাব দেখা যাবে না। এখানে এতো-এতো আয়! আর এসবই গায়ের জোরে ভোগ করছে পৃথিবীর সর্বকালের লম্পট-রাজবংশ সৌদিরাজপরিবার। অথচ, হজ্জের এই টাকায় বিশ্বমুসলমানদের অধিকার রয়েছে।
সৌদিরাজপরিবার মুসলমানদের হজ্জের টাকা এখন ইয়েমেন-সিরিয়ার মুসলমানহত্যায় ব্যবহার করছে। আর ইরাক-সিরিয়াসহ সারাবিশ্বে ত্রাসসৃষ্টিকারী আইএস-এর ধ্বংসাত্মক অপকর্মে সহায়তা দিচ্ছে।

এখন আপনারাই বলুন: পৃথিবীতে সর্বাপেক্ষা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ লালনপালনকারী দেশ কোনটি?
উত্তর: নিশ্চয়ই রাজতন্ত্রের সৌদিআরব।


ক্যাটেগরি: ইতিহাস, ধর্ম, মানবতা, রাজনীতি!


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.